সাধন চন্দ্র মজুমদার
২০২৩ সালে অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে জনগণ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ২০২৩ সালে অনেক মেগা প্রকল্পের সুফল পাবে দেশের জনগণ। বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু করেছে। এছাড়া মেট্রোরেল ও পাতাল রেলের কাজও চলছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেছেন বলেই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জনগণ দেশের উন্নয়নের পাশে থাকবে।
আরও পড়ুন: ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন: খাদ্যমন্ত্রী
শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর পোরশা হাই স্কুল কাম মাদরাসা মাঠে তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ। তাই বাংলাদেশের মানুষ এখন সন্ত্রাস নয়, উন্নয়ন চায়।
সম্মেলনে তেতুলিয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজিয়া পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, পোরশা উপেজলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: যারা আগুন সন্ত্রাস করে দেশের মানুষ তাদের চায় না: খাদ্যমন্ত্রী
শিগগিরই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল বিতরণ শুরু হবে: খাদ্যমন্ত্রী
যারা আগুন সন্ত্রাস করে দেশের মানুষ তাদের চায় না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, যারা আগুন সন্ত্রাস করে, জনগণের সম্পদ নষ্ট করে দেশের মানুষ তাদের চায় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের জন্য কাজ করে। এছাড়া স্মার্ট দেশ গড়তে জনগণ শেখ হাসিনাকেই আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত করবে।
আরও পড়ুন: কৃষিকে বাদ দিয়ে এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়: খাদ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার(২ মার্চ ) দুপুরে পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ১ নং নিতপুর উনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিয়েছেন। তাদের সম্মানী ভাতা বাড়িয়েছেন। গৃহহীণ মানুষের ঘর তৈরি করে দিয়েছেন। এমন কোন খাত নেই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য-সহযোগিতা পৌঁছেনি। দেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী করতে হবে।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন উৎপাদন বাড়াতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবেনা। আর সে আহ্বানে কৃষক ইতোমধ্যে সাড়া দিয়েছে। কৃষকবান্ধব সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, হবেও না বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
এছাড়া পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করে তিনি দেখিয়েছেন বাঙালিরা পারে। শেখ হাসিনা পারে। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছেন। বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে।
নাগরিকগণ ডিজিটাল সেবা ঘরে বসেই পাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি ।
নিতপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরাতন বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল খালেক, পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য প্রকৌশলী তৃণা মজুমদার বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই কার্ডের মাধ্যমে ওএমএসের চাল বিতরণ শুরু হবে: খাদ্যমন্ত্রী
৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, পহেলা মার্চ থেকে সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।
রবিবার (২৬ ফ্রেব্রুয়ারি) সকালে নওগাঁতে আটাপট্টি ও রুবির মোড় এলাকায় চলমান ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে ১ কোটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
এমএমএস কার্যক্রম কত দিন চলবে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএস একটি চলমান কর্মসূচি। যতদিন এর চাহিদা থাকবে ততদিন চলবে। প্রয়োজন হলে সারা বছরই চলবে। চাল দেয়া হবে, আটাও দেয়া হবে।
মন্ত্রী জানান, এ সময়ে ওএমএস চলেনা, বন্ধ থাকে। নিম্ন আয়ের জনগণ যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য ওএমএস চালু রাখা হয়েছে এবং আমরা ওএমএস দিয়ে যাবো।
সরকারি গুদামে খাদ্য মজুতের অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ টন নিরাপত্তা মজুতের বিপরীতে বর্তমান ২১ লাখ টনের অধিক মজুত আছে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে প্রতিদিন চাল ও আটা মিলিয়ে প্রায় ১৪-১৫ হাজার টন খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। যতদিন মানুষের চাহিদা থাকবে ততদিন ওএমএস কার্যক্রম চালু রাখা হবে।
এর পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব অন্যান্য কর্মসূচিও চলবে। তাই আতঙ্কের কিছু নেই। দেশে কোন খাদ্য সংকট হবে না।
ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, অতি মুনাফার লোভে খাদ্যদ্রব্যে মজুদ করে মানুষকে বিপদে ফেলার চেষ্টা না করবেন না। নতুন আইন হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
অভিযানে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ার, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর হোসেনসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওএমএস নিতে আসা নারী-পুরুষ জানান চাহিদার তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ কম। বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ালে তাদের সুবিধা হতো।
এসময় মন্ত্রী তাদের অসুবিধা বিবেচনার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: কৃষিকে বাদ দিয়ে এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়: খাদ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে ভূমিকা রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে ভূমিকা রাখতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি ছিলো, এখনও আছে। তাদের প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে মহানগর পূজা উদযাপন কমিটি আয়োজিত ' মহানগর পরিবার দিবস ২০২৩' উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে নিরলস কাজ করছেন। তিনিই পারবেন অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে। এছাড়া আমাদের শেকড়ের সন্ধান করতে হবে। সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। সংস্কৃতির বিকাশ ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তি দিবে।
তিনি বলেন, পরিবার দিবস সকলকে কাছে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। পারস্পরিক বন্ধনকে শক্তিশালী করতে এ ধরনের অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: রমজানে ১ কোটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী
রমজানে ১ কোটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
আসন্ন রমজানে মানুষ চাল নিয়ে বিব্রত কর অবস্থায় পড়বে না বলে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, রমজানে বিশেষ প্রোগ্রাম হিসেবে ভিজিএফ এর আওতায় এককোটির বেশি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।
তিনি বলেন, রমজানে বিশেষ প্রোগ্রাম হিসেবে ভিজিএফ এর আওতায় এককোটির বেশি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে, আমা করছি বোরোতে বাম্পার ফলন হবে। ফলে দেশে চাল আমদানির আর প্রয়োজন হবে না বলে আমি মনে করি।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান মাস, খাদ্য মন্ত্রণালয় মুলত রেশনিং, কাবিখা, টিআর, ওএমএস কর্মসূচির চাল বিতরণ করে থাকি। বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার পর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্ববৃহৎ বিতরণ ব্যবস্থা চলছে। ২৫০০ ডিলারের মাধ্যমে চাল ও আটা প্রতিনিয়তই বিতরণ চলছে। হিসেব অনুযায়ী এ সময় ওএমএস বন্ধ থাকে। শুধু সিটিতে কিছু থাকে। বর্তমানে আমাদের সিটি, জেলা উপজেলা ও পৌরসভাগুলোতে চলছে। ওএমএস'র আওতায় যারা নিম্ন আয়ের লোক তারা ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে ৩ কেজি আটা পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী ১ মার্চ থেকে ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া শুরু হবে। এটা বছরে ৫ মাস চলে, মার্চ, এপ্রিল, মে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে দেয়া হয়। আমাদের ওএমএস এ এক কোটির ওপরে পরিবার বছর জুড়েই ৫ কেজি চাল ও ৩ কেজি আটা পাবে।
এছাড়া, রমজানে বিশেষ প্রোগ্রাম হিসেবে ভিজিএফ এর আওতায় এককোটির বেশি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। সেখানে মিয়নমার থেকে আমদানি করা আতপ চাল দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমাদের বেসরকারি আমদানি খোলা রয়েছে। তবে কম আসছে। কারণ দেশে এখন প্রচুর চাল আছে। সরকারি মজুতও প্রচুর রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের বিতরণ যেমন অনেক বেশি পাশাপাশি মজুদও সবচেয়ে বেশি রয়েছে। বর্তমানে আমাদের ২০ লাখ ৩৩ হাজার ৯২৮ মেট্রিক টন মজুদ রয়েছে। আমাদের যেমন বিতরণ হচ্ছে তেমনি সংগ্রহও হচ্ছে। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টন চাল সংগ্রহ হচ্ছে। যদিও আমাদের ৫ লাখ মেট্রিকটন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো সেখানে আমাদের ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৩০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ হয়েছে। চুক্তি হয়েছিলো ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৩ মেট্রিকটন। ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবো। আমাদের অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও মজুদ ভালো।
