খসরু
বিএনপি নেতা খসরু-জহিরের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবী শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক তরীকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। এদিকে আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে তাদের এজলাসে তোলা হয়।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
এবার একতরফা নির্বাচন করা এত সহজ হবে না: সরকারের উদ্দেশে খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এবার একতরফা নির্বাচন করা সহজ হবে না।
তিনি বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শনিবার সকালে বলেছেন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে এবং তারা এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এই নির্বাচন কার?
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের জনগণের নয়, একটি দলের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তারা মানুষকে বোকা মনে করে। শুধু তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন করা এত সহজ নয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু অভিযোগ করেন, বর্তমান অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার ভয়ে জনরোষের জনগণের কাছে যেতে পারছে না এবং বিএনপির ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে যেতে পারছে না।
তিনি বলেন, তারা জনগণকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রেখে তাদের ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু জনগণ এবার পিছু হটবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর তারা এখন সবচেয়ে বড় সংগ্রামে নেমেছে এবং তাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার এবং সকল গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে রাজপথে নেমেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন অসহনীয় হয়ে পড়ায় জনগণ সরকারে পরিবর্তন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অনেকে দুবেলা খেতে না পারছে না। অনেকে আবার ঋণ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেকেই তাদের পরিবারের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারছেন না। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না।
খসরু বলেন, ক্ষমতাসীনরা মেগা প্রকল্প ও উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। লুটপাট ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে নেওয়ায় ব্যাংকগুলো নিঃশেষ হয়ে গেছে।
গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭-৮ বিলিয়ন ডলার লোকসান দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যকথায় গত ১৪/১৫ বছরে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা (সরকার) লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। আমি এর নাম দিয়েছি আওয়ামী অর্থনীতির মডেল। এর মূল কাজ হচ্ছে জনগণের টাকা লুট করা। তারা ঋণ নিয়ে লুটপাট করবে এবং সাধারণ মানুষকে টাকা শোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না: খসরু
দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: আমির খসরু
জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না: খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অনিবার্য। কারণ এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ শপথ নিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখনই সিদ্ধান্ত নেয় তারা কোনোদিন পিছপা হয় নাই। প্রতিবার বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রতিপক্ষ পরাজিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে কেউ কখনো জিততে পারেনি। তাই পুলিশ, র্যাব, আনসার, সরকারি কর্মকর্তা ও বিচারক ভাইদের প্রতি জনগণের প্রতিপক্ষ না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
এই বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যসহ একটি বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে বিপুল জনগণের টাকা খরচ করে দক্ষিণ আফ্রিকা গেলেও ব্রিকসের সদস্যপদ পাননি।
তিনি বলেন, তিনি যে কাজটির জন্য সেখানে গিয়েছিলেন, তা করতে পারেননি। তিনি সব জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হবেন। সবাই অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে।
খসরু বলেন, সেখানে বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক বৈঠকে হাসিনা নৌকার জন্য ভোট চেয়েছেন এবং বিএনপিকে গালিগালাজ করেছেন। তিনি সবসময়ের মতো বাড়িতে বসেই এটি করতে পারতেন। তাহলে জনগণের টাকা খরচ করে তার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের যৌক্তিকতা কী ছিল?
খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে প্রাপ্য উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘তাকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ওনার অবস্থা ভালো না। বিদেশের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত চিকিৎসা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে খসরু এ মন্তব্য করেন।
চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কথা বললেও সরকার তা উপেক্ষা করে আসছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নিম্নস্তরের রাজনীতিকরা প্রায়ই চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। ‘কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে ভর্তি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শনিবার রাতে কিছু শারিরীক পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার মূল উদ্দেশ্য নিয়েই বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।’
খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রেখে ক্ষমতাসীন দল আবারও ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা অবশ্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ এবার সরকারকে যোগ্য জবাব দেবে।
সরকারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের অভিযোগও করেন তিনি। ‘বর্তমান সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা কোনোভাবেই জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজি নয়।’
বিএনপি ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে খসরু বলেন, চলমান যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
বাংলাদেশে কূটনৈতিক মহলের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ: শাহীনবাগের ঘটনায় খসরু
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বুধবারের ঘটনা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জড়িয়ে গুমের শিকারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাংলাদেশে কূটনৈতিক মহলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বিদেশি কূটনীতিকদের ‘দেশের জনগণের মতো’ ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। একজন কূটনীতিক একটি বিশেষ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন এবং পরে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত একটি গ্রুপ তাদের (আ.লীগের) সহায়তায় অন্য সংগঠনের নামে সেখানে যায়। এটা বেআইনি।’
তিনি বলেন, প্রত্যেকের নিজস্ব কর্মসূচি পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। ‘কিন্তু অন্য কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রক্রিয়া, সেই কর্মসূচিকে ব্যাহত করা এবং কর্মসূচিকে ভিন্ন দিকে মোড় নেয়া একটি অগণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এটাও এখন দেখা যাচ্ছে যে কূটনীতিকদেরও নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন ও গুমের পরিবারের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ মায়ের ডাক (মায়ের কল) এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের শাহীনবাগের বাসায় যান।
তবে সেখানে তিনি অন্য একটি সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা আটকা পড়েন এবং মুখোমুখি হন - মায়ের কান্না (মায়ের অশ্রু) - যেটি আরও সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে। আশির দশক পূর্ববর্তী শাসনামল, বিশেষ করে সত্তর দশকের শেষ থেকে শুরুর দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুমের শিকারদের পক্ষে সমর্থন করে।
সাজেদুল ইসলাম সুমন ২০১৩ সালে নিখোঁজ হন বলে জানা গেছে। সানজিদা প্লাজা ডি মায়ো নামে একটি সংগঠনের অনুকরণে মায়ের ডাক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেটি আর্জেন্টিনার সর্বশেষ সামরিক স্বৈরশাসনের সময় বলপূর্বক নিখোঁজদের জন্য গঠিত হয়েছিল। অনুরূপ সংস্থাগুলো দক্ষিণ আমেরিকার আশেপাশের অন্যান্য দেশে বিদ্যমান যেখানে সত্তর দশক থেকে শুরু হওয়া সামরিক সরকারের অধীনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিখোঁজ হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের মদদে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটাই প্রথম নয়। ‘আমি মনে করি এই ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিজয় দিবসের’ র্যালি করবে বিএনপি
তিনি উল্লেখ করেন যে একটি ডিনার পার্টিতে যোগ দিতে গিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের গাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
খসরু বলেন, ‘বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার পর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং কেউ শাস্তিও পায়নি। এই ঘটনার পেছনে কারা ছিল এবং সরকারের উদ্দেশ্য তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার চায় এ ধরনের ঘটনা যাতে দেশে একটা ভয়-আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বিএনপি নেতা বলেন,‘তারা (সরকার) যেভাবে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের জনগণকে দমন করতে চায়, এখন একইভাবে তারা কূটনীতিকদের জন্য ভিন্ন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ ঘটনা তা প্রমাণ করেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, বুধবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মসূচিতে যে দলগুলো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল, তারা কয়েক মাস আগেও বিএনপির মানবাধিকার কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের মদদে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার এ ধরনের অপচেষ্টা আওয়ামী লীগের চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারে, কিন্তু সরকারের সমর্থনে অন্যের কর্মসূচিতে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা বেআইনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, এ দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো এবং তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে খসরু বলেন, এটি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি 'মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন' করবে।
আরও পড়ুন: সরকারকে হটিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: বিএনপি
মার্কিন কূটনীতিক সরকারকে কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেননি বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে খসরু বলেন, ‘এর মানে কি সরকারকে না জানিয়ে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবে না কূটনীতিকরা? সরকার ঘটনা সম্পর্কে অবগত না থাকলে কর্মসূচির দুই দিন আগে কেন পুলিশ এলাকায় (শাহীনবাগ) ঘোরাফেরা করছিল? রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পুলিশের একটি দলও রয়েছে। তাই সরকার এ বিষয়ে অবগত ছিল।
তিনি বলেন, এটি একটি অজুহাত হতে পারে না যে সরকার মার্কিন কূটনীতিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি কারণ তিনি তার কর্মসূচি সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেননি। ‘সরকারকে জানালে নিরাপত্তা পাবেন, না হলে নিজের নিরাপত্তা নিজে গ্রহণ করবে। সরকারের এ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশের নিরাপত্তার চরিত্র ফুটে উঠেছে।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের জনগণের পাশাপাশি বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন খসরু।তিনি বলেন, মায়ের কান্নার লোকজন বিএনপির কিছু কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার জন্য আগে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বিএনপি নেতা আরও বলেছেন, ‘যারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মসূচিতে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার কথা। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো পদক্ষেপ দেখিনি... সরকার নিজেই তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রকাশ করছে যে তারা এর পেছনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, মন্ত্রীদের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, সরকারের মদদেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ‘তারা পরোক্ষভাবে ঘটনাটিকে সমর্থন করছে কারণ এটি তাদের সাহায্য ছাড়া ঘটতে পারে না।’
খসরু বলেন, মার্কিন কূটনীতিকের কর্মসূচিতে যারা ঝামেলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি