পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী
উন্নত রাষ্ট্র গঠনে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে: মন্ত্রী
সরকার উন্নত রাষ্ট্র গঠন করতে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার (২৬ মে) সকালে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে ‘সিটি করপোরেশন অবহিতকরণ প্রশিক্ষণ’ কোর্স আয়োজন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন।
উন্নত রাষ্ট্র গঠনে শক্তিশালী সরকার গঠন প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, `পৃথিবীতে যেসব দেশ উন্নত হয়েছে, তাদের শক্তিশালী সরকারের কারণেই তা সম্ভব হয়েছে। সরকার যত বেশি শক্তিশালী হয় জনগণের সুশাসন, ন্যায় বিচার, আকাঙ্ক্ষা তত বেশি উন্নত হয়। সরকার বলতে শুধু কেন্দ্রীয় সরকার নয়, স্থানীয় সরকারকেও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি শক্তিশালী করা না হয়, তাহলে আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের একাগ্রতা সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, জনপ্রতিনিধিরাই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে।’
উপস্থিত কাউন্সিলদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার অর্থকে এ দেশে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়। অনেকে মনে করেন, স্থানীয় সরকারকে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অর্থবিত্ত দেওয়া হবে, আর স্থানীয় সরকার সে অর্থ দিয়ে মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করবে। এটা মোটেও সঠিক নয়। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোর স্থানীয় সরকার আর্থিকভাবে স্বনির্ভর ছিল বলেই সমৃদ্ধি লাভ করতে পেরেছে। নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউটে (এনআইএলজি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে আরও ছিলেন- ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু ও এনআইএলজির মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়।
৬ মাস আগে
১২ সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৭ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয় এবং সরকার বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
সংসদে নোয়াখালী-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন ছাড়া অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৪০০-৩৬০০ মেট্রিক টন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ২১৩৫ মেট্রিক টন, সিলেট সিটি করপোরেশনে ৩৭৫ মেট্রিক টন, বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৫০০ মেট্রিক টন, খুলনা সিটি করপোরেশনে ১ হাজার মেট্রিক টন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ৩৫০ মেট্রিক টন, রংপুর সিটি করপোরেশনে ১২০ মেট্রিক টন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ১০০০ মেট্রিক টন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ২১০ মেট্রিক টন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৪০০০ মেট্রিক টন এবং ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন ৫০০ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়।
মন্ত্রী বলেন, মোট বর্জ্যের প্রায় ৩৯ শতাংশ আসে ঢাকা মহানগরীর দুই সিটি করপোরেশন থেকে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আরও পড়ুন: দেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ধরনের দুর্নীতি রয়েছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের অর্থায়নে ডব্লিউটিই পাওয়ার প্ল্যান্ট নর্থ ঢাকা প্রাইভেট লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আমিন বাজার ল্যান্ডফিলের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ছয়টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৩টি প্রস্তাব বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি কমিটি চারটি কোম্পানির প্রস্তাবনা নির্বাচন করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ চলছে।’
এছাড়া মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় মেডিকেল বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেডিকেল ইনসিনারেশন স্থাপনের জন্য 'ওয়েস্ট কনসার্ন'-এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
১০ মাস আগে
এসডিজি অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, এসডিজি অর্জনে সকলের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন, প্রত্যেকের স্বক্রিয় অংশগ্রহণ এসডিজি অর্জন ত্বরান্বিত করবে। তাই সরকার সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।
তিনি বলেন, দারিদ্রতা, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে স্থায়ী উন্নয়ন করতে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদে ধাপে ধাপে আগাতে হবে। প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি হাসপাতাল গড়ে তোলেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি হাসপাতাল কাজ করছে।
আরও পড়ুন: নিজ এলাকার মানুষের পাশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জন শুনানি, জাতীয় উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাস্তবতা’- শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে দুর্নীতি-সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সমস্যার শতভাগ সমাধান হয়নি। তবে বর্তমান সরকারের অনেক অর্জন রয়েছে। সমালোচনা করার সুযোগ থাকলেও এই সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন অস্বীকার করা উচিৎ নয়।
তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি বা ডিজিটাল বাংলাদেশ করা হয়। শতভাগ বিদ্যুৎ এই সুবিধা সকল নাগরিকের কাছে পৌঁছেছে। এখনো আমাদের উৎপাদনের এক শতাংশও কয়লাভিত্তিক না। মিশ্র জ্বালানি না হলে ভবিষ্যতে যে কোনো প্রতিকূলতা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই নিউক্লিয়ার, কয়লা, তরল জ্বালানি গ্যাস ও আমদানিকৃত গ্যাসে বিদুৎ উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর এবং সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এতে সভাপতিত্ব করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্রাকের সভাপতি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বিশিষ্ট নাট্যকার মামুনুর রশীদসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আরও পড়ুন: আবুল মুহিত ছিলেন আলোকিত সফল মানুষ: তাজুল ইসলাম
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
২ বছর আগে