পাইপলাইন
পাইপলাইনে লিকেজ হওয়ায় উত্তর খান-দক্ষিণ খানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ
ডিএনসিসির এক ঠিকাদারের দ্বারা গ্যাস লাইনে লিকেজ ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তর খান ও দক্ষিণখান এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, মেরামতের কাজ চলছে।
শিগগিরই গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: তীব্র পানি-গ্যাস সংকটে রাজধানীর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা
৮ মাস আগে
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ফুটো করে তেল চুরি, আটক ৪
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ফুটো করে ডিজেল তেল চুরির ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে ৩ নম্বর ফতেজংপুর ইউনিয়নের চক ইসবপুর ফেরোশাডাঙ্গা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নাটোরে চুরি হওয়া ৯৩০ কেজি ভোজ্য তেল জব্দ, আটক ১
সংশ্লিষ্টরা জানায়, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভারতের নিয়ন্ত্রণকক্ষের অটোমেটিক সেনসরে পাইপ লাইন লিকেজের সংকেত বেজে উঠে। ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে ভিজা মাটি সরিয়ে দেখা যায় এক সেখানে একটি নতুন সকেট ও চিকন পাইপ লাগানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জমির মালিক, জমিতে সেচ দেওয়া শ্যালো মেশিনের মালিক, প্রতিষ্ঠানের দুইজন লাইনম্যানসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন—চিরিরবন্দরের উত্তর ভবানীপুর (ডাঙ্গারহাট) গ্রামের আলী উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৭), পাবর্তীপুরের সোনাপুকুর গ্রামের মাজুম আলীর ছেলে মানিক শাহ্ (৪৫), নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের সাশকান্দর গ্রামের তাবির উদ্দিনের ছেলে নজমুল হক (৬৫) ও একই গ্রামের ছলেমান বসু মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪৮)।
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পের ব্যবস্হাপক প্রবীর হিরা জানান, অটোমেটিক সেন্সরের মাধ্যমে শুক্রবার ভোর ৪টায় ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডে ধরা পড়ে বাংলাদেশ সীমান্তে পাইপ লিকেজের ঘটনা। প্রথমে ভেবেছিলাম পাইপ লিকেজ হয়েছে। পরে ৫টার দিকে পাইপলাইন পথে অনুসন্ধ্যানে ধরা পড়ে ছিদ্র তৈরি করে তেল চুরির ঘটনা।
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী টিপু সুলতান জানান, ভারতীয় ও দেশি প্রকৌশলরীরা যৌথভাবে পাইপলাইনের ছিদ্র করা অংশ মেরামত সম্পন্ন করেছেন। তবে চেষ্টা করা হলেও তেল চুরি করতে পারেনি। চলতি মাসে পাইপলাইনে সর্বশেষ চার হাজার লিটার ডিজেল আমদানি করা হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে আরেক দফায় আবারও জ্বালানি আনা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে এটিএম বুথে চুরি হওয়া ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, চিহ্নিত স্থানে ছয় ফুট গর্ত খনন করে মূল পাইপলাইনে ফুটো তৈরি করে তাতে স্ক্রু যুক্ত চিকন পাইপ জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ছিদ্রে পাইপ লাগিযে তেল চুরি করা হয়েছে।
পাইপলাইনে তেল চুরির ঘটনায় মামলা করেছেন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন প্রকল্পের ব্যবস্হাপক প্রবীর হিরা।
কৃষিনির্ভর উত্তরের জেলা সমুহে জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে নৌ, সড়ক ও রেলপথের পরিবর্তে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল ডিজেল আনতে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তির আওতায় ভারতীয় অর্থায়ন ও কারিগরি সহযোগিতায় দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে রেলওয়ে ওয়েল ডিপোতে রিসিভ স্টেশন স্হাপন করা হয়।
এজন্য ভারতের আসামের শিলিগুড়ির নূমালীগড় রিফাইনারি শোধনাগার থেকে পাবর্তীপুর রেলওয়ে ডিপো পর্যন্ত ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্হাপন করা হয়েছে। ওই পাইপলাইনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশে পড়েছে ১২৬ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার এবং ভারত অংশে পড়েছে ৫ কিলোমিটার পাইপলাইন।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নোরেন্দ্র মোদি পাইপলাইনে জ্বালানি আমদানির উদ্বোধন করেন। গেল মার্চ মাস থেকে চলতে নভেম্বরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত ৭ বার পাইপলাইনে জ্বালানি ডিজেল এসেছে ওয়েল ডিপোতে।
