সিনিয়র নেতা
বিএনপির অবস্থান বদল, বছরের মাঝামাঝিতে জাতীয় নির্বাচন দাবি
বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য চাপ দেওয়া বিএনপি হঠাৎ করেই তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে। কারণ, সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করছেন দলটির সিনিয়র নেতারা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা বলেন, একটি মহল ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তারা বলেন, বছরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তাদের দল সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো উদ্যোগও তারা মেনে নেবে না— সেটিও স্পষ্ট করা হয়েছে।
বিএনপি নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তাদের দল সমমনা দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সেমিনার, আলোচনা ও অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে মনোনিবেশ করতে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে।
আরও পড়ুন: আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস গত সপ্তাহে বলেছেন, তার সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেছেন যে ঢাকার বাইরের মানুষ স্থানীয় নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছেন। ‘ এটিকে সরকারের স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার চিন্তার একটি ইঙ্গিত বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, এ ছাড়া একটি ইসলামপন্থী দলের শীর্ষ নেতা সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও কয়েকটি ছাত্র সংগঠনও সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে কথা বলছেন।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, 'আমাদের স্থায়ী কমিটির গত দুটি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি, স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের এই উদ্যোগ অহেতুক সংসদ নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত। তাই আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা না করে জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছাত্রনেতারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহায়তায় সরকার গঠনে কাজ করছেন। ‘তারা আগাম জাতীয় নির্বাচনের বিরোধিতা করছেন, কারণ নির্বাচনের আগে তাদের দলকে সংগঠিত করতে এবং সারা দেশে এর কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য সময়ের প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বন্ধ করায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রশংসা করল বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এজন্য তারা সরকারকে প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করছেন। তাদের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির সুযোগ করে দিচ্ছে। আমরা সরকারের সমর্থন নিয়ে কোনো দল গঠন করতে চাই না, সংস্কার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের নামে যৌক্তিক কারণ ছাড়া নির্বাচন পেছাতেও চাই না।’
তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটিও প্রধান উপদেষ্টার ন্যূনতম ভোটদানের বয়স ১৭ বছর করার পরামর্শের বিরোধিতা করেছে। ‘আমরা বিশ্বাস করি, ভোটার হওয়ার জন্য বর্তমানে ন্যূনতম ১৮ বছর বয়স সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং এটি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই।’
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে আগ্রহী হলেও ঢাকার বাইরের মানুষ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।
তিন দিন পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলাকে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একই সঙ্গে জাতীয় ও স্থানীয় উভয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এমন ঘটনাবলির পরই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আগস্টের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। 'আমরা সবার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাই।'
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা এখন পরিষ্কারভাবে বলছি, জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সেই যৌক্তিক সময়সীমা। নির্বাচন কমিশন যেহেতু নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রস্তুত, তাই সরকার এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে। জাতীয় নির্বাচন পেছানোর কোনো যৌক্তিক কারণ দেখছি না।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের জনগণ জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার নির্বাচন করবে, যে সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে এই প্রথা চলে আসছে।
তিনি আরও বলেন, অতীতে কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছে এমন নজির নেই। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করারও প্রয়োজন নেই। আমরা চাই সরকার জাতীয় নির্বাচনের দিকে পুরোপুরি নজর দিক।
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে সরকার তাদের নির্বাচনের দাবির প্রতি কী প্রতিক্রিয়া দেখায় তা দেখার জন্য তারা এখন অপেক্ষা করবেন।
তিনি বলেন, 'তারা যদি ইতিবাচক সাড়া না দেয়, তাহলে আমরা সমমনোভাবাপন্ন দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক কৌশল প্রণয়ন করব।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে দুরুত্ব নয়, সুসম্পর্ক রয়েছে জামায়াতের: ডা. তাহের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, বর্তমান সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব জাতীয় নির্বাচন করা, অন্য কোনো নির্বাচন নয়। ‘তাই, কত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা অন্য কোনো নির্বাচনের কথাও ভাবছি না।’
