বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
১০ দফা দাবিতে বরিশালের নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি
নৌযান শ্রমিকরা ১০ দফা দাবিতে রবিবার মধ্যরাত ১২টা থেকে সারা দেশে লাগাতার কর্মবিরতি সফল করতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
শনিবার বেলা ১১টায় বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে বরিশাল নদী বন্দর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এসে বিক্ষোভ করে। পরে পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল করে নদী বন্দরে যায়।
সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক একে আজাদ, শ্রমিক জোটের সমন্বয়কারী মোজাম্মেল সিকদার ও হারুনুর রশিদ সিকদারসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: নৌযান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে দুর্ভোগ
এসময় বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার ২৬ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের ১০ দফা দাবি আদায় না হলে রাত ১২টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে সারা বাংলাদেশের নৌযান শ্রমিকরা।
এছাড়া বরিশাল বিভাগের শ্রমিকরাও এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি গুলো হলো-
১. নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান।
২. নৌযান শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ।
৩. খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা এবং দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা।
৪. চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা।
৫. বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা।
৬. নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা।
৭. ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করা।
৮. চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সব লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা।
৯. চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করা।
১০. নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।
আরও পড়ুন: যাত্রীবাহী লঞ্চ চালুর দাবিতে নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশ
নৌযান শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘট আজকের মধ্যে সমাধান হবে: প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে