আগামী নির্বাচন
জনগণ আগামী নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ আগামী সাধারণ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, সঠিক সময়ে ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। তারা নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: কা বা ক্ষমতার জন্য নিজেকে বিক্রি করতে পারব না: জিএম কাদের
সোমবার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে ‘উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় জিএম কাদের বলেন, আসন্ন নির্বাচন জনগণের অগ্রাধিকার এবং আগামী দিনগুলোতে কী হবে তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
এর আগে অনুষ্ঠিত দুটি ডেমোক্রেসি সামিটে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ‘জার্মানি পরিচালিত ১২৯টি দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৮টি দেশে স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।’
তিনি বলেন, জরিপে বাংলাদেশ, লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডার সরকারকে ‘নতুন স্বৈরাচারী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দুইটি দল শুধু পূজা-নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘুদের নিয়ে চিন্তা করে: জিএম কাদের
নানা অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে: জিএম কাদের
১ বছর আগে
উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ায় আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে নবনির্মিত ১২ তলা জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘তার সরকার নারীদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেছে। সুতরাং এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকুক।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার দল ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ আজ গণতন্ত্র প্রত্যক্ষ করছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জনগণের অধিকার এখন নিশ্চিত হয়েছে, অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত হচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সরকার সর্বত্র নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি দেশের নারীদের অধিকারের জন্য অপেক্ষা না করে তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘শুধু বলবেন না, আমাদের অধিকার দাও, আমাদের অধিকার দাও। নারীদের নিজেদের অধিকার নিজেরাই অর্জন করতে হবে।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি সচিব নাজমা মোবারেক এবং জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজ খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে গিয়ে জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন এবং জয়িতা টাওয়ারে জামদানি গ্যালারি ও জয়িতা মার্কেট প্লেসের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড এভিয়েশন নেভিগেশন সার্ভিসের জন্য আইসিএওর সহায়তা কামনা প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আমিনবাজারে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে চুরি করার পথে যারাই হাত বাড়াবে, তারা কেউ রেহাই পাবে না।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বারবার বলা হচ্ছে, এই ভোট চুরির সঙ্গে যারা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকবেন, যারা দেখেও না দেখার ভান করছেন তারাও বাদ যাবেন না।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
তিনি আরও বলেন, ‘সবার বুকেই ধড়ফড় শুরু হয়ে গেছে। বাইরে দেখান খুব সাহসী, কিন্তু ভেতরে এত সাহস নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সেলফি প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, ‘ওয়াশিংটনে জাতিসংঘের সব কাজ শেষে বিশ্বের সব নেতারা বাড়ি চলে গেলেও আমাদের অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনে বসে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবস্থা বুঝতে পারছেন, কতটা খারাপ! কত খারাপ অবস্থা বুঝতে পারছেন, সেলফি তুলেও এখন কোনো কাজ হচ্ছে না। সেলফি তুলে কতদিন একটু ফুরফুরা মেজাজে ছিলেন, তারপর দেখা গেল স্যাংশন। আওয়ামী লীগ যে ভুয়া, সারা বিশ্ব বুঝে গেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলছি সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার এবং সংসদ হবে, যারা জনগণের কাছে দায়ী থাকবে, তাদের জবাবদিহি থাকবে।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশরাফের সভাপতিত্বে ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিপন রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
১ বছর আগে
বিএনপি এবার প্রস্তুতি নিয়েই নির্বাচনে আসবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যত কথাই বলুক না কেন আগামী নির্বাচনেও বিএনপিকে আসতে হবে।
বুধবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উন্নয়ন সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশা করি যে ২০১৮ সালের মতো নয়, তারা এবার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচনে আসবে।’
আরও পড়ুন: অ্যামনেস্টি'র বিবৃতি বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক: তথ্যমন্ত্রী
ঈদের পর সর্বশক্তি দিয়ে সরকার পতনে এক দফা আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ও মির্জা ফখরুলের মুখে এক দফার আন্দোলন আমরা সবসময় শুনতে পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু, উনারা কতটুকু আন্দোলন করতে পারবে, সেটা আমরা জানি। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব আমরা দেখেছি। সেটি আমরা সামাল দিয়েছি, সরকার পাঁচ বছর টিকেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ভিত জনগণের গভীরে প্রোথিত।’
আরও পড়ুন: বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আ. লীগের নাম লিখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
রাজনৈতিককর্মী, আর সন্ত্রাসী গুলিয়ে ফেলেছেন বিএনপি নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
নানামুখী ষড়যন্ত্রের কারণে আগামী নির্বাচন একটা চ্যালেঞ্জ: আ.লীগ নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, নির্বাচনের আগে নানামুখী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে আগামী নির্বাচনটা হবে একটা চ্যালেঞ্জ।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার (৫ জুন) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: টোকিওতে জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, বাংলাদেশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশটির প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সরকার নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের পক্ষে অবস্থান না নিলে নির্বাচন বয়কট করার অঙ্গীকার করেছে।
তবে সরকার এ দাবিকে অসাংবিধানিক বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যখনই দেশের মানুষের জীবনযাত্রার কিছুটা উন্নতি হয়, তখনই দেশে কিছু ‘কুলাঙ্গার’ আছে, যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং সর্বত্র মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, কিছু লোক আন্তর্জাতিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিদেশিদের সামনে বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা গল্প তুলে ধরে।
এসময় সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করে নাই, যারা গণহত্যা চালিয়েছে, লুটপাট করেছে, নারী ধর্ষণ, নির্যাতন করেছে তারা আছে, তাদের আওলাদ আছে তারা সারাক্ষণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেই যাচ্ছে।’
ভোট কারচুপি বিএনপির অভ্যাস উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে কারচুপি করা বিএনপির অভ্যাস। ভোট চুরি করা এটাই তাদের রেকর্ড। গণতন্ত্রহরণ করা এটাই তাদের রেকর্ড। তো ওদের মুখে এখন আবার আমরা গণতন্ত্র শুনি।”
তিনি বলেন, ‘যারা মিলিটারি ডিকটেটরের হাতে তৈরি দল তাদের কাছে গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়। তাদের কাছে ভোটের কথা শুনতে হয়। তো চুরি করা সবাই যাদের অভ্যস, তো চোরদের কাছে আমরা বাংলাদেশের জনগণ কি শুনবে, কি দেখবে।’
আ.লীগ সভানেত্রী তার দলের সদস্যদের দলকে আরও শক্তিশালী করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের দল যথেষ্ট শক্তিশালী। আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে সংগঠনটি আরও শক্তিশালী হয়।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর তার দল টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় এবং দেশে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার কারণে এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে বদলে দিতে চেয়েছিলাম। আজ আমরা সফলভাবে পরিবর্তন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো- গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্যের হার কমেছে। ঢাকা শহরে দারিদ্র্যের হার বেশি হলেও গ্রামাঞ্চলে কম। কেউ অতীতে এটি ভাবতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার রক্ষা করেছে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম, পরিবহন খরচ, গ্যাস, জ্বালানি ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
তিনি বলেন, বৈদেশিক ঋণের সুদের হার বাড়ানো হয়েছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তবে, এখনও একটি মজুদ রয়েছে যা পাঁচ মাসের জন্য খাদ্য সংগ্রহের জন্য যথেষ্ট।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় চাহিদা মেটাতে এবং রপ্তানি করার জন্য দেশে এক টুকরো জমিও অনাবাদি না রেখে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে বলেন।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বে এবং বাংলাদেশেও খাদ্যের দাম বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ ভুগছে। কিন্তু পণ্য পাওয়া যাচ্ছে (বাজারে) এবং কোনো জিনিসেরই অভাব নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এবারও ধান ও অন্যান্য ফসলের ভালো ফলন হয়েছে।
তিনি বলেন, পণ্যের দাম বাড়লেও সবজি, মাছ-মাংস সবকিছুই উৎপাদিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি তার সরকারের রেকর্ড সবচেয়ে বড় জাতীয় বাজেট হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এত বড় বাজেট অতীতে কেউ দিতে পারেনি।
এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই কঠিন সময়ে সরকার এমন বাজেট দিতে পেরেছে।
তিনি বলেন, বাজেটে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবং ভাতার আকার উভয়ই বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার একটি কার্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা করেছে যাতে নিম্নআয়ের লোকেরা তাদের ভোগান্তি লাঘব করতে ভর্তুকি মূল্যে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেলসহ কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
১ বছর আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ: আ.লীগের নির্বাচনী স্লোগান প্রকাশ করলেন কাদের
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মতে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের উন্নয়নের ধারাকে স্লোগান হিসেবে তুলে ধরবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। যা ভবিষ্যতে এর পরবর্তী ধাপকে মূল্যায়ণ করবে।
কাদের বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ করেছি। আমাদের চার লেনের মহাসড়ক, ছয় লেনের মহাসড়ক, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট রয়েছে। এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ' অর্জন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের জন্য স্লোগান নির্ধারণ করেছেন এবং তার শাসনামলে এটিই হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের মূল স্লোগান।’
শনিবার অপরাজেয় বাংলা স্মৃতিস্তম্ভের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যানজট নিরসনে সাবওয়ে নির্মাণের বিকল্প নেই: সেতুমন্ত্রী
ছাত্রলীগের কাউন্সিল সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ছাত্রলীগের বার্ষিক কাউন্সিলের পর কেন্দ্রীয় ইউনিট, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল কমিটি একত্রে ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ ও বিএনপির মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে আমরা ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের বার্ষিক কাউন্সিল পুনর্নির্ধারণ করেছি। ছাত্রলীগ তাদের (বিএনপিকে) কিছুই করবে না।’
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘আমরা তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তাদের পছন্দ হয়নি। তারা পল্টন পছন্দ করে, কারণ তারা সেখানে তাদের বাঁশ-লাঠি মজুদ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে বেশি নিরাপদ মনে করে।’
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত জায়গা কিন্তু ফখরুলের পছন্দ নয়, কারণ এটা স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে খাঁচা বলে সম্বোধন করেন ফখরুল।
তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে আগের নির্বাচনের সময় কেন খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন?
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ পল্টনকে ভয় পায় না, আওয়ামী লীগ বিএনপি নেতাকর্মীদের সহিংসতাকে ভয় পায়।
কাদের আরও বলেন, ‘তারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে আমরা শুধু দেখব না। আমরা তাদের সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘তারা যা কিছুই করুক, সংবিধান পরিবর্তন হবে না। এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারও গঠিত হবে না কারণ আইনত তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাস স্বাধীনতা ও বিজয়ের মাস।
আরও পড়ুন: কালনা সেতুর নাম এখন মধুমতি সেতু: সেতুমন্ত্রী
অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
১ বছর আগে