স্বপ্নপুরী
স্বপ্নপুরীতে সংঘর্ষ: জবির ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত, গ্রেপ্তার ৮
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিনোদন কেন্দ্রের কর্মচারীদের সংঘর্ষে ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এছাড়া এ ঘটনায় স্বপ্নপুরীর আট স্টাফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নবাবগঞ্জ থানার আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম জানান, শিক্ষাসফরে (ফিল্ডওয়ার্কে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৭৩ শিক্ষার্থীসহ ৮১ সদস্যের একটি টিম বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনিতে এসেছিল। ঢাকায় ফিরতি পথে বিকালে তারা নবাবগঞ্জের বিনোদন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীর বিভিন্ন রাইডে আনন্দ বিনোদন করছিল।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর ধরে পলাতক জেএমবি সদস্য ফেনীতে গ্রেপ্তার
তিনি জানান, এসময় বেখেয়ালে রাইডের মধ্যে একটি ব্যাগ ফেলে রেখে যায় জনৈক শিক্ষার্থী। ফেরত নিতে এসে রাইড অপারেটরদের সঙ্গে বাক বিতণ্ডার জেরে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ।
তিনি আরও জানান, এসময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং লোহার রড ও লাঠির আঘাতে ১১ শিক্ষার্থীসহ ১৫ জন আহত হন। ফুলবাড়ী উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুতর আহত তিন ছাত্রকে রেফার্ড করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাত আল মামুন জানান, আহতদের মধ্যে আরাফাত হোসেন ও জাহিদুল ইসলাম তালকা নামে দুই ছাত্রকে রাতে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, মারামারির ঘটনায় রাতেই জবির একজন ছাত্র বাদী হয়ে স্বপ্নপুরির আট স্টাফকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত আটজনকে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় এবং সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮
সিলেটে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
১ বছর আগে
দিনাজপুরের ১০ জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
রংপুর বিভাগের অন্তর্গত দিনাজপুর জেলাটি আবহমান কাল ধরে ধারণ করে আছে উত্তরবঙ্গের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। রাজধানী থেকে ৪১৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত সদর উপজেলার প্রধান নদী পুনর্ভবা। এই জেলার পূর্বে রংপুর ও নীলফামারী, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় এবং দক্ষিণে রয়েছে জয়পুরহাট ও গাইবান্ধা জেলা। ১৭৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দিনাজপুর শহর ভ্রমণ মানে শুধুই একটি অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান জানা নয়। অঞ্চলটির অতীতের সঙ্গে এক সেতুবন্ধনও বটে। এর প্রতিটি ইট আর দেয়ালের রঙ সরবে জানান দেয় ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর কথা। পাশাপাশি পরিচয় করিয়ে দেয় শহরবাসীর পূর্বসূরীদের। আজকের আয়োজনে থাকছে দিনাজপুর জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ।
ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়ার উপায়
উত্তরাসহ গাবতলীর পথে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া যায় দিনাজপুরের বাসগুলো। এগুলোতে মান ভেদে ভাড়া ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা।
আর ট্রেনে যেতে হলে কমলাপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ অথবা সকাল ৯টা ৫০-এ টিকেট বুক করা যেতে পারে। সিটের ধরন ভেদে এগুলোতে ভাড়া ১৮৫ থেকে ৮৯৭ টাকা পর্যন্ত নিতে পারে।
আরও পড়ুন: কলকাতা ভ্রমণ: দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার উপায় ও খরচ
দিনাজপুরের ১০ জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
রামসাগর দিঘি
বাংলাদেশের বৃহত্তম দিঘি হিসেবে পরিচিত এই জলাশয়টি মূলত একটি কৃত্রিম দিঘি। পলাশী বিপ্লবের কিছু পূর্বে রাজা রামনাথ রাজ্যের পানির চাহিদা মেটাতে খনন করেছিলেন এই দিঘি। রাজার নামানুসারেই দিঘিটি পরবর্তীতে পরিচিতি পায়। বর্তমানে এটি দিনাজপুর পর্যটন বিভাগের দায়িত্বে আছে।
প্রায় চার লাখ ৩৭ হাজার ৪৯২ বর্গমিটার ক্ষেত্রফল এবং ১০ মিটার গভীরতার এই দিঘির আশপাশে বিকালে ঘুরে বেড়ানোর জন্য দারুণ জায়গা। এখানে সাঁতার কাটারও ব্যবস্থা আছে। পূর্ণিমার সময় ক্যাম্পিং করার জন্য রামসাগর বেশ জনপ্রিয় একটি স্থান।
শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে যেতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: কাতার ভ্রমণ: বিভিন্ন শহরের শীর্ষস্থানীয় ১০ দর্শনীয় স্থান
কান্তজির মন্দির
বাংলাদেশের এই বিখ্যাত স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিল ১৮ শতকে, যার আরও একটি নাম নবরত্ন মন্দির। ঢেপা নদীর তীরে কান্তনগর গ্রামে এর অবস্থান। মন্দিরের শিলালিপি অনুসারে মহারাজা প্রাণনাথ রায় মন্দিরের কাজ শুরু করেছিলেন। ১৭২২ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর তার পুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন।
প্রথমে মন্দিরটির উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতির কারণে এটি এখন ৫০ ফুট লম্বা। মহাভারত, রামায়ণ ও অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনীগুলো মন্দিরের বাইরের দেয়ালে প্রায় ১৫ হাজার টি বর্গাকার পোড়ামাটির ফলকে চিত্রিত করা। শহর থেকে অটোরিকশা করেই পৌঁছা যায় কান্তজির মন্দিরে।
২ বছর আগে