বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের
ভুয়া চিকিৎসকদের খুঁজে বের করতে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ
রেজিস্ট্রেশনবিহীন ভুয়া চিকিৎসককে খুঁজে বের করতে অভিযান পরিচালনা করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদেশ বাস্তবায়ন করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভুয়া চিকিৎসকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
রুলে নিবন্ধন ছাড়া যারা ভুয়া ডাক্তারি প্রাকটিস করবেন, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি তিন বছরের বেশি কেন করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইনসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, বিএমডিসির মহাপরিচালক, স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিএমডিসির রেজিস্ট্রারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জে আর খান রবিন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী জে আর খান রবিন আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
ভুয়া চিকিৎসক নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৯ নভেম্বর জনস্বার্থে রিট দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জে আর খান রবিন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮(৩) ও ২৯(২) ধারায় ভুয়া চিকিৎসকদের সাজা তিন বছরের বিধান রয়েছে।
এই সাজার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানানো হয় রিটে।
আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, সংবিধানের ১৫ (ক) ও ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যসেবা একটি মৌলিক অধিকার।
মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ডাক্তারদের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু বর্তমানে অনেক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে।
শুধু তাই নয়, দেশের সাধারণ মানুষ এসব ভুয়া ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়ে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড
দিনাজপুরে ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড, চেম্বার সিলগালা
২ বছর আগে