বৃদ্ধির সুযোগ
ইতালির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ আছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ইতালির সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ইতালি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। ইতালিতে অনেক বাংলাদেশি সুনামের সঙ্গে কাজ করছে।
সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির এ্যাম্বাসেডর এনরিকো নুনজিয়াতা - এর সঙ্গে মতবিনিময়কালে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতালির তৈরি শিল্প কল-কারখানার যন্ত্রপাতি এবং মেডিকেল মেশিনারিজ বাংলাদেশে প্রচুর ব্যবহার করা হয়। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজ লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: মিজোরামের মন্ত্রীর সঙ্গে সীমান্ত বাণিজ্য নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বৈঠক
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।
অনেকগুলোর কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো কারখানা উদ্বোধন করা হয়েছে।
ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেষ্ট(এফডিআই) এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাংলাদেশে কম খরচে দক্ষ জনশক্তি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। এখানে কম খরচে বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।
ইতালি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীগণ পারস্পরিক দেশ সফর করে বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্বাচন করতে পরেন। বাংলাদেশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সবধরনের সুবিধা প্রদান করবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির এ্যাম্বাসেডর এনরিকো নুনজিয়াতা বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদনে বেশ সফল হয়েছে। বিশ্ববাজারে মেড ইন বাংলাদেশ ভালো ব্রান্ড। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ইতালিতে বেশ জনপ্রিয়।
ইতালির অনেক পণ্য বাংলাদেশ আমদানি করে। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উভয় দেশের পর্যটক বিনিময় হতে পারে। ইতালি সরকার পর্যটনের বিষয়ে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, এখন উভয় দেশের চলমান বাণিজ্যের পরিমান দুই লাখ ২৬ হাজার দুই দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পণ্য ইতালিতে রপ্তানি করে এক লাখ ৭০ হাজার আট দশমিক ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। একই সময়ে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ৫৫৪ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।
বাণিজ্যমন্ত্রী এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে ইতালির সমর্থন প্রত্যাশাও করেন।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি ‘যৌক্তিক’: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে