দায়িত্ব পালন
দায়িত্ব পালনে ৯ নির্দেশনা দিয়ে সচিবদের চিঠি
দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার জন্য ৯টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সই করা এই চিঠি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সরকারি কর্মচারীদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের কিছু অফিসের কর্মকাণ্ডের সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা অনভিপ্রেত। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অধীন মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতাধীন সংযুক্ত দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোর জন্য দেওয়া ৯টি বা আরও কিছু বিষয় সংযোজিত করে সচিবদের একটি নির্দেশনা জারির জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
নির্দেশনায় বলা হয়েছে-
১) নিজ অধিক্ষেত্রের যেকোনো অনুষ্ঠানে যোগদানের চূড়ান্ত আমন্ত্রণ গ্রহণের আগে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে নিবিড়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করে আমন্ত্রণ চূড়ান্ত করা।
২) বিতর্ক এড়ানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথি সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা। কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি অনুষ্ঠানের অতিথি তালিকায় থাকলে এ অনুষ্ঠান পরিহার করা।
৩) আয়োজিত অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ব্যানার/লিফলেট/পতাকা/অন্যান্য যেকোনো ছাপানো কাগজের বর্ণনা, লোগো বা স্লোগান ইত্যাদি বিষয়ে কোনো আপত্তিকর/বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করা।
৪) অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃংখলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা গ্রহণ।
৫) নিজস্ব অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র/ব্যানার/চিঠি। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন/সাজ-সজ্জা/ক্রেস্ট/ সার্টিফিকেট/ ট্রফি/মেডেল/স্যুভেনির ইত্যাদি ভালোভাবে পরীক্ষা করা। এ সব ডকুমেন্ট বা স্মারকে যাতে কোনো প্রকার আপত্তিকর বা বিতর্ক সৃষ্টিকারী কোনো উপাদান বা বক্তব্য না থাকে, তা নিশ্চিত করা।
৬) সরকার থেকে গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে যে সব দিবস বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে, সে সব দিবস যাতে পালিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা।
৭) সরকার থেকে বাতিল ঘোষিত দিবসগুলোর পূর্ববর্তী বছরগুলোর সকল স্মারক/ক্রেস্ট/ছবি/ স্যুভেনির ইত্যাদি সকল অফিস থেকে অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৮) আনুষ্ঠানিক (ফর্মাল) প্রতিটি সভা/অনুষ্ঠানের জন্য লিখিত বক্তব্য প্রস্তুত করে পাঠ করা। লিখিত বক্তব্যের বাইরে কোনো কথা/স্লোগান/জয়ধ্বনি/বাক্য বলা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা।
৯) যেকোনো প্রকারের গুজব থেকে নিজে এবং নিজ অধিক্ষেত্রের সকল সহকর্মীকে দূরে রাখা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন গঠনে সৎ-দক্ষ লোক নিয়োগ করা হবে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
১ মাস আগে
জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জিএম কাদের: আপিল বিভাগ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া আপিল বিভাগ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতকে জাপা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার রায়ের বিরুদ্ধে কাদেরের করা আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
আদালতে আবেদনকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা এবং জিএম কাদেরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
এছাড়া আপিল বিভাগের আদেশ জাপা সিসিইফ হিসাবে কাদেরকে কাজ করতে বাধা দেয়। সিরাজুল বলেন, এখন আমাদের মৃধার বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে হবে।
এর আগে সোমবার, আপিল বিভাগ ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন।
৩০ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ এম ইনায়েতুর রহিম জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে তার পদে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট একটি পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের পথ পরিষ্কার করেন।
৪ অক্টোবর জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন জিয়াউল হক মৃধা।
৩০ অক্টোবর ঢাকার যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালত-১ জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
শেখ সিরাজুল ইসলাম ও কলিম উল্লাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী ৬ অক্টোবর আদালতে জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন নিয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনে, ১৬ নভেম্বর আইনজীবীরা একই আদালত কর্তৃক বরখাস্ত করা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে তার ভূমিকা পালনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন কাদের।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দলটির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান।
হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় (২৮ ডিসেম্বর ২০১৯) কাউন্সিলে জালিয়াতির মাধ্যমে কাদের নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
পরে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে দলের চেয়ারম্যান হিসাবে কাদের রাঙ্গা, গাজীপুর মহানগর শাখার উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর সিকদারসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে বরখাস্ত করেন।
এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাকে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে দল থেকে অপসারণ করা হয়।
মামলায়, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সমস্ত অপসারণ এবং কাউন্সিলকে অবৈধ ঘোষণা করার আদেশ চাওয়া হয়েছিল এবং হাইকোর্টের রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলের পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা জানা যাবে আগামীকাল
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
২ বছর আগে
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম) দায়িত্ব পালনে নিম্ন আদালতের দেয়া অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে জিএম কাদেরের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাহিদা খাতুন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কোহিনুর আক্তার ও সাবিনা পারভীন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন-আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
তিনি বলেন, এ আদেশের ফলে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই।
এরআগে ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ১নং প্রতিপক্ষ (জিএম কাদের), ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে যেন পার্টির কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত এবং কোনো কার্য গ্রহণ করতে না পারে সে মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।
পরে এ আদেশ প্রত্যাহারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের আবেদন ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন একই আদালত।
আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ খারিজাদেশের বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে মিস আপিল করেন জিএম কাদের।
জেলা জজ এ আবেদন শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখলেন।
কিন্তু আমরা ২৪ নভেম্বর দরখাস্ত দিয়ে বললাম ৯ জানুয়ারি রাখতে, আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ আছে। অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। তাই আজেকই শুনানি করেন।
আমাদের ২৪ তারিখের দরখাস্তটা জেলা জজ রিজেক্ট করে দিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা রিভিশন করেছি। আমরা হাইকোর্টে বলেছি ২৪ তারিখের আদেশটা অবৈধ। কোর্ট রুল দিলো আর ৩০ অক্টোববের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন।
১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন।
অন্যদিকে ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: দণ্ডিত আবদুস সামাদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এক জঙ্গির জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
২ বছর আগে