দ্রুতবিচার
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৩০ দিনের মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম. আব্দুল কাইয়ুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
পরে ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ূম জানান, সিলেটের এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলা ৩০ দিনের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করে স্বরাষ্ট্র সচিবকে গেজেট জারি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’র সঙ্গে জয় বঙ্গবন্ধু অন্তর্ভুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গত ১ আগস্ট সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। বর্তমানে এই মামলার বিচারকাজ সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ আগস্ট সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলাটির বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করার নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট আজ রায় দেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদি হয়ে শাহ পরান থানায় মামলা করেন।
মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।
অভিযোগপত্রে নাম থাকা আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা আদালতে পৃথক চার্জশিট দেয়া হয়। পরে বাদি পক্ষ হাইকোর্টে এলে দু’টি অভিযোগ একসঙ্গে নারী ও শিশু নির্য়াতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: খুলনার সদ্য সাবেক ডিসি ও ডুমুরিয়ার ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
৩ ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকার ঋণ ‘কেলেঙ্কারি’: জড়িতদের তালিকা চান হাইকোর্ট
২ বছর আগে