আপিল বহাল
ভিকারুননিসা’র ৫৬ শিক্ষার্থীকে ভর্তি নেয়ার নির্দেশ আপিলে বহাল
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম শ্রেণিতে ৫৬ শিক্ষার্থীর সহদোরাকে ভর্তি নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার এসব শিক্ষার্থীর বোন ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ালেখা করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষের করা পৃথক চারটি আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ। এছাড়া আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
আরও পড়ুন: ৪১ জমজ সহোদরাকে ভিকারুননিসা স্কুলে ভর্তি নিতে নির্দেশ
ব্যারিস্টার আলতাফ হোসেন জানান, চারটি আবেদনে মোট আবেদনকারী ৫৬জন। তাদের সহোদরারা ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ালেখা করেন। এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি নিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালায় সংশোধনী আনা হয়। সংশোধনীর ১৪ বিধি অনুসারে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যান্ট্রি শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণিতে মোট আসনের অতিরিক্ত পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী সহোদর বা জমজ ভাই/ বোনের ভর্তির জন্য আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ভর্তি করাতে পারবে। তবে আবেদন সংখ্যা বেশি হলে ভর্তি কমিটি কর্তৃক লটারির মাধ্যমে ওই পাঁচ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা যেতে পারে।
এ অবস্থায় ভর্তির জন্য আবেদন করে বিফল হয়ে ৫৬ শিক্ষার্থীর অভিভাবক গত জানুয়ারিতে পৃথক রিট করেন। শুনানি হাইকোর্ট নীতিমালার ১৪ বিধি ৪১ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্থগিত করেন। আর নীতিমালার ১৪ বিধি কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়ে রুল দেন।
আরও পড়ুন: স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি: অধ্যক্ষের আশ্বাসে সড়ক ছাড়লো ভিকারুননিসার শিক্ষার্থীরা
১ বছর আগে
নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেমের জামিন আপিলে বহাল
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার তার জামিন বাতিলে দুদকের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান তার জামিন বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ আদেশের ফলে এম এ কাশেমের কারামুক্তিতে কোন বাধা রইলো না। আদালতে এম এ কাশেমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।
উল্লেখ্য,এর আগে গত ১৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে। তবে আরেক ট্রাস্টি রেহানা রহমানের জামিন চেম্বার আদালত বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
দুদকের দায়ের করা মামলায় গত ২২ মে আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে ওই দু’জনসহ চারজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এর পরদিন তাদের নিম্ন আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তারা কারাগারে। পরে বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা।
সে আবেদনের শুনানির পর আদালত তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে; কেন তাদের জামিন দেয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় তাতে। সে রুলটি নিষ্পত্তি করে গত ১০ নভেম্বর দেশের বাইরে এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না,এমন শর্তে তাদের জামিন দেন হাইকোর্ট।
পরে ১৩ নভেম্বর সকালে তাদের সে জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে দুদক। এরপর দুপুরে আবেদনের শুনানির পর রেহানা রহমানের জামিন বহাল রেখে এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করে আদালত। ইতোমধ্যে রেহানা রহমান কারামুক্তি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে ছয় মামলা করে দুদক।
এতে আসামি করা হয়- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের তৎকালীন চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এরপর গত ২১ অক্টোবর ছয় আসামির সঙ্গে আরও তিনজনকে যুক্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক।
এই তিন আসামি হলেন- আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, পরিচালক আনোয়ারা বেগম ও সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ,বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের জন্য কম দামে জমি কিনলেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতাকে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোক দিয়ে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা তুলে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করেন। পরে এফডিআর ভেঙে টাকা আত্মসাৎ করেন।
এই প্রক্রিয়ায় টাকা আত্মসাৎ করে তারা অর্থ পাচারের অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: হোটেল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার
নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন খারিজ
২ বছর আগে