গভীর রাত
গভীর রাতে ঘরে ঢুকে নারীকে হত্যা, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট
খুলনার রূপসায় ৩ নম্বর নৈহাটি ইউনিয়নে ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে গুলফার নাহার সেতারা নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় সন্ত্রাসীরা ঘরে আলমারি খুলে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ দামি মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
নৈহাটি গ্রামের পশ্চিম পাড়া হালদার বাড়ি থেকে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা: অভিযুক্ত ২ পুলিশ সদস্যের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
গুলফার নাহার সেতারা (৬৫) ওই গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তার এক মাত্র ছেলে রায়হান ঢাকায় বসবাস করেন।
স্থানীয়রা জানায়, গুলফার ওই বাড়িতে একা থাকতেন। শুক্রবার সকালে তার গৃহপরিচারিকা শাহিনুর বেগম এসে ডাকাডাকি করতে থাকেন।
তবে ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় আশেপাশের লোকজন ডেকে এনে ঘরে ঢুকে দেখে, ওই নারীর লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাফী
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে গুলফার খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। দিবাগত রাতে সন্ত্রাসীরা ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে সেতারাকে হাত-পা বেঁধে মাথায় আঘাত করে। এসময় রক্তক্ষরণে সেতারা নিহত হন।
তিনি বলেন, এসময় সন্ত্রাসীরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ দামি মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তবে কত টাকা ও কী কী মালামাল নিয়েছে তা সঠিক জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ফারহান হত্যার ঘটনায় হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের
৩ মাস আগে
মির্জা ফখরুলকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ
গভীর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটকের প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এ মিছিল করেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ হচ্ছে গোলাপবাগ মাঠে
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে উত্তরার বাসা থেকে মির্জা ফখরুল এবং শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এর প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁও শহরের আমতলী মোড় থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন।
মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নূর, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েসসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন তুহিন বলেন, বিএনপি মহাসচিব ও ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতিসন্তান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ঢাকার বাড়ি থেকে গভীর রাতে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। অবিলম্বে তাদের ছেড়ে না দিলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
এদিকে দুপুরে পুলিশ জেলা বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুল ও আব্বাস পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার: ডিবি প্রধান
১০ ডিসেম্বর সমাবেশস্থল: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপির ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল
২ বছর আগে