আরও পড়ুন: ডাচ বাংলার বুথ থেকে ২৬ লাখ টাকা চুরি, গ্রেপ্তার ১
১১ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস বন্ধ থাকবে
পাইপলাইন বসানোর কাজের জন্য মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সব ধরনের গ্রাহকের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে গোদনাইল, এনায়েতনগর, বউবাজার, লাকিবাজার, হাজীগঞ্জ, ওয়াপদাপুল, কাইয়ুমপুর, ফতুল্লা, সস্তাপুর, জেলখানা এলাকা, নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ জংশন থেকে শিবু মার্কেট হয়ে পোস্ট অফিস রোড পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
এ ছাড়া পঞ্চবটি, মাইজদাইর, ইজদাইর, চাষাঢ়া, খানপুর, কিল্লারপুল, তল্লা, কুতুবাইল, ধর্মগঞ্জ, তক্কারমাঠ, পাগলা, চিতাশাল, দেলপাড়া, জালকুড়ি, নয়ামাটি, দাপা ইদ্রাকপুর, ভুইগড়, কুতুবপুর ইউনিয়ন ও আশপাশের এলাকা এবং ঢাকা ম্যাচ, সেনপুর, মোক্তারপুর, নারায়ণগঞ্জ বিসিক এলাকা, কাশিপুর ইউনিয়ন থেকে পঞ্চবটি হয়ে মোক্তারপুর, ধর্মগঞ্জ শাসনগাঁও, সিদ্ধিরগঞ্জ, আদমজী, সাহেবপাড়া, মিজমিজি থেকে চিটাগাং রোড পর্যন্ত এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস জানিয়েছে, উল্লেখিত এলাকাগুলো ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানা সংলগ্ন এলাকা, মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ শহরের আশপাশেও গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার যেসব অঞ্চলে বৃহস্পতিবার ৪ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
ঢাকার কিছু এলাকায় ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
১ বছর আগে
ক্রুটির কারণে সমুদ্র তলদেশ দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল খালাস বন্ধ
মহেশখালীর গভীর সমুদ্র তলদেশ দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল পরীক্ষামূলক খালাস কার্যক্রম সফল হয়নি।
আনুষ্ঠানিক তেল খালাস শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশ এ সেক্টরে নতুন যুগে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু ৩ দিনের মাথায় পাইপ লাইনের ক্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় বহুল প্রতীক্ষিত এই তেল খালাস কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
তেল খালাস বন্ধ হওয়ার কারণ জানিয়েছেন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো গত সোমবার সরাসরি জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে সমুদ্রের তলদেশ দিয় তেল খালাস শুরু হয়। ৩ দিনের মাথায় পাইপলাইনের ত্রুটির কারণে খালাস বন্ধ হয়ে যায়। যা পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরুর পর সাত থেকে ৮ হাজার টন তেল পাইপলাইনে খালাস করা হয়েছিল। এরপর ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বাকি তেল আগের মতো লাইটারেজের মাধ্যমে খালাস করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চীনা প্রতিষ্ঠান পাইপলাইনে কী ত্রুটি হয়েছে সেটি নির্ণয় করে সারানোর জন্য কাজ করছে।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, জাহাজ থেকে খালাস হওয়া তেলের চাপে ফুটো হয়ে যায় পাইপলাইন। পাইপলাইনের ত্রুটির কারণে এমনটাই হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাইপলাইন বেয়ে বেশ কিছু তেল সাগরেও মিশেছে। যে কারণে তড়িগড়ি করে তেল খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত ২৪ জুন রাতে সৌদি আরব থেকে ৮২ হাজার টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে এমটি হোরাই মহেশখালী গভীর সমুদ্রে পৌঁছায়। এর পরদিন জাহাজটি থেকে পরীক্ষামূলক পাইপলাইনে তেল খালাস কার্যক্রম শুরু করার কথা ছিল।
তবে ওইসময় বৈরি আবহাওয়ায় সাগর উত্তাল থাকায় তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ৩ জুলাই সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের (এসপিএম) সঙ্গে সৌদি আরব থেকে আসা জাহাজের সংযোগ ঘটানো হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলের ট্যাংকারে আবারও বিস্ফোরণ, আহত ১১
