পিঠার নগরী
বসন্তের শুরুতেই খুলনা এখন পিঠার নগরী
বসন্তের শুরুতেই বাংলাদেশের অন্যতম বিভাগীয় নগরী খুলনায় সবত্র শুরু হয়েছে খেজুরের রসের বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী বানানো, পিঠা উৎসব এবং অতিথি আপ্যায়নের ধুম।
খুলনা বিভাগের মধ্যে যশোর ও চুয়াডাঙ্গা খেজুরের রসের জন্য বিখ্যাত। বিভাগের এই দুই জেলায় খেজুরের রস দিয়ে বাড়ি বাড়ি তৈরি হচ্ছে রসের পায়েস, গুড়, পাটালি।
আবদুর রব নামে একজন গাছী জানান, তিনি এই বছর প্রায় দুই শতাধিক খেজুরের গাছ কেটেছেন। সপ্তাহে একদিন বিরতিতে গাছ কাটা হয়। দৈনিক ২০ থেকে ২৫টি ঠিলা (ভাড়) রস হয়।
যশোর খাজুরা গ্রামের রহমান গাছী জানান, দৈনিক তার ৩০ ঠিলা রস হয়। ৫ লিটার রসের দাম ৩০০ টাকা।
আরও পড়ুন: পিঠা-পুলি বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যের অংশ: খাদ্যমন্ত্রী
খুলনার পিঠা বাজারের আকলিমা জানান, এখন যেহেতু বসন্তকাল এবং হালকা শীত আছে তাই পিঠার মৌসুম চলছে। আর এই কারণে রসের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য দামও বেশি।
খুলনায় প্রায় ১০টি জায়গায় এখন চলছে পিঠা মেলা ও বসন্ত উৎসব। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা প্রেসক্লাব, আহসানউল্লাহ কলেজ, মহেশ্বরপাশা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, এস ও এস শিশু পল্লীসহ খুলনা নগরীর বিভিন্ন উন্মুক্ত জায়গায়।
তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম হলো খুলনা সাউথ সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত সরকারি শিশু সদনে এতিম ও গরীব শিশুদের নিয়ে পিঠা উৎসব ও বসন্তবরণ পালিত হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য হলেও এতিম ও গরীব শিশুরা আনন্দে হারিয়ে গিয়েছিল।
বাংলার আবহমান কাল ধরে চলে আসা পিঠা উৎসবে চিতই পিঠা, পাকান পিঠা, জামাই পিঠা, রসপিঠা, রসের পায়েসসহ হরেক রকমের পিঠার মেলা বসায় খুলনা এখন পিঠার নগরী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অনন্যা পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
১০ মাস আগে
খুলনা যেন পিঠার নগরী!
রূপ বদলাতে শুরু করেছে খুলনা মহানগরীর। শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুলনা মহানগরী পরিণত হয়েছে পিঠার নগরীতে। খুলনা নগরীর মোড়ে মোড়ে এখন পিঠার দোকান। পিঠা তৈরির হিড়িক পড়েছে যেন।
পিঠার দোকান গুলো ঘুরে দেখা গেছে পাকান, চিতই, পাটি, পুলি (ঝাল ও মিষ্টি), ভাপা, রসমালাই, জামাই, সেমাইসহ বিভিন্ন রকম পিঠা শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে।
দুপুরের পর থেকেই পিঠা বানানো শুরু হয়। আর তা চলে রাত দশটা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পুনাক পিঠা মেলায় মুগ্ধ দর্শনার্থীরা
২ বছর আগে