উৎসবমুখর পরিবেশ
বাংলাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল্যবোধকে পুনর্ব্যক্ত করে এবারও দেশব্যাপী আনন্দঘন পরিবেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠী তাদের সর্ববৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় সারা বাংলাদেশে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দশদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসব।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারা বাংলাদেশ জুড়ে ৩২ হাজারেরও বেশি পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয়। এসব মণ্ডপে হিন্দু নারী, পুরুষ ও শিশুরা দেবীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কোনো ধরনের উস্কানি ও অপপ্রচারকে উপেক্ষা করে সরকারের নেওয়া সব পদক্ষেপের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অভিনন্দন জানিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে সতর্কতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
গত সপ্তাহে সারা দেশে যে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার প্রেক্ষিতে সরকার অনতিবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসন এ পর্যন্ত ১১টি মামলা দায়ের করেছে এবং এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ জনকে এরইমধ্যে আটক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একটি চিরন্তন পরিচয় যা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে। বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিরই তার ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের অধিকার রয়েছে।
বাংলাদেশে সব নাগরিকের, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকার একান্ত কর্তব্যরূপে গণ্য করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করছে যে বাংলাদেশের জনগণের ধর্মনিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিচিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সরকার সদা সচেষ্ট।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষক দল চলে যাওয়ার পরপরই বনানীর বাজারে বাড়ল পণ্যের দাম!
২ মাস আগে
১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী, সমাবেশস্থলে মানুষের ঢল
দীর্ঘ ১৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জ শহরে আগমন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই জনসমাগম শুরু হওয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল শামসুজ্জোহা ক্রীড়া চক্রের দিকে পদযাত্রা করতে দেখা যায়।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্বাচনী জনসভাকে সামনে রেখে মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান ছাড়াও জনগণকে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে যেতে দেখা যায়।
এদিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়ে গেছে, যা ইতোমধ্যে দলীয় সমর্থকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
১৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছেন। তাই এ ঘোষণা আসার পর থেকেই তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একবার দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, লিংক রোড, মালেহ রোড, কলেজ রোড, কালীবাজার, হাসপাতাল রোডসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে শোভাযাত্রা ও জনসমাগম দেখা গেছে। তাদের বেশির ভাগই শামসুজ্জোহা ক্রীড়া চত্বরের দিকে যাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের লিংক রোড ও জনসভাস্থলের আশপাশের এলাকা ফেস্টুন, পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
শোভাযাত্রার জন্য নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাবেশস্থলের বাইরে শহরের বিভিন্ন বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মাইক স্থাপন করা হয়েছে। রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে এবং পুরো শহর পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
১১ মাস আগে
খুলনা সিটি নির্বাচন: প্রচারণা শেষ হচ্ছে আজ
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শনিবার মধ্যরাত থেকে শেষ হচ্ছে।
সোমবার খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় মধ্যরাতের পর কোনো প্রার্থীকে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্যে দিয়ে প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু হয়। প্রার্থীদের প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় খুলনা মহানগরীতে।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: ট্রাফিকের চেকপোস্টে ৯০ লাখ টাকা জরিমানা
এ বছর মেয়র পদে পাঁচজন, ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন। ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি বুথে তারা ইভিএমে ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: সিইসি
কেসিসি নির্বাচন: ১৩ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
১ বছর আগে
তুলনামূলক সহজ পরিস্থিতির মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির কুমিল্লা সমাবেশ
বিএনপির অষ্টম বিভাগীয় সমাবেশ কুমিল্লা শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শনিবার। পূর্বের সমাবেশগুলোর তুলনায় এবারে কিছুটা সহজ পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই পালন করতে যাচ্ছে দলটি। যা বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী ও অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।
সমাবেশ সফল করতে বিএনপি শুক্রবার পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড ও বর্ণাঢ্য মিছিলের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে কুমিল্লা শহর নিজেদের দখলে নেয়া শুরু করে।
গত মাসে চট্টগ্রামে শুরু হওয়া বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতারা জানান যে তারা সমাবেশের মাধ্যমে আরেকটি বিশাল শোডাউন করবে।
দুপুর ১২টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে মঞ্চ তৈরি করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
পূর্বের অন্তত ছয়টি সমাবেশের সময় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা ধর্মঘটের ডাক দিলেও এবার তারা সেরকম কোনো কর্মসূচি দেননি।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যেহেতু এবারের সমাবেশ কোনো পরিবহন ধর্মঘট ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং পুলিশের অনুমতির বিষয় বেশ সরল প্রক্রিয়া, তাই শনিবারের সমাবেশটি আগের চেয়েও বেশ বড় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যা দলটির নেতাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আগের জনসভায় সমর্থকের অভাব না থাকলেও বিএনপি দাবি করে আসছে, সরকার জনগণের অংশগ্রহণে কথিত বাধা সৃষ্টি না করলে উপস্থিতি আরও বেশি হতো।
ইউএনবি’র সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপির সমাবেশের আগে কুমিল্লায় কোনো পরিবহন ধর্মঘট না ডাকায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন।
বিএনপি সমর্থকরা আশঙ্কা করছেন যে তাদের স্থানীয় প্রভাবশালী দুই নেতা নগর শাখার আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ ইয়াসিন এবং সাবেক সিটি মেয়র ও বহিষ্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বিশাল সমাবেশ করার জন্য দলের প্রচেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
তবে, স্থানীয় দলীয় কর্মীরা ইউএনবিকে বলেছেন যে ইয়াসিন ও সাক্কু উভয়েই তাদের অনুসারীদের সমাবেশকে সফল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, যদি কিছু হয় তবে কে বেশি জমায়েত করতে পারে তার ভিত্তিতে প্রতিযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, তাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে 'গণতরঙ্গ' ঠেকাতে সরকার নানা কৌশল অবলম্বন করছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন যে বিভিন্ন হুমকি-ধামকিকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী আগাম আসতে শুরু করায় কুমিল্লা উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন যে সমাবেশের আগে 'সরকারের নির্দেশে' পুলিশ তাদের হয়রানি করছে এবং তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের ‘ক্যাডাররা’ বিএনপির সমাবেশে যোগ দিলে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কাল্পনিক মামলায় ফাঁসানোসহ ভয়াবহ পরিণতির হুমকি দিচ্ছে।
মোশাররফ অবশ্য বলেছেন, তারা ক্ষমতাসীন দলের কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জবাব না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু বলেছেন, কুমিল্লায় ‘স্মরণীয়’ সমাবেশ করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোনো পরিবহন ধর্মঘট কার্যকর না হলেও আমাদের নেতাকর্মীরা কুমিল্লা যাওয়ার পথে ক্ষমতাসীন ক্যাডারদের বাধার মুখে পড়ছেন। তবে কোনো বাধাই আমাদের নেতাকর্মীদের সমাবেশে অংশ নিতে বাধা দিতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে নিতে নতুন নাটক তৈরি করছে সরকার: ফখরুল
শনিবার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাধার আশঙ্কায় সমাবেশের একদিন আগে শুক্রবার সকাল থেকেই চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে বিএনপি সমর্থকদের কুমিল্লা শহরে আসতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিলে জড়ো হওয়ায় জনসমাগম তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে তাদের রাত্রিযাপনের অনুমতি না থাকায় আয়োজকরা তাদের জন্য খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেছেন।চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটে অনুষ্ঠিত ৭টি সমাবেশের পর শনিবার কুমিল্লায় হবে বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপির ৮ম সমাবেশ।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আয়োজকরা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ; ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও যশোরে পূর্বে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতেই এই সমাবেশ।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হোক। তবে সংবিধান তা হতে দেয় না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তা তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে