আব্বাস
বাংলাদেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে সরকার : আব্বাস
সরকার দেশকে ‘হীরক রাজার দেশে’ পরিণত করেছে এবং হীরক রাজার মতোই পরিণতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, কারো একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা কোনো রাজা বা রানির রাজ্য নয় এবং 'হীরক রাজার দেশ'-এ পরিণত হবে না।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালে দলের রোডমার্চ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির রোডমার্চ সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে ঝিনাইদহ শহর থেকে শুরু হয়ে যশোর ও মাগুরা হয়ে খুলনায় গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি সরকার পতনের জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: ফখরুল
আব্বাস আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সরকার মানি লন্ডারিং করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আমরা সেটি বললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায়। স্বাধীন দেশে এসব সহ্য করা হবে না।’
গতকাল অনুমতি না পেয়ে আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: আমিনবাজারের সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি
তিনি আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা আর এখন তা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। ‘জনগণ জানতে চায় এই টাকা কোথায় গেল?’
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোডমার্চসহ ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার কর্মসূচি দুই দিন বাড়িয়ে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত করে দলটি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রিজভীর
১ বছর আগে
পল্টন থানার মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন ফখরুল ও আব্বাস
রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বিএনপির এই দুই নেতার জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই রায় দেন।
মামলাটিতে এক মাস কারাভোগের পর গত ৯ জানুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস।
বুধবার আদালতে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা।
পরে আইনজীবী সগীর হোসেন বলেন, মামলাটিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস আগে কারামুক্তি পান।
বুধবার হাইকোর্ট রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করেছেন। ফলে এই মামলায় দুজন স্থায়ী জামিন পেলেন।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেন, আলোচনা করে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
৭ ডিসেম্বরে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরদিন ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে আটক করে পুলিশ।
পরে তাঁদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সেই থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন। বিচারিক আদালতে চতুর্থ দফায় তাদের জামিন না-মঞ্জুর হওয়ার পর গত ২ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস।
গত ৩ জানুয়ারি তারা হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন পান। একই সঙ্গে এ মামলায় তাদেরকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেন।
হাইকোর্টের এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে ৪ জানুয়ারি সকালে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগ গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন।
এরপর তারা কারামুক্তি পান। বুধবার হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল মঞ্জুর করে রায় দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আপিল শুনানি রবিবার
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
১ বছর আগে
এক মাস পর কারামুক্ত ফখরুল–আব্বাস
এক মাস পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর তারা কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জামিনের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর পর সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এই দুই নেতা।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
তিনি বলেন, কারা ফটকে বিএনপির নেতাকর্মী ও দুই দলের শীর্ষ নেতাদের স্বজনরা দু’জনকে স্বাগত জানান।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিনের হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।
৪ জানুয়ারি আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনের শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
ওই মামলায় বিএনপির দুই নেতাকে জামিন দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে একই দিন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
এ মামলায় ৩ জানুয়ারি ফখরুল ও আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
রাজধানীর বহুল আলোচিত সমাবেশের একদিন আগে ৯ ডিসেম্বর পুলিশের গোয়েন্দার (ডিবি) একটি দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।
পরে ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
বিএনপি অবশ্য ফখরুল ও আব্বাসের অনুপস্থিতিতে সমাবেশের আয়োজন করে এবং বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
তৃতীয় দফায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর
১ বছর আগে
ফখরুল ও আব্বাসের হাইকোর্টের দেয়া জামিনের আপিল শুনানি রবিবার
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জামিন দেয়ার হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনের শুনানির ৮ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার আদালতে আপিল আবেদনের শুনানি শেষে এই দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
আদালত আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিএনপির দুই নেতাকে আদালতে তাদের জামিন মুচলেকা জমা দিতে দেয়া হবে না।
বিএনপির দুই নেতার আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ আবেদনের শুনানি করায় তাদের জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রবিবার জানা যাবে।
এর আগে এ মামলায় বিএনপির দুই নেতার জামিনের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির বলেন, আজ সকালে সরকার সংশ্লিষ্ট আপিল বিভাগের বেঞ্চে আবেদনটি করে।
এর আগে মঙ্গলবার এ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে বিএনপির দুই নেতাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান চতুর্থবারের মতো বিএনপি নেতাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর আবারও বিএনপির এই দুই নেতার জামিন আবেদন খারিজ হয়।
ঢাকার একটি আদালত ৯ ডিসেম্বর তাদের ডিভিশন সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং এরপর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
গেল বছরের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ৭ ডিসেম্বর দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৭২০ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে পুলিশ।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে নয়াপল্টন থানায় করা মামলায় ৪৫০ জন, মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
তৃতীয় দফায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর
১ বছর আগে
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ফখরুল-আব্বাসকে হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে মঙ্গলবার ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
একই সঙ্গে বিএনপির দুই নেতাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
বিএনপি নেতাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির।
এর আগে, সোমবার বিএনপি নেতাদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
তাদের পক্ষে জামিন চেয়ে পৃথক আবেদন করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামান চতুর্থবারের মতো বিএনপি নেতাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঢাকার একটি আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর আবারও দুই বিএনপি নেতার জামিন আবেদন খারিজ হয়।
ঢাকার একটি আদালত ৯ ডিসেম্বর তাদের ডিভিশন সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দেন এবং এরপর ১৩ ডিসেম্বর থেকে ডিভিশন সুবিধা দেয়া হয়।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার প্ররোচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত এবং প্রায় ৫০ জন আহত হন।
বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৭২০ বিএনপি নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুই হাজার ৪০০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছে পুলিশ।
নয়াপল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপির ৪৫০ জন, মতিঝিল থানার মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানার মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ফখরুল-আব্বাসের জামিন চতুর্থ দফায় নামঞ্জুর
ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
১ বছর আগে
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন চেয়ে এবার হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার তাদের পক্ষে আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন পৃথক এই আবেদন করেন।
সোমবার জামিন আবেদন দু’টি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে উত্থাপন করা হয়। পরে আদালত এ আবেদনের ওপর আগামীকাল শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর তাদের জামিন আবেদন চতুর্থ বারের মতো নাকচ করে আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান।
এছাড়া, গত ১৫ই ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগড় হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার আরেকটি আদালত একই মামলায় মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। গত ৭ ডিসেম্বর বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায় বলে দাবি করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ডিসেম্বর মতিঝিল, পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় প্রায় দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করা হয়। ৮ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসকে জিঞ্জাসাবাদের কথা বলে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে ফখরুল ও আব্বাসকে গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি পুলিশ।
পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। এসময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
খুলনার সদ্য সাবেক ডিসি ও ডুমুরিয়ার ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
১ বছর আগে
কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের সঙ্গে কারাগারে ‘অমানবিক’ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, কারাগারে আমাদের দলের শীর্ষ নেতাসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কারাগারে ডিভিশন পাওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে তাদের ডিভিশন দেয়া হয়নি।
প্রিন্স বলেন, এমনকি তাদের দলের অসুস্থ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এবং মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকার সাবেক ডেপুটি মেয়র আবদুস সালামকে ডিভিশন দেয়া হয়নি।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় ওষুধ পাঠাতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘জেলে তাদের (গ্রেপ্তার দলের নেতাদের) কাছে প্রয়োজনীয় পোশাক পৌঁছানো যাচ্ছে না। বন্দিদের পরিবার বারবার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জেলগেটে নিয়ে গেলেও কারা কর্তৃপক্ষ সেগুলো ফেরত দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন:কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
প্রিন্স আরও অভিযোগ করেছেন যে বেশিরভাগ কারাবন্দি নেতাদের এখন তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে জেলে গেলেও তাদের সঙ্গে কুখ্যাত খুনি ও অপরাধীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে, যা জেলবিধি ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি এমন জঘন্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং জেলকোড অনুযায়ী তাদের প্রাপ্য চিকিৎসা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার দাবি জানান।
গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের ১০ ডিসেম্বরের বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলের প্রায় সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে আটক করে। পরদিন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকেও গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আরও পড়ুন:১০ ডিসেম্বর জনগণের জয়, পরাজিত সরকার: মোশাররফ
১ বছর আগে
ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আগেই কারাগারে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা (ডিভিশন) দেয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
বুধবার বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহামদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেছেন, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ৯ ডিসেম্বর কারাবিধি অনুযায়ী তাদের ডিভিশন দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ১৩ তারিখে ডিভিশন দেয়া হয়েছে। এ কারণে কয়েক দিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে সাফার করতে (দূর্ভোগ পোহাতে) হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর
পরে আদালত কারাগারে ডিভিশন চেয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত।
৯ ডিসেম্বর এ আদেশ দেয়া হয়।
একই সঙ্গে ওইদিন মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে কারাগারে ডিভিশন দিতে বলা হয়। কিন্তু ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের আদেশ অনুযায়ী দুই নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়া হয়নি উল্লেখ করে মঙ্গলবার সকালে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস হাইকোর্টে রিট করেন।
সকালে রিট আবেদনটি উপরোক্ত বেঞ্চে উত্থাপন করলে বিকালে শুনানির সময় ধার্য করেন।
পরে বিকালে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, মঙ্গলবারই তাদেরকে কারাগারে ডিভিশন দেয়া হয়েছে। এসময় বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে চান।
পরে আদালত বুধবার পরবর্তী শুনানির জন্য রাখেন।
সে অনুযায়ী বুধবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিখিতভাবে আদালতকে জানান, তাদেরকে কারাবিধি অনুযায়ী কারাগারে ডিভিশন দেয়া হয়েছে।
তখন আদালত বলেন, আদেশ কবে বাস্তবায়ন হয়েছে।
জবাবে ডিএজি বলেন, ১৩ ডিসেম্বর।
আদালত এসময় বলেন, আদেশ বাস্তবায়নে তিন দিন লাগলো কেন? আরও আগেই তো আদেশ বাস্তবায়নের দরকার ছিল। তিন দিন একটা লোক সাফার করলো। এ ধরনের আদেশ সঙ্গে সঙ্গেই বাস্তবায়ন করবেন।
এসময় ডিএজি বলেন, ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকবো।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাসকে কারাগারে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদা দেয়া হয়েছে: রাষ্ট্রপক্ষ
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
১ বছর আগে
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের কারাগারে প্রথম শ্রেণির সুবিধা চেয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চে আবেদনটি জমা দেয়া হয়।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী আবেদনটি করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাস পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করে মঙ্গলবার অ্যাডভোকেট আলী বলেন, ‘এটা খুবই জরুরি বিষয়। সাবেক দুই মন্ত্রীকে কারাগারে ডিভিশন দেয়া হয়নি।’
পরে মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন বেঞ্চ।
শুক্রবার ভোররাতে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ফখরুল ও আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।
পরে রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সোমবার ঢাকার একটি আদালত ফখরুল ও আব্বাসসহ বিএনপির ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া বাকি রেখে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ: বিএনপি
ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
১ বছর আগে
মির্জা ফখরুল ও আব্বাসসহ ৭জনের জামিনের আবেদন
নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সাত জনের জামিনের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার মুক্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। সেই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করা হয়।
বাকি পাঁচজন হলেন– বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন এবং সেলিম রেজা হাবিব।
আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানের ৪ দিন পর খুলল বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়
উল্লেখ্য, গত ৭ ডিসেম্বর বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে।
অভিযান চলাকালে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: স্পিকারের কাছে বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগপত্র জমা
স্পিকারকে সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য
১ বছর আগে