তাহলে ধান সংগ্রহ হয়নি কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ধান সংগ্রহের জন্য সরকার যে রেট নির্ধারণ করে দেয়। কারণ কৃষকরা যাতে মিলার, মজুদদার বা খরিদদারের কাছে প্রতারিত না হয়। বাজারে যদি দাম কম থাকে তাহলে কৃষকরা সরকারের কাছে বিক্রি করে লাভবান হতে পারে। এবছর সরকারি মূল্য থেকে বাজারে মূল্য বেশি থাকায় কৃষকদের সরকারের কাছে ধান দেয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ কৃষকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত মূল্য বাজারেই পাচ্ছে। অতএব প্রসার দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে ধান নিতে চাই না। আমি মনে করি কৃষকরা খুব ভালো আছে, সুখে আছে।
বৈশ্বিক সংকটের চ্যালেঞ্জগুলো কোথায় জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দেশনার কারণে আমাদের দেশে বৈশ্বিক সংকটের তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি এবং ফেলতে পারবে না। আমনে বাম্পার ফলন হয়েছে, কোন দুর্বিপাক না হলে রোবোতেও বাম্পার ফলন হবে। ফলে আমদানির আর প্রয়োজন হবে না বলে আমি মনে করি।
চালের দাম কমছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে সব কিছু যদি বিচার বিশ্লেষণ করেন যেমন,-ডলারের দাম, উৎপাদন খরচ সব কিছু বিবেচনা করলে আমি মনে করি বৈশ্বিক এই সংকটে চালে দাম স্থিতিশীল আছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে যে হাহাকার নেই, এটাই আমাদের জন্য অনেক বড় পাওনা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য তো ওএমএস, কাবিখা আছে। আর অসাধারণের জন্য এরোমেটিক, প্যাকেট, সিলকি আছে। তাহলে মধ্যবিত্তরা কোথায় যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওএমএস কি শুধু সাধারণ মানুষ যায়, সেখানে অনেক মধ্যবিত্তও যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
রবীন্দ্রনাথের গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাঙালির আত্মপরিচয় জাগিয়ে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালি যতবার সভ্যতার সংকটে পড়েছে; ততবার কবিগুরুর কবিতা, গল্প ও সুর মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, কথা, কবিতা ও গানে বিশ্বকবি সামগ্রিকভাবে বাঙালির নন্দনতত্ত্বকে তুলে ধরেছেন বিশ্ব দরবারে। নতুন প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রনাথের কৃতিত্বকে পরিচিত করতে প্রতিটি জেলায় রবীন্দ্র সম্মেলন আয়োজন করা দরকার।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ৪১তম জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, একাত্তরের কোটি মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের যে অনুভবতা আমরা লক্ষ করেছি। তিনি যে মুক্তির ডাক দিয়েছেন, তার রচিত স্বদেশের গানে তা অনুরণিত হতে দেখেছি একাত্তরে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়, জেলা পরিষদেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম শাহনেওয়াজ, এফবিসিসিআই পরিচালক ও নওগাঁ চেম্বার অব কমার্সেও সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ নওগাঁর সাধারন সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয়, আগামী ৩-৫ মার্চ নওগাঁ জেলায় ৪১তম রবীন্দ্র সম্মিলন অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্য থাকবে সহস্র কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন, পতিসরে রবীন্দ্র প্রীতি সম্মেলন ও স্মৃতিচারণ, রবীন্দ্রনাথের চিত্রকর্ম প্রদর্শন এবং কবিগুরুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা।
এতে অংশ নেবেন- আসাদুজ্জমান নূর, রামেন্দু মজুমদার, রেজোয়ানা চৌধুরীবন্যাসহ দেশ বরেণ্য শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ন্যায়ের পথে কাজ করে যাচ্ছেন: খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ন্যায়ের পথে কাজ করে যাচ্ছেন: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়ের পথে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে তিনি নিবেদিত প্রাণ।
সোমবার সকালে দ্বিতীয় পর্যায়ে সারাদেশে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নওগাঁর নিয়ামতপুর প্রান্তে উপস্থিত থেকে জনতার উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে সারা দেশে মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে।
এছাড়া তিনি সকল ধর্মের উন্নয়নে কাজ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। পৃথিবীর অনেক শক্তিশালী দেশের চেয়েও এখন বাংলাদেশের জিডিপি ও এসডিজির অগ্রগতি ভালো।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অবকাঠামো ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনা ধর্মীয় ও নৈতিক উন্নয়নের দিকেও নজর দিয়েছেন। পিতার দেখানো পথ ধরে তিনি সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন।
আর সে ধারাবাহিকতায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণাকেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন বিভাগ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, লাশ গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও অটিজম সেন্টার, প্রতিবন্ধী মুসল্লিদের টয়লেটসহ নামাজের পৃথক ব্যবস্থা, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থাকবে।
এছাড়াও ইমাম-মুয়াজ্জিনের প্রশিক্ষণ-আবাসন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং-সুবিধা রাখা হয়েছে।
মডেল মসজিদগুলোতে দ্বিনি দাওয়াত কার্যক্রম ও ইসলামি সংস্কৃতিচর্চার পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, যৌতুক, নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
নওগাঁ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আল মামুন হক, নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক সুফিয়ান, উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়া সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে যাঁরা ব্যবসা করেন তাঁরা অবশ্যই স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করবেন।
তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে প্রকৃত ব্যবসা না করে ভিন্ন খাতে অর্থাৎ বাড়ি গাড়ি বানিয়ে ফেলেন, তাঁরা পরবর্তীতে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ঋণ খেলাপি হয়ে যান। আসলে তাদের ইচ্ছাই অসৎ। ঋণ পরিশোধের ইচ্ছাই তাদের থাকে না। যারা লেগে থাকে, লেগে আছে তারা অবশ্যই সফলতা অর্জন করে।
শনিবার দুপুরে নওগাঁ কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত সংগঠনের মেম্বার্স ডে' ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সব দিক বিবেচনায় একটি সফল সরকার।
করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, অনেকে বলেছিলেন বাংলাদেশে বহু মানুষ মারা যাবে। না খেতে পেয়েও অনেক মানুষ মারা যাবে। কিন্তু সরকার অত্যন্ত সফলতার মাধ্যমে সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেছেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে এ জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন লাভ করেছে। আশা করি জাতীয় সংসদের আসন্ন শীত মওসুমের অধিবেশনে সংসদীয় অনুমোদন লাভ করবে। এছাড়া জেলায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাডেমিক অনুমোদন পেয়েছে।
কৃষকদের আরও সহজভাবে সার সরবরাহ করতে ইতোমধ্যে একটি বাফার গো-ডাউন নির্মাণ এবং একটি হিমাগার নির্মাণের জন্য অনুমোদন লাভ করেছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশের অনেক জেলার থেকে নওগাঁ জেলায় রাস্তাঘাটের অনেক বেশী উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া কৃষকরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহী না হলে মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে না। তাই সরকার কৃষকদের ফসল উৎপাদনে অধিক আগ্রহী করে তুলতে কৃষকদের সহায়তায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এর আগে বেলা ১২টায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার হাট নওগাঁ এলাকায় অবস্থিত নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভবনে মুজিব কর্নার ও ডিরেক্টরস লাউঞ্জের উদ্বোধন করেন।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলগেট থেকে শুরু করে কোথাও চালের দাম বাড়েনি। একটা মৌসুম শেষ আরেকটা মৌসুম শুরু হলে এই দুই মৌসুমের মাঝখানে চালের দাম একটু ওঠানামা হয়। ইতোমধ্যে আমন মৌসুম ধান কাটা-মাড়াই শুরু হচ্ছে। এছাড়াও ওএমএস চলমান রয়েছে। তাই চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি গুদামে যে খাদ্য মজুত থাকার কথা, তার দ্বিগুণ আছে। প্রায় ১৮ লাখ টন চাল সরকারি গুদামে মজুদ আছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমদানি করা হচ্ছে। এরসঙ্গে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই যোগ হবে নতুন আমনের ফলন। সব মিলিয়ে দেশে খাদ্য সংকটের কোন শঙ্কা নেই।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার প্রান্তিক কৃষকদের নায্যামূল্য দিতেই ধান কিনে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলো কি হলো না সেটা কোন বড় কথা নয়। আমরা চাই কৃষকেরা ধানের নায্য মূল্য পাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, চকচকে চাল না খেয়ে সবাইকে নন-পলিশ চাল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আগের মত মানুষ যদি নন-পালিশ চাল খাওয়া শিখে তাহলে আমাদের দেশে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন চাল সেফ হবে। তখন আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নওগাঁ জেলা কৃষি ভিত্তিক জেলা। কৃষি ক্ষেত্রে এ জেলার রয়েছে অনেক সফলতা। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকার অনেক কল্যাণমুলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। কেবলমাত্র কৃষকদের সার প্রদানের ক্ষেত্রেই ৪৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করছে।
এছাড়া খাদ্য নিয়ে অযথা কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সে দিকে ব্যবসায়ীসহ সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেলের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন খান ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক যশোধা জীবন দেবনাথ, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুনু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নওগাঁ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীন, বেলকন গ্রুপের এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. বেলাল হোসেন এবং পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল মোস্তফা কালিমি বাবু।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যশস্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বিনা লাইসেন্সে কোনো ব্যক্তি ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবে না। লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সারা দেশে অভ্যন্তরীণ আমন ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,লাইসেন্স নেই এমন অনেক ব্যক্তি ধান-চাল কিনে মজুত করে রাখছেন। এতে বাজারে ধান-চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়ে থাকে।
ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী নওগাঁ, কুষ্টিয়া, নেত্রকোণা ও দিনাজপুর জেলার সরকারি কর্মকর্তা, কৃষক, চালকল মালিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সরকার ৩ লাখ টন ধান ও ৫ লাখ টন চাল কিনবে: খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, বোরো মৌসুম থেকে ধান-চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি সপ্তাহের রিটার্ন দাখিল করার নিয়ম চালু করা হয়েছে। অর্থাৎ যারা ধানের আড়তের ব্যবসা করছেন তাঁদেরকে প্রতি সপ্তাহে কতটুকু ধান কিনছেন, কতটুকু ধান কোন মিলে বিক্রি করছেন, তার হিসাব সরকারকে দিতে হবে। চালকল মালিকদেরও এই নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। যারা এই হিসাব দেবে না তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া যে সব মিলার কর্পোরেট গ্রুপের কোনও ব্রান্ডের নামে চাল বাজারজাত করার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খাদ্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খাদ্য সঙ্কট হতে পারে বলে আভাস দেয়া হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে খাদ্যশস্য আমদানি করা হচ্ছে। তবে কৃষকদেরও এই পরিস্থিতিতে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষকদের চাষাবাদে উৎসাহিত করতে সার ও বিদ্যুতে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকী দিচ্ছে। কৃষকদের দায়িত্ব রয়েছে তাদের উৎপাদিত ধানের কিছু কিছু সরকারি গুদামে দেয়া।
এছাড়া ২০১৮-১০১৯ সালে ধানের দাম বাজারে অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যায়। তখন কৃষকেরা হা-হুতাশ করতে শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে সরকার কৃষকদের ধানের নায্য দাম নিশ্চিত করতে মৌসুমের শুরুতেই ধান-চাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন।
এই সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহাদৎ হোসেন, নওগাঁ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, নওগাঁ ধান চাউল আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন, নওগাঁ জেলা মিল মালিক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, অটোমেটিক রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খাদ্যশস্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
সরকার ৩ লাখ টন ধান ও ৫ লাখ টন চাল কিনবে: খাদ্যমন্ত্রী
সরকার আমন ধান ও চালের দাম ও লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, এ বছর তিন লাখ মেট্রিক টন আমন ধান ও পাঁচ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কেনা হবে।
আরও পড়ুন: জনগণকে পলিশ চাল না খাওয়ার পরামর্শ খাদ্যমন্ত্রীর
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ের কেবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি জানান, এ বছর আমন ধানও চালের সরকারি সংগ্রহ মূল্যও ঠিক করা হয়। চলতি বছর আমন ধানের সরকারি ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ২৮ টাকা এবং চালের মূল্য প্রতি কেজি ৪২টাকা।
এসময় কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে খাদ্য শস্যের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়ে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
যা মজুদ আছে তাতে খাদ্যসংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী