কোয়ার্টার ফাইনাল
নেশন্স লিগের শেষ আটের ড্র: কে কাকে পেল, কী সমীকরণ
গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে আগেই, এবার নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র এবং ফাইনালের পথ স্পষ্ট করে দিল উয়েফা।
শুক্রবার নেশন্স লিগের চলতি মৌসুমের ‘রোড টু ফাইনাল’ নির্ধারণ করে কোয়ার্টার ফাইনালের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সম্প্রতি দারুণ ছন্দে থাকা নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। এছাড়া ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়ার, জার্মানি ইতালির এবং ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।
দুই লেগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের ২০ মার্চ। এর তিন দিন পর দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ শেষে সেমি ফাইনালের চার দল নিশ্চিত হবে। এরপর আগামী ৪ ও ৫ জুন সেমি ফাইনাল এবং ৮ জুন ফাইনালের পর শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে বিজয়ী দল।
চ্যাম্পিয়ন স্পেনের সামনে নেদারল্যান্ডস
শিরোপা ধরে রাখতে এবারও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে স্পেনের। কোয়ার্টারে এবার তাদের প্রতিপক্ষ রোনাল্ড কুমানের নেদারল্যান্ডস।
ডাচদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কুমানের অধীনে দারুণ পারফর্ম করে চলেছে দলটি। সবশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমি ফাইনালে উঠেছিল ডাচরা। তার আগে গত বিশ্বকাপে কোয়ার্টারে উঠে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার কাছে হারে তারা।
চলতি মৌসুমে নেশন্স লিগেও দারুণ ছন্দে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। হাঙ্গেরি ও জার্মানির মতো দলগুলোর সঙ্গে এক গ্রুপে পড়ে প্রথম ম্যাচেই জার্মানির কাছে হেরে বসে ডাচরা। তবে তারপর অপরাজিত থেকে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে কুমানের শিষ্যরা।
ফলে সম্প্রতি দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও ডাচ বাধা পেরোনো সহজ হবে না ইউরো ও নেশন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্পেনের।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ-ইউরো-নেশন্স লিগ জেতা একমাত্র ফটুবলার অবসরে
এছাড়া চোটের কারণে বারবার স্কোয়াডে পরিবর্তন এনে দল সাজাতে হচ্ছে লুইস দেলা ফুয়েন্তের। চোট নিয়ে ইতোমধ্যে চলতি মৌসুমের জন্য ছিটকে গেছেন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দানি কারভাহাল ও রদ্রি।
তবে তরুণ এবং ফর্মে থাকা স্পেনের যেকোনো ফুটবলারকে জাতীয় দলে ডাক দিয়ে বারবার ফল নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে দেখা গেছে স্পেন বসকে। ফলে এই দুই দলের লড়াইটা দর্শকের জন্য হবে দর্শনীয়।
ফিরছে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল
শেষ আটের ড্রয়ে এবার মুখোমুখি হতে চলেছে ক্রোয়েশিয়া ও ফ্রান্স। এর ফলে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে, তা-ও একবার নয়, দুবার।
ফ্রান্সের কাছে সেবার ৪-২ গোলে হেরে ক্রোয়েশিয়ার স্বর্ণযুগের খেলোয়াড়দের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর পর এবার সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছে ক্রোয়াটদের সামনে।
অবশ্য ভালো পারফর্ম করলেও ক্রোয়েশিয়ার সেই দল এখন আর নেই। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই অবসরে চলে গেছেন। তবে এখনও লুকা মদ্রিচ, মার্সেলো ব্রোজোভিচের মতো অভিজ্ঞরা দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে আন্দ্রেই ক্রামারিচ, মাতেও কোভাচিচ, ইয়োস্কো গেভারদিওলের মতো প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার থাকায় গ্রুপ পর্বের চ্যালেঞ্জ উতরে এসেছে জ্লাতকো দালিচের দল।
অপরদিকে, দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় থাকলেও ফর্মহীনতা, চোট ও সমন্বয়ের অভাবে ইউরোর পর থেকেই ধুঁকতে দেখা গেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যদের। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ইতালির কাছে হারের পর সবশেষ পাঁচ ম্যাচ জিতলেও দলের বড় তারকারা নিজেদের নামের প্রতি এখনও সুবিচার করতে পারেননি। ফলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ভালো কিছু করতে মুখিয়ে থাকবেন কিলিয়ান এমবাপে, উসমান দেম্বেলের মতো তারকারা।
গ্রুপের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে ইসরায়েলের কাছে ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র করলেও শেষ ম্যাচে ইতালিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে তাদেরই টপকে গ্রুপ সেরা হয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে ফ্রান্স।
শেষ চার ম্যাচেই দলের সঙ্গে ছিলেন না এমবাপে। চোটে আক্রান্ত না হলে কোয়ার্টার ফাইনালে তাকে দলে ফেরাতে পারেন দেশম। ফলে কৌশল দিয়েই দুর্দান্ত এই দলটিকে মাত করতে হবে মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়ার।
৩ সপ্তাহ আগে
হেরে ব্রাজিল কোচ বললেন, আরও সময় প্রয়োজন
উরুগুয়ের কাছে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র দলের আরও উন্নতি করার জায়গা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। এখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে তার দল পূর্ণ মনোযোগ দেবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, বিভিন্ন দিকে উন্নতি করার কাজ চলছে।
শনিবার সকালে শেষের ২০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলেও ব্রাজিলকে আটকে রাখে উরুগুয়ে। এরপর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ম্যাচটি জিতে সেমিফাইনালে উঠেছে মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
শুধু এই ম্যাচটি নয়, টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে শুধু প্যারাগুয়েকে পরাজিত করে তারা। এছাড়া বাকি দুই ম্যাচ ড্র করে নকআউট পর্বে উঠলেও উরুগুয়ের বিপক্ষেও নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে হেরে ব্রাজিলের বিদায়, সেমিফাইনালে উরুগুয়ে
দলের এই বাজে পারফরম্যান্সের পুরোটা দায় নিজের কাঁধে নিয়ে দরিভাল বলেন, ‘বর্তমানে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ সংষ্কার ও পুনর্নিমাণের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এই দলটিকে আমি মাত্র আট ম্যাচে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়েছি। আর এই (সংস্কার) প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই আমাদের এখন যেতে হবে।’
‘আমাদের সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সে বিষয়ে আমরা সচেতন। তবে (নকআউট পর্বে) হারের বিষয়টি অপ্রত্যাশিত ছিল। আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম, সেভাবে হয়নি।’
‘কিন্তু আমি আবারও বলছি, আমাদের উন্নতি করার অনেক জায়গা রয়েছে, আর এগুলো ভেতর দিয়ে চলেই আমাদের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা (কনমেবল বাছাইয়ে) ষষ্ঠ অবস্থানে, এ নিয়ে আমরা মোটেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি না।’
আরও পড়ুন: পেনাল্টিতে সাফল্যের রহস্য জানালেন দিবু মার্তিনেস
এসময় উরুগুয়ে কোচের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তিনি (বিয়েলসা) যেভাবে নিজের দর্শন দিয়ে দলটিকে প্রভাবিত করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার।’
‘আমি মনে করি, এই উরুগুয়ে দলের একটি নির্দিষ্ট (খেলার) প্যাটার্ন আছে, খুব দারুণ একটি প্যাটার্ন। তারা বেশ কিছুদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। শুরুতে তাদেরও কিছু সমস্যা ছিল, তবে সেগুলো তারা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। এখন তারা দারুণ ফল অর্জন করছে।’
‘আমরাও এ ধরনের অর্জন করব, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে নিজেদের (ভুলগুলো) শুধরে নিতে আমাদের কিছুটা সময় দরকার।’
তিনি বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুতে আমাদের কিছু সমস্যা ছিল। তবে আমি মনে করি, আমরা প্রচুর ভুল সংশোধনও করেছি। তবে যেটুকু সময় আমরা পেয়েছি, তার মধ্যে এত দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে ওঠা আমাদের জন্য কঠিন। তবে ভবিষ্যতে আশা করি, আরও সময় পাব।’
৫ মাস আগে
৭ মিনিটের কমলা ঝড়ে উড়ে গেল তুরস্ক
প্রথমে গোল পেয়ে দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন জাগিয়েছিল চলতি ইউরো আসরে চমক জাগানো তুরস্ক। তবে ৭ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে তাদের সে স্বপ্নযাত্রা থামিয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস।
শনিবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে তুরস্ককে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে নেদারল্যান্ডস।
সর্বশেষ ২০০৪ সালে ইউরোর সেমিফাইনাল খেলেছিল ডাচরা। ২০ বছর পর আবারও সেমিফাইনালে লড়বে তারা। অন্যদিকে, ১৬ বছর পর শেষ ষোলো উৎরে গিয়েও কোয়ার্ট ফাইনালে ব্যর্থ হলো তুরস্ক।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে এবারও কপাল পুড়ল সুইসদের, সেমিতে ইংল্যান্ড
এদিন ম্যাচের প্রথম ত্রিশ মিনিটে দুই দলের কেউই তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। এরপরই আক্রমণের ধার বাড়ায় তুরস্ক। এসময় বেশ কয়েকটি আক্রমণে ডাচদের বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে তারা। তবে সেসব আক্রমণ একের পর এক সফলতার সঙ্গে রুখে দিলেও ৩৫তম মিনিটে গিয়ে আরাধ্য গোল পেয়ে যায় তুর্কিরা।
৫ মাস আগে
টাইব্রেকারে হেরে ব্রাজিলের বিদায়, সেমিফাইনালে উরুগুয়ে
এলোমেলো ফুটবলে গতবারের ফাইনালিস্ট ব্রাজিলকে যেন চেনাই গেল না! ম্যাচজুড়ে উরুগুয়েকে গোল করতে না দিলেও টাইব্রেকারে গিয়ে হারল তারা। এর ফলে সেলেসাউদের কাঁদিয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠে গেল মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা।
যুক্তরাষ্ট্রের আলেজায়ান্ট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ ম্যাচটি টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতেছে উরুগুয়ে।
নির্ধারিত সময়ের শেষের প্রায় ২০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলেও ব্রাজিলকে আটকে রাখে উরুগুয়ে। তবে নিজেরাও গোল করতে না পারায় গোলশূন্য সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিট। এরপর কোপার নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি টাইব্রেকারে চলে যায় ম্যাচ।
টাইব্রেকারে ব্রাজিলের প্রথম শটটিই ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সের্হিও রচেত। এরপর দগলাস লুইসের তৃতীয় শটটি পোস্টে লেগে ফিরে আসে। অপরদিকে, উরুগুয়ের হোসে মারিয়া হিমেনেসের চতুর্থ শটটি ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন বেকার ঠেকিয়ে দিলেও ফেদেরিকো ভালভার্দে, রদ্রিগো বেন্তাঙ্কুর, জর্জিয়ান দে আরাসকায়েতা ও মানুয়েল উগার্তে পান জালের দেখা। ফলে ৪-২ ব্যবধানে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেন আরাউহো-ভালভার্দেরা।
এদিন বল দখলের লড়াইয়ে আধিপত্য (৬০ শতাংশ) বিস্তার করলেও গোলের সুযোগ তৈরিতে বেশ পিছিয়ে ছিল দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা। উরুগুয়ের ১১টি শটের বিপরীতে তাদের শট ছিল ৭টি। এরমধ্যে অবশ্য ব্রাজিলের তিনটি শট লক্ষ্যে থাকলেও উরুগুয়ের ছিল মাত্র একটি।
তবে লাতিন আমেরিকার ফুটবলের বৈশিষ্ট্য বজায় ম্যাচে মোট ৪১টি ফাউল করেছে দুইদল, যার মধ্যে উরুগুয়ের ২৬টি।
আরও পড়ুন: মেসির পেনাল্টি মিসের পর দিবুর কীর্তিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের ছায়া হয়ে ছিল নান্দনিক ফুটবলের দেশ ব্রাজিল। অন্যদিকে, শুরু থেকেই সেলেসাউদের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা শুরু করে উরুগুয়ে। তবে বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় তারা সফল না হলে পরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করে ব্রাজিল।
ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটে বাঁ পাশে ফ্রি কিক থেকে রাফিনিয়ার নেওয়া শট রক্ষণ দেওয়ালে লেগে বাইরে চলে যায়। এর পাঁচ মিনিট পরই কর্নার থেকে পাওয়া বলে দূরপাল্লার জোরালো শট নেন ফাকুন্দো পেলিস্ত্রি। তবে মার্কিনিয়োসের মাথায় লেগে তা গোলপোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
খেলার আধঘণ্টা হওয়ার কিছুক্ষণ আগে গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করে ব্রাজিল। তবে ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়েও শট না নিয়ে রাফিনিয়ার উদ্দেশ্যে বল বাড়ান এন্দ্রিক। আর সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন উরুগুয়ের এক ডিফেন্ডার।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে দুঃসংবাদ পায় উরুগুয়ে। চোট পেয়ে চোখের জলে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন উরুগুয়ের বার্সেলোনা ডিফেন্ডার রোনালদ আরাউহো। চিকিৎসা নিয়ে মাঠে ফিরলেও খেলা আর চালিয়ে যেতে পারেননি তিনি। এরপর তার বদলি হিসেবে দলটির রক্ষণ সামলাতে নামেন আতলেতিকো মাদ্রিদের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার হোসে মারিয়া হিমেনেস।
খেলা ফের শুরু হওয়ার পরপরই গোলের সুযোগ তৈরি করে উরুগুয়ে। তবে বক্সের ভেতরে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে সতীর্থের পাওয়া ক্রসটি গোলের বাইয়ে দিয়ে হেড দেন দারউইন নুনিয়েস।
পরের মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে বল নিয়ে প্রতিপক্ষে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। এরপর তার ডান পায়ের জোরালো শট বাঁ দিয়ে ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক রচেত।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে রাফিনিয়ার আরও একটি শট থামান রচেত। দুই দল মিলিয়ে এই দুটি শটই প্রথমার্ধে লক্ষ্যে ছিল।
৫ মাস আগে
ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড: ম্যাচজুড়ে যা হলো
প্রথমার্ধের সাদামাটা ফুটবলের পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাাঁড়াল সুইজারল্যান্ড। বিশ মিনিট ধরে ইংল্যান্ডকে চাপে রেখে গোল পায় তারা, কিন্তু বুকায়ো সাকা সমতায় ফেরানোর পর টাইব্রেকারে পিকফোর্ডের সেইভে শেষ হাসি হেসেছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরাই।
এর ফলে গতবারের মতো এবারও কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যদের।
পুরো ম্যাচে ইংল্যান্ডের ১৩টি শটের বিপরীতে ১১টি শট নেয় সুইজারল্যান্ড, যার তিনটি করে লক্ষ্যে ছিল। বল দখলেও লড়াইয়ে ইংল্যান্ড সামান্য (৫২%) এগিয়ে থাকলে সমানে লড়াই করেছে সুইসরা।
আরও পড়ুন: টাইব্রেকারে এবারও কপাল পুড়ল সুইসদের, সেমিতে ইংল্যান্ড
এদিন কৌশলে পরিবর্তন এনে কিরান ট্রিপিয়ার ও বুকায়ো সাকাকে অবস্থান পরিবর্তন করে মাঠে নামান গ্যারেথ সাউথগেট। এর মধ্যে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম সযোগ তৈরি করে ইংল্যান্ডই। ডান দিকে দিয়ে দ্রুত উঠে বক্সের বাইরে থেকে কাইল ওয়াকারকে পাস দেন সাকা। ওয়াকার সেখান থেকে শট নিলেও সুইজারল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার মানুয়েল আকাঞ্জি শটটি ফিরিয়ে দেন।
এর পরের মিনিটে আক্রমণে ওঠে সুইজারল্যান্ড। বাঁ দিকে দিয়ে আক্রমণে যাওয়া ডান এনডয়েকে নিষ্ক্রিয় করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কোবি মাইনু। পরের মিনিটে সুইজারল্যান্ডের আরও একটি আক্রমণ ইংলিশ ডিফেন্সে প্রতিহত হয়। এবার সুইসদের হেডার বক্সের ভেতর থেকে ফেরান এস্টন ভিলার ইংলিশ ডিফেন্ডার এজরি কনসা।
এসময় সুইজারল্যান্ড আক্রমণে উঠলেই দুই/তিন স্তরের রক্ষণ তৈরি করছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড আক্রমণে উঠলে দলটির ফুটবলারদের জায়গা কমিয়ে সেসব আক্রমণ নিষ্ক্রিয় করছিল সুইজারল্যান্ড।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে ডেকলান রাইসের দূরের একটি ভালো শট ঠেকিয়ে দেন সুইস ডিফেন্ডাররা। ১৬তম মিনিটে কোবি মাইনুর জোরালো শট সুইস রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপর প্রতিপক্ষের ডি বক্সের মধ্যে চ্যালেঞ্জের পর পড়ে গিয়ে পেনাল্টি দাবি করেন হ্যারি কেইন। তবে তবে আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি দানিয়েল অরসাতো।
১৭তম মিনিটে আরও একবার একক নৈপুণ্যে আক্রমণে ওঠেন মাইনু, তবে তাও এগিয়ে এসে লুফে নেন ইয়ান জমার।
১৯তম মিনিটে সুইজার্যলান্ডের আক্রমণ ইংলিশ রক্ষণে প্রতিহত হয়। এরপর ২১তম মিনিটে ডান দিকে বক্সের মধ্যে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ধরে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করেই গোলমুখে ক্রস দেন সাকা, তবে সেখানে নিজেদের কেউ না থাকায় আক্রমণটি বৃথা যায়।
২৫তম মিনিটে ভিড়ের মাঝ থেকে সুযোগ পায় সুইজারল্যান্ড। তবে শেষ বেলায় জন স্টোনস সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেন। এরপর বেশকিছু সময় ইংল্যান্ডের ডি বক্সের সামনে বল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন সুইসরা।
২৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভেদ করে ছয় গজ বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন সাকা, তবে সেখান থেকে শট নিলে সুইজারল্যান্ডের একজন ডিফেন্ডার দলকে বিপদমুক্ত করেন।
এরপর বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ফের আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। তবে কয়েক মুহূর্ত পর ফের বল দখলে নিয়ে আক্রমণে ওঠে ইংল্যান্ড।
এসময় খেলা কিছক্ষণের জন্য ঝিমিয়ে যায়। দুই দলই মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে।
এরপর ৪৫তম মিনিটে সাকার প্রচেষ্টায় একটি ভালো আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষণে কাটা পড়ে সে আক্রমণ। পরের মিনিটে দ্রুতগতিতে পাল্টা আক্রমণে গিয়েছিল সুইজারল্যান্ড, তবে ইংল্যান্ডের ডি বক্সের ভেতরে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। ফলে স্কোরবোর্ডে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই বিরতিতে যায় দুই বল।
৫ মাস আগে
টাইব্রেকারে এবারও কপাল পুড়ল সুইসদের, সেমিতে ইংল্যান্ড
নিয়তি এবারও পিছু ছাড়ল না সুইজারল্যান্ডের। ইউরোর গত আসরে স্পেনের বিপক্ষে টাইব্রেকারে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল সুইসদের। এবারও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যদের।
শনিবার ডুসেলডর্ফে কোয়ার্টার ফাইনালের তৃতীয় ম্যাচে ১-১ সমতায় নির্ধারিত সময় শেষ হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচটি। তবে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও স্কোরলাইন পরিবর্তন করতে না পারলে টাইব্রেকারে যায় গতবারের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ড।
এর আগে, ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন সুইস ফরওয়ার্ড ব্রিল এমবলো। তবে তাদের সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পাঁচ মিনিট পরই দারুণ এক বাঁকানো শটে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান আর্সেনালের তরুণ প্রতিভা বুকায়ো সাকা।
৫ মাস আগে
স্বর্গীয় ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মানতে হলো জার্মানির
১২০ মিনিটের সাইক্লোন যেন চলল মাঠে; স্বর্গ থেকে নেমে আসা ফুটবল দেবতারা যেন তাতে পারফর্ম করলেন। এমনই এক ধ্রুব লড়াই শেষে স্পেনের ব্যান্ড অব ব্রাদার্সের কাছে হার মানল স্বাগতিক জার্মানি।
এই পরাজয়কে ঠিক ‘হারা মানা’ বলা চলে না। খেলায় একপক্ষের জয় ও অন্যপক্ষের পরাজয় নির্ধারিতই ছিল। সেই নিয়তির সেই বিষাদই আলিঙ্গন করলেন ইউলিয়ান নাগেলসমানের শিষ্যরা। আর ধৈর্য্য ধরে, মাথা ঠান্ডা রেখে শেষ মুহূর্তে জয় ছিনিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়লেন স্পেনকে নতুন দিনের ফুটবলের পথ দেখানো লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
শুক্রবার (৫ জুলাই) ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক জার্মানিকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্পেন।
স্পেনের হয়ে ম্যাচের ৫১তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন দানি অলমো। লামিন ইয়ামালের দারুণ একটি ক্রস থেকে গোল করেন তিনি।
এরপর নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে, ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে গোল করে জার্মানিকে সমতায় ফেরান বদলি নামা বায়ের লেভারকুজেন ফরওয়ার্ড ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস।
এরপর ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে আক্রমণে পসরা সাজায় দুদলই। তবে কেউই গোল করে উঠতে পারছিল না। তবে নির্ধারিত ১২০ মিনিটের ঠিক এক মিনিট আগে গোল পেয়ে যান স্পেনের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার মিকেল মেরিনো।
বক্সের বাইরে থেকে দানি অলমোর বাড়ানো মাথার ওপরের ক্রসে দানবীয় কায়দায় লাফিয়ে উঠে গোলের দিকে জোরালো হেড দেন তিনি। আর নয়ারকে ফাঁকি দিয়ে জাল খুঁজে নেয় বল।
ফলে শেষ হাসি হাসে স্পেন, আর দুর্দান্ত খেলেও ভাগ্যকে মেনে নিয়ে হতাশ হৃদয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক জার্মানি।
ঘটনাবহুল জার্মানি-স্পেনের ধ্রুব লড়াইয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো, তা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
৫ মাস আগে
মেসির পেনাল্টি মিসের পর দিবুর কীর্তিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলল দুর্বল ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে ম্যাচে ফিরে আরও একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে একুয়েডর। এরপর ম্যাচ পেনাল্টিতে গড়ালে প্রথম শটটিই মিস করেন লিওনেল মেসি। তবে ফের গোলরক্ষক দিবু মার্তিনেসের বীরত্বে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার সকালে একুয়েডরের বিপক্ষে কোপা আমেরিকার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি ১-১ ব্যবধানে শেষ হওয়া পর তা পেনাল্টিতে গড়ায়। এরপর শুটআউটে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে আর্জেন্টিনা।
এদিন ম্যাচজুড়ে দুই দলের আক্রমণেই তেমন ধার খুঁজে পাওয়া যায়নি। বল দখলের লড়াইয়েও দুদল ছিল সমানে সমান (৫১/৪৯)। গোলের জন্য আর্জেন্টিনার আটটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে, অপরদিকে ৯টি শট নিয়ে দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে একুয়েডর।
আরও পড়ুন: কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
শঙ্কা কাটিয়ে মেসির ফেরার দিনে ফাউল করে একুয়েডর ম্যাচ শুরু করার পর দুই দলই সাবধানে খেলা শুরু করে। আক্রমণ বারবার দিক পরিবর্তন করার পর ১৫তম মিনিটে প্রথম শট নেয় একুয়েডর।
মইজেজ কাইসেদোর বাড়ানো পাস বাঁ পাশ থেকে ৬ গজ বক্সের মধ্যে ধরে শট নেন ইয়েরেমি সারমিয়েন্তো। তবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো (দিবু) মার্তিনেস তা ঠেকিয়ে দেন। পরমুহূর্তে বক্সের ভেতর থেকে কেন্দ্রি পায়েসের শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা এড়ায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
পরের মিনিটে একুয়েডরের আরও একটি শট পোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে এই তিনটি শটই নেন ফেলিক্স সানচেজের শিষ্যরা।
এরপর ধীরে ধীরে খেলায় ফেরে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে তারা। নাহুয়েল মলিনার ক্রস থেকে হেডারে গোল আদায়ের চেষ্টা করেন ডি বক্সের মাঝমাঝি থাকা এনসো ফের্নান্দেস। তবে তা ডান পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
এরপর ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তেরা। ৩৪তম মিনিটে মেসির বাড়ানো পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে শট নেন এনসো, কিন্তু তার শটটি রক্ষণে প্রতিহত হলে কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে আসা ক্রসে মাথা লাগিয়ে দূরের পোস্টের দিকে বল ঠেলে দেন আলেক্সিস মাক আলেস্তার। এরপর বাঁ পাশে ছয় গজ বক্সের মধ্যে থাকা লিসান্দ্রো মার্তিনেস লাফিয়ে উঠে বল জালিয়ে জড়িয়ে দেন।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে এটিই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডারের প্রথম গোল। আর চলতি কোপার আসরে প্রথমার্ধে এই প্রথম গোল পেল আর্জেন্টিনা।
এরপর কোনো পাশে আর তেমন সুযোগ তৈরি করতে না পেরে বিরতিতে যায় দুই দল।
৫ মাস আগে
কোয়ার্টার ফাইনালেও অনিশ্চিত মেসি
উরুতে চোট পাওয়ায় কোপা আমেরিকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। শঙ্কা এড়াতে পেরুর বিপক্ষে ওই ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল। তবে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হতে চলা কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচেও তাকে পাওয়া নিয়ে জেগেছে অনিশ্চয়তা।
শুক্রবার সকাল ৭টায় ‘বি’ গ্রুপের রানার্স-আপ একুয়েডরের বিপক্ষে মাঠে নামবে ‘এ’ গ্রুপসেরা আর্জেন্টিনা।
গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির বিপক্ষে মাঠে নেমে চোট পান আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে চিলির ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল সুয়াসোর সঙ্গে বল দখলের চ্যালেঞ্জে গিয়ে ডান পায়ের উরুতে টান লাগে মেসির। এরপর ম্যাচ চলাকালেই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। অবশ্য ম্যাচটি শেষ করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।
আরও পড়ুন: ইনজুরিতে মেসি, পেরুর বিপক্ষে বিশ্রাম
বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে মেসি অনুশীলন করলেও কোচ লিওনেল স্কালোনি জানিয়েছেন, ‘(মেসির ব্যাপারে) আমরা আরও কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেব। তার কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
‘তাকে খেলানোর চেষ্টাই করব, কিন্তু যদি তা না হয়ে ওঠে, তাহলে সেরা বিকল্প খুঁজে বের করা হবে। তার সঙ্গে কথা বলার আগে সে আরও খানিকটা অনুশীলন করুক, নিজেই বুঝুক- এটাই আমি ঠিক বলে মনে করি।’
একুয়েডরকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে স্কালোনি বলেন, ‘একুয়েডরে একজন ভালোর কোচের তত্বাবধায়নে ভালো ভালো সব খেলোয়াড় রয়েছে। এবারের আসরে তারা অন্যতম সেরা দল। শিরোপার লড়াইয়েই যে (আগামীকাল) তারা মাঠে নামবে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
এবারের কোপা আমেরিকা আসরে পরিষ্কার ভেবারিট বলে কোনো দল নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘যে কেউ ফাইনালে উঠতে পারে। কলম্বিয়া-ব্রাজিল ম্যাচটির কথাই ধরুন, সেটি খুব উঁচু মানের একটি ম্যাচ ছিল। উরুগুয়েও খুব ভালো করছে। তাই যে কেউ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন: কোপার কোয়ার্টারে কবে কে কার মুখোমুখি
৫ মাস আগে
ইউরো ২০২৪: কেমন হবে কোয়ার্টারের ৪ লড়াই
অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে সর্বশেষ দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তুরস্ক। এর ফলে চূড়ান্ত হয়ে গেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরের সেরা আট দল।
শুক্র ও শনিবার (৫ ও ৬ জুলাই) দুটি করে ম্যাচের মাধ্যমে সেমিফাইনালের জন্য সেরা চার দল চূড়ান্ত করা হবে।
কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া দলগুলো হচ্ছে- সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, ইংল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস ও তুরস্ক।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত দশটায় স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হবে স্পেন। এরপর ওইদিন রাত একটায় দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও ফ্রান্স।
পরের দিন শনিবার বাকি দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন কোয়ার্টার ফাইনালের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে গত আসরের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড ও কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা সুইজারল্যান্ড।
এরপর রাত একটায় সেমিফাইনালের শেষ টিকিট কাটতে মুখোমুখি হবে নেদারল্যান্ডস ও তুরস্ক।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই শুরু হওয়ার আগে দলগুলোর অবস্থা, শক্তি ও সম্ভাব্য লড়াই কেমন হবে, চলুন দেখে নেই।
জার্মানি-স্পেন
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত দশটায় স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হবে স্পেন।
ইউরোর চলতি আসরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছে দুই দলই।
চলতি আসরে চার ম্যাচ খেলে মাত্র দুটি গোল খেয়ে প্রতিপক্ষের জালে ১০ বার বল পাঠিয়েছে জার্মানি। জামাল মুসিয়ালা, ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টসের মতো তরুণদের সঙ্গে দলটিতে রয়েছে মানুয়েল নয়ার, আন্টনিও রুয়েডিগার ও টনি ক্রুসদের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলার। ফলে একপ্রকার দুর্জয় দল হিসেবে এবারের আসরে আবির্ভূত হয়েছে স্বাগতিকরা।
অন্যদিকে, গ্রুপ পর্বে একমাত্র দল ছিল স্পেন, যারা তিনটি ম্যাচই জিতে শেষ ষোলো খেলতে আসে। প্রথম তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ বার বল পাঠালেও স্পেনের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি কেউ। এরপর শেষ ষোলোয় জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে জার্মানিকে একপ্রকার হুঙ্কার দিয়েই রেখেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
চলতি আসরে স্পেনের জার্সি গায়ে আগুন ঝরিয়ে চলেছেন লামিন ইয়ামাল ও নিকো উইলিয়ামস। পাশাপাশি মাঝমাঠে পেদ্রি ও রক্ষণে রবিন লে নরমান্দ আলো ছড়াচ্ছেন প্রতিটি ম্যাচে। তার সঙ্গে রয়েছেন স্পেনের অধিনায়ক রদ্রি, রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক দানি কারভাহাল ও আতলেতিকো মাদ্রিদ অধিনায়ক আলভারো মোরাতা। ফাবিয়ান রুইস-মার্ক কুকুরেইয়াদের সঙ্গে নিয়ে ভারসাম্য বজায় রেখে প্রতিটি ম্যাচে ক্ষুরধার ফুটবলের ডালি মেলে স্পেন।
ফলে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালেই ফাইনালের আমেজ পেয়ে যেতে পারে দর্শক।
ফ্রান্স-পর্তুগাল
শুক্রবার রাত একটায় দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল ও ফ্রান্স।
এই দুই দলের পারফরম্যান্স এক কথায় বলতে গেলে জার্মানি-স্পেনের ঠিক উল্টো। প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত ওপেন প্লে থেকে গোল পায়নি ফ্রান্স। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানের জয়, পরের ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র এবং শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোল পেলেও ১-১ সমতায় টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে থেকে শেষ ষোলোয় ওঠে গত বিশ্বকাপের রানার্স-আপরা। এরপর বেলজিয়ামের বিপক্ষে ফের আত্মঘাতী গোলের কল্যাণে ১-০ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টারে উঠেছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।
অন্যদিকে, গ্রুপ পর্বে চেক রিাপবলিক ও তুরস্কের বিপক্ষে ২-১ ও ৩-০ ব্যবধানে জিতলেও শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে পর্তুগালকে হারায় পুচকে জর্জিয়া। শেষ ষোলোতে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ পেলেও প্রায় হেরেই বসেছিল রবের্তো মার্তিনেসের শিষ্যরা।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো তো কেঁদেই ফেলেছিলেন মাঠের মধ্যে। তবে ১-১ গোলের সমতায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার পর ম্যাচ পেনাল্টিতে গড়ালে দারুণ নৈপুণ্য দেখান পর্তুগিজ গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা। স্লোভেনিয়ার প্রথম তিনটি স্পট কিক ঠেকিয়ে দিয়ে একাই তারকায় ভরা পর্তুগালকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছেন তিনি।
তাই এই ম্যাচটিতেও শক্তির বিচারে সমানে সমানে লড়াই হবে বলে আশা করা যায়।
ইংল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড
শনিবার রাত দশটায় কোয়ার্টার ফাইনালের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে গত আসরের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড ও কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা সুইজারল্যান্ড।
চলতি আসরে ইংল্যান্ডের অবস্থা এক কথায় হযবরল। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে কোনোমতে ১-০ গোলের ব্যবধানে জেতে হ্যারি কেইনের দল। এরপর ডেনমার্কের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র হলেও শেষ ম্যাচে স্লোভেনিয়ার জালে বলই জড়াতে পারেনি তারা। শেষ ষোলোয় স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে তো হেরেই বসেছিল ইংল্যান্ড। নেহাত বেলিংহ্যাম শেষ মুহূর্তে বাঁচিয়ে দেয় তাদের।
অপরদিকে, নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সুইজারল্যান্ড। এ পর্যন্ত আসতে তাদের পথটাই সবচেয়ে কঠিন ছিল।
গ্রুপ পর্বে স্বাগতিক জার্মানি, এবারের আসরের ‘ডার্ক হর্স’ খ্যাত হাঙ্গেরি ও দুর্দান্ত টিম ওয়ার্কে প্রতিশ্রুতিশীল স্কটল্যান্ডের সামনে পড়ে মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যরা। তবে প্রথম ম্যাচেই ডার্ক হর্সদের ৩-১ গোলে হারানোর পর স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্র করে সুইজারল্যান্ড। এরপর শেষ ম্যাচে শক্তিশালী জার্মানিকেও ১-১ গোলে রুখে দেন গ্রানিট জাকা-ব্রিল এম্বলোরা।
শেষ ষোলোয় ইতালিকে ২-০ ব্যবধানে কাঁদিয়ে নিজেদের আরও উচ্চতায় নিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। তাই আত্মবিশ্বাসে এখন উড়ছে তারা।
তবে টুর্নামেন্টজুড়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কৌশলী দল সুইসরাই। নিজেদের শক্তি সম্পর্কে তারা যেমন জানে, তেমনি শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সামনে নিজেদের দুর্বলতার দিকগুলোও মাথায় রাখে তারা। আর এভাবেই ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’ নিয়ে প্রতিটি শক্ত চ্যালেঞ্জ উতরে গেছে তারা।
এবার তাদের সামনে ইংল্যান্ড। গত ম্যাচগুলোতে নিজেদের মেলে ধরতে না পারলেও যেকোনো সময় জ্বলে ওঠার মতো প্রতিভা যে দলটির আছে- তা মাথায় নিয়েই মাঠে নামবে সুইজারল্যান্ড। ফলে ডাগআউটে গ্যারেথ সাউথগেট ও মুরাত ইয়াকিনের ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ দেখার অপেক্ষায় থাকবে ফুটবল বিশ্ব।
নেদারল্যান্ডস-তুরস্ক
শনিবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় সেমিফাইনালে ওঠার শেষ লড়াইয়ে মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডস ও তুরস্ক।
১৯৮৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন নেদারল্যান্ডস সর্বশেষ সেমিফাইনাল খেলে ২০০৪ সালে। এবার তুর্কিজয় করতে পারলে ২০ বছরের সেমির আক্ষেপ ঘুচবে তাদের।
অন্যদিকে, ২০০৮ সালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টিতে জিতে ইউরোর ইতিহাসে মাত্র একবার সেমিফাইনালে ওঠে তুরস্ক। এবার ডাচ বাধা পেরোতে পারলে ১৬ বছর পর ফের সেমিফাইনালে উঠবে তারা।
এই ম্যাচটির আগে বিশ্লেষকরা থাকবেন সবচেয়ে অনিশ্চয়তায়। কেননা, গ্রুপ পর্ব থেকে কোনোমতে শেষ ষোলোয় উঠলেও, রোমানিয়াকে রীতিমতো শাসন করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ডাচরা।
এই ম্যাচের আগে মেম্ফিস ডিপাই বলেছিলেন, তাদের ইউরো প্রতিযোগিতা কেবল শুরু। মাঠের খেলায় তার কথার প্রমাণ মেলে। ফলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাওয়ায় দলটির প্রতিভাবান ফুটবলারদের ফর্মও যে ফিরবে, তা খানিকটা নিশ্চিত।
অপরদিকে, জর্জিয়াকে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে হারানোর পর পর্তুগালের কাছে ৩-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয় তুরস্ক। এরপর চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ ব্যবধানে হারানোর পর সমশক্তির অস্ট্রিয়াকেও ২-১ ব্যবধানে কাবু করেছে ভিনসেন্সো মনতেল্লার শিষ্যরা। ফলে একপ্রকার মিশ্র অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে দলটি।
শেষ দুই ম্যাচে স্পষ্ট ফেবারিট প্রতিপক্ষের সামনে পরিস্কারভাবে ভুগতে দেখা গেছে তুরস্ককে। তবে মাঠে অসাধারণ ধৈর্য্যের স্বাক্ষর রেখে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
সেমির লড়াইয়ে এবার তাদের সামনে রোনাল্ড কুমানের নেদারল্যান্ডস। ক্ষিপ্র ফুটবলের চেয়ে কৌশলী ফুটবল খেলতেই বেশি দেখা গেছে দলটিকে। ধৈর্য্য ধরে বিভিন্ন প্রচেষ্টায় ম্যাচজয়ের দিকে তাদের মনোযোগ দেখা গেছে। ফলে ধৈর্য্য আর কৌশলে দুই কোচের কে কাকে হারাবে, তার ওপরই ম্যাচটির ভাগ্য নির্ভর করবে।
৫ মাস আগে