বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)
স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি লাখ টাকা ছুঁইছুঁই
অভ্যন্তরীণ বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রতিভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ টাকা ছুঁইছুঁই।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৫১৬ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। ফলে বর্তমান দাঁড়াবে ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকা। যা কার্যকর হবে রবিবার থেকে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, হলমার্কসহ ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ৯৯ হাজার ১৪৪ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া হলমার্ক করা ২১ ক্যারেট স্বর্ণের বার ৯৪ হাজার ৬৫৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৮১ হাজার ১২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের বার ৬৭ হাজার ৫৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণের দাম বেড়ে ৭৮ হাজার ২৬৫ টাকা
তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আরেক মূল্যবান ধাতু রুপার দাম।
শনিবার প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণালঙ্কার ৯৭ হাজার ৬২৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ৯৩ হাজার ১৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৭৯ হাজার ৮৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণালঙ্কার ৬৬ হাজার ৫৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অর্থাৎ রবিবার থেকে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের বার এক হাজার ৫১৬ টাকা, ২১ ক্যারেট এক হাজার ৪৫৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট এক হাজার ২২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের বার এক হাজার ৫০০ টাকা বাড়বে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
১ বছর আগে
বাংলাদেশে প্রতিদিন ২০০ কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আসে: বাজুস
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার স্বর্ণ অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে আসছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) এক বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া স্বর্ণ চোরাচালান ও অর্থপাচার বন্ধে একসঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাজুস।
বিএফআইইউ'র প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। এ ছাড়া সভায় বিএফআইইউ'র উপপ্রধান ও ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
বাজুস নেতারা বৈঠকে জানান, বাজুস প্রতিনিধি দলের তথ্য ও প্রস্তাবের জবাবে মাসুদ বাংলাদেশকে স্বর্ণ চোরাকারবারিদের হাত থেকে রক্ষা এবং দেশে স্বর্ণ চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার আশ্বাস দেন।
তারা আরও জানান, আকাশ, সড়ক ও নৌপথকে ব্যবহার করে স্বর্ণ চোরাচালান করা হয়, এর ফলে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকার চোরাচালানকৃত স্বর্ণ বাংলাদেশে আসে এবং এর বেশিরভাগই দেশের বাইরে পাচার হয়ে যায়। সোনা চোরাচালান বন্ধে বাজুস নেতারা সাতটি সুপারিশ পেশ করেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় হাইকোর্টের
২ বছর আগে