পুরস্কার ঘোষণা
ফরিদপুরে আ. লীগ নেতার পুরস্কার ঘোষণায় রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে ভিড় এলাকাবাসীর
ফরিদপুরে জীবিত রাসেল ভাইপার ধরতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার পুরস্কার ঘোষণার পর থেকে পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা সাপ ধরতে তৎপর হয়ে ওঠে। গত দুই দিনে বেশ কয়েকটি সাপ ধরে বন বিভাগে জমা দিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিব্যতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বন বিভাগ।
গত বৃহস্পতিবার ফরিদপুর কোতোয়ালি এরিয়ার মধ্যে জীবিত রাসেল ভাইপার ধরতে পারলে ৫০ হাজার করে টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।
আরও পড়ুন: বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার চেনার উপায় ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা
জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জেলা কার্যনির্বাহী কমিটির প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
এরপর থেকেই এলাকাবাসী এ সাপ ধরতে মরিয়া হয়ে পড়ে।
আলিয়াবাদ ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল খান তার জমিতে কাজ করার সময় একটি রাসেলস ভাইপার দেখতে পান এবং সাপটিকে একটি অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে আটকে রাখেন। এরপর তিনি সাপটিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওলাদ হোসেনের কাছে নিয়ে গেলে তিনি স্থানীয় বন বিভাগে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সংগ্রহ করতে বলেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাপ নিয়ে বন বিভাগে গেলে তারা সেটি নেয় না এবং প্রাপ্তিস্বীকারপত্রও দেয় না।
আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকার বাসিন্দা মনোরুদ্দিন খানের ছেলেও জীবিত একটি রাসেলস ভাইপার ধরেছেন।
ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, এজাতিয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান নেই। ধরাটাই অপরাধ।
তিনি বলেন, গত দুই দিনে বেশ কয়েকজন রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে আমাদের কাছে আসে এবং প্রাপ্তিস্বীকারপত্র চায়।
বন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি প্রাপ্তিস্বীকারপত্র দিতে পারি না। রবিবার দুপুর পর্যন্ত তিনজন পুরস্কারের আশায় বন বিভাগে রাসেলস ভাইপার জমা দেওয়া চেষ্টা করেছেন। এ নিয়ে আমরা বিপদে পড়েছি।’
আরও পড়ুন: রাসেলস ভাইপার মনে করে পিটিয়ে মারা হলো অজগর
রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা
৫ মাস আগে
আদালত থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা
প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঢাকার একটি আদালতের লক-আপ থেকে পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যেক ব্যক্তির তথ্যের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
রবিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়ার এআইজি মো. মনজুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের ধরতে সহায়তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর-রশিদ জানান, পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান।
আরও পড়ুন : আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে
হারুন বলেন, ‘দণ্ডপ্রাপ্তরা দুই পুলিশ সদস্যের চোখে কিছু স্প্রে করে এবং তাদের আদালতে নেয়ার সময় পালিয়ে যায়। আমরা কাছাকাছি এলাকায় তাদের খোঁজ করছি। দেশে এমন ঘটনা এই প্রথম।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে প্রকাশক দীপনকে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাহধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন শাহবাগ থানায় মামলা হয় এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর এ মামলায় আনসার-আল-ইসলামের আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
এরপর ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামি হলেন- মো. আবদুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খায়রুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, মোজাম্মেল হোসেন ওরফে সাইমন ওরফে শাহরিয়ার, মো. শেখ আবদুল্লাহ আলী জুয়াস আলী। জাভেদ, সৈয়দ জিয়াউল হক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন বরখাস্ত মেজর যিনি সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড়ভাই এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ নামে পরিচিত।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাঈদ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন হত্যার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গুলিতে নারী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল নেতা নিহত
২ বছর আগে