জাপার চেয়ারম্যান
জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই: হাইকোর্ট
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞার আরোপ সংক্রান্ত নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে জাপা চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা কাটল।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
রবিবার বিচারপতি মো. আবদুল হাফিজের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া জিএম কাদেরের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছিলেন।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে জিএম কাদেরের আপিল গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত খারিজ করে দেন। ওই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছিলাম।
রবিবার হাইকোর্টের একক বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ করে অধস্তন আদালতের আদেশ স্থগিত করেছেন। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেছেন।
একই সঙ্গে ওই অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
এ আদেশের ফলে জি এম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে কোন বাধা নেই।
আরও পড়ুন: কাতারে ফিফা বিশ্বকাপ: নিহত ও আহত বাংলাদেশি কর্মীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
জাতীয় পার্টির নেতা জিয়াউল হক গত বছরের ৪ অক্টোবর জি এম কাদেরকে জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে অবৈধ ঘোষণার ডিক্রি চেয়ে প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেন।
একই মামলায় দল থেকে জিয়াউল হকের বহিষ্কারাদেশকে বেআইনি ঘোষণা এবং দলীয় গঠনতন্ত্রের ২০-এর উপধারা ১ (১) অবৈধ ঘোষণা চাওয়া হয়।
এর আগে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর জিয়াউল হককে দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
জিয়াউল হকের মামলায় গত বছরের ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছিলেন।
ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার জেলা জজ আদালতে বিবিধ আপিল আবেদন করেন জি এম কাদের।
ওই আপিলের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে শুনানি নিয়ে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালত গত ১৯ জানুয়ারি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন।
এরপর জিএম কাদের হাইকের্টে ওই আদেশ রিভিশন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: অমর একুশে বইমেলা: স্টল বরাদ্দে হাইকোর্টে রিট আদর্শ প্রকাশনীর
১ বছর আগে
জাপার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জিএম কাদের: আপিল বিভাগ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া আপিল বিভাগ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতকে জাপা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার রায়ের বিরুদ্ধে কাদেরের করা আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বলেছেন।
আদালতে আবেদনকারী জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা এবং জিএম কাদেরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টে স্থগিত
এছাড়া আপিল বিভাগের আদেশ জাপা সিসিইফ হিসাবে কাদেরকে কাজ করতে বাধা দেয়। সিরাজুল বলেন, এখন আমাদের মৃধার বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের শুনানি করতে হবে।
এর আগে সোমবার, আপিল বিভাগ ১৩ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন।
৩০ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ এম ইনায়েতুর রহিম জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে তার পদে দায়িত্ব পালনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।
২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট একটি পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসাবে জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনের পথ পরিষ্কার করেন।
৪ অক্টোবর জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন জিয়াউল হক মৃধা।
৩০ অক্টোবর ঢাকার যুগ্ম জেলা দায়রা জজ আদালত-১ জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
শেখ সিরাজুল ইসলাম ও কলিম উল্লাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী ৬ অক্টোবর আদালতে জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন নিয়ে আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনে, ১৬ নভেম্বর আইনজীবীরা একই আদালত কর্তৃক বরখাস্ত করা দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে তার ভূমিকা পালনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে নিম্ন আদালতের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন কাদের।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দলটির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান।
হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় (২৮ ডিসেম্বর ২০১৯) কাউন্সিলে জালিয়াতির মাধ্যমে কাদের নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
পরে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করে দলের চেয়ারম্যান হিসাবে কাদের রাঙ্গা, গাজীপুর মহানগর শাখার উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর সিকদারসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে বরখাস্ত করেন।
এছাড়া ১৪ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাকে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকে দল থেকে অপসারণ করা হয়।
মামলায়, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সমস্ত অপসারণ এবং কাউন্সিলকে অবৈধ ঘোষণা করার আদেশ চাওয়া হয়েছিল এবং হাইকোর্টের রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দলের পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কিনা জানা যাবে আগামীকাল
জিএম কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা বহাল
২ বছর আগে