এমএসএফ
সীমান্তে নিরাপত্তার অবনতি 'উদ্বেগজনক': এমএসএফ
সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি 'উদ্বেগজনক' বলে মন্তব্য করেছে মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স বা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)।
সংস্থাটি বলছে, এটি কেবল সীমান্তে বসবাসকারীদের সরাসরি প্রভাবিত করে না, বরং অতীতের সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি ঘটাতে পারে।
শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বৃদ্ধির বিষয়ে এক বিবৃতিতে এমএসএফ বাংলাদেশের হেড অব মিশন অ্যান্তোনিনো কারাডোনা বলেন, ‘যাদের চিকিৎসা প্রয়োজন তাদের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এমএসএফ।’
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, সাধারণ চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যাগুলো ছাড়াও সহিংসতা সম্পর্কিত আঘাতপ্রাপ্ত আরও বেশি লোককে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্পে জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দৈনন্দিন চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি, সহিংসতার স্বীকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবায় প্রাধান্য দেয় এমএসএফ।
প্রয়োজন অনুযায়ী এর পরিধি আরও বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে এমএসএফ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বাংলাভাষী কূটনীতিকদের পেয়ে গর্বিত: রুশ রাষ্ট্রদূত
কক্সবাজারের ১০টি স্থাপনায় এমএসএফ টিমগুলো ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিশাল স্বাস্থ্য চাহিদা মেটাতে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্রমবর্ধমান সংখ্যক রোগীর জন্য বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছে।
কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসা, মনোসামাজিক সহায়তা ও নারীদের স্বাস্থ্যসেবা।
এমএসএফ রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা মানবিক সহায়তার অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী। এদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে বাস করে।
এমএসএফের মতে, প্রাথমিক জরুরি অবস্থার কয়েক বছর পার হলেও মানুষ এখনও একই জনাকীর্ণ এবং প্রধানত বাঁশের আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছে। এরা প্রায় সম্পূর্ণরূপে সাহায্যের উপর নির্ভরশীল এবং ভবিষ্যতের জন্য খুব সামান্য আশা রয়েছে।ৎ
আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. কামাল চৌধুরীর সঙ্গে প্রবাসীদের মতবিনিময়
১০ মাস আগে
সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা জানিয়েছে এমএসএফ
সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বিশিষ্ট আইনজীবী ও কর্মী সুলতানা কামালের নেতৃত্বে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নতুন সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
এমএসএফ বলেছে, সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তথ্য সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মানবাধিকার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এবং এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
এর আগে লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং শেমাইয়ের প্যাকেটে বিএসটিআই লোগো ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করায় 'শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস'-এর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করায় স্থানীয় পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়।
অভিযুক্ত সাংবাদিকরা হলেন অনলাইন পোর্টাল ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন; ঢাকা মেইলের জেলা প্রতিনিধি গাজী ফরহাদ; দৈনিক পত্রদূতের হোসেন আলী; দৈনিক মুক্ত খবরের হাবিবুর রহমান; এবং দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার শাহীন বিশ্বাস।
প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন গত ২৯ মার্চ শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টের লাচ্ছা সেমাই কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।
র্যাব-৬ এর কমান্ডিং অফিসার মেজর জেএম গালিবের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা তৈরি এবং এর প্যাকেটে বিএসটিআই লোগো ও ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করায় কারখানাটি বন্ধ করে দেয়।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে ২৩ মে এর মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এমএসএফ
১ বছর আগে
ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এমএসএফ
ইউএনবির বিশেষ প্রতিবেদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশিষ্ট আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের নেতৃত্বে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নতুন সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
বৃহস্পতিবার সংগঠনটি এ মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা ও অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এমএসএফ বলেছে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসীদের মধ্যে ভয় তৈরি করছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘সাংবাদিকরা এই আইনের অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, শুরু থেকেই আইনটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলেও এ আইনের নামে হয়রানি বেড়েই চলেছে।
এদিকে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সিনে-জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনও।
ক্র্যাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় আমাকে জড়ানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘এ ধরনের অভিযোগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’ ‘একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি সবসময়ই দায়িত্বশীল ও পেশাগতভাবে আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি।’
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী একটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাকে এমন একটি মামলায় জড়িয়েছে।’
গত ১২ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা ডিএসএ মামলায় জাহাঙ্গীরকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
১ বছর আগে
মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারীরা সরাসরি আনতে পারবে রেমিটেন্স: বাংলাদেশ ব্যাংক
রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক মোবাইল আর্থিক পরিষেবা (এমএসএফ) প্রদানকারীদের অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স আনার অনুমতি দিয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, অনুমোদিত ডিলাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসের সঙ্গে বন্দোবস্ত করতে পারবে।
অনুমোদিত ডিলারদের বাংলাদেশ দূতাবাস বা সংশ্লিষ্ট দেশের হাই কমিশন থেকে সুপারিশপত্র বা সনদপত্র ছাড়াই বন্দোবস্ত করার অনুমতি থাকছে।
আরও পড়ুন: মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে, এমএফএস প্রদানকারীদের জন্য আরও বেশি সহজ করতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে পরিষেবা প্রদানকারী, ব্যাংক, ডিজিটাল ওয়ালেট, কার্ড স্কিম ও বিদেশে আর্থিক পরিষেবা সমন্বয়কারীদের সঙ্গে মিলিতভাবে রেমিটেন্স উপার্জনকারীদের অর্থ দেশে পাঠানোর অনুমতি দেয়া হবে।
এই প্রেক্ষাপটে, এমএফএস প্রদানকারীদের অবশ্যই তাদের অ্যাকাউন্টে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়ার জন্য বিদেশি পেমেন্ট ও সেটেলমেন্ট সিস্টেমের (পিএসপি) সঙ্গে স্থায়ী ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং সমতুল্য অর্থ মজুরি উপার্জনকারীদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
পরবর্তীকালে, বিদেশি পিএসপিগুলো মনোনীত ডিলারের নস্ট্রো অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট প্রদান করবে (একটি অ্যাকাউন্ট যা একটি ব্যাংক অন্য ব্যাংকে
বৈদেশিক মুদ্রায় ধারণ করে)। টাকায় মজুরি পাওয়ার পর উপার্জনকারীরা সমস্ত লেনদেন করতে বিদেশ থেকে এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
যারা মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্রদান করতে চায় তাদেরকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ওপরে বর্ণিত ফ্রেমওয়ার্ক বা অনুরূপ সুবিধাজনক পদ্ধতি অনুসারে প্রস্তাবিত ব্যবস্থার বিবরণসহ বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগে আবেদন করতে হবে।
উদ্যোগটি ছোট পরিসরে পর্যালোচনার প্রাথমিকভাবে অনুমতি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ২০১১ সালে এমএফএস চালু করে। তখন থেকেই পরিষেবাটি নিয়ে দেশে যথেষ্ট গুঞ্জন হয়েছে। বর্তমানে ১৩টি এমএফএস অপারেটর ১৮ কোটিরও বেশি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে পরিষেবা প্রদান করছে, যারা প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা আদানপ্রদান করছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে অতিরিক্ত তারল্য আছে ১.৬৯ লাখ কোটি টাকা: বাংলাদেশ ব্যাংক
জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
২ বছর আগে