গোষ্ঠী
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের একজন কমান্ডার সিরিয়ায় নিহত হয়েছেন। বলা হচ্ছে ইসরায়েলি গুপ্তঘাতরা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।
ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড ইজরায়েলকে উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে বলেছে যে ৩১ বছর বয়সী আলী রামজি আল-আসওয়াদ রবিবার সকালে দামেস্কের গ্রামাঞ্চলে "জায়নবাদী শত্রুর কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডে বুলেটের আঘাতে নিহত হয়েছেন।’
রবিবারের কথিত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
ইসলামিক জিহাদ এক বিবৃতিতে বলেছে যে আসওয়াদের পরিবার ১৯৪৮ সালে হাইফা শহর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিল এবং সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে বসতি স্থাপন করেছিল। যেখানেই তিনি যুবক হিসাবে সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: জেরুজালেমের সিনাগগে ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৭
২০১৯ সালে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো নির্বাসিত জীবনযাপনকারী ইসলামিক জিহাদের নেতৃত্বের সদস্য আকরাম আল-আজুরির বাড়িতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। আজুরির কোনো ক্ষতি হয়নি, তবে তার ছেলে ওই হামলায় নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত মাসে দামেস্কের আবাসিক এলাকায় বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হওয়ার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছেন বলে সিরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ইসলামিক জিহাদের একজন কর্মকর্তা একটি বিবৃতিতে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছেন যে ‘প্রতিরোধের নেতাদের হত্যার প্রচেষ্টার (অবিলম্বে) দেরি না করে একটি নিষ্পত্তিমূলক জবাব দেয়া হবে।’
ইসরায়েল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত অংশের অভ্যন্তরের লক্ষ্যবস্তুতে শত শত হামলা চালিয়েছে। যার মধ্যে দামেস্ক এবং আলেপ্পো বিমানবন্দরেও হামলা চালানো হয়েছে। তবে অভিযানগুলোকে খুব কমই স্বীকার করে বা আলোচনা করে।
আরও পড়ুন: সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর পরোক্ষ করের বোঝা কমাতে সংস্কার আবশ্যক: বক্তারা
নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীর জন্য পরোক্ষ করের বোঝার কারণে বাংলাদেশে আয় বৈষম্য বাড়ছে, অন্যদিকে ধনী ব্যক্তিরা তাদের আয় ও সম্পদের তুলনায় কম পরিশোধ করছে।
বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক ইনে আয়োজিত ‘বৈষম্য মোকাবিলা এবং রাজস্ব বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ করের ব্যবহার’ শীর্ষক নীতিগত সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নতুন রাজনৈতিক জোটের ‘জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট’ আত্মপ্রকাশ
রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) এর চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সংলাপে বক্তব্য দেন, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ, বিসিএস (ট্যাক্স) একাডেমির মহাপরিচালক এম এম ফজলুল হক, ঢাবির অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ, অর্থ বিভাগের (বাজেট) যুগ্ম সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ইআরডি যুগ্ম সচিব মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
র্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. রাজ্জাক মূল প্রবন্ধে ব্যাখ্যা করেন যে একটি অন্যায্য কর ব্যবস্থার কারণে উৎপাদন, কৃষি ও অন্যান্য খাতে প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও সমাজে আয় বৈষম্য বাড়ছে।
দেশের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে কর ব্যবস্থার সংস্কার না হলে এই আয় বৈষম্য আরও বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য অনেক অর্থনীতি ক্ষুদ্র জিডিপির সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ তার রাজস্বের মাত্র ৩৫ শতাংশ আয় করে প্রত্যক্ষ কর থেকে। যার ৬৫ শতাংশ অপ্রত্যক্ষ কর। অন্যান্য দেশের মতো দেশের (বাংলাদেশ) অর্থনীতির আয়তন বিবেচনা করে এটি সরাসরি কর থেকে ৭০ শতাংশ রাজস্ব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
ড. রাজ্জাক বলেন, সম্প্রতি এনবিআর মোট রাজস্বের প্রত্যক্ষ করের অংশ ৩৫ থেকে ৭০ শতাংশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছে। যা একটি স্বাগত উদ্যোগ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চালিত করবে এবং জনসেবা প্রদানে সরকারের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা জোরদার করবে।
তবে লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
আবদুল মজিদ বলেন, এনবিআরকে সরকারি সংস্থা নয়, রাষ্ট্রীয় সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই এনবিআরকে সরকারের ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। বরং, এটি রাষ্ট্রের পক্ষে একটি স্বাধীনভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত।’
তিনি কর ব্যবস্থা ও এনবিআর সংস্কার করে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি
সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাসের মান রবিবার সকালেও ‘অস্বাস্থ্যকর' অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৯ টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৯ নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ১৩তম স্থানে আছে।
বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও কলকাতা যথাক্রমে একিউআই ৪৫৪, ২২৬ ও ১৮৭ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘খারাপ’ বলা হয়,
যেখানে ৩০১ থেকে ৪০০ এর স্কোর ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর'
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বিশ্বে বায়ু দূষণের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ঢাকা
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা ৪র্থ