কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব
‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তি জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনে অন্তর্ভুক্ত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক উক্তি ‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’ যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্দেশ করে। যা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) রেজ্যুলেশনের ১৪ তম অনুচ্ছেদে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। যার শিরোনাম দেয়া হয়েছে- ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব ডায়ালগ অ্যাজ আ গ্যারান্টি অব পিস, ২০২৩’।
কোভিড-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তুর্কমেনিস্তান ইউএনজিএ’র পূর্ণাঙ্গ সভায় এই রেজ্যুলেশনটি পেশ করে।
মঙ্গলবার সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়।
বিশ্ব মানবতা ও শান্তির দৃঢ় প্রবক্তা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক উক্তিটি প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের একটি প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আসামিকে দেশে ফেরাতে বিকল্প পথ খুঁজতে অনুরোধ
রেজ্যুলেশনের ১৪তম অনুচ্ছেদে বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতিটি যেভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে: ‘দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ, নিরক্ষরতা ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব স্বীকার করে এবং গঠনমূলক সহযোগিতা, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার চেতনায় ‘কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব’-এ জোর দেয়া এই উদ্দেশ্যগুলো অর্জনে সহায়তা করবে।’
এই অংশটি ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার প্রথম ভাষণের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়, যেখানে বঙ্গবন্ধু বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
বুধবার বাংলাদেশ মিশন জানায়, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিতের নির্দেশনায় বাংলাদেশ মিশন রেজ্যুলেশনের প্রস্তুতিতে নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বঙ্গবন্ধু কর্নার ও বঙ্গবন্ধু গার্ডেন উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন সক্রিয়ভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং রেজ্যুলেশনে জাতির পিতার ঐতিহাসিক উক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হন।
বাংলাদেশ ও অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশসহ ৭০টি দেশ এই রেজ্যুলেশনটি সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: জেলহত্যা দিবস: বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে