সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা
ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: ১০ দফা দাবিতে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা
সকল জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে এবং অসংখ্য বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে বিএনপি শনিবার ঢাকায় শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ করেছে। এই সমাবেশ থেকে দলটি ১০ দফা দাবিতে একযোগে সরকারবিরোধী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন গোলাপবাগ মাঠের জনসভায় এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংসদ সদস্যদের আজ পদত্যাগের সম্ভাবনা রয়েছে
তাদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, সংবিধানে সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন, নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা, ব্যালট পেপার ব্যবহার করে নির্বাচন অনুষ্ঠান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ অন্য সব রাজনৈতিক বন্দিদের কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও অন্যান্য দমনমূলক আইন প্রত্যাহার, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র রাখা।
রাজধানী ও দেশের অন্যান্য স্থান থেকে কয়েক হাজার মানুষ এই সমাবেশে যোগ দেয় এবং জনতার ঢল সমাবেশস্থলের চারপাশে কয়েক কিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে যোগ দেয়ার আগে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য ইমেইলের মাধ্যমে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের হাত থেকে মুক্তি পেতে লাখ লাখ মানুষ সমাবেশে যোগ দিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার পায়ের নিচের মাটি হারিয়ে বিরোধী দলকে দমন করে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় বসার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ: নিরাপত্তার চাদরে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে পুলিশের অভিযানে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যু এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১০টি বিভাগীয় শহরে ধারাবাহিক জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট কাটিয়ে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিল যে আগামী সাধারণ নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে।
অন্যদিকে, সংবিধানের বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বারবারই তীব্রভাবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৭ সংসদ সদস্যের পদত্যাগ
২ বছর আগে