এসএসসি
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ভিডিও এসএসসিতে ‘অটোপাশ’ আন্দোলন বলে প্রচার
অটোপাশ চেয়ে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন বলে একটি ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে, ‘লেগেছে, লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’; ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’।
স্লোগানের কোথাও অটোপাশ দাবি করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের হাতে একটি ব্যানার আছে। ব্যানারের সামনে মানুষ থাকায় সেটি পড়তে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। তবে ব্যানারের উপরের অংশে ‘ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩৩ শতাংশ অবৈধ পদোন্নতি দেওয়ার প্রতিবাদে’ লেখা বোঝা যাচ্ছে। ব্যানারের মাঝের ‘পরীক্ষা বর্জন’ ও শেষে ‘রংপুর আইডিয়াল’ লেখা অংশটি বোঝা যাচ্ছে।
ফ্যাক্টচেক
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অটোপাশ দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে বলে দাবি করে এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। অসংখ্য ফেসবুক গ্রুপ, আইডি ও টিকটক থেকে গেল কয়েকদিন ধরেই ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ‘এসএসসি ব্যাচ ২০২৪ অ্যান্ড ২০২৫’ নামের একটি গ্রুপ থেকেও এটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘এবারের এসএসসি পরীক্ষায় আমরা অটোপাশ চাই, কারণ জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনসহ পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখা মিলিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়নি, সবাই আমরা আন্দোলন গড়ে তুলবো নিজ নিজ জায়গা থেকে,
আমাদের দাবি একটাই অটোপাশ চাই, অটোপাশ চাই।’
‘ড্রিমস মেডিক্যালিয়ান ইনশাআল্লাহ’ নামের একটি গ্রুপ থেকেও এটি পোস্ট করা হয়েছে। কিন্তু বার্তা সংস্থা ইউএনবির ফ্যাক্টচেকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভিডিওটি রংপুর আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের।
আরও পড়ুন: মোদির ভিডিও পোস্ট করে হাসিনাকে হিন্দোলে সরিয়ে নেওয়ার প্রচার
গেল ২১ মার্চ ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতির রায় বাতিলের দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন রংপুরের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। রংপুর আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিরর শিক্ষার্থীরাও তাতে অংশ নেন।
সেদিন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) অফিসে যান। এ সময়ে তারা ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ পদোন্নতির রায় বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেন।
প্রথমে ভিডিওটি ছড়ানো হয় টিকটকে ‘জেহাদ১৫৫কে’ নামের একটি আইডি থেকে। ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘ক্রাফট হটাও, পলিটেকনিক বাঁচা’। পরে এটি ‘অটোপাশ’ দাবিতে আন্দোলন বলে চাপিয়ে দিতে সামাজিকমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।
৭ দিন আগে
পদ্মায় গোসলে নেমে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পদ্মা নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে গোসলে করতে নেমে ফরহাদ নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৯ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার মডেল থানার সামনে পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
ফরহাদ গোদাগাড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীমন্তপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম বাবুর ছেলে। গোদাগাড়ী সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরহাদসহ কয়েক বন্ধু দুপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নামলে এক পর্যায়ে পানিতে ডুবে যায় ফরহাদ।
আরও পড়ুন: যশোরে দেয়ালচাপায় নির্মাণ শ্রমিক নিহত
স্থানীয়রা নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি করলেও সন্ধান না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে গোদাগাড়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় রাজশাহীর ডুবরিরা তার লাশ উদ্ধার করে।
রাজশাহী ফায়ার সর্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সামা বলেন, ‘ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরি দল পাঠানো হয়। পরে ডুবুরি দল নিখোঁজ ফরহাদের লাশ উদ্ধার করে।’
৩৫ দিন আগে
এসএসসি পাস করলেন ৫৭ বছরের পুলিশ সদস্য সামাদ
৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বগুড়া সদরের ট্রাফিক কনস্টেবল আব্দুস সামাদ।
তিনি মহর কয়া নতুনপাড়া কারিগরি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ দশমিক ২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
তার এমন সফলতায় জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আব্দুস সামাদ ১৯৬৮ সালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরে ১৯৮৭ সালে অষ্টম শ্রেণি পাস করে বাংলাদেশ পুলিশের কনস্টেবল পদে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ: লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চাকরিসূত্রে তিনি বগুড়ার শেরপুর, সদর ও নন্দীগ্রাম ডিএসবি, সদর কোর্ট এবং সর্বশেষ বগুড়া ট্রাফিক বিঘাবে কাজ করেছেন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ছেলে ও মেয়েদের করেছেন উচ্চ শিক্ষিত।
তার এখন চাকরি রয়েছে ২ বছর ১০ মাস। চাকরি শেষে হোমিও চিকিৎসায় যুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। কিন্তু সেই কোর্সে ভর্তি হতে তার এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট প্রয়োজন। তাই সিদ্ধান্ত নেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২২ সালে তিনি নাটোর মহর কয়া নতুনপাড়া কারিগরি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেই ইনস্টিটিউট থেকেই এ বছর তিনি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন এবং জিপিএ ৪ দশমিক ২৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আব্দুস সামাদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ওপর ছোট থেকেই দুর্বলতা ছিল। অবসরে যাওয়ার পর যেন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করে সবার সেবা করতে পারি সে কারণে চাকরির পাশাপাশি নিয়মিত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করতাম। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার কোর্সে ভর্তি হতে এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট লাগে। তাই ২০২২ সালে সিদ্ধান্ত নেই এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার। অতঃপর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে এ বছর এসএসসি পাস করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমার আর চাকরি আছে ২ বছর ১০ মাস। এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ডিএইচএমএস কোর্সে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার। অবসরে যাওয়ার পর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে সবাইকে সেবা করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমার এই বয়সে আমার পরিবার ও ডিপার্টমেন্ট অনেক সহযোগিতা করেছে। আমার মা বেঁচে আছেন। তার বয়স একশো বছর। আমার মা আমার এই সফলতার কথা শুনে অনেক খুশি হয়েছেন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করার সময় অনেকেই কটূ কথা বলেছেন। কিন্তু পরিবার ও ডিপার্টমেন্টের উৎসাহে আমি পিছপা হইনি। ইচ্ছা থাকলে সফলতা আসবেই। আমি এ জন্য পরিবার ও পুলিশ বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি ভবিষ্যতে হোমিও চিকিৎসক হতে সবার দোয়া চাই।
আরও পড়ুন: দাবদাহ মোকাবিলায় দরিদ্র-অসহায় মানুষের পাশে আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা পূজা উদযাপন পরিষদ
জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কারণেই আস্থা অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
৩৩৫ দিন আগে
এসএসসিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাফল্য, কারিগরির চিত্র উল্টো
এই বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমানের পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে গত বছরের তুলনায় বেশ উন্নতি হয়েছে। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি দুটোই বেড়েছে।
এ বছর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এ বছর মাদ্রাসা বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ হাজার ২০৬ জন, যা গত বছর ছিল ৬ হাজার ২১৩ জন।
অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে দেখা গেছে বিপরীত চিত্র।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪: বিদেশি কেন্দ্রে পাস ৮৫.৮৮%
এ বছর কারিগরির শিক্ষার্থীর পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
চলতি বছর এ বোর্ডে ৪ হাজার ৭৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে, যা গত বছর ছিল ১৮ হাজার ১৪৫ জন।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৯ হাজার ৮৬১টি প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭৯৯টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: এসএসসি: এবার পাসের হার বেড়েছে ২.৬৫ শতাংশ
৩৩৬ দিন আগে
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪: বিদেশি কেন্দ্রে পাস ৮৫.৮৮%
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ৮টি আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রশংসনীয়। বিদেশি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের পাসের হার ৮৫.৮৮ শতাংশ।
৩৪৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৯৮ জন সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদেশি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের জন্য এই ফলাফল উল্লেখযোগ্য অর্জন।
আরও পড়ুন: এসএসসি: এবার পাসের হার বেড়েছে ২.৬৫ শতাংশ
এর মধ্যে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাসের হার ১০০ শতাংশ।
প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, এই আন্তর্জাতিক কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষা চলাকালে কোনো শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়নি। বিদেশি কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি: ৫১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি
৩৩৬ দিন আগে
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে
২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল আগামী ১২ মে প্রকাশ করা হবে।
এদিন সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবারের পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের।
আরও পড়ুন: বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ সভাপতি প্রবেশের প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক শিক্ষার্থীদের
এ বছর সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১২ মার্চ লিখিত পরীক্ষা এবং ২০ মার্চ ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত স্থগিত
৩৪৫ দিন আগে
৪৬ বছর বয়সে দাখিল পাশ করলেন কুড়িগ্রামের রহিমা
অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর পরিবার ও শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় ৪৬ বছর বয়সে এসএসসি সমমানের দাখিল পরীক্ষায় পাস করে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন কুড়িগ্রামের মোছা. রহিমা বেগম নামের এক নারী।
তিনি পেশায় একজন ভাতাপ্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে কর্মরত আছেন।
তার বাবার নাম মো. আছর উদ্দিন। তিনি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার খলিলগঞ্জ নাজিরা পাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল সরকার মজনুর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালে নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
শুক্রবার ২৮ জুলাই এসএসসি সমমান পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম কাঁঠাল বাড়ি মহিউস সুন্না মহিলা দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে ৩.৬০ জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রহিমা বেগম চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে আর পড়তে পারেননি। সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে আছে। ছেলে মেয়ে দুজনে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন।
মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন। মেয়ের ঘরে এক ছেলে আছে। দীর্ঘ সময় পর মেয়ের ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করার সময় তার মনে আবারও পড়াশোনা করার ইচ্ছা জাগে।
সবশেষে কুড়িগ্রাম কাঁঠাল বাড়ি মহিউস সুন্না মহিলা মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে ৩.৬০ জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি।
এ বয়সে পাশ করায় পরিবার আত্মীয় স্বজন ও সহকর্মীদের অভিনন্দন ও ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছেন রহিমা বেগম।
রহিমা বেগম বলেন, ‘আমি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের একজন কর্মচারি। এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছি। এবার আমার স্বপ্ন আমি ইন্টারমেডিয়েটও পড়ব। আমার এসএসসি পাস করার পিছনে আমাদের কলেজের প্রিন্সিপাল স্যারের অবদান রয়েছে। স্যার আমাকে সব সময় উৎসাহিত করতের পড়াশুনা করার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কারণেই আমি এসএসসিটা পাস করতে পেরেছি। আমি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এই কলেজে কাজ করছি। সব স্যাররা আমাকে অনেক স্নেহ করেন। আমিও আমার কাজ সবসময় মনোযোগ দিয়ে করি। আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে-মেয়েরা দুজনেই এই কলেজ থেকেই মাস্টার্স পাস করেছে।’
রহিমা বেগমের মেয়ে মজিদা আক্তার পপি বলেন, ‘মা এই বয়সে এসে সংসার ও চাকরি করার পরও পরীক্ষায় পাস করবে জানতাম না। আমার মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মির্জা নাসির উদ্দীন বলেন, ‘রহিমা বেগম আমার কলেজের একজন কর্মচারি। তিনি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মাদরাসায় দাখিল শ্রেণিতে ভর্তি হন। এবছর এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৩.৬০ অর্জন করেছেন। বয়স বা কোনো বাধাই তাকে আটকাতে পারেনি। পড়াশোনা মাঝপথে কিংবা শুরুতে থেমে যাওয়া অন্য সব নার/পুরুষদের জন্য রহিমা একটি প্রেরণার উৎস। যেকোনো বয়সেই যে শিক্ষা অর্জন করা যায় রহিমা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রহিমাকে অভিনন্দন এবং তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হতে চাইলে তাকে সহযোগিতা করা হবে।’
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
৬২৩ দিন আগে
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে কমেছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। সেই হিসাবে এবার জিপিএ-৫ কম পেয়েছে ৮৬ হাজার ২৪ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে, গত বছরের মতো এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে আছে। এর মধ্যে ৮৪ হাজার ৯৬৪ জন ছাত্র এবং ৯৮ হাজার ৬১৪ জন ছাত্রী।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
পাসের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
৬২৫ দিন আগে
পাসের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
বোর্ডটির পাসের হার ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডে পাশের হার ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ
শুক্রবার (২৭ জুলাই) ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে দেখা গেছে, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ৪৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এসএসসি পাস করেনি
ফলাফলের তথ্য অনুযায়ী, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ, যা অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের চেয়ে বেশি। আর সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ, যা ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে কম।
অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। রাজশাহীতে ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ, যশোরে ৮৬ দশমিক ১৭ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, বরিশালে ৯০ দশমিক ১৮ শতাংশ, সিলেটে ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৫ শতাংশ ৪৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসিতে এবার পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ
৬২৫ দিন আগে
চট্টগ্রাম বোর্ডে এসএসসিতে এবার পাসের হার ৭৮.২৯ শতাংশ
গতবারের তুলনায় এবারও জিপিএ ও পাসের হার দুটোই কমেছে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে। এ বছর এসএসসিতে পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৮৬ জন। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৫০ জন। এবার পাসের হার গতবারের তুলনায় ১০ শতাংশ কম। গতবার পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫৩, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ জন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে এই বোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করার পর এই তারতম্য দেখা গেছে। ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ।
বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ছাত্র পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৪ জন ও ছাত্রী ৬ হাজার ৪৪৬ জন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
বিভাগভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে আছেন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪১ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৮২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
যেখানে, গতবছর পাসের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং পাস করেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন।পাস করাদের মধ্যে গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ হাজার ৬৬৪ জন।
প্রসঙ্গত, এবারের পরীক্ষায় ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন্দ্র ছিল ২১৬টি। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ২৭০ জন ও ছাত্রী ৮৬ হাজার ৪৯৯ জন। তিন বিভাগেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছে ৩৪ হাজার ৩২ জন। মানবিক থেকে ৫৯ হাজার ৫৩৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৬১ হাজার ২০৪ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় বসেছিল ৩০ হাজার ৩৭১ জন, মানবিক থেকে ৫৯ হাজার ১৩৭ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয় ৬০ হাজার ২০৪ জন।
এবার নগরীসহ চট্টগ্রাম জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৮৮৫ জন। কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ হাজার ৩৩০ জন, রাঙামাটি জেলা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৮ হাজার ৭৪২ জন, খাগড়াছড়ি থেকে ৯ হাজার ৮৬৬ জন, বান্দরবান থেকে ৪ হাজার ৯৪৫ জন।
আরও পড়ুন: এসএসসির ফল প্রকাশ ২৮ জুলাই
৬২৫ দিন আগে