সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
আব্বাস ও আলালের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আইনজীবী রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রিজভী বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত করে আবারো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার গভীর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবেই অবৈধ শাসক গোষ্ঠী বিএনপি'র সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ দেশব্যাপী সকলপর্যায়ের নেতা-কর্মীকে ব্যাপকহারে গ্রেপ্তার শুরু করেছে। ক্ষমতালোভের পাশাপাশি চলমান গণআন্দোলনে ভীত হয়ে নিশিরাতের সরকার বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে গুলি চালিয়ে মানুষ হতাহতের নৃশংসতায় মেতে উঠেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে বলতে চাই- এভাবে গ্রেপ্তার ও নানা কায়দায় জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে চলমান গণআন্দোলনকে দমন করা যাবে না। জনগণ বুঝে গেছে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা নিজেরাই ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষারোপ আওয়ামী লীগের নোংরা রাজনীতি।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- বিশ্বের বড় বড় স্বৈরাচারেরাও জনগণের নিকট পরাজিত হয়েছে। বর্তমান আওয়ামী দখলবাজ সরকারকেও জনগণের ন্যায্য আন্দোলনের কাছে মাথা নত করে বিদায় নিতে হবে।’
রিজভী মির্জা আব্বাস ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান এবং দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তিরও আহ্বান জানান।
এ ছাড়া তাদের মুক্তির আহ্বানে সবাইকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল আটক
১ বছর আগে
বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে রাজধানীর শাজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, রাত সোয়া ৮টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল শাজাহানপুরের শহীদবাগ মসজিদ লেনের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে ও কাকরাইলে ভয়াবহ সহিংসতার পর রবিবার সকালে দুই নেতার বাড়িতে অভিযান চালালেও সেখানে তাদের খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় আব্বাস ও আলালকে আসামি করা হয়।
এর আগে ২০০৭ সালের দুর্নীতি মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানো হয়েছে
প্রধান বিচারপতির বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
১ বছর আগে
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল
১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের সমাবেশের অনুমতি এবং দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কথা বলতে পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি পুলিশ সদর দপ্তরে গেলে দুপুর ১টার দিকে বৈঠক শুরু হয়।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিন: ফখরুল
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে এ্যানি বলেন, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে তাদের দলকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে এবং সমাবেশের আগে দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করতে আইজিপিকে অনুরোধ করবেন।
এর আগে মঙ্গলবার ২৬ শর্তে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করতে পারে বিএনপি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে আ.লীগের ফাঁদে পা দিবে না বিএনপি: গয়েশ্বর
২ বছর আগে