৪ জানুয়ারি
গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি জানান, গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষে ও শান্তিপুর্ণ।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
তিনি আরও জানান, যারা নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকবেন তারা নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলে অন্যকেও আচরণ বিধি মানতে সহযোগিতা করবেন।
নির্বাচনে কোনো প্রকার ত্রুটি হলে আবারও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে নির্বাচন উপলক্ষে মঙ্গলবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান, পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাপা প্রার্থী গোলাম শহীদ রন্জু, বিকল্প ধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুব রহমান।
পরে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা গাইবান্ধা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হয় আসনটি।
১২ অক্টোবর এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে নির্বাচন কমিশন সবগুলো কেন্দ্রের ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন।
পরে আবারও তদন্তের পর ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
১ বছর আগে
গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এবং আগের মতোই ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২২শে জুলাই সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয় এবং ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে ওঠে। সে অনুযায়ী এটি ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত ছিল।
কিন্তু নির্বাচনের দিন ব্যাপক অনিয়মের কারণে নির্বাচন বাতিল করে ইসি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বাতিল: ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ইসি
পরে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্প ধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন; গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
২ বছর আগে