ডিবি প্রধান
ঢাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭৫ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পৃথক অভিযানে দুই দিনে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ৭৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দারা।
মঙ্গলবার ও বুধবার তেজগাঁও, গুলশান, উত্তরা ও মতিঝিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার ডিবির মিন্টো রোড কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিবি প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশিদ এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারদের অধিকাংশই বিভিন্ন মামলায় ওয়ান্টেড আসামি বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি, পুলিশ তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তথাকথিত ‘বড় ভাইদের’ সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য
গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে উত্তরা, রামপুরা, বাড্ডা, ভাটারা, তুরাগ ও ৩০০ ফিট এলাকায় ইভটিজিং, উত্যক্ত ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত বলেও জানান তিনি।
ডিবি প্রধান বলেন, তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।
তিনি আরও বলেন, এই দলগুলো সমাজে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। তাদের কারণে সমাজের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে।
গত দুই বছরে এই গ্যাংদের হামলায় ৩৪ কিশোর নিহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, ‘একসময় আমরা ভাবতাম ভাসমান ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উচ্চ মধ্যবিত্ত ও ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরাও এসব গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে।’
আরও পড়ুন: যশোরে অস্ত্রসহ ‘কিশোর গ্যাং’য়ের ৯ সদস্য আটক
আদালতের পরোয়ানা থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, যত বড় নেতাই হোন না কেন, কোনো মামলার পরোয়ানা থাকলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার (১১ অক্টোবর) নগরীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা।
তিনি বলেন, আইন তার নিজস্ব পথে চলবে এবং কোনো প্রভাব কাজ করবে না।
ডিবির এই শীর্ষ কর্মকর্তা দাবি করেন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে তার বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানার বিষয়ে বারবার জানানো হলেও তিনি আদালত থেকে জামিন নেননি। লক্ষ্মীপুরে তার বিরুদ্ধে দুটি পরোয়ানা জারি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশের অনুরোধে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলারও আসামি তিনি।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ দুটি কারণে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা থাকলেও তিনি আদালতে হাজির হননি এবং জামিনও নেননি বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
কোনো মামলায় তিনি আদালতে হাজির হননি। পরোয়ানা থাকায় বিএনপি নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান ডিবি প্রধান।
ধানমন্ডির বাসা থেকে বুধবার ভোরে অ্যানিকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: আটকের পর ডিবি প্রধানের সঙ্গে গয়েশ্বরের দুপুরের ভোজ
যুবলীগ নেতা রুবেল হত্যায় জড়িত সবাই শনাক্ত: ডিবি প্রধান
যুবলীগ নেতা রুবেল হত্যায় জড়িত সবাই শনাক্ত: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবার নাম পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তিনি বলেন, শাজাহানপুরে যুবলীগ নেতাকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদের নাম, নম্বর আমরা পেয়েছি। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করব।
আরও পড়ুন: ডিবি প্রধান ও আরও ৯জনের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আদালতে খারিজ
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত, যারা মোটরসাইকেলে এসে পাহারা দিয়েছে এবং যারা মেরে পালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে শনাক্ত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার সঙ্গে এ ঘটনার সংশ্লিষ্টতা আছে কি না- জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, দুইটি ঘটনাই শাহজানপুরের। আসামিদের গ্রেপ্তারের পরই আমরা দুটি ঘটনা খতিয়ে দেখব।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি কর্মকর্তা বলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের কোনো অপরাধী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কি না তা পরে জানা যাবে।
শুক্রবার ভোরে রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিম সরবরাহের ব্যবসা ছিল তার। রুবেল শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন।
তিনি কোনো সরকারি পদ ছাড়াই স্থানীয় যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে: ডিবি প্রধান
ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, মিরপুর বাংলা কলেজের কাছে বিএনপির মিছিলে যারা মোটরসাইকেল পুড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিবি প্রধান এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এই পদযাত্রার কারণে ঢাকার লাখ লাখ যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণার আগে জনদুর্ভোগের কথা ভাবা।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: গাবতলী থেকে পুরান ঢাকার দিকে বিএনপির পদযাত্রা শুরু
এর আগে মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজের কাছে বিএনপির মিছিলে হামলা চালানো হয়।
তাদের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে গাবতলী বাসস্টান্ড থেকে পুরান ঢাকা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে বিএনপি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিএনপি কর্মীরা মিরপুরে কলেজের কাছে পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়, ফলে সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছেন, পরে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলার সময় একটি মোটরসাইকেল ও একটি সাইকেলও পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
মিরপুর বাঙলা কলেজের সামনে বিএনপির পদযাত্রায় হামলা
ফখরুল ও আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হয়নি: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ বলেছেন, ভোরে বাড়ি থেকে তুলে নেয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শুক্রবার তিনি রাজধানীর মিন্টো রোডে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাদের (ফখরুল ও আব্বাস) গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিছু বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা এখনও ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর এ বিষয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানানো হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, ‘যদি আমরা প্রয়োজন মনে করি তাহলে আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি। দুই দিন আগে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল, সেসময় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছিল। আমরা তাদের সার্বিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গতকালের আলোচনায় বিএনপি ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের জন্য কমলাপুর স্টেডিয়াম প্রস্তাব করেছিল, কিন্তু আমরা বাংলা কলেজ মাঠের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কারণ ক্রিকেট ম্যাচের জন্য স্টেডিয়ামে কৃত্রিম ঘাস বিছানো রয়েছে, যা নষ্ট হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
ডিবি প্রধান হারুন আরও বলেন, ‘বাংলা কলেজ মাঠ অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু বিএনপির কয়েকজন নেতা এখন গোলাপবাগ মাঠের কথা বলছেন, যা বৈঠকে আলোচনা হয়নি।’
শুক্রবার ভোররাতে বিএনপি দাবি করে যে, সাদা পোশাকের পুলিশ রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ভোররাত ৩টার দিকে পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ফখরুলের উত্তরার বাসায় গিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, একই সময়ে ডিবি পুলিশের আরেকটি দল আব্বাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দলের দুই শীর্ষ নেতাকে আটকের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, শনিবারের সমাবেশের বিষয়ে তাদের দলের সিদ্ধান্ত সকাল সাড়ে ১১টায় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর ঘোষণা করা হবে।
শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, ভোররাত ৩টার দিকে ডিবি পুলিশের চার সদস্য তাদের বাড়ির ওপরের তলায় আসেন এবং বাকিরা নিচে অবস্থান করছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের শেষ রাতে এখানে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করেছি। তারা বলেছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা তাকে (ফখরুল) নিয়ে যেতে এখানে এসেছেন।’
রাহাত আরা বলেন, তাদের কাছে তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে কি না জানতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, গতকাল দায়ের করা নতুন দুই বা তিনটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।
মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম যখন আব্বাস আমাকে ডেকে জাগান এবং বলেন যে তারা (ডিবি সদস্যরা) আমাকে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাবে। আমি প্রথমে (একথা) বিশ্বাস করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, তারা (ডিবি সদস্যরা) বলেছে যে তার (আব্বাসের) সঙ্গে আলোচনার পর তাকে ফিরিয়ে দেবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে। যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন।
ওই বৈঠকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার আশ্বাস দেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: রিজভী, এ্যানিসহ কারাগারে ৪৪৫ বিএনপি নেতাকর্মী
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশি পাহারা অব্যাহত
ঢাকার আদালত থেকে পালানো দুই জঙ্গি যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার গোয়েন্দা (ডিবি) হারুন অর-রশিদ দাবি করেছেন, ঢাকার আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের দুই সদস্য ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ট্র্যাক করছে।
সোমবার ঢাকার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, যারা দুই জঙ্গিকে পালাতে সাহায্য করেছিল তারাও পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে কোনও সময় তাদের গ্রেপ্তার করব।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ডিবি পরিচয়ে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে আটক ৪
ডিবি কর্মকর্তা বলেন, বরখাস্ত সেনা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া জঙ্গিদের পালানোর পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মূল পরিকল্পনাকারী। ‘তারা সবাই আমাদের নজরে আছে এবং বিচারের আওতায় আনা হবে।’
তিনি বলেন রবিবার মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা একটি মামলায় মোট ১২ আসামি জঙ্গিকে আদালতে আনলে চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি যোগ করেন, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে অন্য জঙ্গিরা পুলিশ সদস্যদের ওপর পিপার স্প্রে ব্যবহার করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পলাতক আসামিরা হলেন- আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ও মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে সিফাত ওরফে ইমরান। তারা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, জঙ্গিদের আদালতে হাজির করতে সব সময়ই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘কিন্তু গতকাল যা ঘটেছে তা অপ্রত্যাশিত। দায়িত্বে অবহেলার জন্য পাঁচ পুলিশ সদস্যকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।’
টহল জোরদার করা হচ্ছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে উল্লেখ করে ডিবি প্রধান বলেন, জঙ্গিদের আদালতে আনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ‘জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
ঘটনার পর ডিবির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটসহ বিভিন্ন টিমের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া সর্বত্র চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। রবিবার বাংলাদেশ পুলিশ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বহিষ্কৃত সাত ডিবি পুলিশের ৭ বছরের সাজা
ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার