গণঅধিকার
খুলনায় গণঅধিকারের সভাপতি নুরসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে ২ মামলা
খুলনায় পঞ্চবীথি নামের ক্লাবের দখল উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরুসহ ৫ নেতার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে।
সোমবার(২৪ মার্চ) দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগরীর যুগ্ম-আহ্বায়ক নাঈম হাওলাদার বাদী হয়ে একটি এবং জেলা কমিটির সদস্য শেখ সাকিব আহমেদ বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় আরেকটি মামলা করেন।
এর মধ্যে নাঈম হাওলাদারের মামলায় আসামি করা হয়েছে ৪ জনকে। আসামিরা হলেন— নুরুল হক নূর, গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস কে রাশেদ, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. জনি ও তাইজুল ইসলাম।
শেখ সাকিব আহমেদের মামলাতেও আসামি ৪ জন। সেখানে রাশেদ, জনির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ শেখ রুবেল ও হিরোন নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২১ মার্চ এস কে রাশেদ বাদী হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী, যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন ও মহররম মাহীম, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক শেখ রাফসান জানি ও কেন্দ্রীয় সদস্য রুমি রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় হাজতির প্রহারে এসআই আহত
স্থানীয়রা জানান, নগরীর শান্তিধাম মোড়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সরকারি ভবনে পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্র নামে একটি ক্লাব ছিল। গত ২৭ জানুয়ারি ভবনটি দখল করে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। এর নেতৃত্বে ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে রাতেই রাশেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু বহিষ্কারের পরেও এস কে রাশেদ ওই ভবনে বসেই দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। সম্প্রতি সেখানে তাদের আরও কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের সাইনবোর্ড ঝোলানো হয়।
এর আগে গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকেই ভবনটির দখল উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে বার্তা ছড়ান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির খুলনার নেতা-কর্মীরা। রাত ৯টার দিকে তারা ভবন উদ্ধার করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, দুইপক্ষই পৃথক মামলা করেছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৬ দিন আগে
না’গঞ্জে বিএনপি-জামাত-গণঅধিকারের ১৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নারায়ণগঞ্জের তিন থানায় বিএনপি, জামাত ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) একযোগে তিন থানায় মোট ১৯৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় ৬৯, ফতুল্লা থানায় ৭১ ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৫৬ জনকে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিম্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়। প্রতিটি মামলার বাদী পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি, জামায়তে ইসলামী ও গণঅধিকার পরিষদের ২১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫ জনকে আসামি করে নাশকতার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক দেবাশিষ কুন্ডু বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। এ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা সংখ্যা ২।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় বিএনপির ৫০/৫৫ নেতাকর্মী লাঠি ও হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে ও শ্লোগান দেয়। এসময় তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। মিছিল থেকে ৩/৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ টুকরা লাল টেপে মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, দুটি পোড়া টায়ারের অংশ, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত ৭টি লাঠি ও টিনের কৌটা, গাড়ির ১১টি ভাঙা কাঁচের অংশ।
এর আগে ২৭ নভেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করার অভিযোগে বিএনপির ৩৯ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন।
ফতুল্লা থানায় বিএনপির ২১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি রুজু করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বুধবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার সস্তাপুরে বিএনপির ৭০ নেতাকর্মী সশস্ত্র অবস্থায় হাতে মশাল, লোহার রড, হকিস্টিক, চাপাতি, ককটেল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে স্লোগান দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরায় ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ৩ টুকরা লাল স্কচটেপ মোড়ানো বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, ৪টি লোহার রড, মশাল মিছিলে ব্যবহৃত ৮টি বাঁশের লাঠি, একটি মাঝারি আকারের পোড়া টায়ার ও ভাঙা কাঁচের অংশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর মডেল থানার এসআই আজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত বুধবার শহরের চাষাঢ়ায় মশাল মিছিল, ককটেল বিস্ফোরণ ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমানের দাবী, রাত ৮টায় শহরের চাষাঢ়ায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের গলির সামনে একদল ব্যক্তি ককটেল হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এ মামলা নিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশ নাটক সাজিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা অব্যাহত রেখেছে। তবে পুলিশ বা ক্ষমতাসীনরা যত চেষ্টাই করুক ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ রুখতে পারবেনা। প্রসঙ্গত, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে গত ১৪ দিনে নারায়ণগঞ্জের ৭টি থানায় ৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। এরমধ্যে ৬টি মামলার বাদী পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাঁয়তারার অভিযোগ
পাবনায় বিএনপির ১৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
৮৫০ দিন আগে