মো. আলমগীর
নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর
নির্বাচন নিয়ে বিদেশ থেকে কোনো চাপ নেই বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, তারা (বিদেশিরা) শুধু জানতে চেয়েছেন ইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গাজীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আলমগীর এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, সেনাবাহিনী এবারের নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভূমিকা রাখবে। পুলিশ প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্দেশনা মেনে তারা চলবে।
ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইসি বলেছে, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল ফতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় জিএমপির পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ী ক্যাম্প কমান্ডার ইয়াসির আরাফাত হোসেন, বিজিবি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম মো. কামরুল হাসানসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ বছর আগে
এফবিসিসিআইয়ের নতুন মহাসচিব মো. আলমগীর
ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে মো. আলমগীরকে।
রবিবার (২০ আগস্ট) তিনি এফবিসিসিআইতে যোগ দেন।
এর আগে আলমগীর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই -এর নতুন সভাপতি মাহবুবুল আলম
তিনি রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন।
সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আলমগীর সরকারি চাকরিতে ৩৩ বছরের কর্মজীবনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার নিয়ে এফবিসিসিআইয়ে এসেছেন।
১৯৯০ সালে পটুয়াখালী ডিসি অফিসে সহকারী কমিশনার হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয় এবং তিনি বিভিন্ন জাতিগত সংখ্যালঘুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় কাজ করেন।
মো. আলমগীর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিবেশ অধিদপ্তরে এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়েও দায়িত্ব পালন করেছেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মো. আলমগীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এনইউএস) থেকে পাবলিক পলিসিতে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। যার ফলে তিনি বাংলাদেশের প্রথম বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে এনইউএস থেকে এই ডিগ্রি অর্জন করেন।
এ ছাড়াও, মো. আলমগীর ইউকে ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্স থেকে শেভনিং ফেলোশিপের অধীনে ম্যানেজিং মাইগ্রেশন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে হুবার্ট হামফ্রে ফেলোশিপের অধীনে 'সাবস্ট্যান্স ইউজ, রিডাকশন, ট্রিটমেন্ট অ্যান্ড পলিসি' বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি ঢাকার একাডেমি ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট থেকে প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং জাপানের আইডিএএস অ্যাডভান্সড স্কুল থেকে ডেভেলপিং ইকোনমিকসে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
এ ছাড়াও তিনি দেশে ও বিদেশে অনেক প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআই এর সভাপতি হলেন মাহবুবুল আলম
এফবিসিসিআই-আইসিসির বৈঠক: ভারতের স্বাস্থ্য খাতের উদ্যোক্তাদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান
১ বছর আগে
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপুল ভোটে জয়
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজাহার আলী বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ছয় হাজার ৭৪০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৌরসভা নির্বাচনে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১
বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বোদা পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) থেকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
আজাহারের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বোদা উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আখতার হোসেন হাসান নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৫৯৭ ভোট।
এ ছাড়া অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বোদা পৌর কমিটির সদস্য সচিব দিলরেজা ফেরদৌস চিন্ময় জগ প্রতীকে ৭৮৩ এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বোদা উপজেলা কমিটির মো. মওদুদ খান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৭৩২ ভোট।
সংরক্ষিত আসনে নারী কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে (১ থেকে ৩নং ওয়ার্ড) ইসমতারা দ্বিতল বাস প্রতীকে দুই হাজার ২১৮, ২নং ওয়ার্ডে (৪ থেকে ৬নং ওয়ার্ড) মোছা. ঝর্না আনারস প্রতীকে দুই হাজার ২২৫ ও ৩নং ওয়ার্ডে (৭ থেকে ৯নং ওয়ার্ড) মোছা. সুলতানা বেগম চশমা প্রতীকে ১৭৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ কাউন্সিলর পদে- ১নং ওয়ার্ডে মো. আরিফুর রহমান আরিফ উট পাখি প্রতীকে এক হাজার ৯৭, ২নং ওয়ার্ডে আমজাদ হোসেন বাবলা টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৯৮৮, ৩নং ওয়ার্ডে মো. খাদেমুল ইসলাম টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৭৪১, ৪নং ওয়ার্ডে মো. জামাল উদ্দীন পাঞ্জাবি প্রতীকে ৫২৫, ৫নং ওয়ার্ডে আব্দুল মালেক টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ৯১০, ৬নং ওয়ার্ডে আবু সাদাত মো. সায়েম রুবেল পাঞ্জাবি প্রতীকে ২৯৪, ৭ নং ওয়ার্ডে কাউসার আলম রুমি উটপাখি প্রতীকে ৬১১, ৮নং ওয়ার্ডে মো সৈয়দ আলী পাঞ্জাবি প্রতীকে ৪২৬ ও ৯নং ওয়ার্ডে মো. শাহজাহান আলম গাজর প্রতীকে ৫৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৯টি কেন্দ্রের ৪৮টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইভিএমে ভোটগ্রহণে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও ভোটাররা সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এছাড়া নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯টি কেন্দ্রে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বোদা পৌরসভার ১৪ হাজার ৫১২ জন ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে ১১ হাজার ৮১২ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: পৌরসভা নির্বাচন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেয়র পদে লড়বেন ৬ জন
ভোলা পৌরসভা নির্বাচন: দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ২০
১ বছর আগে
গেজেট হলেই শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন: ইসি
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, গেজেট হলেই শুন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন।
তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ায় দেখেছি, তারা পদত্যাগ করেছেন। এজন্য আসন শূন্য হওয়ার কোনো গেজেট পাইনি। যদি সত্যিকার অর্থেই তারা পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে যদি ডেপুটি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন, তখন গেজেট হবে।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, গেজেট হলে তাদের কাজ শুরু হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত গেজেট না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কাজ শুরু করার সুযোগ নেই।
এছাড়া কোনো সংসদ সদস্য পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে, এটাই ইসির দায়িত্ব।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। নির্বাচন করতেই হবে। কারণ আসন শূন্য রাখার তো কোনো সুযোগ নেই।’
এমপিদের পদত্যাগ নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তাদের পদত্যাগ ভিন্ন একটি ইস্যু। যতটা না নির্বাচন সম্পর্কিত, ততটা রাজনৈতিক। এটা স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছি। একজন সংসদ সদস্য তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। এটা সংবিধানে বলা আছে, যে কীভাবে পদত্যাগ করবেন সেটা বলা আছে। এখানে ইসির উৎসাহিত, নিরুৎসাহিত করার কোনো সুযোগ নেই।’
জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সাত জন সংসদ সদস্য (এমপি)।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।
পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া সাতজন এমপি হলেন-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুন অর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের আবদুস সাত্তার, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশাররফ হোসেন, বগুড়া–৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের জাহিদুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
বিদেশে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ এবং অসুস্থতার কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের পক্ষে পদত্যাগপত্র জমা দেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর গোলাপবাগে দলের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির দলীয় সাতজন এমপি পদত্যাগ করবেন বলেও ঘোষণা দেয়া হয়।
গণসমাবেশে বিএনপির এমপিরা ধারাবাহিকভাবে বক্তব্য দিয়ে এই পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন।
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. হারুন অর রশিদ অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় তিনি গণসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে: নির্বাচন কমিশনার
২ বছর আগে