মানবাধিকার কমিশন
ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন দিতে মানবাধিকার কমিশনের আহ্বান
ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে পোশাক কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৪ জুন) কমিশনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান তিনি।
কোনো স্বার্থান্বেষী মহল শ্রমিকদের ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলেন কামাল উদ্দিন।
তিনি বলেন, গত ১ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঈদুল আজহা-২০২৪ এর বেতন-বোনাস পরিশোধের জন্য পোশাক শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। বিশেষ করে ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাসের দাবিতে প্রতিবছরই বিক্ষোভ ও মিছিল হয়।’
আরও পড়ুন: ন্যায্য-ন্যূনতম মূল্য ও সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের আহ্বান বিজিএমই সভাপতির
এ প্রেক্ষাপটে সময়মতো শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
চেয়ারম্যান বলেন, মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকারের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। ১৯৪৮ সালে প্রণীত জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার ২৩ অনুচ্ছেদে ন্যায্য ও অনুকূল পারিশ্রমিকের অধিকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সময়মতো নির্ধারিত মজুরি নিশ্চিত করা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব।’
শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এর বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মজুরিই তাদের জীবিকার একমাত্র উৎস। এক্ষেত্রে সময়মতো মজুরি না পাওয়া খুবই দুঃখজনক।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে শ্রম অধিকার রক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্মস্থলে নিরাপত্তা, মর্যাদাপূর্ণ ও অনুকূল মজুরি এবং সার্বিক শ্রম অধিকার সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে কমিশন নিয়মিতভাবে কারখানা পরিদর্শন করে।
আরও পড়ুন: আসন্ন বাজেটে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে খুশি করতে চান অর্থমন্ত্রী
৫ মাস আগে
নির্বাচন পরিস্থিতি পরিদর্শনে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন এবং নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কমিশনের প্রতিনিধি দল রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কেরানিগঞ্জের জয়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটি ভাওয়াল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোনাখোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়কোবাদ একাডেমি, রাজধানীর সুরিটোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টিঅ্যান্ডটি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ভোটকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, নারী ও সংখ্যালঘু ভোটারদের নিরাপত্তা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ, কেন্দ্রের সুযোগ-সুবিধা, নির্বাচনকালীন মানবাধিকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: ভোট বর্জনকারীদের বর্জন করেছেন ভোটাররা: কাদের
এ সময় কমিশনের প্রতিনিধিদল ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্টসহ সব শ্রেণি-পেশার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ-খবর নেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আজকে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে পুরোপুরি সহিংসতামুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখেছি৷ সংখ্যালঘু ও নারী ভোটাররাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন৷ এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, দিনব্যাপী নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে বিষয়ে কমিশন সজাগ রয়েছে। স্বাধীন ভোটদানের পরিবেশের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সহনশীলতা ও মানবাধিকার সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব।
আরও পড়ুন: শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ভোটার উপস্থিতি বেশি: পররাষ্ট্র সচিব
১০ মাস আগে
মানবাধিকার কমিশনের অবৈতনিক সদস্য হলেন প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের অবৈতনিক সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও আইন বিশারদ প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
বৃহস্পতিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় ।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে কোরআন অবমাননার ঘটনা ঘটেনি: মানবাধিকার কমিশন
ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯- এর বিধান অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি আগামী তিন বছরের জন্য তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
কমিশনের অবৈতনিক সদস্য হিসেবে প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ কমিশনের সভায় যোগদানসহ অন্যান্য দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হারে সম্মানী ও ভাতা প্রাপ্য হবেন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অবৈতনিক সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন ও কমিশনকে গঠনমূলক পরামর্শ দেবেন বলে জানান।
প্রফেসর বিশ্বজিৎ চন্দ বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কমিশনের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এন্ড কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স বিভাগ এবং ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন শাখা দেখভালের দায়িত্বে আছেন।
উল্লেখ্য, ইউজিসিতে ২০২০ সালে প্রেষণে যোগদানের আগে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন: নবজাতকের কপাল কাটা: পরিবারের পাশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
মানবাধিকার কমিশনকে আরও সক্রিয় হতে বললেন রাষ্ট্রপতি
১ বছর আগে