এর মধ্য দিয়ে জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ নতুন দিগন্তে প্রবেশ করে বলেও দাবি করেছিলেন ইআরএল কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জাহাজ এমটি হোরে ৮২ হাজার টন অপরিশোধিত তেল (ক্রুড অয়েল) নিয়ে সৌদি আরব থেকে ২৪ জুন মাতাবাড়িতে পৌঁছে।
বৃহদাকার অয়েল ট্যাঙ্কারটি ২২৯ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ১২ মিটার ড্রাফটের। ২৫ জুন তেল খালাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে ২৮ জুন পর্যন্ত কমিশনিং কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।
এরপর রবিবার চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয় দফায় কমিশনিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পরদিন সোমবার সকাল সোয়া ১০টা থেকে মাদার ভেসেল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল খালাস শুরু হয়।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল সাংবাদিকদের বলেন, অনেক উন্নত দেশকে টেক্কা দিয়ে গভীর সাগর থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল খালাসের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ক্রুটি সেরে এটি আবার চালু করা হবে।
প্রকল্প সম্পর্কে জানা গেছে, মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নে উপকূল থেকে ছয় কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) স্থাপন করা হয়েছে।
এসপিএম থেকে ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের দুটি আলাদা পাইপলাইনের মাধ্যমে ক্রুড অয়েল ও ডিজেল আনলোডিং করা হবে। ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেই পাইপলাইন প্রথমে তেল নিয়ে আসা হবে কালারমারছড়ার সোনারপাড়া সিএসটিএফ বা পাম্প স্টেশন অ্যান্ড ট্যাঙ্ক ফার্মে।
পাইপলাইন কমিশনিং করার পর সেখানে থাকা হেজ, সার্কিট বাল্ব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
এরপর স্টোরেজ থেকে বিভিন্ন পাম্পের মাধ্যমে ৭৪ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল চলে যাবে আনোয়ারা উপজেলার সমুদ্র উপকূলে।
সেখান থেকে আবার ৩৬ কিলোমিটার পাইপলাইন পাড়ি দিয়ে তেল নিয়ে যাওয়া হবে পতেঙ্গায় ইস্টার্ন রিফাইনারির স্টোরেজ ট্যাঙ্কে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
১ বছর আগে
২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী বছর পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে।
রবিবার তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে তেল আমদানি করতে চায় এবং আশা করছি আগামী বছর তা শুরু করা যাবে।’
আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
১৩০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) প্রকল্পের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশে তেল পণ্য রপ্তানি করা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মহামারি চলাকালীন বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানের সীমান্তবর্তী হাটগুলো পুনরায় চালু হবে।
আসাম প্রতিনিধিদলকে সফরে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী এবং বলেন, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় এবং তা প্রচার করে।
ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিরোধের সমাধান করেছে।
আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন যে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের আসাম ও ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো পারস্পরিক সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া কানেক্টিভিটি রুটের কথা উল্লেখ করে বলেন, রুটগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বৈঠকে আসাম বিধানসভার স্পিকার বলেন যে বাংলাদেশে তাদের দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েচে এবং আসাম বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হবে।
প্রতিনিধিদল এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বিশ্বজিৎ দাইমারি বলেন, আসাম বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কৃষি খাতে সহযোগিতা চায় কারণ দেশটির এ খাতে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন প্রতিনিধি দল।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে