কোয়ার্টার ফাইনাল
বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান
ইন্টারের ডেরা থেকে জয় নিয়ে যাওয়া যে ভীষণ কঠিন, তা জেনেও অদম্য উদ্যোমে সেই অসাধ্য সাধন করতে চেয়েছিলেন হ্যারি কেইন-থমাস মুলাররা। তবে শত চেষ্টা করেও সাফল্যের দেখা পাননি তারা। এগিয়ে যাওয়ার পর উল্টো পিছিয়ে পড়ে পরে ম্যাচ ড্র করলেও সামগ্রিক ফলাফলে পিছিয়ে থাকায় বিদায় নিতে হয়েছে বাভারিয়ানদের।
বুধবার রাতে ইতালির সান সিরো স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
তবে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বায়ার্নের ২-১ গোলের হারই দুই লেগের এই লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। আর ৪-৩ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠে গেছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা।
এদিন প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে পরিষ্কার এগিয়ে থাকলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় বায়ার্ন। ইন্টার মাত্র একটি শট লক্ষ্যে রাখলেও তা থেকে সফলতা পায়নি। ফলে স্কোরবোর্ড অপরিবর্তিত রেখেই বিরতিতে যায় দুদল।
বিরতি থেকে ফিরেই গোল করে দলকে অগ্রগামিতায় সমতায় ফেরান কেইন। তবে ৫২ মিনিটে করা ওই গোলের আনন্দ ম্লান হয়ে যায় ছয় মিনিট পরই। ম্যাচের ৫৮ ও ৬১তম মিনিটে যথাক্রমে লাউতারো মার্তিনেস ও বায়ার্ন ছেড়ে গত গ্রীষ্মে ইন্টারে যোগ দেওয়া বেনিয়ামিন পাভার্দ বল জালে পাঠালে চকিতে দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে জার্মানরা।
ইন্টারের জার্সিতে এদিন প্রথম গোলের দেখা পান পাভার্দ, আর সেটিও তার পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে। আর টানা পাঁচ ম্যাচ জালের দেখা পেয়ে ইন্টার খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড গড়ে ফেলেন লাউতারো। ক্লাবটির ইতিহাসের প্রথম কোনো খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার কীর্তি গড়ল।
৭৬তম মিনিটে অবশ্য এরিক ডায়ার গোল পেলে ফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বায়ার্ন, কিন্তু ইন্টারের অভেদ্য রক্ষণ আর সুযোগ পেলেই পাল্টা আক্রমণ দলটিকে অলআউট আক্রমণে উঠতে দেয়নি। ফলে গোলও আর পাওয়া হয়নি। এর ফলে হতাশা সঙ্গী করে ঘরে ফিরতে হয় ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যদের।
আর এর সঙ্গে শেষ হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে থমাস মুলারের বর্ণিল এক অধ্যায়। বায়ার্ন মিউনিখে এটিই যে শেষ মৌসুম, তা তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন আগেই। এবার হেরে বিবর্ণ বিদায় নিতে হলো বছরের পর বছর ধরে বায়ার্নকে সেবা দিয়ে আসা এই সৈনিককে।
১ দিন আগে
ব্যাপক তোড়জোড় করেও হেরে গেল রিয়াল, সেমিফাইনালে আর্সেনাল
ফিরে আসার নানা গল্প, একের পর এক ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়, বের্নাবেউয়ের ছাদ অবরুদ্ধ করে ম্যাচের আয়োজন—সব বৃথা গেল রিয়াল মাদ্রিদের। যাবে না-ই বা কেন, আসল যে কাজ, অর্থাৎ মাঠের খেলায় যা করে দেখানোর দরকার ছিল, সেটাই যে করতে পারেনি তারা। উল্টো শেষদিকে গোল খেয়ে আবারও হেরে নিদারুণ এক বিদায় নিতে হয়েছে দলটির।
বুধবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি আর্সেনালের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
এই ফলাফলে সামগ্রিক লড়াইয়ে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৫-১-এ। এমিরেটস স্টেডিয়ামে গত সপ্তাহে ৩-০ গোলে হেরেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের প্রথমার্ধে দুই দলই একটি করে পেনাল্টি পেলেও বাজে শট নিয়ে থিবো কোর্তোয়ার হাতে ধরা পড়েন বুকায়ো সাকা। কিছুক্ষণ পর এমবাপ্পেকে পেনাল্টি দিয়েও পাঁচ মিনিটের দীর্ঘ ভিএআর রিভিউ শেষে তা বাতিল করে দেন রেফারি।
৩ গোলের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্যে মাঠে নামলেও প্রথমার্ধে গোল করা তো দূরের কথা, গোলে একটি শটও নিতে পারেনি রিয়াল। পক্ষান্তরে চারটি শটের তিনটিই লক্ষ্যে রাখে আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি করে শট লক্ষ্যে রাখে দুদলই, তবে তা থেকে আর্সেনাল দুটি ও রিয়াল একটিকে গোলে পরিণত করতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করেও হতাশ গিরাসি, হেরেও সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে প্রথম স্কোরবোর্ডে পরিবর্তন আনেন আর্সেনাল উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। এর দুই মিনিট পর নিজেদের ভুলে ভিনিসিয়ুসের কাছে গোল খায় লন্ডনের দলটি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।
এর ফলে আর্সেনালের বিপক্ষে প্রথম জয়ের খোঁজ আরও দীর্ঘ হলো রিয়ালের। সেইসঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই এবার বিদায় নিতে হলো গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
অন্যদিকে, ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল আর্সেনাল। ২০০৮/০৯ মৌসুমে আর্সেন ওয়েঙ্গার সবশেষ দলটিকে ইউরোপের এলিট এই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে তুলেছিলেন।
অপর ম্যাচে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে প্রথম লেগ ২-১ গোলে হারায় সামগ্রিক লড়াইয়ে ৪-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চার নিশ্চিত করেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
আরও পড়ুন: বায়ার্নকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি মৌসুমের সেরা চার দল নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে আগামী ২৯ এপ্রিল ঘরের মাঠে পিএসজিকে আতিথ্য দেবে আর্সেনাল এবং পরের রাতে বার্সেলোনার মাঠে খেলতে নামবে ইন্টার।
পরের সপ্তাহে ৬ মে ইন্টার-বার্সা এবং ৭ মে পিএসজি-আর্সেনালের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
১ দিন আগে
২৭ সেকেন্ডের গোলে ম্যাচ জিতেও টাইব্রেকারে আতলেতিকোর হার, কোয়ার্টারে রিয়াল
১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় লেগ খেলতে নামা আতলেতিকো মাদ্রিদ ম্যাচ শুরু হতেই পেয়ে গেল সমতাসূচক গোল। সেই গোলে ম্যাচটি জিতলেও টাইব্রেকারে কপাল পুড়েছে দলটির। আর পুরো ম্যাচজুড়ে গোল না পেলেও টাইব্রেকারে দুবার ভাগ্য সহায়তায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় বুধবার (১২ মার্চ) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচটি নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারে কার্লো আনচেলত্তির দল।
ম্যাচের ২৭তম সেকেন্ডে রদ্রিগো দে পলের গোলমুখে বাড়ানো ক্রস জালে জড়িয়ে দিয়ে আতলেতিকোকে এগিয়ে নেন কনর গ্যালাগার। এরপর ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে রিয়ালকে পেনাল্টি দিয়ে বসেন ক্লেমন লংলে। তবে সেই পেনাল্টি শটটি উড়িয়ে মেরে গোল করতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
এরপর আর কোনো গোল না হলে অগ্রগামিতায় ১-১ সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা। পরে অতিরিক্তি ৩০ মিনিটেও দুদলের কেউ গোল করতে না পারলে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
এরপর দুই দলই নিজেদের প্রথম দুটি স্পট কিকে সফল হলেও হুলিয়ান আলভারেসের নেওয়া শটে আতলেতিকোর দ্বিতীয় গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর।
কিক নেওয়ার মুহূর্তে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুখেও বল ঠিকানায় পাঠাতে সক্ষম হন হুলিয়ান, কিন্তু ভিএআর জানায়, কিক নেওয়ার সময় তার দুই পা-ই বলে স্পর্শ করেছে। ফলে গোলটি বাতিল করে দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে আতলেতিকো।
তৃতীয় কিকে দুই দলই সফল হওয়ার পর রিয়ালের চতুর্থ কিকটি ফিরিয়ে দেন ইয়ান ওবলাক। ফলে ফের ৩-৩ সমতায় ফেরার সুযোগ তৈরি করে দলটি। কিন্তু মার্কোস ইয়োরেন্তের নেওয়া আতলেতিকোর তৃতীয় শটটি ক্রসবারে লেগে মাটিতে আছড়ে পড়েও বাইরে চলে আসে। ফলে সমতায় ফেরা আর হয়ে ওঠে না তাদের।
