অনিশ্চিত
এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের সুপার ফোর কি নিশ্চিত?
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের জায়গা নিশ্চিত না-কি অনিশ্চিত, এ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে নামার আগে ভীষণ চাপে ছিল বাংলাদেশ। কারণ ম্যাচটি হারলে এশিয়া কাপ থেকে বিদায়, জিতলেও রানরেট বাড়িয়ে নিতে হতো। সব চাপ সামলে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে বংলাদেশ।
সব সমীকরণ থেকে বোঝা যায় বাংলাদেশ সুপার ফোরে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুকূল অবস্থানেই রয়েছে।
আরও পড়ুন: জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক আর নেই
কারণ এশিয়া কাপের বি গ্রুপে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশও। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দুটি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে একটি জয় ও একটি পরাজয়ে দুই পয়েন্ট পেয়েছে।
বিপরীতে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান উভয়েই একটি করে ম্যাচ খেলেছে।
এছাড়া শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি হয়ে জয়লাভ করেছিল। যেখানে আফগানিস্তান তাদের একমাত্র ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে।
এই গ্রুপের মূল ম্যাচটি হলো- আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার আসন্ন লড়াই। এই লড়াইয়ে আফগানিস্তান জয়ী হলে বি গ্রুপের প্রতিটি দল সমান দুই পয়েন্ট নিয়ে দাঁড়াবে।
এই পরিস্থিতিতে দলগুলোর সুপার ফোর নির্ধারিত হবে নিজ নিজ নেট রানরেট দ্বারা।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কার রান রেট +০.৯৫১ এবং বাংলাদেশের +০.৩৭৩। যেখানে আফগানিস্তান -১.৭৮০ রান রেট নিয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
এতে বোঝায যায়, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র জয় পেলেই আফগানিস্তানের সুপার ফোরে নিশ্চিত হবে না। এজন্য তাদের রানের বড় ব্যবধানে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে।
তখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে ওঠে, সুপার ফোরে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে কী কী ব্যবধানে আফগানিস্তানকে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যার মধ্যে রয়েছে- তাদের রানের সংখ্যা এবং তারা কত ওভার খেলতে পেরেছে।
তবে, গ্রুপের ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কা বিজয়ী হলে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ উভয়েই সুপার ফোরে তাদের জায়গা নিশ্চিত করবে। আর এবারের এশিয়া কাপ ২০২৩-এ আফগানিস্তানের যাত্রা শেষ হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: মেহেদি-শান্তর সেঞ্চুরি, আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড রান
এশিয়া কাপ: আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
১ বছর আগে
বিভাগীয় সেরা রাবেয়ার ঢাকায় ব্যাডমিন্টন খেলা অনিশ্চিত
আন্ত:স্কুল ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় উপজেলা ও জেলা ছাড়িয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে একজন সেরা খেলোয়ার রাবেয়া খাতুন (১৩)। জাতীয় পর্যায়ে ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা শিশু একাডেমিতে তার খেলার কথা রয়েছে। ভালো একটি ব্যাডমিন্টন ব্যাটের অভাবে ঢাকায় খেলা অনেকটাই অনিশ্চিত এই খেলোয়াড়ের।
রাবেয়া কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার খয়েরচারা গ্রামের ভ্যান চালক মো. মামুন হোসেনের মেয়ে এবং তেবাড়িয়া শেরকান্দি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট সে।
জানা গেছে, ছোট বেলা থেকেই রাবেয়ার ফুটবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল, উচ্চ লাফ, ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় সমান পারদর্শী।
আর্থিক ও সামাজিক নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ইতোমধ্যে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় পর্যায়ে একাধিকবার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে সে।
আরও পড়ুন: শেষ হলো শেখ মনি স্মরণে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট
সম্প্রতি ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে (খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) গোলাপ অঞ্চলের শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উচ্চ লাফে প্রথম স্থান অর্জন করে। রাবেয়া এখন এলাকার মানুষের কাছে প্রশংসিত।
এ বিষয়ে রাবেয়া খাতুন বলেন, বড় খেলোয়ার হতে চাই। কিন্তু পরিবারের সেই রকম সামর্থ্য নাই। অর্থের অভাবে সব খেলা খেলতে যেতে পারি না। খেলা খেলতে ভালো সরঞ্জাম ও পোশাক লাগে। বাবার ইচ্ছে থাকলেও অর্থ নেই।
রাবেয়া খাতুন আরও বলেন, এবার ব্যাডমিন্টনে বিভাগীয় সেরা হয়েছি। ১৯ ডিসেম্বর ঢাকায় খেলা। একটা ভালো ব্যাট দরবার। বাবা দিতে পাড়ছে না। সেখানে ভালো ব্যাট ছাড়া খেলা যাবে না। কি করব তা এখনও জানি না।
ভ্যানচালক বাবা মামুন হোসেন বলেন, মেয়ে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী। খেলোয়ার হতে চায়। এবার ঢাকা শিশু একাডেমিতে খেলবে। একটা ভালো ব্যাট দরকার। স্কুলের ক্রীড়া স্যারের কাছে গেছিলাম। তিনি বলেছেন কিনে নিতে। কিন্তু আমার তো তেমন সামর্থ্য নেই। এছাড়াও ঢাকা যাওয়া, আসা, থাকা অনেক টাকার ব্যাপার। সাহায্য পেলে ভালো হতো।
তেবাড়িয়া ম্যাধমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বলেন, রাবেয়া স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ আছে, রাবেয়া আর্থিক সাপোর্ট পেলে আরও অনেক দূর যাবে।
তিনি আরও বলেন, সে ৫০ তম শীতকালীন প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ লাফে ২য় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন করে। আমি তার সাফল্য কামনা করছি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়া অনূর্ধ্ব-১৫ ব্যাডমিন্টন: গালিব-মুস্তাকিম জুটির শিরোপা জয়
কুবিতে আন্তঃবিভাগ ব্যাডমিন্টনে চ্যাম্পিয়ন পরিসংখ্যান বিভাগ
২ বছর আগে