বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন
পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির সবচেয়ে সার্বজনীন উৎসব: রাষ্ট্রদূত ইমরান
ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস শনিবার (৬ মে) বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপন করেছে।
এছাড়া দূতাবাস ‘পাসপোর্ট ডিসি’স অ্যাম্বাসি ট্যুর ২০২৩’- এর অংশ হিসেবে এক ‘ওপেন হাউস’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনে উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন থেকে ঐতিহ্যবাহী ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি দূতাবাস সংলগ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার দূতাবাস প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা দেশিয় বাদ্যযন্ত্র, ঢোল, মুখোশ এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সরঞ্জাম নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট মিজ আফরিন আক্তার। মার্কিন সরকার ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারাও এই আনন্দময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাস ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদার করবে
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল একটি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।
দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের সহধর্মিণীদের গাওয়া বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত গান ‘এসো, হে বৈশাখ, এসো এসো’- পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পরে বৃহত্তর ওয়াশিংটন মেট্রোতে অবস্থিত বাংলাদেশি লোক সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘একতারা’ এবং আরেকটি বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক দল ‘অপরাজেয় বাংলা’- এর শিল্পীরা লোকজ ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সন্তানদের চমৎকার গান ও নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
রাষ্ট্রদূত ইমরান তার বক্তব্যে দেশবাসী, প্রবাসী বাংলাদেশি ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে এ উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বর্ণাঢ্য ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতির সবচেয়ে সার্বজনীন উৎসব।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে মানবতার একটি বিমূর্ত ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি জাতির সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরতে আহ্বান জানান।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, পহেলা বৈশাখের চেতনা সেই মহান নেতার দর্শন, বিশ্বাস ও আকাঙ্খাকে প্রতিফলিত করে যিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা এবং ধর্মনিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তিনি বলেন, জাতির জনকের বিচক্ষণ ও সময়োপযোগী নীতি ও নির্দেশনা অনুসরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তর করে বিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান উপভোগ করতে বিভিন্ন দেশের প্রায় ১০ হাজার নাগরিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
এ উপলক্ষে অতিথিদের জন্য ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার প্রদর্শন ও পরিবেশন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে জামদানি ও টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পের বেশ কয়েকটি স্টল স্থাপন করা হয়। দর্শনার্থীরা অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে পোস্টার, লিফলেট এবং বই সংগ্রহ করেন যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, মহান ভাষা আন্দোলন এবং উন্নয়নের পাশাপাশি সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং দর্শনীয় পর্যটন স্থানগুলোকে তুলে ধরে।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট এবং ভিসা উইং) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন এবং এর সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল-৩) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ওয়াশিংটন শ্রম অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আলোচনা
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ উদযাপন
১ বছর আগে
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ উদযাপন
ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২২’ উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার দূতাবাস তার বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইসিটি ডিভিশন প্রযোজিত দিবসের থিম সং প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
পরে বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনের অগ্রগতির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ২০০৯ সালে সরকার যুগোপযোগী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইন শুরু করার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশনের অসাধারণ অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় দূতাবাস খুলবেন বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে