প্রভাবিত
তরুণদের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে এমন ইস্যুতে তাদের কথা শুনতে হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, তারা ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আরও ব্যবসা দেখতে চান। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস' (বিডিওয়াইএস) শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ক্রমেই একটি আকর্ষণীয় বাজার হয়ে উঠছে। এ কারণেই আমাদের সম্পর্ক বিভিন্ন পর্যায়ে একটি অংশীদারিত্বে পরিণত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মজুরি নয়, অধিকারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে সফররত ইইউ প্রতিনিধি দল: পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, তারা বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক আগ্রহ বাড়াতে ও এগিয়ে নিতে চান।
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতের মূল ইস্যুগুলোতে তরুণদের কথা শোনা জরুরি। অর্থনীতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মূল্যবান সুযোগ করে দিয়েছে আজকের এই আয়োজন। ইইউ বিশ্বব্যাপী তরুণদের সহায়তা করছে, যার মধ্যে গত বছর গৃহীত আমাদের ইয়ুথ অ্যাকশন প্ল্যানও রয়েছে।’
হারনেট টিভির প্রতিষ্ঠাতা সিইও ও এমডি আলিশা প্রধানের পরিকল্পনা ও ভাবনায় এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের আয়োজন করে হারনেট ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের সহঅর্থায়নে ও সহযোগিতায় আয়োজিত এ আয়োজন বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে তাদের অঙ্গীকারের দলিল।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরি পোশাক পণ্য এখনও বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করছে।
তিনি কৃষি খাতে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, এ খাতের সাফল্য আশ্চর্যজনক এবং বাংলাদেশ এখন প্রধান ফসলের ক্ষেত্রেও স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ইইউ রাষ্ট্রদূত নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে যৌথ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'আমি বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে অনেক বেশি মনোযোগ দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি গার্মেন্টস খাতের বিপ্লবের কথা উল্লেখ করেন এবং এটি কীভাবে নারীদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে তা তুলে ধরেন।
ইইউ বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের পথে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের সদ্ব্যবহার করেছে এবং 'এভরিথিং বাট আর্মস' ব্যবস্থার আওতায় ইইউতে বৈশ্বিক আমদানির ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ ইবিএর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে রপ্তানি ২৪ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার ইস্যু পূরণের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়, যা ইবিএ ব্যবস্থার একটি অন্তর্নিহিত অংশ।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে কীভাবে আরও শক্তিশালী ও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মতামত শোনেন এবং দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় হারনেট টিভিতে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং বাংলাদেশ সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নারীদের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের বৈচিত্র্যময় গল্পগুলো তুলে ধরতে গতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা) সভাপতি ড. মো. নিজামুল হক বুয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ১০টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
তারা বিকশিত বাংলাদেশে তরুণদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার; জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের গভর্নর ড. জারিন দেলাওয়ার হুসেন; জেসিআই-এর জাতীয় সভাপতি জিয়াউল হক ভূঁইয়া, হারনেট গ্রুপের উপদেষ্টা মনির প্রধান; মেঘনা ব্যাংকের এমডি মো. সোহেল হোসেন ও ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, রোটারির গভর্নর, আইটোর প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে।
এ ছাড়া জাজ মাল্টিমিডিয়া,বাংলাদেশে ফরাসি দূতাবাস, রোটারি ক্লাব, ইউএনবি, সময় টিভি, বাংলাদেশ প্রতিদিন, গোল্ড স্যান্ডস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, কাজী অ্যান্ড কাজী টি, জাজ মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা লাইভ, মেঘনা ব্যাংক, হারনেট ব্লিসমাইন্ড, জেসিআই, জোন্তা, সাভার টেক্স এবং ব্যাকপেজ পিআরসহ পার্টনাররা এই আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বক্তারা হারনেট ফাউন্ডেশন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য যুব জনগোষ্ঠীকে তার সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের যুব উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন হারনেট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আলিশা প্রধান।
রোটারি ক্লাব তরুণদের কল্যাণে অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে একটি রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। মেঘনা ব্যাংক বিডিওয়াইএস ফোরামের সহযোগিতামূলক চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়ে এই উদ্যোগের প্রতি তার অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
ফরাসি দূতাবাসের সহযোগিতায় 'টেকসই আগামীর জন্য আজকের কণ্ঠস্বর' স্লোগান নিয়ে ফোরামটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকে সৌদি দূতাবাস, গুলশান ক্লাব ও ওয়েস্টিন হোটেলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: শ্রম-মানবাধিকার খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান ইইউ প্রতিনিধি দলের
১ বছর আগে
বাল্ক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি খুচরা গ্রাহকদের এই মুহূর্তে প্রভাবিত করবে না: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনও প্রভাব জনগণের ওপর পড়বে না।
সোমবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নসরুল হামিদ এ মন্তব্য করেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) ভবিষ্যতে খুচরা ভোক্তাদের ওপর এর কোনও প্রভাব পড়বে কিনা তা পরীক্ষা করবে।’
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে সংসদে তোপের মুখে নসরুল হামিদ
বিইআরসি ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে বাল্ক বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণার পর এ মন্ত্রব্য করলেন তিনি।
ঘোষণা অনুযায়ী, বাল্ক বিদ্যুতের দাম আগের পাঁচ দশমিক ১৭ টাকা থেকে বেড়ে ছয় দশমিক ২০ টাকা প্রতি কিলোওয়াট (প্রতি ইউনিট) হবে।
নসরুল হামিদ আরও বলেন, সরকার গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। ‘এ কারণেই বিদ্যুতের শুল্ক সমন্বয় প্রয়োজন ছিল।’
এর আগে নসরুল হামিদ বলেছিলেন যে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো বিইআরসিতে জমা দিতে তাদের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতির আশা নসরুল হামিদের
শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহের সমস্যা সমাধান করা হবে: নসরুল হামিদ
২ বছর আগে