দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন
চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠোনে সহিংসতা ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম আল আজাদ, পরিদর্শক আবু জিহাদ খান, উপপরিদর্শক মেফাউল হাসানসহ আরও অনেক ছিলেন।
আরও পড়ুন: জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
জেলা পুলিশ জানায়, শহরের পুলিশ অফিস মেইনগেট, সিভিল সার্জন বাংলো, জেলা জজ সাহেবের বাংলো, শহীদ হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনে, পৌরসভার মোড়, টাউন ফুটবল মাঠ এলাকা, রেলস্টেশন, টিঅ্যান্ডটি মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, প্রেস ক্লাব মোড়, ডিসি অফিসের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোট ৫০টি হাই রেজুলেশন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরাগুলো পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, শহরের চুরি, ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। জেলা শহরের সরকারি স্থাপনাসমূহ ও কেপিআইগুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে ১২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিসি ক্যামেরা দ্বারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হাতে খড়ি শুরু হয়। কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে ২০১৮ সালে এগুলো অকেজো হয়ে যায়। এবার চুয়াডাঙ্গায় ৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল নজরদারি শুরু হলো।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় সিলেটের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি: সিইসি
১১ মাস আগে
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করছে ইসি
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্যসংগ্রহসহ দেশজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনার সময় আনুমানিক সংখ্যার চেয়ে বেশি ভোটার তালিকাভুক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এটিই হবে সম্ভাব্য ভোটারদের জন্য শেষ নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
নির্বাচনী তালিকা আইন ২০০৯ অনুসরণ করে চলতি বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চারটি ধাপে হালনাগাদ সম্পন্ন করতে ইসির গণনাকারীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার অগ্রগতির হার ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ বলে জানিয়েছে কমিশন।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, হালনাগাদ কর্মসূচিতে ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ জন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, যা আনুমানিক সংখ্যার চেয়ে ১২ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৩ বেশি।
আরও পড়ুন: ৭ দিনের মধ্যে গাইবান্ধা-৫ আসনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে: সিইসি
৪৭ লাখ ৭৮ হাজার তিন জন নারী, ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭১৬ জন পুরুষ ও ২৫১ জন তৃতীয় লিঙ্গের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভোটার তালিকা থেকে ১৭ লাখ ৯ হাজার ৩২১ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।
ইসি ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি, ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি এবং ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে। ১৮ বছর সম্পন্ন হলে এই ব্যক্তিরা পর্যায়ক্রমে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ইসির নিবন্ধন চায় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি-বিডিপি
এ বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা আগেরবারের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।
আগামী বছরের ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবসে ভোটারদের চূড়ান্ত ও হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করবে ইসি।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির পর থেকে এপর্যন্ত পাঁচবার হালনাগাদ করা হয়েছে ভোটার তালিকা।
নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কাছে বর্তমানে ১১ কোটি ৩২ লাখেরও বেশি ভোটারের তথ্য রয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন, নারী পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ৪৫৪ জন।
আরও পড়ুন: লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি: ইসি আহসান হাবিব
২ বছর আগে