শিল্প ইউনিট
বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে সরকারের সহযোগিতা চায় বিটিসিসিআই
থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে সম্ভাবনাময় শিল্প স্থানান্তরে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিটিসিসিআই)।
দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার এবং অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের লাভজনক খাতগুলোকে উন্নীত করতে শুল্ক বাধা অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিটিসিসিআই।
মঙ্গলবার শিল্প ভবনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বিটিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদের সৌজন্য সাক্ষাতে এসব প্রস্তাব দেওয়া হয়।
শামস মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু। বিটিসিসিআই ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বিটিসিসিআই সভাপতি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে আরও যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শিল্পমন্ত্রীকে সহায়তা ও উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: ভিসা নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবে না: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, ইটালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সিয়াম সিটি সিমেন্ট লিমিটেডের মতো বাংলাদেশের কয়েকটি বড় কোম্পানির বিনিয়োগ বাংলাদেশকে বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে থাইল্যান্ডের আগ্রহ প্রমাণ করে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, পাট, চামড়া, কৃষি, হালকা প্রকৌশল প্রভৃতি খাত ছাড়াও বাংলাদেশ থাই বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ওষুধ, তৈরি পোশাক, পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা, হিমায়িত খাবার, মৎস্য, অবকাঠামো, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের দিকেও নজর দিতে পারেন।
বিটিসিসিআইকে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন শিল্পমন্ত্রী।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডও বাংলাদেশের অবকাঠামোখাতে বিনিয়োগ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিটিসিসিআই'র জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই'র সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সুসম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ান মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতিপ্রাপ্তদের তালিকায় বাংলাদেশ: রুশ দূতাবাস
বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় চেক প্রজাতন্ত্র
১ বছর আগে
৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০টি শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
রবিবার তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফলক উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দেশের বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে জনগণকে যুক্ত করুন: অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
এর মধ্যে চারটি শিল্প ইউনিট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে এবং আটটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন শুরু করেছে।
এছাড়া কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (বিএসএমএসএন) প্রশাসনিক ভবন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, ২০ কিলোমিটার শেখ হাসিনা সরণি, ২৩০ কেভিএ গ্রিডলাইন এবং বিএসএমএসএন-এ সাবস্টেশন খোলা হয়েছে।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৯টি শিল্প ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর এবং বিএসএমএসএন-এ প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বিএসএমএসএন-এ যে চারটি শিল্প কারখানা বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে সেগুলো হল ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, জাপানের নিপ্পন স্টিল, বাংলাদেশের ম্যাকডোনাল্ড স্টিল ও টিকে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সমুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার অঞ্চলগুলো থেকে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকার ইতোমধ্যে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলমান।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে রয়েছে এবং অন্য ৬১টি নির্মাণাধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগকারী সমিতির সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
আরও পড়ুন: বিলাসিতা পরিহার করে জনগণের সেবা করুন: নির্বাচিত জেলা পরিষদকে প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে উদার ও স্বচ্ছ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে