ই-পাসপোর্ট
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট করবেন যেভাবে
ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণকে আরও নিরবচ্ছিন্ন ও সাবলীল করতেই অবতারণা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সরকারি পরিষেবা থাকায় সমূহ ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হতো আবেদন জমা দেওয়ার সময়। বর্তমানে জনসংখ্যার ঘনত্বের ভিত্তিতে বিভাগীয় অফিসগুলোকে বিকেন্দ্রীকরণে উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসছে আবেদনকারীদের দীর্ঘ লাইন। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক কার্যালয়। তাই চলুন, আঞ্চলিক পর্যায়ের পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
ই-পাসপোর্ট আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জাতীয় পরিচয়পত্র ও অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
· ১৮ বছরের নিচের প্রার্থীর জন্য অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
· ১৮ থেকে ২০ বছরের প্রার্থীর জন্য এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) কার্ড অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের যে কোনো একটি
· ২০ বছরের বেশি প্রার্থীর ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ড
· শিশুদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড
আরো পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
পেশাগত প্রমাণপত্র
· ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও ড্রাইভারের মতো প্রযুক্তিগত বা কারিগরি পেশার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কারিগরি সনদগুলো
· শিক্ষার্থী হলে,
o প্রার্থীর সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
o অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দেওয়া প্রত্যয়নপত্র
o কিংবা স্টুডেন্ট আইডি কার্ড
· বেসরকারি চাকরিজীবী হলে কর্মরত প্রতিষ্ঠান থেকে দেওয়া আনুষ্ঠানিক প্রত্যয়নপত্র
· সরকারি চাকরিজীবি হলে নিম্নলিখিত নথির যে কোনো একটি (ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ওয়েবসাইটে নোটিশ আকারে প্রকাশিত থাকতে হবে):
o সরকারি আদেশ (জিও)
o বা, অনাপত্তি পত্র (এনওসি)
o বা, প্রত্যয়নপত্র
o বা, অবসরোত্তর ছুটির আদেশ (পিআরএল অর্ডার)
o বা, পেনশন বই আপলোড/সংযোজন করতে হবে
· কৃষক বা ক্ষেতে কৃষিকাজে নিযুক্ত থাকলে জমির পর্চার অনুলিপি
· ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্সের অনুলিপি
· বসবাসরত ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে সাম্প্রতিক ইউটিলিটি (বিদ্যুৎ বা গ্যাস অথবা পানি) বিল
এই নথিগুলোর কোনো সত্যায়নের প্রয়োজন নেই। সেই সাথে আবেদন ফর্মে প্রার্থীর কোনো ছবি যুক্ত করারও দরকার নেই।
আরো পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
আবেদন জমাদানের সময় উপরোক্ত কাগজপত্রের সাথে অতিরিক্ত যা যা নিতে হবে:
· বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ আবেদনপত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি
· অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ফর্ম বা পূর্ণ আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি
· পাসপোর্ট ফি পরিশোধের রশিদ
· ৬ বছরের কম বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক গ্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা ল্যাব প্রিন্টকৃত পাসপোর্ট সাইজের ছবি
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম
আঞ্চলিক ই-পাসপোর্ট কার্যালয় নির্ধারণ
প্রতিটি বিভাগের অধীনে যে অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত আছে, সেগুলো হলো-
ঢাকা
বাংলাদেশ সচিবালয় (ঢাকা), ঢাকা সেনানিবাস, কেরাণীগঞ্জ (ঢাকা), উত্তরা (ঢাকা), নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি।
খুলনা
যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ।
রংপুর
লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম।
রাজশাহী
নাটোর, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
বরিশাল
ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর ও জামালপুর।
সিলেট
সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
৩ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করা হয়েছে। এক নবজাতক ও দুইজন তরুণ বাংলাদেশির আবেদন স্লিপ প্রদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে এক্সপাট সার্ভিসেস নামে একটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী এ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
সুরক্ষা সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ২০২০ সালে প্রথম ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়। এ পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা কোড রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট চালু করা হলো।
আরও পড়ুন: আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
এর মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সেবার মান বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো স্মার্ট ও দ্রুততর হবে এবং পাসপোর্ট সেবায় গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মাসুদ চৌধুরী আরও বলেন, এ পাসপোর্টের মাধ্যমে উন্নত দেশের নাগরিকদের মতো বাংলাদেশিরাও শিগগিরই নিজে স্ক্যান করে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মর্যাদা আরও বাড়বে এবং বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন, সংখ্যার বিচারে যা সৌদি আরবের পর বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কমিউনিটি। ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে হাইকমিশনে ক্রমান্বয়ে দাবি জানিয়ে এসেছেন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা। ‘ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের’ মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে ই-পাসপোর্ট সেবার ব্যবস্থা করেছে হাইকমিশন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ‘ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প’ বিষয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনের কাউন্সেলর (ভিসা ও পাসপোর্ট) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ নুরুস ছালাম, হাইকমিশনের মিনিস্টার ও ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
৮ মাস আগে
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ই-পাসপোর্ট ও ভিসা সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
একই সঙ্গে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মালয়েশিয়ায় কুয়ালালামপুরে সাউথগেট কমার্শিয়াল সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের সীমিত জনবল দিয়ে দেশটিতে বসবাসরত ১২ লাখ প্রবাসীদের পাসপোর্টসহ অন্যান্য সেবা এবং বিদেশিদের ভিসা সেবা দেয়। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় হাইকমিশনের কাজের পরিধি বহুলাংশে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ ধারণার আদলে সরকারের নির্দেশনায় পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা সহজ ও দ্রুততর করতে আউটসোর্সিং কোম্পানি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের সেবা ও কল্যাণ নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রবাসীবান্ধব নীতি’ অনুসরণ করছেন। এ লক্ষ্যে, ৩০ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ ঘোষণা করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা আমাদের নায়ক, আসুন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মালয়েশিয়ায় সহজে ও স্বল্প সময়ে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে ই-পাসপোর্ট ও ভিসা আবেদন কেন্দ্রের কল সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধনের ফিতা কাটেন।
এ সময় এ সার্ভিসের জন্য চুক্তিবদ্ধ আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড’ (ইএসএল) কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসী মিডিয়াকর্মীসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এই অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চাই না, বিশ্বকে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উপলক্ষে সেবা সপ্তাহ পালন করছে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। এর শেষ দিনে এ কল সেন্টার উদ্বোধন করা হলো।
শিগগিরই ই-পাসপোর্ট ও ভিসা প্রদান কার্যক্রম চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রবাসীবান্ধব নীতি বাস্তবায়নে দূতাবাস আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলেও হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
উল্লেখ্য, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রবাসী-বান্ধব নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সম্প্রতি কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এক্সপ্যাট সার্ভিসেস লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে আবেদন ফরম পূরণ, স্ক্যান ও বায়োমেট্রিকসহ আবেদনের সকল কার্যক্রম ইএসএল সম্পন্ন করবে। হাইকমিশন মালয়েশিয়ার পোস্টাল বিভাগের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ নিশ্চিত করবে।
ই-পাসপোর্ট এবং মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশের ভিসা প্রদানের লক্ষ্যে কুয়ালালামপুরের জালান দুয়া-চান শো লিনে (সিটি সেন্টারের পাশে) ভবন ভাড়া নিয়ে ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার’ হিসেবে চালু করা হয়েছে। এতে ৪৫টি সার্ভিস কাউন্টার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েত আমির শেখ নাওয়াফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কল সেন্টারের টেলিফোন নম্বর: ০৩৯২১২০২৬৭১
সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ও ভিসা বিষয়ে এ নম্বরে কল করে পরামর্শ নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
১১ মাস আগে
বেলজিয়ামে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশের ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে ব্রাসেলসে এই কার্যক্রম চালু করা হলো।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেন। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।’
তিনি বলেন, ‘যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান ও মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। এমনকি স্বল্পসংখ্যক উন্নত দেশে এটি স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলো।’
আরও পড়ুন: লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘বতর্মানে দেশের ৬৪টি জেলার ৭২টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আজকে ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে বেলজিয়ামে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। শিগগিরই দেশের ৮০টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা দ্রুত ই-ভিসা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাহবুব হাসান সালেহ্, বাংলাদেশ দূতাবাস বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ সাহানারা খাতুন এবং বেলজিয়ামে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে চালু হলো ই-পাসপোর্ট
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
১ বছর আগে
প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
একজন নাগরিকের জন্য তার পাসপোর্টটি তার নিজের দেশে যতটা না দরকার তার চেয়েও বেশি দরকার অভিবাসনের মাধ্যমে তিনি যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশে। সেখানে তার অভিবাসনের কারণ ও উদ্দেশ্যের পাশাপাশি দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য একমাত্র অবলম্বন এই পাসপোর্ট। তাই সেই দেশে থাকার মুহূর্তগুলোতে পাসপোর্টের কার্যকারীতার ব্যাপারে যথেষ্ট খেয়াল রাখা উচিত।
বর্তমানে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরের দেশের দূতাবাসগুলোতেও ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। সেই দেশগুলোতে বাংলাদেশের মতই পাসপোর্টের নবায়নকারীদের দেয়া হচ্ছে নতুন ই-পাসপোর্ট। চলুন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়ন করার উপায় জেনে নেয়া যাক।
ই-পাসপোর্ট-এর জন্য আবেদনের যোগ্যতা
বাংলাদেশে অবস্থানকারী পাসপোর্টধারীদের ন্যায় বিদেশ- বিভুঁইয়ে থাকা বাংলাদেশিদেরকেও পাসপোর্ট নবায়ন এবং নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এজন্য পূর্বশর্তগুলো হলো-
আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈধ বাংলাদেশি এনআইডি(জাতীয় পরিচয়পত্র) কার্ড এবং অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র থাকতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সনদের ক্ষেত্রে, আবেদনকারীর নিজের ও পিতামাতার নামের সঙ্গে যেন অবশ্যই আবেদনের সংশ্লিষ্ট তথ্যের মিল থাকে। নতুবা আগে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র ঠিক করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
উপরন্তু, আবেদনকারী মার্কিন নাগরিক হয়ে থাকলে, তাকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জারি করা দ্বৈত জাতীয়তা সনদপত্র দেখাতে হবে। অন্যথায়, আবেদনকারীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার জন্য থাকতে হবে বৈধ কাগজপত্র যেমন- বৈধ ভিসা বা স্থায়ী বাসিন্দা কার্ড।
বাংলাদেশি পাসপোর্টের সঙ্গে এক বছরের বেশি মেয়াদ থাকলেও আবেদন করা যাবে না যদি না সেই পাসপোর্টধারীদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের স্বপক্ষে কোন বৈধ প্রমাণপত্র থাকে।
প্রবাসীদের পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- বারকোড এবং অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখসহ পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদনের সারাংশ
- অনলাইনে জমাকৃত আবেদনের প্রিন্ট কপি
- পাসপোর্ট নবায়ন ফি পরিশোধের মানি অর্ডার/ক্যাশিয়ার চেক/অফিসিয়াল চেক
- বর্তমান বাংলাদেশি পাসপোর্টের মূল কপি
- বাংলাদেশি এনআইডি কার্ড কপি অথবা জন্ম সনদের অনলাইনে নিবন্ধনের যাচাইকরণ ওয়েবপৃষ্ঠার কপি সহ জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র
- মার্কিন নাগরিক হলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বৈত জাতীয়তা সনদপত্রের অনুলিপি
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের প্রমাণপত্রের অনুলিপি, যেমন বৈধ ভিসা, স্থায়ী বাসিন্দা কার্ড, অথবা একটি নোটারাইজড হলফনামা যেখানে উল্লেখ থাকবে যে আবেদনকারী মার্কিন নাগরিক নন।
- প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ/তালাক নিবন্ধন শংসাপত্রের অনুলিপি
- বর্তমান বাংলাদেশি এমআরপি(মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট)-এর তথ্যে কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হলে তার স্বপক্ষে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
অনলাইনে প্রবাসীদের ই-পাসপোর্ট নবায়ন করার পদ্ধতি
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য অনলাইনে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন পদ্ধতি
বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের মত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও অনলাইনে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে যেয়ে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করবেন। শুরুতেই বাংলাদেশ থেকে আবেদন করা হচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হবে। এখানে না উত্তর দেয়ার পর বাছাই করতে হবে দেশ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের নাম। তারপর নাম, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটে নতুন একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
নামটি অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র বা অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম সনদ অনুসারে হতে হবে। ইমেইল ঠিকানা যাচাইয়ের মাধ্যমে নিবন্ধনের পর ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। তারপর শুরু হবে পাসপোর্ট নবায়নের মুল আবেদন।
এখানে ব্যক্তিগত সেকশন থেকে শুরু করে বিতরণের ধরণ পর্যন্ত যথাযথ তথ্যাবলি দিয়ে পূরণ করতে হবে। তন্মধ্যে আইডি ডকুমেন্ট সেকশনে ‘Yes, I have a Machine Readable Passport (MRP)’ অপশনটি বাছাই করতে হবে। এরপরে পাসপোর্ট আবেদনের কারণ হিসেবে Expired অপশনটি বাছাই করে বর্তমান পাসপোর্টের নাম্বার, ইস্যু ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লিখে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
অতঃপর পুরো আবেদনপত্রটি সফলভাবে শেষ হলে সাবমিট করার পর ডাউনলোড করে তার একটা প্রিন্ট নিয়ে নিতে হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশের বাইরে থেকে কিভাবে পাসপোর্ট নবায়ন ফি দিবেন
মানি অর্ডার/ক্যাশিয়ার/অফিসিয়াল চেক (অনুর্ধ্ব ৩০ দিন)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাস বরাবর নবায়ন ফি প্রদেয় করতে হবে। নগদ বা ব্যক্তিগত চেক বা অনলাইন পেমেন্ট গ্রহণ করা হয় না। তাই অনলাইন আবেদন করার সময় অফলাইন পেমেন্ট নির্বাচন করতে হবে। দূতাবাসে বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির সময় আবেদনকারীকে মানি অর্ডার/ক্যাশিয়ার/অফিসিয়াল চেক ব্যক্তিগতভাবে জমা দিতে হবে।
দেশের বাইরে বাংলাদেশি ই-পাসপোর্ট নবায়ন ফি
ই -পাসপোর্ট ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার হয়ে থাক। প্রবাসীরা ৫-বছর বা ১০-বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে পারবেন। পাসপোর্ট ডেলিভারি রেগুলার, বা জরুরি ভিত্তিতে নিতে পারেন।
বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট নবায়ন ফী বিভিন্ন। প্রবাসীগণ যে দেশে অবস্থান করছেন বা যে দেশ থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করতে চান সেই দেশের দূতাবাসের ওপর নির্ভর করে এই ফি ভিন্ন হয়।
আরও পড়ুন: ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি
পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন কিভাবে ও কোথায় জমা দিবেন
যুক্তরাষ্ট্রে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর পূর্বে ইমেলের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় জানানো হতো। কিন্তু এখন অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়া চলাকালীন অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণ করতে হবে। আবেদনের প্যাকেজ বা পাসপোর্ট আবেদন সংক্রান্ত কোন নথি ডাকযোগে পাঠানো যাবে না।
আবেদনকারীকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের নির্ধারিত তারিখে সশরীরে দূতাবাসে আসতে হবে। অতঃপর বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তির পরে আবেদনকারীর বর্তমান পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। তালিকাভুক্তি সম্পূর্ণ করার আগে খসড়া ডেলিভারি স্লিপ দেখানো হবে। সেখানে সমস্ত তথ্য যাচাই করার পর আবেদনকারী তাতে স্বাক্ষর করে তার নিজের কপিটি সঙ্গে নিয়ে আসবেন। আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা কোন দূতাবাসের আওতায় পড়েছে তা জানা যাবে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট নবায়নে কত দিন সময় লাগে
সাধারণত এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ২১ কার্যদিবস, রেগুলার ডেলিভারিতে ৪৫ কার্যদিবস লাগে। তথ্য অসামঞ্জস্যতা বা সংশোধনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট প্রক্রিয়াকরণের সময়ে আরো বেশি সময় লাগতে পারে। তাছাড়া ই-পাসপোর্ট ঢাকা থেকে প্রস্তুত হয়ে বিতরণ হয় বলে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ সময় লেগে যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে আনুমানিক ৭৫ দিন সময় লাগে। জার্মানিতে ৮-১০ সপ্তাহ; কখনও কখনও এর চেয়েও বেশি সময় লেগে যায়।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট নবায়ন সমস্যা সমাধানে সৌদি-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
নবায়নকৃত পাসপোর্ট সংগ্রহ
তালিকাভুক্তির সময় আবেদনকারী যদি একটি প্রিপেইড ও স্ব-ঠিকানাযুক্ত রিটার্ন খাম (শুধুমাত্র ইউএসপিএস) ট্র্যাকিং নম্বর এবং নিজের বাংলাদেশি এনআইডির অনুলিপি প্রদান করেন তাহলে তাকে নতুন পাসপোর্ট ডাকযোগে পাঠানো হবে।
নতুন পাসপোর্ট ঢাকা থেকে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে গৃহীত হয়। এ সময় সাধারণ টেমপ্লেট সহ একটি সিস্টেম জেনারেট করা ইমেল ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার জন্য আবেদনকারীর নিকট একটি ইমেইল যায়। এই বার্তাপ্রাপ্তির পর রিটার্ন খাম এবং এনআইডি এর কপি প্রদানকারীরা নিজের বর্তমান ঠিকানায় ডাকযোগে নতুন পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।
যাদের বাংলাদেশি এনআইডি নেই তাদেরকে যে কোনো কর্মদিবসে বিকাল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে দূতাবাসে যেয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইট থেকেই পাসপোর্ট ইস্যু হওয়ার আপডেট পাওয়া যায়।
শেষাংশ
প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়ন করার উপায়টি আগের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নবায়ন থেকেও সহজ। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রটি অনলাইন নিবন্ধিত না থাকলে অথবা পাসপোর্টের তথ্যে সঙ্গে মিল না থাকলে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে নবায়নের জন্য আবেদনকারীদের।
বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে প্রবসীদের, কেননা প্রবাসে পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ছয় মাস আগেই পাসপোর্টটি নবায়ন করা জরুরি। তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে অভিবাসনের সময়ে পাসপোর্টের সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় নথিপত্র দেশ থেকেই ঠিক করে যাওয়া উত্তম।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
১ বছর আগে
ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি
দেশে ও দেশের বাইরে প্রতিটি নাগরিক ও অভিবাসীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথিটির নাম পাসপোর্ট। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম পুরোদমে চালু হওয়ার কারণে নতুন পাসপোর্টের আবেদনকারী এবং এমআরপি (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) নবায়নকারী সকলকেই ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি এই কার্যক্রমের তিন বছর হতে যাচ্ছে। হাতে পাওয়া ইলেক্ট্রনিক চিপযুক্ত নতুন পাসপোর্টটিতে তথ্যের নানা ভুল-ভ্রান্তি ধরা পড়তে পারে, যা আবেদনকারী এবং পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা উভয়ের মাধ্যমেই সংঘটিত হতে পারে। তাই যারা ই-পাসপোর্ট হাতে পেয়ে গেছেন তাদের পাশাপাশি নতুন আবেদনকারীদেরও ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি জেনে রাখা আবশ্যক। এই নিবন্ধে সেই ভুল সংশোধনের নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
পাসপোর্ট সংশোধনের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ই-পাসপোর্ট সংশোধন
২০২১-এ দুইবার ও ২০২২-এ একবার প্রজ্ঞাপনের পর সর্বশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে পাসপোর্ট সংশোধনের নতুন প্রজ্ঞাপন দিয়েছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। ফলশ্রুতিতে, পূর্বের পরিপত্রগুলো বাতিল হয়ে এখন এই প্রজ্ঞাপনটিই কার্যকর আছে এবং সেঅনুসারেই সকলকে ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করতে হবে।
এখানে পাসপোর্টের ওপর জাতীয় পরিচয়পত্রকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে তথ্যের কোন গরমিল থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যানুসারে পাসপোর্ট নতুন করে প্রস্তুত করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক তথা অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের বেলায় জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এখানে প্রয়োজন সাপেক্ষে জেএসসি/জেডিসি/এসএসসি/দাখিল/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়/কারিগরি ও সমমানের যে কোনে একটি সনদপত্র ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই নথিপত্র ছাড়াও তথ্য সংশোধনের জন্য দরকার হবে লিখিত আবেদন ও অঙ্গিকারনামার, যেগুলোর ফর্ম পাওয়া যাবে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে। এছাড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও পাওয়া যাবে এই ফর্মগুলো। তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনকারীকে এগুলো স্বহস্তে পূরণ ও স্বাক্ষর করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
-জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ)
-জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি জমাদানকারীদের ক্ষেত্রে পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
-জেএসসি, জেডিসি, এসএসসি, দাখিল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কারিগরি ও সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদগুলো থেকে যে কোন একটি সনদপত্র
-অভিবাসীদের ক্ষেত্রে পিআর(পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট)/জব আইডি/স্টুডেন্ট আইডি কার্ড/ড্রাইভিং লাইসেন্স
-পুরাতন ই-পাসপোর্টের মূল কপি এবং যে পৃষ্ঠাগুলোতে পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত ও ইমিগ্রেশনের তথ্য দেয়া আছে সেগুলোর ফটোকপি
-ই-পাসপোর্ট নবায়নের জন্য অনলাইন আবেদনের রঙিন মুদ্রিত কপি
-অ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ ই-পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদনের সারাংশের মুদ্রিত কপি
-অফলাইনে ই-পাসপোর্টে নবায়নের ফি পরিশোধ করলে ব্যাংক থেকে প্রদানকৃত ফি জমা রশিদ
-ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট অথবা পাসপোর্ট অফিসে প্রদর্শিত নমুনা ফর্মে লিখিত আবেদন ও অঙ্গীকারনামা
-সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে সরকারি অনাপত্তি/অধ্যাদেশ সনদপত্র
-বৈবাহিক অবস্থা সংযোজন, পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে কাবিননামা
-স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বা গ্যাস বিলের কপি
যাদের কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নেই, তাদের নাম, বয়স, পিতামাতার নাম আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিবর্তন করতে হলে আদালতের হলফনামার প্রয়োজন হবে।
পাসপোর্ট সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা বিভাগ থেকে প্রদত্ত তথ্য যাচাই হতে পারে।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ধাপে ধাপে ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি
ই-পাসপোর্টে নতুন কোন তথ্য সংযোজন, পুরনো তথ্যের নির্দিষ্ট কোন অংশ বিয়োজন, তথ্যের পরিবর্তন বা ভুল তথ্যের সংশোধন সবগুলোরই প্রক্রিয়া একই।
ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদনের সার্বিক প্রক্রিয়াকে দুইভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে।
- ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ও অঙ্গীকারনামা পূরণ।
- ই-পাসপোর্ট নবায়নের জন্য অনলাইন আবেদন।
- ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ।
এই প্রথম ধাপে সরাসরি চলে যেতে হবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে। সেখানে ফরম ও ফি মেনু থেকে রি-ইস্যু/তথ্য পরিবর্তন/সংশোধনের আবেদন ফরম-এ ক্লিক করার পর প্রাপ্ত ওয়েব পেজ থেকে পাওয়া যাবে ভুল তথ্য সংশোধনের আবেদন ফর্ম।
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
শুধুমাত্র বাংলায় আবেদনকারীর নাম ব্যতীত এই সম্পূর্ণ ফর্মটি পূরণ করতে হবে ইংরেজি ক্যাপিটাল অক্ষরে। নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করে যে কোনো আবেদনকারীই কোনো ঝামেলা ছাড়াই তথ্য সরবরাহ করতে পারবেন। প্রথমেই দুই কলামের বাম পাশের প্রথম অংশে যে পাসপোর্ট অফিস থেকে আবেদনকারী ভুলকৃত পাসপোর্টটি সংগ্রহ করেছিলেন তার নাম দিতে হবে। তারপর পর পর বাংলা ও ইংরেজিতে আবেদনকারীর নাম দিতে হবে।
এরপরের সেকশনটিতে ভুলকৃত পাসপোর্টের তথ্য উল্লেখ করতে হবে। এখানকার পাসপোর্ট নাম্বার, ইস্যুর স্থান ও তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সবকিছুই পাওয়া যাবে পাসপোর্টে ইলেক্ট্রনিক চিপযুক্ত পৃষ্ঠাটিতে। পাসপোর্টে আবেদনকারীর ছবির বরাবর ওপর-নীচ করে ধরে ওপরের পৃষ্ঠায় ডানদিকে উল্লম্বভাবে পাওয়া যাবে পাসপোর্ট নাম্বারটি। আর ছবির পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে পাসপোর্ট ইস্যুর স্থান ও অন্যান্য তারিখগুলো।
এবার ডানদিকের ওপরের বক্স থেকে টিক চিহ্ন দেয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণের প্রকৃতি নির্ধারণ করতে হবে। অতঃপর সেই প্রকৃতি অনুসারে পরের বক্সে উল্লেখ করতে হবে ফি-এর পরিমাণ, যে ব্যাংকের যে শাখায় প্রদত্ত ফি জমা দেয়া হয়েছে সেগুলোর নাম, রশিদ নাম্বার এবং জমাদানের তারিখ।
এরপর চূড়ান্তভাবে সংশোধীত তথ্য সরবরাহের পালা। বামের খালি অংশগুলোতে লিখতে হবে বর্তমানে ই-পাসপোর্টের ভুলকৃত তথ্যগুলো আর ডানের অংশগুলোতে উল্লেখ করতে হবে কি কি সংশোধন চাওয়া হচ্ছে সেগুলো। এখানে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, ডানের অংশগুলোর তথ্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুরূপ হতে হবে। আর অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদপত্রকে অনুসরণ করতে হবে।
অতঃপর যে দিনে ফর্মটি পূরণ করা হচ্ছে সে দিনের তারিখ দিয়ে নিচে আবেদনকারীকে স্বাক্ষর করতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের বেলায় এ অংশে স্বাক্ষর করবেন তাদের পিতা অথবা মাতা কিংবা অন্য অভিভাবক।
সবশেষে যে তথ্যগুলোর সংশোধন চাওয়া হচ্ছে সেগুলোর সাপেক্ষে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রগুলোর নাম একে একে উল্লেখ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ই-গেট ম্যাজিকে ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন পার
ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য অঙ্গীকারনামা পূরণ
এই ফর্মের জন্যও একইভাবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফরম ও ফি মেনুতে যেতে হবে। সেখান থেকে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনী অঙ্গীকারনামা ফরম-এ ক্লিক করার পর যে পেজ আসবে, সেখানেই পাওয়া যাবে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধনী অঙ্গীকারনামা ফর্ম।
এখানে অঙ্গীকারনামার একটি সাধারণ নমুনা তৈরি করাই আছে। শুধু খালি অংশগুলোতে নিজের ব্যক্তিগত ও বর্তমান পাসপোর্টের তথ্যগুলো দিয়ে পূরণ করে দিতে হবে। যে তথ্যগুলো সংশোধন করতে হবে সেগুলোর ওপরে টিক চিহ্ন দিয়ে দিলেই হবে। দুই কলামের টেবিলটিতে বামের অংশগুলোতে বর্তমান পাসপোর্টের ভুলকৃত তথ্যগুলো এবং ডানের অংশগুলোতে সেই ভুলকৃত তথ্যগুলোর বিপরীতে জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখিত তথ্যগুলো লিখে দিতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্করা বা তাদের অভিভাবকগণ এ ক্ষেত্রে তাদের জন্ম নিবন্ধন সনদের অনুরূপ তথ্য সরবরাহ করবেন।
সবশেষে আবেদনকারী বা তার অভিভাবকের(১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে) স্বাক্ষরের মাধ্যমে শেষ হবে অঙ্গীকারনামা ফর্ম পূরণ।
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট সংশোধন পদ্ধতি
ই-পাসপোর্ট নবায়ন বা সংশোধন উভয়ের যে কোনটি করার জন্য অনলাইনে ই-পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য আবেদন করতে হবে। দুই ক্ষেত্রেই একইভাবে অনলাইন ফর্মটি পূরণ করতে হবে। পার্থক্য হচ্ছে শুধু আইডি ডকুমেন্টস সেকশনে Yes, I have an Electronic Passport (ePP) অপশন সিলেক্ট করে দিতে হবে। অতঃপর সে অনুসারে পুরাতন ই-পাসপোর্টের তথ্য দিতে হবে। আবেদনের বাকি সব সেকশনে খেয়াল রাখতে হবে যে, প্রতিটি তথ্য যেন অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুরূপ হয়।
যেহেতু ইতোমধ্যে একবার ই-পাসপোর্ট নেয়া হয়েছে, সেহেতু ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে আবেদনকারীর অবশ্যই নিজস্ব একটি অ্যাকাউন্ট আছে। সেখানে সেই আগের ইমেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে।
তারপর সেই নতুন ই-পাসপোর্ট করার মত একে একে পাসপোর্ট টাইপ থেকে শুরু করে অ্যাড্রেস পর্যন্ত সব সেকশনগুলো পূরণ করে আসতে হবে। আইডি ডকুমেন্টসে বর্তমান ই-পাসপোর্টের সব তথ্য দেয়ার পর প্যারেন্টাল ইনফরমেশন থেকে ডেলিভারি অপশন্স এ্যান্ড অ্যাপয়েন্টমেন্ট পর্যন্ত নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদনের মতো করে পূরণ করতে হবে।