৭৪ দিন আগে
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে খালেদা জিয়ার যোগদানের প্রশ্নই আসে না: বিএনপি
১০ ডিসেম্বর রাজধানীর বহুল আলোচিত সমাবেশে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়ে কিছু বিরোধী নেতার উগ্র মন্তব্যে দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও, বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, প্রোগ্রামে তাকে নিয়ে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।
তারা আরও বলেন, রাজধানীতে তাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বিএনপির অন্যান্য ৯টি বিভাগীয় কর্মসূচির মতো যেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন এবং দলের পরবর্তী কর্মপন্থা ঘোষণা করবেন।
তবে দলের নেতারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেছেন, তারা যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চান। কারণ তারা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার এবং ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচির পর সরকারের পদত্যাগের দাবি আদায়ে আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করবেন।
আরও পড়ুন: আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘আমাদের ঢাকার সমাবেশ নিয়ে আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। এটি অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশের মতো। আমি জানি না কেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এবং কিছু মিডিয়া আমাদের চেয়ারপার্সনের সমাবেশে অংশগ্রহণের কথা বলছে। আমাদের স্থায়ী কমিটি কখনই এই বিষয়ে আলোচনা করেনি এবং আমাদের এমন কোনো পরিকল্পনাও ছিল না।’
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তারা তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন।
তিনি বলেন, কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করে তাদের আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে মোড় নেয়ার কোনো সুযোগ তারা দেবেন না। আমরা আওয়ামী লীগের ফাঁদে পা দেব না, কোনো বিবেকহীন পদক্ষেপ নেব না।গত ৮ অক্টোবর ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে।
দুই দিন পর বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, খালেদা জিয়া ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দেবেন এবং পরে দলের আরও কিছু নিম্ন-স্তরের নেতা আমান ও ফারুকের মতোই কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র নেতারা অবশ্য বলেছেন, খালেদাকে নিয়ে আমান ও ফারুকের বক্তব্য তাদের ব্যক্তিগত মতামত।এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শর্তসাপেক্ষে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া খালেদা ঢাকায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে যোগ দিলে আদালত ব্যবস্থা নেবে।
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে মুক্ত করা হয়েছে। কারণ তার পরিবার একটি আবেদন জমা দিয়েছে যে তিনি খুব অসুস্থ ছিলেন বলে তিনি চলাচল করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন যদি ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশে যোগ দেন, তাহলে প্রমাণ হবে যে তার পরিবারের আবেদনে যা লেখা ছিল তা মিথ্যা ছিল।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদাকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় জেল থেকে তার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ কয়েকবার বাড়িয়েছে সরকার। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন ৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপার্সন।
২৭ সেপ্টেম্বর ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি। ইতোমধ্যে আটটি বিভাগীয় সমাবেশ করেছে এবং নবম সমাবেশ শনিবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগরীতে বিশাল জনসমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করবে বিএনপি।
দলটি নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও ২৬ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সরকার।জানতে চাইলে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ঢাকার জনসভায় খালেদার অংশগ্রহণ গণমাধ্যম ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের জল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। ‘আমাদের দায়িত্বশীল নেতাদের কেউ এ বিষয়ে কথা বলেননি।’
লাখো মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশ সফল করতে তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। ‘এটি অবশ্যই একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হবে। আমাদের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সব ধরনের চক্রান্ত ও উসকানি সম্পর্কে সতর্ক থাকব আমরা।’
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের অংশ হিসেবে জনসভায় খালেদা জিয়াকে সম্পৃক্ত করে মন্তব্য করছেন।
‘ম্যাডাম (খালেদা) গৃহবন্দি এবং তিনি খুব অসুস্থ। আমরা কখনই বলিনি যে সে আমাদের প্রোগ্রামে অংশ নেবে। কিন্তু সরকার এই ইস্যুতে খারাপ খেলা খেলছে।’
‘আমরাও রাজধানীতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করব এবং তারপর বাড়ি ফিরব। আমাদের অন্য কোনো পরিকল্পনা নেই।’বৃহস্পতিবার পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি নেতা বলেন, নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে তারা তাকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। ‘আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে বদ্ধপরিকর। কোনো ভেন্যু নিয়ে আমাদের অন্য কোনো পরিকল্পনা নেই।’
আরও পড়ুন: খোলা মাঠ থাকতেও কেন সড়কে সমাবেশ: বিএনপিকে জয়ের প্রশ্ন
না’গঞ্জে বিএনপি-জামাত-গণঅধিকারের ১৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
৮৫০ দিন আগে