দ্বিতীয় দিন
হরতালের দ্বিতীয় দিন: সিলেটে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সিলেট নগরীতে একটি ট্রাক ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবদল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল পৌনে ৯টার দিকে নগরীর উপশহর পয়েন্টে হরতাল সমর্থনে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল বের করে যুবদল।
আরও পড়ুন: হরতালের দ্বিতীয় দিন: সারাদেশে র্যাবের ৪২৫টি দল মোতায়েন
তবে, পুলিশ বলছে কোনো গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে বলে তাদের জানা নেই। পিকেটিংয়ের চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপশহর পয়েন্টে কয়েকটি মোটরসাইকেলে হেলমেটধারী যুবদলের কয়েকজন সড়ক অবরোধ করে একটি ট্রাক ও অটোরিকশা ভাঙচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে ৪/৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ আসার আগেই সটকে পড়ে যুবদলের নেতা-কর্মীরা।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত সুমন কুমার চৌধুরী বলেন, উপশহর পয়েন্টে দুর্বৃত্তরা পিকেটিংয়ের চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে, টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন সোমবার সিলেটে ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল থেকে সিলেট নগরীতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা ছিল অনেক কম।
সকাল সাড়ে সাতটায় নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় যুবদল বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় মিছিল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টায় নগরের মিরবক্সটুলায় মিছিল সমাবেশ করেছে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা।
১১ মাস আগে
নৌ শ্রমিকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন: দুর্ভোগে যাত্রীরা
মজুরি বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে সারাদেশের মতো খুলনায়ও দ্বিতীয় দিনের মতো নৌ শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। ফলে খুলনা থেকে দক্ষিণের (দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, সাতক্ষীরা) সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী লঞ্চও।
গত শনিবার (২৬ নবেম্বর) দিবাগত রাত থেকে এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।
এদিকে, প্রতিদিন সকালে খুলনা লঞ্চঘাটে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিক আকবর ও হাসমত আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের দাবিগুলো হলো- সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিংপাস প্রদান, বাল্কহেডের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলকরণ, বাংলাদেশের বন্দরসমূহ থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা ১০০ ভাগ কার্যকর করা, চট্টগ্রাম বন্দরে পোতাশ্রয় নির্মাণ ও চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের চলমান কার্যক্রম বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জের পরিবহন ধর্মঘট চলছেই, বাড়ছে যাত্রীদের দুর্ভোগ
খুলনা নৌ-যান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য মো. ফারুখ হোসেন বলেন, বর্তমানে একজন শ্রমিক সর্বনিম্ন সাত হাজার ৭৫০ টাকা মজুরি পাচ্ছে। প্রতিদিন ২৩৩ টাকা তাদের মজুরি। বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকরা সংসার চালাতে পারছেন না। তারা বার বার মালিকদের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও কর্ণপাত করছেন না তারা।
বাংলাদেশ লঞ্চ শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ৭-৮ বছর আগের বেতন কাঠামো এখনও চলছে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের বাজার সম্পর্কে জানা আছে। শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সংগ্রাম-কর্মবিরতি করা ছাড়া তাদের আর কোনো গতি নেই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২ দিনের বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে যাত্রীরা
কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় নৌ চলাচল ব্যাহত: সীমাহীন দুর্ভোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
১ বছর আগে