জয় বঙ্গবন্ধু
চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান দিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে ১২ কিশোর আটক
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ‘জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু’ সম্বলিত টিকটক ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করার আগেই পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ১২ কিশোর।
শুক্রবার(২৫ জুলাই) বিকেলের দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা কালাইয়ের দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক কিশোররা হলো- চরলক্ষ্যা ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. জাহেদ, সাইফুল, বিজয়, আকাশ, আরফাত, মিনহাজ, ফোরকান, ইকবাল, আকিব, আদর, বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি। তাদের মধ্যে জাহেদের বয়স ১৮ হলে বাকিদের বয়স ১২-১৫ এর মধ্যে বলে জানা গেছে। তারা চরপাথরঘাটা ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও চরলক্ষ্যা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছেন, বিকালে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন তারা। এমন খবরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ভিডিও বানালেও ফেসবুকে আপলোড দিতে পারেনি বলে পুলিশ জানায়।
পড়ুন: টিকটক বানাতে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা, ফটোগ্রাফার খুন
আটকদের একজন মো. জাহেদের পিতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘ছেলেরা মিলে টিকটক ভিডিও করছিল। সেখানে তারা ‘জয় বাংলা’ বলে কিছু সংলাপ ব্যবহার করেছে। এ কারণেই পুলিশ তাদের আটক করেছে বলে জানতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে ভোটার হলেও বাকিরা এখনও ভোটার হয়নি। তারা কেউ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়, কেবল দুষ্টুমির ছলেই এসব করেছে।’ কেউ হিংসাত্মকভাবে ছেলেদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছেন।
তাদের 'চুলকানি বাহিনী ফানি বিনোদন, নামে একটি ফেসবুক পেইজ আছে বলেও জানান তিনি। ওই পেইজে বিনোদনমূলক ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে থাকেন বলে জানা যায়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, আটকদের ছবি দেওয়া নিষেধ আছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
১৩৩ দিন আগে
জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করতে রুল জারি
‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে জারি করা গেজেট সংশোধন করে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (০৩ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, শিক্ষা সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের সেই শিশুকে ১৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
এছাড়া রিটের পক্ষে শুনানি করেছেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়া।
গত বছরের ১২ নভেম্বর জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র গেজেট সংশোধন করে তাতে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেলসহ ১৩ আইনজীবী।
আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যখনই জয় বাংলা উচ্চারিত হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু উচ্চারিত হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য এই স্লোগান ছিল উৎসাহমূলক।
জয় বাংলা আর জয় বঙ্গবন্ধু একটাই স্লোগান; পৃথক কোনো স্লোগান নয়।
২০১৬ সালের ৩ মে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। এই দেশটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাইতো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাঙালির মুখে মুখে স্লোগান ছিল ‘এক নেতা একদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান আমাদের জাতীয় স্লোগান। এজন্য জয় বাংলার সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভূক্ত করতে রিট করা হয়। রিট আবেদনটির প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী নয়: হাইকোর্ট
এর আগে ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান (প্রয়াত) ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার বিষয়ে রায় দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদারত বলেন, জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান এবং জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আদালত আরও বলেন, আবেদনকারী সংবিধানের ৩ ও ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করা দাবি করেছেন-এটা এই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত।
কারণ কোনো আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধান সংশোধন করার একমাত্র অধিকার জাতীয় সংসদের।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রুলের সমর্থনে হলফনামা দিয়েছেন উল্লেখ করে আদালত রায়ে বলেন, আইন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করায় একমত পোষণ করেছেন।
এরপর আদালত রায়ের আদেশ অংশ ঘোষণা করেন।
আদেশে আদালত বলেন, ক. আমরা ঘোষণা করছি যে, জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।
খ. সব জাতীয় দিবসগুলোতে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ এবং রাষ্ট্রীয় সব কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ যেন করেন, সেজন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
গ. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি সমাপ্তির পরে ছাত্র শিক্ষকরা যেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করেন, তার জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এরপর গত বছরের ২ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
আরও পড়ুন: যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানোর একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কেন অসাংবিধানিক নয়: হাইকোর্ট
৯৭৮ দিন আগে
জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে জারি করা গেজেট সংশোধন করে সেখানে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়াসহ ১৩ আইনজীবী বাদী হয়ে এ রিট করেন।
রবিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, শিক্ষা সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২০ জুন তারা সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, শিক্ষা সচিব বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: খুলনার সদ্য সাবেক ডিসি ও ডুমুরিয়ার ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
এ বিষয়ে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূইঁয়া জানিয়েছিলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান একইসঙ্গে উচ্চারিত হয়েছে। একই স্পিরিট নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। দুটি আলাদা কোনো স্লোগান নয়। একই স্লোগান।
এছাড়াও, ২০১৬ সালের ৩ মে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। এ দেশটি বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। তাইতো মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সমগ্র বাঙালির মুখে মুখে স্লোগান ছিল ‘এক নেতা একদেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান আমাদের জাতীয় স্লোগান।
তিনি আরও জানান, চলতি বছরে জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। আমরা চাই ওই গেজেট সংশোধন করে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্ত করতে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদের করা এক রিটের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১০ মার্চ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করতে রায় দেন বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান (প্রয়াত) ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ওইদিন রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘জয় বাংলা জাতীয় ঐক্যের স্লোগান। জয় বাংলা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রিয় স্লোগান ও জয় বাংলা ৭ মার্চের ভাষণের সঙ্গে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ’
আদালত আরও বলেন, আবেদনকারী সংবিধানের ৩ ও ৪ নম্বর অনুচ্ছেদের ধারাবাহিকতায় জাতীয় স্লোগান হিসেবে জয় বাংলাকে অন্তর্ভুক্ত করা দাবি করেছেন- এটা এই আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। কারণ কোনো আইন প্রণয়ন করা এবং সংবিধান সংশোধন করার একমাত্র অধিকার জাতীয় সংসদের। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এ রুলের সমর্থনে হলফনামা দিয়েছেন উল্লেখ করে আদালত রায়ে বলেন, আইন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করায় একমত পোষণ করেছেন।
এরপর আদালত রায়ের আদেশ অংশ ঘোষণা করেন। আদেশে আদালত বলেন-
ক. আমরা ঘোষণা করছি যে, জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে।
খ. সব জাতীয় দিবসগুলোতে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাধিকারীগণ এবং রাষ্ট্রীয় সব কর্মকর্তা সরকারি অনুষ্ঠানের বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ যেন করেন, সে জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
গ. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাসেম্বলি সমাপ্তির পরে ছাত্র শিক্ষকগণ যেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করেন, তার জন্য বিবাদীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এরপর চলতি বছরের ২ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
৩ ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ ‘কেলেঙ্কারি’: জড়িতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
১০৯১ দিন আগে