এরপর আন্টোনিও রুয়েডিগারের চতুর্থ শটটি ওবলাকের হাতে লাগলেও তিনি তা ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি। ফলে ৪-২ গোলে জয় নিশ্চিত করে উল্লাসে মাতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা।
দিনের অপর ম্যাচে পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেও ৯-৩ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করা আর্সেনালের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে লিভারপুলকে টাইব্রেকারে হারানো পিএসজি কোয়ার্টারে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে। প্রথম লেগে ৩-১ গোলে জয়ের পর ফিরতি লেগেও ৩-০ গোলে জিতে ৬-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে উনাই এমেরির দল।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
নকআউটের অপর পাশে থাকা বার্সেলোনা শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ পেয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। প্রথম লেগে ১-১ গোলে সমতার পর ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে লিলের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে নিকো কোভাকের শিষ্যরা। আর ফিরতি লেগে ফেয়েনুর্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা ইন্টার মিলান পড়েছে বায়ার্ন মিউনিখের সামনে।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ ও ৯ এপ্রিল। এরপর ১৫ ও ১৬ এপ্রিল হবে ফিরতি লেগের ম্যাচ।
৩৬ দিন আগে
টাইব্রেকারে হেরে লিভারপুলের বিদায়, শেষ আটে পিএসজি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বে দাপুটে পারফরম্যান্স দিলেও নকআউটে এসে নিজেদের হারিয়ে ফেলল লিভারপুল। প্রথম লেগে কোনোমতে জিতলেও ফিরতি লেগে আর পারল না। এরপর টাইব্রেকারেও হেরে বিদায় নিতে হলো আর্নে স্লটের দলকে।
অ্যানফিল্ডে মঙ্গলবার রাতে ইউরোপের এলিটদের প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পিএসজির কাছে ১-০ গোলে হারে লিভারপুল। এরপর ১-১ অগ্রগামিতায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও ব্যবধান গড়তে ব্যর্থ হয় উভয় দল। পরে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে লুইস এনরিকের দলের কাছে হেরেছে মার্সিসাইড কাউন্টির দলটি।
এর ফলে প্রথম পর্বের শুরুর দিকে তিনটি ম্যাচে হেরে এবং একটিতে ড্র করে যেখানে শেষ ষোলো খেলার সম্ভাবনাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল পিএসজির। নতুন বছরে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারাই টুর্নামেন্টের সেরা দলকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল।
অপরদিকে, টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত মাত্র একটি ম্যাচ হেরেই বিদায় নিতে হলো লিভারপুলের।
প্রথম লেগে ১-০ গোলে হারের পর জিততে মরিয়া হয়ে ফিরতি লেগে মাঠে নামে পিএসজি। শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে তারা। এর ধারাবাহিকতায় ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে গোল করে অগ্রগামিতায় দলকে সমতায় ফেরান উসমান দেম্বেলে।
আরও পড়ুন: ২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
এরপর দুই দলই চেষ্টা করেছে বেশ কয়েকবার, বারবার ভীতি ছড়িয়েছে প্রতিপক্ষের রক্ষণে, কিন্তু জয়সূচক গোলের দেখা আর পাওয়া হয়ে ওঠেনি। পরে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালেও অব্যাহত থাকে একই ধারা। শেষে টাইব্রেকারের দারস্থ হতে হয়।
টাইব্রেকারে প্রথম শটে উভয় দলই সফল হলেও লিভারপুলের পরের দুটি শট ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা। আর পিএসজি তাদের প্রথম চারটি শটের সবগুলো গোলে পরিণত করলে ৪-১ ব্যবধানে তাদের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এখন আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে চলা ক্লাব ব্রুজ ও অ্যাস্টন ভিলার মধ্যকার ম্যাচটির দিকে তাকিয়ে থাকবে এনরিকের শিষ্যরা। যদিও প্রথম লেগে ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকায় ভালো অবস্থানে রয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা, তারপরও দুই লেগ মিলিয়ে বিজয়ী দলটির সঙ্গে আগামী ৮ বা ৯ এপ্রিল কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মাঠে নামবে প্যারিসের দলটি।
দিনের অপর ম্যাচে বেনফিকাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৪-১ অগ্রগামিতায় শেষ আট নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। এছাড়া ২-০ গোলে জিতে অগ্রগামিতায় ৫-০ ব্যবধানে লেভারকুজেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন: লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
শেষ আট নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলানও। ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডে বিপক্ষে ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতেছে সিমোনে ইনজাগির দল। এর ফলে ৪-১ অগ্রগামিতায় পরের ধাপে পৌঁছেছে মিলানের দলটি। ৮ বা ৯ এপ্রিল সেমিফাইনালের লড়াইয়ে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখকে।
৩৭ দিন আগে
লামিন, রাফিনিয়ার রেকর্ডের রাতে সবার আগে কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
প্রথম লেগে একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে প্রায় পুরো ম্যাচজুড়ে ভুগতে থাকার পরও কোনোমতে ১-০ গোলে জেতার পর ফিরতি লেগে যেন সব ক্ষোভ উগরে দিল বার্সেলোনা। তাতে পুড়ে অঙ্গার হয়ে শেষ ষোলো থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় দিল বেনফিকা, আর সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
কাতালুনিয়ার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে পর্তুগিজ দলটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। এর ফলে ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে উঠেছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের সবগুলো গোলই এসেছে প্রথমার্ধে। বার্সার তিনটি গোল আসে ১১, ২৭ ও ৪২তম মিনিটে। এর মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় গোলটি করেন রাফিনিয়া। আর বাকি গোলটি আসে লামিন ইয়ামালের পা থেকে।
অপরদিকে বেনফিকার একমাত্র গোলটি করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।
এর ফলে নতুন বছরে অপরাজেয় যাত্রায় অব্যাহত রাখল বার্সেলোনা। টানা ১৭ ম্যাচ হারেনি দলটি।
ম্যাচজুড়ে এদিন মোট ২০টি শট নেয় বার্সেলোনা, যার প্রথমার্ধে নেওয়া ৬টি শট ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, আটটি শট নিয়ে মাত্র দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বেনফিকা। বল দখলের লড়াইয়েও ছিল বার্সেলোনার প্রত্যাশিত আধিপত্য। দলটির ৬৫ শতাংশ পজেশনের বিপরীতে বেনফিকার ছিল ৩৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল ১০ জনের বার্সেলোনা
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই কেউ কাউকে ছেড়ে কথা না বলার ইঙ্গিত দিলেও প্রথম শটটি নেয় বার্সেলোনা। পেদ্রির বাড়ানো পাস ধরে ষষ্ঠ মিনিটে গোলে শট নেন লামিন, তবে সহজেই তা লুফে নেন বেনফিকা গোলরক্ষক আনাতোলি ত্রুবিন।
দশম মিনিটে লামিনের পাস ধরে বক্সের মাঝ থেকে লেভানডোভস্কির নেওয়া আরও একটি শট প্রতিহত করেন ত্রুবিন। তবে পরের মিনিটে আর জাল অক্ষত রাখতে পারেননি এই ইউক্রেনীয় গোলরক্ষক।
একাদশ মিনিটে ডান পাশ দিয়ে প্রতিপক্ষের কয়েক খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে বক্সে ঢুকেই বিপরীত পাশ দিয়ে এগোতে থাকা রাফিনিয়াকে লক্ষ্য করে একটি নিখুঁত ক্রস বাড়ান লামিন। এরপর ট্যাপ-ইনে তা ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া রাফিনিয়ার জন্য ছিল জলের মতো সরল।
৩৭ দিন আগে
দুর্দান্ত বায়ার্নের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল লেভারকুজেন
সেই ২০২২ সালের অক্টোবরে শাবি আলোনসো দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বুন্দেসলিগায় দাপট দেখানো বায়ার্নের বিপক্ষে অজেয় হয়ে উঠেছিল লেভারকুজেন। তবে আড়াই বছরের বেশি সময় পর দলটি এমনভাবে হারল যে তা অসহায় আত্মসমর্পণের মতো হয়ে গেল।
আলিয়ান্স আরেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে বায়ের লেভারকুজেন।
এই হারের ফলে দলটির কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্নও মলিন হয়ে গেছে। টুর্নামেন্টে নিজেদের যাত্রা আরও দীর্ঘায়িত করতে হলে আগামী মঙ্গলবার ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে অসাধ্য সাধন করতে হবে আলোনসোর শিষ্যদের।
এদিন ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি লেভারকুজেন। ম্যাচজুড়ে মাত্র ৩৫ শতাংশ পজেশন ধরে রাখা লেভারকুজেন প্রথমার্ধে তিনটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে কোনো শটই নিতে পারেনি। অন্যদিকে, ৬৫ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখে ম্যাচজুড়ে মোট ১৭টি শট নেয় বায়ার্ন। এর মধ্যে লক্ষ্যে রাখা ৬টি শটের তিনটি থেকে গোল আদায় করে নেয় তারা।
ম্যাচের নবম মিনিটেই হ্যারি কেইনের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে (৫৪তম মিনিটে) ব্যাবধান বাড়ান জামাল মুসিয়ালা।
এর আট মিনিট পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে নর্ডি মুকিয়েলে মাঠ ছাড়লে বাকি সময়ের জন্য ১০ জনের দলে পরিণত হয় লেভারকুজেন। পরে পেনাল্টি থেকে তৃতীয় গোলটি করে আলোনসোর শিষ্যদের আরও হতাশ করেন কেইন।
দিনের অপর ম্যাচে শুরুর দিকে দশজনের দলে পরিণত হয়েও বেনফিকার মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ঘরে ফিরেছে বার্সেলোনা। এছাড়া, ম্যাচ একপেশে করে ফেলেও লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে পিএসজি।
এর আগে, দিনের প্রথম ম্যাচে ফেয়েনুর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারের পথ পরিষ্কার করেছে ইন্টার মিলান।
আরও পড়ুন:
> অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল দশজনের বার্সেলোনা
> ২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
> ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
৪৩ দিন আগে
২৭ শট নিয়েও ব্যর্থ পিএসজি, লিভারপুলের বাজিমাত
ম্যাচজুড়ে ২৭টি শট নিয়ে তার দশটি লক্ষ্যে রেখেও গোল আদায় করতে পারল না প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি), অন্যদিকে মাত্র দুটি শটের একটি লক্ষ্যে রেখেই বাজিমাত করে এগিয়ে গেল লিভারপুল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচটির সারাংশ অনেকটা এমনই।
প্যারিসে বুধবার নিজেদের মাঠে লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লুইস এনরিকের দল।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে গোল করে উল্লাসে ফেটে পড়েন হার্ভি এলিয়ট। বদলি নামার ৪৭ সেকেন্ড পরই গোল করে আর্নে স্লটের তুরুপের তাস বনে যান ২১ বছর বয়সী এই ইংলিশ স্ট্রাইকার।
প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে আট ম্যাচ খেলে একটিও গোল করতে না পারা এলিয়ট চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫ ম্যাচ মাঠে নেমেই তিনটি গোল করে ফেললেন।
আরও পড়ুন: ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
এছাড়া চলতি মৌসুমে আগুনঝরা ফুটবল উপহার দিয়ে চলা মোহাম্মদ সালাহ এদিন ছিলেন একেবারে নিষ্প্রভ। ছয় সপ্তাহ পর তিনি প্রথমবার কোনো ম্যাচে গোল বা অ্যাসিস্ট—কোনোটিই করতে ব্যর্থ হলেন।
তবে ৫-৬টি দুর্দান্ত সেভের পাশাপাশি মোট ৯টি সেভ করে লিভারপুরের জয়ে বড় অবদান রাখেন গোলরক্ষক আলিসন বেকার।
এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইংলিশ ক্লাবটির অজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল। এ পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে তার মাত্র একটি ড্র করে বাকি আট ম্যাচই জিতে নিয়েছে লিভারপুল।
অন্যদিকে, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২০ ম্যাচ (১৮ জয়, ২ ড্র) অপরাজিত থাকার পর অবশেষে হারের তেতো স্বাদ পেল পিএসজি।
অবশ্য ম্যাচের ২০তম মিনিটে একটি গোল পেয়েছিল পিএসজি, কিন্তু অফসাইডের কারণে খিচা কেভারাত্সখেলিয়ার (কেভারা) সেই গোলটি বাতিল করে দেয় ভিএআর। পরে শত চেষ্টা করেও আর ভাগ্য বদলাতে পারেনি তারা।
নাটকীয় এই ম্যাচ শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে রইল লিভারপুল। আগামী মঙ্গলবার অ্যানফিল্ডে হবে ফিরতি লেগ।
আরও পড়ুন: অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল দশজনের বার্সেলোনা
দিনের অপর ম্যাচে শুরুর দিকে দশজনের দলে পরিণত হয়েও বেনফিকার মাঠ থেকে ১-০ গোলে জিতে ঘরে ফিরেছে বার্সেলোনা।
এছাড়া, লিগ প্রতিদ্বন্দ্বী বায়ের লেভারকুজেনকে পাত্তাই দেয়নি বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যাচটি তারা জিতেছে ৩-০ গোলে। এর ফলে টানা ছয় ম্যাচ ব্যর্থ হওয়ার পর শাবি আলোনসোর দলকে অবশেষে হারাতে সক্ষম হয়েছে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যরা।
এর আগে, দিনের প্রথম ম্যাচে ফেয়েনুর্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারের পথ পরিষ্কার করেছে ইন্টার মিলান।
৪৩ দিন আগে
অসীম ধৈর্য্য ও স্টান্সনির কৃতিত্বে জিতে ফিরল ১০ জনের বার্সেলোনা
শুরুতেই দশজনের দলে পরিণত হয়ে গত মৌসুমের মতো আরও একবার বিপর্যয়ের আশঙ্কা জাগিয়েছিল বার্সেলোনা, তবে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া দলটি এদিন দিল অসীম ধৈর্যে্যর পরীক্ষা। সেইসঙ্গে প্রতিপক্ষের অসংখ্য শটের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন অবসর ভেঙে বার্সেলোনায় খেলতে আসা পোলিশ গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনি। সব মিলিয়ে বিপদে হাল না ছেড়ে দুরন্ত বেনফিকাকে রুখে দিয়ে জয় নিয়ে ঘরে ফিরেছে কাতালান জায়ান্টরা।
বার্সেলোনার পাওয়া লাল কার্ডের সুযোগ নিতে কতটা মরিয়া ছিল পর্তুগলের ক্লাবটি, তা পরিসংখ্যানের ওপর চোখ মেললেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ম্যাচজুড়ে মোট ২৬টি শট নিয়ে তার আটটি লক্ষ্যে রাখে তারা। সেখানে ১০টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা।
অবশ্য আটটি শট নিলেও সেগুলোর অধিকাংশই ছিল গোল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু স্টান্সনির দৈবিক পারফরম্যান্সের সামনে বেনফিকার খেলোয়াড়দের অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে বারংবার।
আটটি গোল সেভ করে নিজেদের জাল অক্ষত রেখেও ম্যাচসেরার মুকুটটি ওঠেনি স্টান্সনির মাথায়। তবে ম্যাচের সব আলো কেড়ে নিয়ে সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন তিনি। এছাড়া অবসর থেকে ফিরে বার্সেলোনার জার্সি গায়ে জড়িয়ে নিজের অপরাজেয় যাত্রাটি আরও একবার দীর্ঘ করে নিলেন এই গোলরক্ষক। অবসর থেকে ফেরার পর এখন পর্যন্ত গ্লাভস পরে মাঠে নেমে হারেননি তিনি।
এছাড়া, ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর এই প্রথম কোনো বার্সেলোনা গোলরক্ষক চ্যাম্পিয়ন্স লিগের একটি ম্যাচে আটটি সেভ করে ক্লিনশিট ধরে রাখল।
এবার আসা যাক খেলার ফলাফলে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচ খেলতে লিসবনে বার্সেলোনাকে আতিথ্য দেয় বেনফিকা। রাফিনিয়ার ৬১তম মিনিটের গোলে ম্যাচটি ১-০ ব্যাবধানে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
৪৩ দিন আগে
ফেয়েনুর্ডকে হারিয়ে শেষ আটে এক পা ইন্টারের
তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পাওয়ায় ইন্টার মিলানের কোয়ার্টার ফাইনালের পথ কিছুটা সহজ হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার মাঠের খেলায়ও দেখা গেল তার প্রতিফলন।
বুধবার রাতে রটারডামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্ডকে তাদের মাঠেই ২-০ গোলে হারিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলান।
ম্যাচের দুই অর্ধে ৩৮ ও ৫০তম মিনিটে গোলদুটি করেন যথাক্রমে মার্কাস থুরাম ও লাউতারো মার্তিনেস। ৬৫তম মিনিটে একটি পেনাল্টিও পেয়েছিল দলটি, তবে সেটি গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হন পিওতর জেলেনস্কি।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
ম্যাচজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করা ইন্টার এদিন ৫৮ শতাংশ সময় বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে গোলের উদ্দেশে মোট ১৩ শট নেয়, যার সাতটি লক্ষ্যে রাখতে সক্ষম হয় দলটি।
অন্যদিকে, তুলনামূলক শক্তিশালী ইন্টারকে মোটেও ছেড়ে কথা বলেনি স্বাগতিকরা। আটটি শট নিয়ে তার পাঁচটি লক্ষ্যে রাখে তারা। তবে গোলের দেখা পায়নি কোনোভাবেই।
এই জয়ে শেষ আটের পথ সুগম হয়েছে ইতালিয়ান দলটির। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে খেলার সুযোগ পাবে তারা। ফলে ওই ম্যাচটি জিতে কিংবা ড্র করে, এমনকি এক গোলের ব্যবধানে হেরে গেলেও কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে নেরাজ্জুরিদের।
৪৩ দিন আগে
বেতিসকেও ৫ গোল দিয়ে কোপা দেল রের কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে গত রবিবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিল বার্সেলোনা, কোপা দেল রের ম্যাচে বেতিসের বিপক্ষে যেন সেখান থেকেই শুরু করল তারা। আর কাতালানদের পারফরম্যান্সের আগুনে রিয়ালের মতো পুড়ে ছাই হলো মানুয়েল পেল্লেগ্রিনির শিষ্যরা।
বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ম্যাচে রিয়াল বেতিসকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ফলে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল পাঠাল দলটি।
এদিন বার্সেলোনার হয়ে গোলের দেখা পেয়েছেন পৃথক পাঁচ ফুটবলার— গাভি, জুল কুন্দে, রাফিনিয়া, ফেররান তোরেস ও লামিন ইয়ামাল। অন্যদিকে, পেনাল্টি থেকে বেতিসের একমাত্র গোলটি করেন বার্সা থেকে ধারে খেলা ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিতর রকে।
সুপার কাপ এল ক্লাসিকোর পর এদিন আরও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন লামিন ইয়ামাল। ম্যাচসেরার পুরস্কারও তাই উঠেছে তার হাতেই।
আরও পড়ুন: রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
গাভির গোলে ম্যাচের শুরুতেই এদিন এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তৃতীয় মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দানি অলমোকে দারুণ একটি পাস বাড়ান পেদ্রি, বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকতে থাকা গাভিকে ডিফেন্সচেরা পাস দেন সম্প্রতি নিবন্ধন জটিলতায় পড়া এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, আর তা থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী গাভি।
তিন মিডফিল্ডারের নৈপুণ্যে গোল পেয়ে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বার্সেলোনা। অষ্টম মিনিটে জুল কুন্দের বক্সের মধ্যে পাঠানো বল ধরে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে শট নেন অলমো। তবে অসাধারণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ঠেকিয়ে দেন বেতিস গোলরক্ষক ফ্রান ভিয়েইতেস।
আক্রমণের মালা গাঁথার একপর্যায়ে অলমোর আরও একটি শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ২০তম মিনিটে নেওয়া ওই শটটি ফিরে এলে তা পেয়ে যান রাফিনিয়া, কিন্তু তিনিও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন।
তবে এর সাত মিনিট পর দুর্দান্ত বার্সেলোনাকে আর আটকে রাখতে পারেনি বেতিসের ডিফেন্ডাররা। এবারও গোলের কারিগর সেই পেদ্রি।
মাঝমাঠের কিছুটা সামনে থেকে এগোতে থাকা কুন্দের উদ্দেশে পাস দেন পেদ্রি, তবে তা না ধরে ডামি দিয়ে দ্রুত বক্সে ঢুকে পড়েন এই উইংব্যাক। আর পেছনে থাকা লামিন ইয়ামাল প্রথম ছোঁয়াতেই দারুণ এক ফ্লিকে কুন্দের কাছে পাঠিয়ে দেন বল। তা নামিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ২৬ বছর বয়সী ফরাসি ডিফেন্ডার।
এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা চার মিনিটের প্রথম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করে বেতিস। তবে সেই শটটি দিক পরিবর্তন করলেও বিপরীত দিকে পড়তে পড়তে হাত উঁচু করে কোনোরকমে তা ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ইনিয়াকি পেনিয়া।
শেষ মিনিটে লামিন-কুন্দে যুগলবন্দীতে আরও একটি গোল পায় বার্সেলোনা, তবে ভিএআর রিভিউতে অফসাইড ধরা পড়লে ব্যবধান ২-০ রেখেই বিরতিতে যায় সদ্য স্প্যানিশ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়নরা।
৯২ দিন আগে