কৃষকের আত্মহত্যা
বরগুনায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে কৃষকের আত্মহত্যা!
বরগুনায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে পরিবারের ওপর অভিমান করে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের বদরখালী গ্রামের একটি গাছ থেকে দুলাল মাতুব্বরের (৫৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত এই কৃষক বদরখালী গ্রামের মৃত কদম মাতুব্বরের ছেলে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বদরখালী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আল আমিন বলেন যে এনজিও, সমিতি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে নেয়া ঋণের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে পারিবারিক ঝগড়া সৃষ্টি হয়। সেখান থেকেই অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ জানান, গাছের সঙ্গে গালায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হত্যা হয়ে থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে বৃদ্ধের আত্মহত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোবাইল না কিনে দেয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা!
১ বছর আগে
সুদে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি, কৃষকের আত্মহত্যা!
মাদারীপুরের ডাসারে বাড়ির পাশের আম গাছ থেকে কৃষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের চিত্তর মোড় এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
কৃষক বাবুল মল্লিক (৪৫) মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের আলীসাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
সরেজমিন ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের হাকাই সিকদারের ছেলে সুদ ব্যবসায়ী লিটন সিকদারের কাছ থেকে দুই বছর আগে পাঁচ হাজার টাকা সুদে নেন একই এলাকার বাবুল মল্লিক।
আরও পড়ুন: হাজারীবাগে ২ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
কিন্তু সুদ ব্যবসায়ী লিটন সিকদার এক মাস আগে বাবুল মল্লিকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন, বাবুল মল্লিক টাকা না দিতে পারায়, লিটন সিকদার জোর করে এক একর বিশ শতাংশ জমি দখল করেন। এই চাপ সইতে না পারায় বাবুল মল্লিক বাড়ির পাশে আম গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
বাবুল মল্লিকের স্ত্রী বুলবুলী মল্লিক, বোন সন্দা মল্লিক ও ছেলে তুর্য মল্লিক অভিযোগ করে বলেন, নবগ্রাম ইউনিয়নের আলীসাকান্দি গ্রামের লিটন সিকদারের কাছ থেকে বাবুল মল্লিক দুই বছর আগে পাঁচ হাজার টাকা সুদে আনেন। ওই সময় লিটন সাদা স্ট্যাম্পে সই দেন এবং পরবর্তীতে লিটন ওই স্ট্যাম্পে পাঁচ লাখ টাকা লিখে আমাদের কাছে টাকা চেয়ে চাপ সৃষ্টি করে।
আমরা ওই টাকা না দেয়ায় আমাদের এক একর বিশ শতাংশ জমি জোর করে বুধবার, ৭ ডিসেম্বর দখল করেন। এই চাপ সইতে না পারায় বাবুল মল্লিক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আমরা এর ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এলাকার বিশিষ্টজন মিহির হালদার বলেন, বাবুল একটি ভাল ছেলে, তার সঙ্গে এলাকায় কারো কোনোদিন বাকবিতণ্ডাও হয়নি। আমরা শুনেছি লিটনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা সুদে নিয়েছে। সেখানে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে, ধানের জমি জোর করে দখল নেন সুদ ব্যবসায়ী লিটন।
আমাদের ধারণা, সেই চাপ সইতে না পারায় বাবুল আত্মহত্যা করতে পারেন।
অভিযুক্ত লিটন বলেন, আমি তার কাছে কোন টাকা সুদে লাগাইনি। তবে তার কিছু জমি চাষাবাদের জন্য আমার কাছে টাকার বিনিময় বন্দক রাখে।
এখন তার পরিবার, অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, সুদের টাকার জন্য আমি জমি দখল করছি।
ডাসার থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্হল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় কিশোরীর আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসিতে ফেল করায় ছাত্রীর আত্মহত্যা
১ বছর আগে