বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১২টায় নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাবের ভাই আবুল হোসেন মোহাম্মদ আজরফ জাবুর বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক চিফ হুইপকে মারধরের অভিযোগে ডিবির হারুন-বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে মামলা
মামলায় আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করে তার পরিবার।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘এজাহারের গুরুত্ব অনুধাবন করে এফআইআর গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’
গত ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদ এলাকায় বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক তুরাব। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে ৮ থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে তাতে কারও নাম উল্লেখ ছিল না।
ওই অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯ জুলাই বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করছিলেন সাংবাদিক এ টি এম তুরাব। পুলিশ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের একপর্যায়ে তুরাব গুলিবিদ্ধ হয়ে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে অন্য সহকর্মী ও পথচারীরা তুরাবকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এবং তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
মিরপুরে হত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৩ মাস আগে
পাসপোর্ট অফিসে নারীকে রুমে আটকে সাদা কাগজে সই, পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক পাসপোর্ট গ্রহীতাকে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে সিলেট মহানগর জজ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন সিলেটের মোগলাবাজার থানাধীন গোটাটিকর পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাহারা খানম (৫৩)।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য মোগলাবাজার থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পরীমণির মাদক মামলা চলবে, আবেদন খারিজ
মামলার বিবরণে জানা যায়, নগরীর গোটাটিকর পাঠানপাড়া এলাকার বাসিন্দা বায়োবৃদ্ধ সাহারা খানম পবিত্র হজ্ব পালন করতে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য নতুন পাসপোর্ট তৈরির উদ্দেশ্যে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক চালানের টকা জমা দিয়ে গত ১০ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে ফাইল জমা দেন। নিয়ম অনুযায়ী ফাইল জমা দিলেও অফিসের কর্তব্যরতরা ফাইলে বিশেষ চিহ্ন ‘মার্কা’ না থাকায় তা অনলাইনে নিবন্ধন করেননি বলে জানান। এজন্য পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গার না নিয়ে বারবার তাকে হয়রানি করতে থাকলে তিনি গত ১৪ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের অফিসে গিয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে বিষয়টি অবগত করে পাসপোর্ট পেতে তার সহযোগিতা চান। পরে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে তিনি সুপারিশ করেছেন জানানোর জন্য বললে যথারীতি সাহারা খানম তা জানান।
তারপরই তার ওপর ক্ষেপে যান পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। তারা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের চাকরি করেন না এবং তিনি কেন উনার কাছে গিয়েছেন বলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তখন সাহারা খানম বাধ্য হয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক উম্মে সালমা তানজিয়ার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি তাকে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলামের কাছে গিয়ে তার নাম বললে তিনি সাহারা খানমের পাসপোর্ট এর ফিঙ্গার নেয়ার বিষয়ে সহায়তা করার ব্যবস্থা করে দিবেন।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ নভেম্বর সকাল অনুমান সকাল ১১টায় সাহারা খানম সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের কক্ষে গিয়ে তাকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালকের কথা বললে তিনি আমাকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেন। আনুমানিক ২ ঘন্টা পর সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম সাহারা খানমকে বলেন যে, আপনার পাসপোর্টের জন্য জনৈক ছয়েফ খানকে ৮ হাজার টাকা দিয়েছেন মর্মে একটা লিখিত অভিযোগ দিলে আপনার ফিঙ্গার নেয়া হবে। এই কথা শুনে সাহারা খানম পাসপোর্ট করার জন্য কাউকে কোন টাকা দেই নাই এবং কোন লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করলে পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদান করেন। একপর্যায়ে তিনি তার অফিসে কর্মরত আরও ২ জন কর্মকর্তাকে ডেকে এনে কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। তখন যদি তার কথা মতো একটি লিখিত অভিযোগ না করি তাহলে তিনি সাহারা খানমকে শারিরীক লাঞ্ছনা ও প্রাণে মারার হুমকি দেন।
তখন তিনি প্রাণ ভয়ে তার কথামতো একটা সাদা কাগজে ‘ছয়েফ খানকে আমার পাসপোর্টের জন্য ৮ হাজার টাকা দিয়েছি’ লিখে দিলে তিনি তার অফিসের কর্মরত আরও ২ জন কর্মকর্তার মাধ্যমে আমার পাসপোর্টের ফিঙ্গার নেন।
পরে ভোক্তভোগী সাহারা খানম বাসায় ফিরে তার আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য তিনি মোগলাবাজার থানায় গত ১৬ নভেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরী করেন এবং ২১ নভেম্বর সোমবার সিলেট মহানগর জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর
বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
২ বছর আগে
নাটোরে বিস্ফোরক আইনে বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নাটোরের লালপুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পাশে পাঁচটি ককটেল ও দুইটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধারের ঘটনায় ২৫ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে।
লালপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হালদার ও স্থানীয় যুবলীগ কর্মী শরিফুল নেওয়াজ বাদী হয়ে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলামসহ দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
মামলা সূত্র বলছে, শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে যুবলীগ নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালপুর সার্কেল) শরীফ আল রাজীব বলেন, পরে তারা অফিসের পাশ থেকে পাঁচটি ককটেল ও দুটি বোমার মতো বস্তু উদ্ধার করে। পরে পুলিশ কার্যালয়টি সিলগালা করে দেয়।
এর আগে ১৫ নভেম্বর রাতে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সভা চলাকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করা হয়।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় এখনও কাউকে ধরা হয়নি।
আরও পড়ুন: নাটোরে অস্ত্র মামলায় একজনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
সিলেটে বিএনপির ৩০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যুবলীগকর্মীর মামলা
২ বছর আগে