সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি
এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এলএনজি, সার ও মসুর ডাল আমদানিসহ সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলা ৫৭৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজির একটি কার্গো আমদানি করবে, যার প্রতিটি ইউনিট ১৩ দশমিক ৬৯ ডলার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলরেট এনার্জি এলপি এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের একটি প্রস্তাবে ৭২ কোটি ৯১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানির জন্য কমিটির অনুমোদন পেয়েছে।
আরও পড়ুন: আয়কর আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
ভারতের উমা এক্সপো প্রা. লিমিটেড (স্থানীয় এজেন্ট: ফিউচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, ঢাকা) প্রতি কেজি ৯১ টাকায় মসুর ডাল সরবরাহ করবে।
কমিটি সার আমদানির বিষয়ে পৃথক দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের দাম হবে ৬১০ ডলার।
স্থানীয় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি (কাফকো) থেকে ১০৫ দশমিক ৪৩ কোটি টাকায় আরও ৩০ হাজার মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া সংগ্রহ করা হবে এবং প্রতি মেট্রিক টনের জন্য খরচ হবে ৩২৭ দশমিক ৬২ ডলার।
‘বরিশাল থেকে ভোলা হয়ে লক্ষ্মীপুর উন্নয়ন সড়ক’- শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় ১৫ কোটি ২১ লাখ টাকা বাড়ানোর জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
এদিকে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) অধীনে ‘চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ও ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক মানের বেসরকারি অপারেটরদের নিয়োগ’।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পিপিপি প্রকল্প, ২০১৮ এর জন্য প্রকিউরমেন্ট গাইডলাইন অনুযায়ী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন: কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণে নীতিমালা অনুমোদন মন্ত্রিসভার
বিইআরসি ছাড়াই জ্বালানির মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার, মন্ত্রিসভায় সংশোধনী অনুমোদন
১ বছর আগে
ওএমএস-এর জন্য ২ কোটি ৯ লাখ লিটার তেল ও ৮ হাজার টন ডাল কেনা হবে
রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কোনো টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের কাছ থেকে মোট দুই কোটি ৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে।
টিসিবি খোলা টেন্ডারের মাধ্যমে আট হাজার মেট্রিক টন মসুর ডালও সংগ্রহ করবে।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে কার্যত উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
পণ্যগুলো তার চলমান খোলা বাজার বিক্রয় (ওএমএস) প্রোগ্রামের জন্য সংগ্রহ করা হবে যা সারা দেশে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য চালু করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে টিসিবি ওএমএস প্রোগ্রামের আওতায় স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ৮১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার সেনা ভোজ্যতেল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রায় ৪৪ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। সে হিসেবে প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৪ টাকা ৫ পয়সা।
টিসিবি ওমানের জাদ আল রাহিল ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি সালতানাত (স্থানীয় এজেন্ট: স্কাই ট্রেডিং) থেকে ডিপিএম এর মাধ্যমে ১৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে। অর্থাৎ প্রতি লিটারের জন্য খরচ হবে ১৩৭ টাকা ৯৪ পয়সা।
এছাড়া ডিপিএমের মাধ্যমে শুন শিং এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে ১০১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৫ টাকা ৫ পয়সা।
টিসিবি আরাবেল বাকলিয়াত হুবুবাত সান্তিক এএস (স্থানীয় এজেন্ট: বিআইএনকিউ, ঢাকা) ৮১ টাকা ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আট হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০১ টাকা ৯৭ পয়সা।
আরও পড়ুন: ১ কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের জন্য পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি
৩.৩০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল আমদানি করবে টিসিবি
১ বছর আগে
ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিজিও) ভার্চুয়াল বৈঠকে সয়াবিন তেল সংগ্রহ ও সার আমদানির দুটিসহ ছয়টি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া একটি প্রস্তাব অনুসারে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তার খোলা বাজারে বিক্রয় (ওএমএস) কর্মসূচির জন্য স্থানীয় সরবরাহকারীদের কাছ থেকে ২২ মিলিয়ন (২ দশমিক ২০ কোটি) লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে।
তবে, তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি কোন কোম্পানিগুলো সরবরাহকারী এবং কোম্পানিগুলো সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতি (ডিপিসি) বা খোলা টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে কিনা।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়াতে চান পরিশোধনকারীরা
সিসিজিপি সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ব্রিফ করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, প্রস্তাবটি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে টেবিলে রাখা হয়েছিল এবং এই বিষয়ে তার কাছে বিস্তারিত তথ্য নেই।
মোট ৮০ হাজার মেট্রিক টন (এমটি) সার আমদানির বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাব কমিটির অনুমোদন পেয়েছে।
এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন থেকে ৩৫৮ দশমিক ৪৮ কোটি টাকায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন মিউরিয়েট অব পটাশ (এমওপি) আমদানি করবে।
প্রতি মেট্রিকটন সারের দাম হবে ৬৭৯ দশমিক ৬৫ মার্কিন ডলার, আগে প্রতি মেট্রিকটন সারের দাম ছিল ৭৭৮ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার।
বিএডিসি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অধীনে ১৫০ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মরক্কোর ওসিপি, এসএ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) সার আমদানি করবে।
প্রতি মেট্রিকটন টিএসপি’র দাম হবে ৪৭৪ মার্কিন ডলার, আগে প্রতি মেট্রিকটন টিএসপি’র দাম ছিল ৬৮৭ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
কমিটি ঢাকা ওয়াসার স্থানীয় সরকার বিভাগের তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন করে।
আরও পড়ুন: পাম তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা কমেছে, চিনির দাম কেজিতে বেড়েছে ৬ টাকা
সয়াবিন তেল: বাজারে দাম কমার কোন প্রভাব নেই
২ বছর আগে