ডিবি প্রধান
সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ
সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নামে রাজধানীর উত্তরায় থাকা একটি ফ্ল্যাট ও মোট ১৮ কাঠার তিনটি প্লট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
দুদকের আবেদন সূত্রে জানা যায়, হারুনের নামে থাকা পৃথক তিনটি প্লট রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত। এছাড়াও জব্দের আদেশ দেয়া ১৫৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটটিও উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত।আরও পড়ুন: ডিবির প্রতি জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেছি: হারুন
এদিন হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন।
আবেদনে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে শত শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে।
অনুসন্ধান চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি এসব সম্পদ বিক্রয় বা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে হারুনের এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দেয়া প্রয়োজন।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হারুন অর রশিদের ১০০ বিঘা জমি, পাঁচটি ভবন ও দুটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি হিসাবে থাকা ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া হয়।
পাশাপাশি এদিনই তার ভাই এবিএম শাহরিয়ারের ৩০ বিঘা জমি জব্দ, ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দেন ঢাকার আদালত।
২২৫ দিন আগে
এমপি আনার হত্যা: আ. লীগ নেতা মিন্টু গ্রেপ্তারের পর কোনো চাপ আসেনি: ডিবি প্রধান
ঝিনাইদহ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ চাপে নেই বলে জানিয়েছেন ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হারুন বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের নিরপেক্ষভাবে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ডিবি এই নির্দেশনা অনুসরণ করছে।’
তদন্ত চলাকালীন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি বা অযথা তলব করা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন সিয়াম-জিহাদকে গ্রেপ্তার করেছে নেপাল পুলিশ: ডিবিপ্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, 'তদন্ত কর্মকর্তা আদালতের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।’
অভিযুক্ত মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা সম্পর্কে হারুন বলেন, ‘আমরা ভারতের প্রত্যার্পণ চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে শাহীনকে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য দেশটির পুলিশকে অনুরোধ করেছি। এ ছাড়া ডিবির একটি টিম ঢাকার আমেরিকান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছে।’
শাহীনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় ইন্টারপোলও কাজ করছে বলে জানান হারুন। ‘শাহীনকে ফিরিয়ে আনতে এবং মামলার আরও দু-একজন আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি। আমরা আশা করছি শিগগিরই মামলাটির সুরাহা হবে।’
এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন ও তার ভারত সফর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ভারতীয় পুলিশ হাইকমিশনের মাধ্যমে ডরিনকে এ সফরের অনুরোধ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বরে ভুগছেন। তা থেকে সেরে উঠলে তিনি ভ্রমণ করবেন।
এমপি আনার গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান এবং ১৪ মে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় ২২ মে তার মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত ১৩ জুন এমপি আনরকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১১ জুন ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যার বিষয়ে মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবিপ্রধান
ডিএনএ নমুনা দিতে শিগগিরই ভারতে যেতে পারে আনার পরিবার: ডিবিপ্রধান
৫৩০ দিন আগে
এমপি আনোয়ারুল হত্যার তদন্তে নেপাল যাচ্ছেন ডিবি প্রধান
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় ভারতে তদন্তের অংশ হিসেবে নেপাল যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) চার সদস্যের একটি দল।
মূল আসামি আক্তারুজ্জামান শাহীনের বিষয়ে তদন্ত করবে ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদের নেতৃত্বে এ দল।
ডিবি প্রধান ঢাকা ছাড়ার আগে নেপালে সিয়াম নামের এক ব্যক্তির গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যমে আসে।
শনিবার (১ জুন) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। তবে আমরা তদন্তে যাচ্ছি। এ বিষয়ে শিগগিরই আপনাদের জানাব।’
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে: ডিবিপ্রধান
হারুন আরও বলেন, ‘আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজনরা নেপাল রুট ব্যবহার করেছিল। আমরা ভারতে জিহাদের সঙ্গে কথা বলেছি। মূল অপরাধী ছাড়াও এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন আমাদের কাছে রয়েছে। উভয় পক্ষ এ বিষয়ে আলোচনা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আনোয়ারুল হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজনসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন বড় অপরাধী কলকাতা রুট ব্যবহার করছে।
ডিবি প্রধান বলেন, ‘সবকিছু বিবেচনা করে ওই এলাকায় কোনো অপরাধী আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ইন্টারপোলকেও চিঠি দিয়েছি। সব মিলিয়ে মূলত তদন্তের জন্যই আমরা নেপাল যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: 'মাস্টারমাইন্ড' শাহীনকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সাহায্য চাইবে ডিবি
৫৫২ দিন আগে
এমপি আনোয়ারুলের হত্যাকারীরা বাংলাদেশি: ডিবি প্রধান
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকারীরা বাংলাদেশি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।
বুধবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবি প্রধান বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি যারা আছে তাদের প্রত্যেককে আমরা আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করব। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, 'আমরা ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ করছি এবং হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছি, তবে এখনই কিছু প্রকাশ করতে পারছি না।’
হত্যার উদ্দেশ্য কী হতে পারে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ জানতে তদন্ত চলছে। পারিবারিক হোক বা আর্থিক বা স্থানীয় ইস্যু বা অপরাধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য, আমরা তদন্তের মাধ্যমে সবকিছু বের করে আনব।’
তিনি আরও বলেন, এমপি আনোয়ারুলের মেয়ে মামলা করবেন এবং পুলিশ তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে তিনি সংসদ ভবন এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় তাকে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবার হত্যার বিচার চাইলেন এমপি আনোয়ারুলের মেয়ে
গত ১৪ মে কলকাতা থেকে নিখোঁজ সংসদ সদস্য আনারের লাশ বুধবার কলকাতা থেকেই উদ্ধার হয়। এর আগে গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য সেখানে যান তিনি।
কলকাতার অদূরে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'এ পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষ জড়িত।’
আরও পড়ুন: ভারতে এমপি আনোয়ারুল আজিমকে হত্যা করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৬২ দিন আগে
স্বামীর অপকর্মের দায় স্ত্রী এড়াতে পারেন না: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদার স্বামীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন এবং তিনি কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।
রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবি প্রধান জানান, মিল্টনের স্ত্রীর দাবি ফাউন্ডেশনের জন্য সংগৃহীত অর্থ ও ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, মিল্টন তথাকথিত মানবতার সেবার নামে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি প্রবীণদের কোনো সেবা দেননি বা চিকিৎসার জন্য কোনো চিকিৎসকের কাছেও পাঠাননি।’
আরও পড়ুন: আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
মিল্টনের স্ত্রী নিজেকে ফাউন্ডেশনের নার্স পরিচয় দিয়েছেন জানিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, ‘তিনি কেন প্রতিবাদ করেননি বা পুলিশকে জানাননি। মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মনে হয়েছে, তিনি এর দায় এড়াতে পারছেন না।’
শেল্টার হোমে বৃদ্ধদের ওপর মিল্টনের নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে মিঠু ডিবিকে বলেন, এটা ঠিক হয়নি।
মিল্টনের ব্যাংক হিসাবের ২ কোটি টাকার উৎস সম্পর্কে জানেন কি না- জিজ্ঞেস করলে মিঠু বলেন, তিনি সরকারি চাকরিজীবী হওয়ায় তার স্বামী তাকে এ কাজে যুক্ত করেননি।
মিল্টনের বিরুদ্ধে ৯০০ মানুষকে কবর দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে মিল্টনের স্ত্রী বলেন, সঠিক সংখ্যা ১৩৫। মানুষের সহানুভূতি বা অর্থ পাওয়ার জন্য তিনি সংখ্যা বাড়াতেন কিন্তু মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র রাখতেন না।
চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে থাকা ব্যক্তিদের মৃত্যুর পর মিল্টন কোনো হাসপাতাল, থানা বা নিহতের স্বজনদের কিছু জানাতেন না বলে জানান ডিবি প্রধান।
তিনি আরও জানান, মিল্টনকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে ডেথ সার্টিফিকেট জালিয়াতির মামলায় মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
পরে শনিবার মিল্টনের স্ত্রী মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়।
আরও পড়ুন: এবার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ ডিবির
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
৫৭৯ দিন আগে
ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭৫ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে দুই দিনে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ৭৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার ও বুধবার তেজগাঁও, গুলশান, উত্তরা ও মতিঝিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার ডিবির মিন্টো রোড কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিবি প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশিদ এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারদের অধিকাংশই বিভিন্ন মামলায় ওয়ান্টেড আসামি বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি, পুলিশ তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তথাকথিত ‘বড় ভাইদের’ সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য
গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, ভাটারা, তুরাগ ও ৩০০ ফিট এলাকায় ইভটিজিং, উত্যক্ত ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বলেও জানান তিনি।
ডিবি প্রধান বলেন, তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।
তিনি আরও বলেন, এই দলগুলো সমাজে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। তাদের কারণে সমাজের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে।
গত দুই বছরে এই গ্যাংদের হামলায় ৩৪ কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘একসময় আমরা ভাবতাম ভাসমান ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উচ্চ মধ্যবিত্ত ও ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরাও এসব গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে।’
আরও পড়ুন: যশোরে অস্ত্রসহ ‘কিশোর গ্যাং’য়ের ৯ সদস্য আটক
৬৩৯ দিন আগে
আদালতের পরোয়ানা থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, যত বড় নেতাই হোন না কেন, কোনো মামলার পরোয়ানা থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার (১১ অক্টোবর) নগরীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা।
তিনি বলেন, আইন তার নিজস্ব পথে চলবে এবং কোনো প্রভাব কাজ করবে না।
ডিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে তার বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানার বিষয়ে বারবার জানানো হলেও তিনি আদালত থেকে জামিন নেননি। লক্ষ্মীপুরে তার বিরুদ্ধে দুটি পরোয়ানা জারি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের অনুরোধে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলারও আসামি তিনি।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ দুটি কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকলেও তিনি আদালতে হাজির হননি এবং জামিনও নেননি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কোনো মামলায় তিনি আদালতে হাজির হননি। পরোয়ানা থাকায় বিএনপি নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান ডিবি প্রধান।
ধানমন্ডির বাসা থেকে বুধবার ভোরে অ্যানিকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: আটকের পর ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের ভোজ
যুবলীগ নেতা রুবেল হত্যায় জড়িত সবাই শনাক্ত: ডিবি প্রধান
৭৮৬ দিন আগে
যুবলীগ নেতা রুবেল হত্যায় জড়িত সবাই শনাক্ত: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবার নাম পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তিনি বলেন, শাজাহানপুরে যুবলীগ নেতাকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদের নাম, নম্বর আমরা পেয়েছি। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করব।
আরও পড়ুন: ডিবি প্রধান ও আরও ৯জনের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আদালতে খারিজ
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত, যারা মোটরসাইকেলে এসে পাহারা দিয়েছে এবং যারা মেরে পালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে শনাক্ত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার সঙ্গে এ ঘটনার সংশ্লিষ্টতা আছে কি না- জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, দুইটি ঘটনাই শাহজানপুরের। আসামিদের গ্রেপ্তারের পরই আমরা দুটি ঘটনা খতিয়ে দেখব।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি কর্মকর্তা বলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের কোনো অপরাধী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কি না তা পরে জানা যাবে।
শুক্রবার ভোরে রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিম সরবরাহের ব্যবসা ছিল তার। রুবেল শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন।
তিনি কোনো সরকারি পদ ছাড়াই স্থানীয় যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে: ডিবি প্রধান
৮৬৭ দিন আগে
ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, মিরপুর বাংলা কলেজের কাছে বিএনপির মিছিলে যারা মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিবি প্রধান এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এই পদযাত্রার কারণে ঢাকার লাখ লাখ যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণার আগে জনদুর্ভোগের কথা ভাবা।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার দিকে বিএনপির পদযাত্রা শুরু
এর আগে মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের কাছে বিএনপির মিছিলে হামলা চালানো হয়।
তাদের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে গাবতলী বাসস্টান্ড থেকে পুরান ঢাকা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিএনপি কর্মীরা মিরপুরে কলেজের কাছে পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়, ফলে সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, পরে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলার সময় একটি মোটরসাইকেল ও একটি সাইকেলও পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপির পদযাত্রায় হামলা
৮৭১ দিন আগে
ফখরুল ও আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হয়নি: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, ভোরে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শুক্রবার তিনি রাজধানীর মিন্টো রোডে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাদের (ফখরুল ও আব্বাস) গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা এখনও ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর এ বিষয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানো হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, ‘যদি আমরা প্রয়োজন মনে করি তাহলে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি। দুই দিন আগে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, সেসময় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিল। আমরা তাদের সার্বিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গতকালের আলোচনায় বিএনপি ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের জন্য কমলাপুর স্টেডিয়াম প্রস্তাব করেছিল, কিন্তু আমরা বাংলা কলেজ মাঠের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কারণ ক্রিকেট ম্যাচের জন্য স্টেডিয়ামে কৃত্রিম ঘাস বিছানো রয়েছে, যা নষ্ট হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
ডিবি প্রধান হারুন আরও বলেন, ‘বাংলা কলেজ মাঠ অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু বিএনপির কয়েকজন নেতা এখন গোলাপবাগ মাঠের কথা বলছেন, যা বৈঠকে আলোচনা হয়নি।’
শুক্রবার ভোররাতে বিএনপি দাবি করে যে, সাদা পোশাকের পুলিশ রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ভোররাত ৩টার দিকে পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ফখরুলের উত্তরার বাসায় গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, একই সময়ে ডিবি পুলিশের আরেকটি দল আব্বাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দলের দুই শীর্ষ নেতাকে আটকের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, শনিবারের সমাবেশের বিষয়ে তাদের দলের সিদ্ধান্ত সকাল সাড়ে ১১টায় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, ভোররাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের চার সদস্য তাদের বাড়ির ওপরের তলায় আসেন এবং বাকিরা নিচে অবস্থান করছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের শেষ রাতে এখানে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা তাকে (ফখরুল) নিয়ে যেতে এখানে এসেছেন।’
রাহাত আরা বলেন, তাদের কাছে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে কি না জানতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, গতকাল দায়ের করা নতুন দুই বা তিনটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।
মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম যখন আব্বাস আমাকে ডেকে জাগান এবং বলেন যে তারা (ডিবি সদস্যরা) আমাকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাবে। আমি প্রথমে (একথা) বিশ্বাস করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, তারা (ডিবি সদস্যরা) বলেছে যে তার (আব্বাসের) সঙ্গে আলোচনার পর তাকে ফিরিয়ে দেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে। যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন।
ওই বৈঠকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভী, এ্যানিসহ কারাগারে ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মী
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশি পাহারা অব্যাহত
১০৯২ দিন আগে