প্রতি ইউনিট
প্রতি ইউনিট খুচরা বিদ্যুৎ ৯.০৩ টাকা করার প্রস্তাব বিপিডিবি’র
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ উন্নয়ন বোর্ড(বিপিডিবি) খুচরা পর্যায়ে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা (প্রতি ইউনিট) এক দমমিক ৪৭ টাকা বৃদ্ধি চেয়ে জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের কাছে তার প্রস্তাব জমা দিয়েছে।
বুধবার অফিসিয়াল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বিপিডিবি’র একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, ‘আমরা খুচরা শুল্ক প্রতি ইউনিট ১৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ বাড়িয়ে ইউনিট প্রতি বিদ্যমান সাত দশমিক ৫৬ টাকা থেকে ৯ দশমিক ০৩ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক বাড়াতে বিপিডিবি’র রিভিউ আপিল
বাল্ক বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরদিনের মধ্যেই বিপিডিবি খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক প্রস্তাব পেশ করে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে দেশে মোট ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা রয়েছে এবং বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের সকলকে নতুন বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ঘোষণার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে তাদের নিজ নিজ প্রস্তাব জমা দিতে বলেছে।
সোমবার বিইআরসি বাল্ক বিদ্যুতের শুল্ক ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়িয়ে বিদ্যমান প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টায় (প্রতিটি ইউনিট) পাঁচ দশমিক ১৭ টাকার পরিবর্তে ছয় দশমিক ২০ টাকা করে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে নতুন দাম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত দিয়ে বিপিডিবি’র রিভিউ আপিল নিষ্পত্তি করে।
বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিপিডিবি কর্মকর্তা বলেন, বিপিডিবি বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদন পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে খুচরা বিদ্যুতের শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব জমা দিয়েছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপিডিবি’র খুচরা শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব বিইআরসিতে জমা দেয়ার আগে দেখেছেন।
তবে বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেছেন, তিনি এখনও প্রস্তাবটি দেখতে পাননি।
বিইআরসি আইন-২০০৩ অনুযায়ী, শুল্ক সমন্বয়ের বিষয়ে কোনও বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছ থেকে কোনও প্রস্তাব পাওয়ার পর বিইআরসি বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামত শোনার জন্য শুনানির পদ্ধতির আলোকে একটি গণশুনানি করবে এবং তারপরে এটি শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে তার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
বাল্ক শুল্ক বাড়ানোর পর নসরুল হামিদ বলেছেন, এখনই বাল্ক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি জনসাধারণের ওপর কোনও প্রভাব ফেলবে না।
তবে তিনি বলেন, সরকার গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায়। ‘তাই বিদ্যুতের শুল্ক সমন্বয়ের প্রয়োজন ছিল।’
তিনি আরও বলেন যে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো বিইআরসিতে জমা দিতে তাদের প্রস্তাব প্রস্তুত করছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিইআরসি ভবিষ্যতে খুচরা গ্রাহকদের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে কিনা তা পরীক্ষা করবে।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) এএসএম শামসুল আলম বলেন, গণশুনানির জন্য অধিকার গোষ্ঠীটি তাদের মতামত উপস্থাপন করবে।
আরও পড়ুন: আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ সংকটে খুব একটা ভুগতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন: শেবাচিম হাসপাতালে রোগীরা চিকিৎসা বঞ্চিত
২ বছর আগে