অতঃপর সম্পূর্ণ আবেদনপত্র পূরণ শেষে সাবমিট করার পর ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
ই-পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন ফি জমা দেয়ার উপায়
নতুন ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য যে ফি দিতে হয়েছিলো, নবায়ন বা ভুল তথ্য সংশোধনের জন্যও সেই একই ফি। এর বাইরে নাম অথবা বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে কোট হলফনামা বাবদ দুই থেকে তিন হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। তথ্য সংশোধনের ফি অনলাইনে অথবা অফলাইনে অর্থাৎ সশরীরে ব্যাংকে গিয়ে পরিশোধ করা যায়। চূড়ান্তভাবে আবেদন সাবমিট করার পরই অফলাইন পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করলে ব্যাংক এশিয়া, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবং সোনালী ব্যাংকের নাম দেখাবে। আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রিন্ট করা ই-পাসপোর্টে তথ্য সংশোধনের আবেদনপত্রটি নিয়ে এই ব্যাংকগুলোর যে কোন শাখায় গিয়ে ফি জমা দেয়া যাবে। অবশ্যই জমা রশিদটি নিয়ে আসতে হবে।
এছাড়া অনলাইনে ফি পরিশোধের জন্য আছে বিকাশ, ভিসা কার্ড, মাস্টারকার্ড, কিউ-ক্যাশ, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং, এবং সোনালী ব্যাংক পেমেন্ট গেটওয়ের মতো ডিজিটাল ব্যবস্থা।
ই-পাসপোর্ট ভুল তথ্য সংশোধন ফি-এর তালিকা
৪৮ পাতার ৫ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ পড়বে চার হাজার ২৫ টাকা, ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে লাগবে ছয় হাজার ৩২৫ টাকা, এবং ২ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে লাগবে আট হজার ৬২৫ টাকা।
৪৮ পাতার ১০ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ পড়বে পাঁচ হাজার ৭৫০ টাকা, সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে লাগবে আট হাজার ৫০ টাকা, এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে পেতে লাগবে ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
৬৪ পাতার পাঁচ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ হবে ছয় হাজার ৩২৫ টাকা, সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেতে আট হাজার ৩২৫ টাকা, এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে পেতে ১২ হাজার ৭৫ টাকা।
৬৪ পাতার ১০ বছরের মেয়াদী পাসপোর্ট ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেতে হলে খরচ লাগবে আট হাজার ৫০ টাকা, সাত কার্যদিবসের মধ্যে পেতে লাগবে ১০ হাজার ৩৫০ টাকা, এবং দুই কার্যদিবসের মধ্যে ১৩ হাজার ৮০০ টাকা।
ই-পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের আবেদন কিভাবে ও কোথায় জমা দিবেন
ই-পাসপোর্টে ভুল সংশোধনের জন্য আবেদনের যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে যে পাসপোর্ট অফিস থেকে বর্তমান ই-পাসপোর্টটি সরবরাহ করা হয়েছিলো সেখানে অনলাইনে নির্ধারণ করা তারিখে উপস্থিত হতে হবে। অতঃপর নথিপত্র বিশেষত পুরাতন পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদনকারীকে একটি ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করবেন। এখানে উল্লেখ থাকবে সংশোধিত ই-পাসপোর্ট সরবরাহের সম্ভাব্য তারিখ।
সংশোধিত ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ
সংশোধিত ই-পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য আবেদনকারীকে সশরীরে পাসপোর্ট অফিসে আসতে হবে। এসময় সঙ্গে থাকতে হবে সেই ডেলিভারি স্লিপ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পুরাতন ই-পাসপোর্ট। এ সময় সংশোধিত ই-পাসপোর্ট প্রদানের পূর্বে অফিস কর্মকর্তা আবেদনকারীর আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করে নিবেন।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
পরিশেষে
ই-পাসপোর্টে ভুল তথ্য সংশোধন পদ্ধতি করার পর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনের বর্তমান অবস্থা যাচাই করা যাবে। সংশোধিত হয়ে ই-পাসপোর্ট আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এলে ওয়েবসাইট থেকেই তা জানা যাবে। উপরোক্ত সাইটে অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা অনলাইন নিবন্ধন আইডি নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা পূরণ করে চেক-এ ক্লিক করলেই ই-পাসপোর্ট স্ট্যাটাস দেখাবে। ই-পাসপোর্ট প্রস্তুত হলেই লেখা থাকবে Your passport ready for issuance। অতঃপর আবেদনকারী পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
১ বছর আগে
সিলেট বিমানবন্দরের ই-গেট যাত্রীদের জন্য খুলছে রবিবার
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অভিবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত ও সেবার মান বাড়াতে বিমানবন্দরে ছয়টি ইলেকট্রনিক গেট (ই-গেট) খোলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রবিবার ছয়টি ই-গেট উদ্বোধন করা হবে।
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সকাল ১১টায় গেটগুলো উদ্বোধন করবেন। রবিবার ছয়টি ই-গেট উদ্বোধন করা হবে। এর মধ্যে তিনটি বের হওয়ার জন্য ও তিনটি প্রবেশের জন্য স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাদের ই-পাসপোর্ট আছে তারা ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ই-গেট উদ্বোধন মঙ্গলবার
১ বছর আগে
অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন কার্যক্রম শুরুর পর থেকে পাসপোর্ট প্রাপ্তির ঝক্কি-ঝামেলা অনেকটা কমে এসেছে। ঘরে বসেই স্বল্প সময়ের মধ্যেই আবেদন ফি পরিশোধসহ পুরো আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যায়। সহজ ব্যাপার হলেও আবেদন ফর্মে তথ্য প্রদান করার সময় ভুল হচ্ছে কি না তার একটা প্রাথমিক সতর্কতা সংকেত পাসপোর্ট ওয়েব ইন্টারফেস থেকেই দেয়া হয়। কিন্তু তথ্যগুলোর পরিপূর্ণভাবে সঠিক হওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখতে হয় আবেদনকারী নিজেকেই। আর এই জায়গাটিতেই বিশেষ করে নতুনদের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া বা অসাবধানতা বশত ভুল হয়ে যায়। আজকের নিবন্ধে আলোচনা করা হবে ই-পাসপোর্ট আবেদনের সেই ভুলগুলোর সংশোধন নিয়ে।
জমা দেয়ার আগে ই-পাসপোর্ট আবেদনে কোনো ভুল ধরা পড়লে করণীয়
ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য বাংলাদেশের অভিবাসন ও পাসপোর্ট অনুষদের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করলে আবেদনকারীর নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়। অ্যাকাউন্টটিতে আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে। আবেদনের মুহুর্তে অনলাইন আবেদনের ফর্মের প্রতিটি পেজ আলাদা ভাবে সংরক্ষিত হয়। তাই আবেদনকারী পুরো আবেদনটি সম্পন্ন করে সাবমিট বাটনে ক্লিক না করেও তার অসমাপ্ত আবেদনটি নিজের অ্যাকাউন্টে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
তাই চূড়ান্ত ভাবে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে আবেদন জমা প্রদানের আগ পর্যন্ত আবেদনপত্রের যে কোনো ভুল আবেদনকারী যতবার ইচ্ছে ততবার সংশোধন করতে পারবেন। একবার সাবমিট বাটনে প্রেস করে ফেলার পর আবেদনটি আর আগের মত সংশোধনের উপায় থাকবে না। জমাকৃত আবেদনের তথ্য সংশোধন করার জন্য আবেদনকারীকে সশরীরে তার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে। এ সময় জমাকৃত ই-পাসপোর্ট আবেদন সংশোধনের জন্য কি কি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে চলুন তা জেনে নেয়া যাক।
আরও পড়ুন: পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
জমা দেয়ার পর ই-পাসপোর্ট আবেদনে কোনো ভুল চোখে পড়লে করণীয়
ই-পাসপোর্ট আবেদন পরিপূর্ণভাবে শেষ করে তা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করার পর দেখা গেলো তাতে ছোট্ট একটি ভুল আছে। এ অবস্থায় মুলত দুটি পদ্ধতিতে ভুল সংশোধনের চেষ্টা করা যেতে পারে।
(১) নিতান্ত উপেক্ষণীয় ভুলের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটরকে অনুরোধ করে ভুলটি সংশোধন করে নেয়া যেতে পারে। ছোট ছোট ভুল নিয়ে তেমন সমস্যা সৃষ্টি হবে না। তবে বড় ভুল হলে পাসপোর্ট অফিস আবেদনই গ্রহণ করতে চাইবে না। সেক্ষেত্রে অবলম্বন করতে হবে দ্বিতীয় উপায়।
(২) বড় ভুলটি সংশোধনের জন্যও পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাকে অনুরোধ করে দেখা যেতে পারে। যদি তিনি সংশোধন করে দেন তাহলে তো ভালই, আর তা না হলে শেষ উপায় হচ্ছে আবেদনপত্র বাতিল করা। অতঃপর নতুন করে আবেদন ফরম পূরণ করা। চলুন এবার দেখে নেয়া যাক ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার পদ্ধতি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
অনলাইনে জমাকৃত ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম
প্রক্রিয়াটির শুরু পাসপোর্ট অফিসের সহকারী উপ-পরিচালক বরাবর একটি দরখাস্ত লেখা দিয়ে। ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল বিষয়ের এই দরখাস্তে প্রথমেই নিজের নাম ও পিতামাতার নামের পর আবেদনের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। এরপর দিতে হবে অনলাইনে নিবন্ধিত আবেদনের আইডি নম্বর। এটি পাওয়া যাবে আবেদনের পর অ্যাপ্লিকেশন সামারিতে, যার শুরু হয়েছে OID দিয়ে। অতঃপর আবেদন বাতিলের কারণ হিসেবে আবেদনের যে অংশে ভুল হয়েছে তার কথা লিখতে হবে। এই মূল অংশগুলোর মাধ্যমে দরখাস্তটি শেষ করে তার সঙ্গে অনলাইন আবেদনের সেই অ্যাপ্লিকেশন সামারির প্রিন্ট করা কপিটি সংযুক্ত করে দিতে হবে।
এরপর কাগজগুলো নিয়ে সশরীরে গিয়ে জমা দিতে হবে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট নবায়ন সমস্যা সমাধানে সৌদি-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
অনলাইন থেকে ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার পদ্ধতি
পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিলের জন্য দরখাস্ত জমা দেয়ার দিনই আবেদনকারীর মোবাইলে ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিলের বিষয়ে একটি এসএমএস চলে আসবে। এবার আবেদনকারীকে পাসপোর্ট আবেদনের ওয়েবসাইটে তার নিজের অ্যাকাউন্টে লগইন করতে হবে। ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিলের এসএমএস যেহেতু চলে এসেছে, সেহেতু অ্যাকাউন্টে আবেদনের অংশে লাল অক্ষরে স্ট্যাটাস ক্যান্সেল দেখাবে। তারপরেই থাকবে ডিলিট অপশন, যেটি প্রেস করার মাধ্যমে পুরো আবেদনটি নিজের অ্যাকাউন্ট তথা অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলা যাবে। এরপর সঠিক তথ্য দিয়ে নতুন করে আবার ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইন আবেদন করা যাবে।
এখানে উল্লেখ্য যে ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল হতে প্রায়ই একটু সময় নিতে পারে। কখনও কখনও ২৪ ঘন্টার মতো দীর্ঘ সময়ও লেগে যেতে পারে। এছাড়া আবেদন ডিলিট করার পরেও প্রায় সময় নতুন ভাবে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায় না। মুলত পাসপোর্ট সার্ভারের ত্রুটির কারণে এরকমটা হয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলোর বেলায় বার বার চেষ্টা না করে একটু বেশী সময় অপেক্ষা করে চেষ্টা করতে হবে। এই সময়টি তিন থেকে শুরু করে কখনও কখনও সাত দিন পর্যন্তও যেতে পারে।
এই সময়ে ই-পাসপোর্ট আবেদন বাতিল হয়েছে কি না তা নিয়মিত অনলাইনে যাচাই করা যেতে পারে। এর জন্য পাসপোর্ট আবেদনের ওয়েবসাইটের চেক স্ট্যাটাস মেন্যুতে যেতে হবে। অতঃপর অনলাইন পাসপোর্ট আবেদনের অ্যাপ্লিকেশন সামারির সেই OID নম্বর অথবা অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা ইমেইল আইডি এবং জন্ম তারিখ দিয়ে আবেদনের বাতিলের ব্যাপারে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে: প্রধানমন্ত্রী
ই-পাসপোর্ট আবেদন ফি পরিশোধের আগে আবেদনে ভুল ধরা পড়লে করণীয়
এ ধরনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের টাকা জমা দেয়ার সময়সীমাটিকে খেয়াল রাখতে হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনটি অনলাইনে জমা দেয়ার পর থেকে ২০০ কার্যদিবস বা ছয় মাস পর্যন্ত সময় থাকে টাকা জমা দেওয়ার। এই সময়টি ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাঁপ দেয়ার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ছয় মাস পর পাসপোর্ট আবেদনটি এমনিতেই পাসপোর্ট অফিসের পাশাপাশি পাসপোর্ট সার্ভার থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়। তাই তাড়া না থাকলে ছয় মাস পর বাতিল হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে তারপর নতুন করে আবেদন করা যেতে পারে।
তবে জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হলো তাৎক্ষণিকভাবে পাসপোর্ট অফিসের সহকারি উপ-পরিচালকের নিকট আবেদনটি বাতিল করার জন্য দরখাস্ত করা। এভাবে দরখাস্ত গ্রহণের পর থেকে এক দিনের মধ্যেই আবেদনটি সার্ভার থেকে বাতিল হয়ে যায়। কারিগরি জটিলতা থাকলে সর্বোচ্চ সাতদিন লাগতে পারে। অতঃপর উপরোক্ত নিয়মে ই-পাসপোর্ট আবেদনটি ডিলিট করে দেয়া যায়।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
ই-পাসপোর্ট আবেদন ফি পরিশোধের পরে আবেদনে ভুল ধরা পড়লে করণীয়
যারা ইতোমধ্যে আবেদনের সঙ্গে টাকাও জমা দিয়ে ফেলেছেন, তাদের আবেদনে কোনো ভুল বের হলেও একই নিয়মে পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করতে হবে। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে তাদের আবেদন ফি’টিও বাতিল হয়ে যাবে না। বরং তারা আগের আবেদনের সঙ্গে যে ব্যাংক রশিদ বা চালান দিয়েছিলেন, সেই একই রশিদ বা চালান নতুন পাসপোর্ট আবেদনের সময় জমা দিতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
আগের বার আবেদনে ই-পাসপোর্টের যে মেয়াদ, পৃষ্ঠা ও সরবরাহের ধরণ উল্লেখ করা হয়েছিল, এবারেও তা অপরিবর্তিত রাখতে হবে। যেমন- আগের বার আবেদনের সময় যদি মেয়াদ ১০ বছর এবং পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪ হয়, এবং সরবরাহের ধরণ রেগুলার হয়, তবে এবারের আবেদনের বেলাতেও তথ্যগুলো একই রাখতে হবে।
তবে পাসপোর্ট আবেদন বাতিলের পর নতুন করে আবেদন না করা হলে পূর্বের আবেদনের জন্য ব্যাংকে জমাকৃত টাকা ফেরৎ পাওয়া যাবে না। ই-পাসপোর্ট আবেদন ফি-এর এই ব্যাংক রশিদ বা চালান ইস্যু করা হয় মুলত আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং নাম দিয়ে। এই চালানের মেয়াদ থাকে ছয়মাস; অর্থাৎ ছয়মাস পরে আবেদন করলে নতুন করে আবেদন ফি দিতে হবে।
শেষাংশ
সর্বোপরি, অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে কোনো ভুল হলে প্রয়োজনীয় শর্তগুলো খেয়াল রেখে উপরোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করলে তা সংশোধন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। তবে অতিরিক্ত সময় ও শ্রম দুটোরই নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় চূড়ান্ত ভাবে সাবমিট বাটনে ক্লিক করার আগেই সাবধান হওয়া উচিত। ইন্টারনেট পরিষেবার সহজলভ্যতার ও পাসপোর্ট আবেদন ডিজিটাল করার কারণে আবেদনের সময় অনেকটা বাঁচে। এরপরেও নাগরিক জীবনের জন্য অতি দরকারি এই নথিটি তৈরি করার প্রাথমিক ধাপে যথেষ্ট সময় দেয়া উচিত। এই ধাপে অল্প কিছু অতিরিক্ত সময় প্রদান ভবিষ্যতে শত শত বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
১ বছর আগে
পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হয় ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি। সেই থেকে ধীরে ধীরে সারা দেশে পাসপোর্টের আঞ্চলিক অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্ট ইস্যুর ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক নিজের এমআরপি বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্টটি ই-পাসপোর্টে বদলে নিতে পারেন। ই-পাসপোর্টের সুবিধা হচ্ছে- এর মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের সময় স্বয়ংক্রিয় ই-গেইটের কারণে ইমিগ্রেন্টদের কোনো রকম চেকিংয়ের সম্মুখীন হতে হবে না। ফলে অন্য দেশে যাওয়ার সময় দীর্ঘ সময় ধরে চেকিংয়ের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার দরকার পড়বে না। চলুন, মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট বা এমআরপি থেকে নতুন ই-পাসপোর্ট বা পাসপোর্ট রিনিউ করার পদ্ধতি জেনে নেয়া যাক।
পুরাতন পাসপোর্ট নবায়নের পূর্বশর্ত
পাসপোর্টের এই ডিজিটালকরণ সবেমাত্র শুরু হয়েছে, বিধায় পাসপোর্টের রিনিউ বলতে বর্তমানে এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তরকেই বুঝায়। তাছাড়া এখন আর এমআরপি দেয়া হয় না। পাসপোর্ট রিনিউ বা নতুন হোক উভয় ক্ষেত্রেই ই-পাসপোর্ট সরবরাহ করা হয়। আবেদনকারির বয়স ১৮ বছরের নিচে হলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ই-পাসপোর্ট রিনিউ করা যাবে। এক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধনটি অবশ্যই অনলাইনে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। নতুবা আগে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করে তারপর ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরের উপরের আবেদনকারীদের জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট আইডি(এনআইডি) কার্ড দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে। এক্ষেত্রে আবেদনের সময় এনআইডি কার্ডের তথ্যের হুবহু তথ্য সরবরাহ করতে হবে। কোনো গরমিল হলেই পাসপোর্ট অথবা এনআইডির যে কোনো একটির সংশোধন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট নবায়ন সমস্যা সমাধানে সৌদি-বাংলাদেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ
পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ মূল আবেদনের রঙিন মুদ্রিত কপি
→ অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ আবেদনপত্রের সারাংশের প্রিন্ট কপি
→ জাতীয় পরিচয় পত্র বা অনলাইনে নিবন্ধিত জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি জমাদানকারীদের ক্ষেত্রে পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
→ পূর্ববর্তী পাসপোর্টের যে পৃষ্ঠাগুলোতে পাসপোর্টধারীর ব্যক্তিগত ও ইমিগ্রেশনের তথ্য দেয়া আছে সেগুলোর ফটোকপি
→ ব্যাংকের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করা হলে ফি জমা প্রদানের রশিদ
→ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীগণ সরকারি অধ্যাদেশ/অনাপত্তি সনদ সংযুক্ত করতে পারেন
→ যদি তথ্য সংশোধন করতে হয় তাহলে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউ করার পদ্ধতি
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউয়ের আবেদন
অনলাইনে পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে যেয়ে ডিরেক্টলি টু অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনে ক্লিক করতে হবে। এখান থেকে নতুন ও পাসপোর্ট রিনিউ দুইয়েরই জন্য আবেদন করা যায়।
প্রথমেই জেলা নির্বাচনের পর থানার নাম বাছাই করতে হবে। আর এর সাথে সাথে সেই থানার নিকটস্থ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম দেখাবে। তারপর ইমেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটটিতে নিবন্ধন করতে হবে। এবার ইমেইল যাচাইয়ের পালা। এখানে আবেদনকারী যে ইমেইল ঠিকানা দিয়েছিলেন সেখানে এই ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে একটি বার্তা পাবেন। সেই বার্তায় প্রবেশ করে নির্দিষ্ট লিঙ্কে ক্লিক করলে আবেদনকারীকে পুনরায় পাসপোর্ট আবেদনের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা হবে। আর এভাবেই সম্পন্ন হবে ইমেইল যাচাই প্রক্রিয়া। এখন আবেদনকারি নিজের ইমেইল ঠিকানা ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটে লগইন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
আবেদনের প্রথমেই ব্যক্তিগত তথ্যাবলি পূরণ করতে হবে। এরপরের স্ক্রিণে আসবে পাসপোর্ট নতুন না রিনিউ তার স্বীকারক্তির সেকশন প্রিভিয়াস পাসপোর্ট। এখানে Yes, I have a Machine Readable Passport (MRP) এই অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এরপরে পাসপোর্ট আবেদনের কারণ হিসেবে Expired অপশনটি বাছাই করতে হবে। অতঃপর একে একে পূর্ববর্তী পাসপোর্টের নাম্বার, ইস্যূ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ করতে হবে। পাসপোর্ট ওপর-নীচ করে খুলে ওপরের পৃষ্ঠায় ডানদিকে উল্লম্ব ভাবে ইংরেজি অক্ষর ও সংখ্যা সম্বলিত নাম্বারটিই পাসপোর্ট নাম্বার।
আর পাসপোর্টের ছবির পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে তারিখগুলো। এরপর ঠিকানা, পিতা মাতার তথ্য, স্বামী/স্ত্রীর তথ্য, জরুরি যোগাযোগ, মোবাইল নাম্বার, পাসপোর্টের ধরণ ও সবশেষে প্রদানের ধরণ সেকশনগুলোতে সঠিকভাবে তথ্য সরবরাহ করে আবেদটি সম্পন্ন করতে হবে। প্রদানের ধরনে ক্যালেন্ডার থেকে সশরীরে আবেদন জমাপূর্বক ছবি তোলা ও ফিঙ্গাপ্রিন্ট দেয়ার তারিখ বাছাই করতে হবে। এখানে সাধারণত কমপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস দূরত্বে যে কোন তারিখ বাছাইয়ের সুযোগ থাকে।
অতঃপর পূরণকৃত আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
পাসপোর্ট রিনিউ ফি প্রদান
ই-পাসপোর্ট রিনিউ ফি অনলাইনে এবং অফলাইন তথা সশরীরে ব্যাংকে গিয়ে উভয়ভাবেই পরিশোধ করা যায়। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের নির্ধারিত করা ব্যাংকগুলো হলো- ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর যে কোনো শাখায় পাসপোর্ট রিনিউয়ের ফি জমা দেওয়া যাবে। এ সময় আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং প্রিন্ট করা ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্রটি অবশ্যই সঙ্গে থাকতে হবে।
আর অনলাইনে ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ড, ভিসা কার্ড, কিউ-ক্যাশ, বিকাশ, ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং এবং সোনালী ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: যেভাবে পাসপোর্টের ভুল তথ্য সংশোধন করবেন
পাসপোর্ট রিনিউ ফি-এর তালিকা
ই-পাসপোর্ট রিনিউয়ের ক্ষেত্রে নতুন ই-পাসপোর্ট করার মতো একই খরচ লাগবে।
→ পাঁচ বছরের মেয়াদের ৪৮ পাতার পাসপোর্ট চার হাজার ২৫ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, ছয় হাজার ৩২৫ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং আট হাজার ৬২৫ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
→ পাঁচ বছর মেয়াদের ৬৪ পাতার পাসপোর্ট ছয় হাজার ৩২৫ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, আট হাজার ৩২৫ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং ১২ হাজার ৭৫ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
→ ১০ বছরের মেয়াদের ৪৮ পাতার পাসপোর্ট পাঁচ হাজার ৭৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, আট ৫০ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং ১০ হাজার ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
→ ১০ বছরের মেয়াদের ৬৪ পাতার পাসপোর্ট আট হাজার ৫০ টাকায় পাওয়া যাবে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে, ১০ হাজার ৩৫০ টাকায় পাওয়া যাবে সাত কার্যদিবসের মধ্যে এবং ১৩ হাজার ৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে দুই কার্যদিবসের মধ্যে।
পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউয়ের আবেদন কোথায় জমা দিবেন
পাসপোর্ট রিনিউয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একত্রিত করে সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পুরাতন পাসপোর্টের মূল কপি সঙ্গে নিতে হবে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের ওয়েবসাইটে আবেদনের সময় যে তারিখ ঠিক করা হয়েছিল সেই তারিখে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে কাগজপত্রসহ। ওয়েবসাইটে থানার নাম উল্লেখ করার পর যে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নাম দেখিয়েছিল সেটিই হবে আবেদনকারীর নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিস।
অতঃপর নথিপত্র বিশেষত পুরাতন পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য নিবেন। এখানে খেয়াল রাখা উচিত যে, ছবি তোলার সময় সাদা শার্ট ও চশমা পড়া যাবে না। সব কাজ শেষে অফিস কর্মকর্তা একটি ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করবেন। এখানে উল্লেখ থাকবে নবায়নকৃত পাসপোর্ট সরবরাহের সম্ভাব্য তারিখ।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
নবায়নকৃত পাসপোর্ট কোথায় সংগ্রহ করবেন?
আবেদনকারীকে সশরীরে পাসপোর্ট অফিসে এসে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। এসময় সঙ্গে থাকতে হবে সেই ডেলিভারি স্লিপ, পুরাতন এমআরপি ও জাতীয় পরিচয়পত্র। এসময় ই-পাসপোর্ট দেয়ার আগে আবেদনকারীর আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড করলে পাসপোর্ট বাতিল করা হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী
শেষাংশ
পুরাতন পাসপোর্ট রিনিউ করার ক্ষেত্রে সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা বা জরিমানার কোনো ব্যাপার নেই। তবু মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই পাসপোর্ট রিনিউ করে নেয়া উচিত। মেয়াদ শেষ হওয়ার ন্যূনতম ৬ থেকে ৭ মাস আগেই এই নবায়নের কাজটি করে ফেলা উত্তম। কারণ দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো উদ্দেশ্য থাকলে পাসপোর্টের মেয়াদ ন্যূনতম ছয় মাস না থাকলে কোনো এম্বেসি থেকে ভিসা পাওয়া যায় না। পাসপোর্ট রিনিউয়ের ক্ষেত্রে কোনো পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি ভবিষ্যতে মেয়াদোত্তীর্ণ ই-পাসপোর্ট রিনিউয়ের ক্ষেত্রে নতুন করে ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিণ্টের দরকার হবে না।
১ বছর আগে
ই-গেট ম্যাজিকে ১৮ সেকেন্ডেই ইমিগ্রেশন পার
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা নূরী আক্তার। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ব্যাংকক যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আসেন। এই বিমানবন্দরে স্থাপিত ই-গেটের প্রবেশ পথে প্রথমে পাসপোর্ট ছবি সম্বলিত স্মার্ট কার্ডের পৃষ্ঠাটি স্ক্যান করান তিনি। মাত্র ৪-৫ সেকেন্ডের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে তার সব তথ্য মিলে যায়। এরপর সামনে থাকা ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে তার মুখমন্ডল মিলে যায়। এতে খুলে যায় দ্বিতীয় গেটও। মাত্র ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয় তার।
এরপর স্পেশাল ব্রাঞ্চ ইমিগ্রেশন পুলিশের কার্যক্রমও অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করে ফ্লাইটে উঠেন তিনি। ই-গেটের ম্যাজিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পেরে আনন্দিত এই যাত্রী।
বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ই-গেট ব্যবস্থা সরেজমিনে দেখতে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
এ সময় আরও দেখা যায়, বহির্গমন ও আগমনী যাত্রীদের মধ্যে যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা বিমানবন্দরে স্থাপিত ই-গেট ব্যবহার করছেন। এতে মাত্র ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারছেন তারা। যা আগে ৩০ মিনিট কিংবা এরও অধিক সময় লেগে যেত।
এত কম সময়ে ইমিগ্রেশন পার হতে পেলে উচ্ছ্বসিত নূরী আক্তার বলেন, আগে এক বস্তা কাগজ নিয়ে ইমিগ্রেশন চেকিংয়ের জন্য অপেক্ষা করা লাগত। কখনও কখনও ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় লেগে যেত। খুব বিরক্ত লাগত। কিন্তু ই-পাসপোর্ট ও ই-গেটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করায় এখন মাত্র ১৮ সেকেন্ড লেগেছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি কমেছে।
বাংলাদেশও বিদেশের মতো এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে আরেক যাত্রী জিল্লুর রহমান জানান, ই-গেট স্থাপনের পর তিনি এই প্রথম বিদেশ যাচ্ছেন। তাকে লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। তাই খুব ভালো লেগেছে তার।
এ সংক্রান্ত হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের বহির্গমন টার্মিনালে স্থাপিত ই-গেটের সামনে বৃহস্পতিবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাদাত হোসেন, ইমিগ্রেশন প্রশাসনের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম।
মোহাম্মদ সাদাত হোসেন বলেন, ই-গেট মূলত ব্যক্তি ও তার পাসপোর্ট সঠিক কিনা, তা যাচাই করে থাকে। এর মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে যাচাই-বাছাই করা সম্ভব। ই-গেট সিস্টেম ব্যবহারকারী যাত্রীদের সহায়তা করতে আমাদের লোক রয়েছে। কোন যাত্রী না বুঝলে তাকে সহায়তা করা হয়।
তার দেয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ছয়টি, বেনাপোল ও বাংলাবান্দা স্থল বন্দরে একটি করে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। তবে চলতি বছরে ২২টি ল্যান্ড চেকপোস্টেও ই-গেট স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে জুনেই চালু হচ্ছে ই-গেট
দেখা যায়, বহির্গমন গেটে ১২টি এবং আগমনী গেটে ১২টিসহ মোট ২৪টি ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। যে সকল যাত্রীদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, কেবল তারাই ই-গেট ব্যবহার করছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন শেষ করতে পারায় তারা খুশি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিস্টেমটি নতুন হওয়াতে অনেকেই ই-গেট ব্যবহারে এখনও অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেননি। অনেককে এটির ব্যবহার সম্পর্কে বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে। যখন সবাই এর ব্যবহার সম্পর্কে পুরোপুরি শিখে যাবে, তখন এই সময়সীমা আরও কমিয়ে আনা হবে। তখন এক মিনিটের মধ্যে কয়েকজন যাত্রীর ই-গেট দিয়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, উপমহাদেশের মধ্যে বাংলাদেশেই ই-পাসপোর্ট প্রচলিত হয়েছে। এর জন্য বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করা হয়েছে। তবে যাত্রীদের অনেকে এখনও ই-গেট ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। তবে যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা ই-গেট ব্যবহার করে দ্রুত ইমিগ্রেশন শেষ করতে খুবই আগ্রহী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্টের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো.খালিদ সায়ফুল্লাহ, উপ-প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, পাসপোর্ট অধিদপ্তেরর উপপরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শিশুদের ই-পাসপোর্টের নিয়ম: কীভাবে আপনার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের পাসপোর্ট করবেন
২ বছর আগে