খসরু
নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই: খসরু
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধার ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।
তিনে বলেন, ‘এখন সময় এসেছে বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার। এর অর্থ তাদের ভোটাধিকার সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করা, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে এমন একটি সংসদ এবং সরকার গঠন করা। এর কোনো বিকল্প নেই।’
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে বারবার ক্ষমতা দখল করায় কখনো ভোটের প্রয়োজন হয়নি বলেই শেখ হাসিনার মতো দানব সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, আইনের শাসনকে কলঙ্কিত করেছেন। ‘জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন প্রধান ইস্যু। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘বাংলাদেশের জনগণের মালিকানা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে আমাদের অবশ্যই এই ঐক্য বজায় রাখতে হবে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন চিন্তা ও প্রত্যাশার মাধ্যমে মানুষের মানসিকতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।
খসরু বলেন, ঐক্য বজায় রেখে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জাতিকে এগিয়ে যেতে হবে। ‘রাজনীতিবিদরা যদি দেশের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে এবং মানসিকতার পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে রাজনীতির কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তির মতো মৌলিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিভেদ থাকা উচিত নয়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য তাদের অবশ্যই একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
আরও পড়ুন: রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
তিনি আরও বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একমাত্র উপায় হচ্ছে দ্রুত নির্বাচনি সংস্কারের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান।
শেখ হাসিনা দেশের প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছেন বলে অভিযোগে করেন খসরু। তিনি বলেন, এগুলো অবশ্যই সংস্কার করতে হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন তাদের দল ছয় বছর আগে ভিশন-২০৩০ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রথম সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, পরে তাদের দল অন্যান্য গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের জন্য ৩১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। এগুলো শুধু বিএনপির প্রস্তাব নয়, আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্যান্য দলকে নিয়ে এগুলো প্রণয়ন করা হয়েছে। সংস্কার আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়ন করে নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।’
বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো মতপার্থক্য নেই। ‘এটি একটি সহজ কাজ। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য আপনাদের (সরকার) শুধু নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। অবশিষ্ট মৌলিক সংস্কার জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ডুবাচ্ছে: আমীর খসরু
১ সপ্তাহ আগে
রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নাশকতার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপি-জামায়াতের এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুরুল হুদা ও আলী হায়দার কামালসহ তিন বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, ‘মঙ্গলবার এক হাজারের বেশি নেতা-কর্মী জামিন পেয়েছেন। কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে সেতু ভবন, মেট্রোরেল স্টেশনে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন।’
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের জামিন
জামিন পাওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সদস্যসচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন এ্যানি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, ‘আশা করি, আজই তিনি কারামুক্ত হচ্ছেন।’
একাধিক মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ও আলোচিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকেও জামিন দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ দলটির একাধিক নেতা জামিন পেয়েছেন। দলটির অন্য নেতাদের মধ্যে আছেন নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মো. আবু তাহের, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও গাজীপুর জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি সামিউল হক ফারুকী ও শিবিরের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বা পুলিশ প্রসিকিউশনের শুনানি ছাড়াই রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের জামিন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সবাইকে মুক্তি দেওয়া হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী আন্দোলন: ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
২ মাস আগে
বিএনপি নেতা খসরু-জহিরের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবী শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক তরীকুল ইসলাম আসামিদের আদালতে হাজির করে তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। এদিকে আসামিপক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
বেলা পৌনে ৩টার দিকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে তাদের এজলাসে তোলা হয়।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
অগ্নিসংযোগকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: দলীয় সদস্যদের প্রতি শেখ হাসিনা
১১ মাস আগে
এবার একতরফা নির্বাচন করা এত সহজ হবে না: সরকারের উদ্দেশে খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এবার একতরফা নির্বাচন করা সহজ হবে না।
তিনি বলেন, একজন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শনিবার সকালে বলেছেন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে এবং তারা এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এই নির্বাচন কার?
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের জনগণের নয়, একটি দলের নির্বাচন করতে যাচ্ছে। তারা মানুষকে বোকা মনে করে। শুধু তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন করা এত সহজ নয়।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু অভিযোগ করেন, বর্তমান অবৈধ ও অনির্বাচিত সরকার ভয়ে জনরোষের জনগণের কাছে যেতে পারছে না এবং বিএনপির ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনে যেতে পারছে না।
তিনি বলেন, তারা জনগণকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রেখে তাদের ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু জনগণ এবার পিছু হটবে না।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর তারা এখন সবচেয়ে বড় সংগ্রামে নেমেছে এবং তাদের বিজয় সুনিশ্চিত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার এবং সকল গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেতে রাজপথে নেমেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকারের দুঃশাসন অসহনীয় হয়ে পড়ায় জনগণ সরকারে পরিবর্তন দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অনেকে দুবেলা খেতে না পারছে না। অনেকে আবার ঋণ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অনেকেই তাদের পরিবারের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে পারছেন না। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারছে না।
খসরু বলেন, ক্ষমতাসীনরা মেগা প্রকল্প ও উন্নয়নের নামে লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে। লুটপাট ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে নেওয়ায় ব্যাংকগুলো নিঃশেষ হয়ে গেছে।
গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৭-৮ বিলিয়ন ডলার লোকসান দিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যকথায় গত ১৪/১৫ বছরে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা (সরকার) লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। আমি এর নাম দিয়েছি আওয়ামী অর্থনীতির মডেল। এর মূল কাজ হচ্ছে জনগণের টাকা লুট করা। তারা ঋণ নিয়ে লুটপাট করবে এবং সাধারণ মানুষকে টাকা শোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না: খসরু
দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকায় আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: আমির খসরু
১ বছর আগে
জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না: খসরু
বিএনপির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অনিবার্য। কারণ এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ শপথ নিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখনই সিদ্ধান্ত নেয় তারা কোনোদিন পিছপা হয় নাই। প্রতিবার বাংলাদেশের মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রতিপক্ষ পরাজিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে কেউ কখনো জিততে পারেনি। তাই পুলিশ, র্যাব, আনসার, সরকারি কর্মকর্তা ও বিচারক ভাইদের প্রতি জনগণের প্রতিপক্ষ না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের ক্ষমতায় গেলে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে: আমীর খসরু
এই বিএনপি নেতা বলেন, শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যসহ একটি বড় প্রতিনিধি দল নিয়ে বিপুল জনগণের টাকা খরচ করে দক্ষিণ আফ্রিকা গেলেও ব্রিকসের সদস্যপদ পাননি।
তিনি বলেন, তিনি যে কাজটির জন্য সেখানে গিয়েছিলেন, তা করতে পারেননি। তিনি সব জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হবেন। সবাই অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে।
খসরু বলেন, সেখানে বাংলাদেশিদের সঙ্গে এক বৈঠকে হাসিনা নৌকার জন্য ভোট চেয়েছেন এবং বিএনপিকে গালিগালাজ করেছেন। তিনি সবসময়ের মতো বাড়িতে বসেই এটি করতে পারতেন। তাহলে জনগণের টাকা খরচ করে তার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের যৌক্তিকতা কী ছিল?
১ বছর আগে
খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে প্রাপ্য উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘তাকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ওনার অবস্থা ভালো না। বিদেশের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত চিকিৎসা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে খসরু এ মন্তব্য করেন।
চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কথা বললেও সরকার তা উপেক্ষা করে আসছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নিম্নস্তরের রাজনীতিকরা প্রায়ই চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। ‘কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে ভর্তি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শনিবার রাতে কিছু শারিরীক পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার মূল উদ্দেশ্য নিয়েই বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।’
খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রেখে ক্ষমতাসীন দল আবারও ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা অবশ্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ এবার সরকারকে যোগ্য জবাব দেবে।
সরকারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের অভিযোগও করেন তিনি। ‘বর্তমান সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা কোনোভাবেই জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজি নয়।’
বিএনপি ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে খসরু বলেন, চলমান যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
১ বছর আগে
বাংলাদেশে কূটনৈতিক মহলের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ: শাহীনবাগের ঘটনায় খসরু
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বুধবারের ঘটনা মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে জড়িয়ে গুমের শিকারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাংলাদেশে কূটনৈতিক মহলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু সরকার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে বিদেশি কূটনীতিকদের ‘দেশের জনগণের মতো’ ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। একজন কূটনীতিক একটি বিশেষ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন এবং পরে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থিত একটি গ্রুপ তাদের (আ.লীগের) সহায়তায় অন্য সংগঠনের নামে সেখানে যায়। এটা বেআইনি।’
তিনি বলেন, প্রত্যেকের নিজস্ব কর্মসূচি পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। ‘কিন্তু অন্য কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রক্রিয়া, সেই কর্মসূচিকে ব্যাহত করা এবং কর্মসূচিকে ভিন্ন দিকে মোড় নেয়া একটি অগণতান্ত্রিক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এটাও এখন দেখা যাচ্ছে যে কূটনীতিকদেরও নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন ও গুমের পরিবারের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ মায়ের ডাক (মায়ের কল) এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলামের শাহীনবাগের বাসায় যান।
তবে সেখানে তিনি অন্য একটি সংগঠনের সদস্যদের দ্বারা আটকা পড়েন এবং মুখোমুখি হন - মায়ের কান্না (মায়ের অশ্রু) - যেটি আরও সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে। আশির দশক পূর্ববর্তী শাসনামল, বিশেষ করে সত্তর দশকের শেষ থেকে শুরুর দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গুমের শিকারদের পক্ষে সমর্থন করে।
সাজেদুল ইসলাম সুমন ২০১৩ সালে নিখোঁজ হন বলে জানা গেছে। সানজিদা প্লাজা ডি মায়ো নামে একটি সংগঠনের অনুকরণে মায়ের ডাক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেটি আর্জেন্টিনার সর্বশেষ সামরিক স্বৈরশাসনের সময় বলপূর্বক নিখোঁজদের জন্য গঠিত হয়েছিল। অনুরূপ সংস্থাগুলো দক্ষিণ আমেরিকার আশেপাশের অন্যান্য দেশে বিদ্যমান যেখানে সত্তর দশক থেকে শুরু হওয়া সামরিক সরকারের অধীনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিখোঁজ হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের মদদে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটাই প্রথম নয়। ‘আমি মনে করি এই ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন:শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিজয় দিবসের’ র্যালি করবে বিএনপি
তিনি উল্লেখ করেন যে একটি ডিনার পার্টিতে যোগ দিতে গিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের গাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন।
খসরু বলেন, ‘বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার পর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি এবং কেউ শাস্তিও পায়নি। এই ঘটনার পেছনে কারা ছিল এবং সরকারের উদ্দেশ্য তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।’
তিনি বলেন, সরকার চায় এ ধরনের ঘটনা যাতে দেশে একটা ভয়-আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
বিএনপি নেতা বলেন,‘তারা (সরকার) যেভাবে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের জনগণকে দমন করতে চায়, এখন একইভাবে তারা কূটনীতিকদের জন্য ভিন্ন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে। সর্বশেষ ঘটনা তা প্রমাণ করেছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, বুধবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মসূচিতে যে দলগুলো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল, তারা কয়েক মাস আগেও বিএনপির মানবাধিকার কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের মদদে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার এ ধরনের অপচেষ্টা আওয়ামী লীগের চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারে, কিন্তু সরকারের সমর্থনে অন্যের কর্মসূচিতে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা বেআইনি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা বলেন, এ দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো এবং তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে খসরু বলেন, এটি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি 'মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন' করবে।
আরও পড়ুন: সরকারকে হটিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে: বিএনপি
মার্কিন কূটনীতিক সরকারকে কর্মসূচি সম্পর্কে অবহিত করেননি বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে খসরু বলেন, ‘এর মানে কি সরকারকে না জানিয়ে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারবে না কূটনীতিকরা? সরকার ঘটনা সম্পর্কে অবগত না থাকলে কর্মসূচির দুই দিন আগে কেন পুলিশ এলাকায় (শাহীনবাগ) ঘোরাফেরা করছিল? রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে পুলিশের একটি দলও রয়েছে। তাই সরকার এ বিষয়ে অবগত ছিল।
তিনি বলেন, এটি একটি অজুহাত হতে পারে না যে সরকার মার্কিন কূটনীতিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি কারণ তিনি তার কর্মসূচি সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেননি। ‘সরকারকে জানালে নিরাপত্তা পাবেন, না হলে নিজের নিরাপত্তা নিজে গ্রহণ করবে। সরকারের এ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেশের নিরাপত্তার চরিত্র ফুটে উঠেছে।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের জনগণের পাশাপাশি বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেন খসরু।তিনি বলেন, মায়ের কান্নার লোকজন বিএনপির কিছু কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার জন্য আগে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
বিএনপি নেতা আরও বলেছেন, ‘যারা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কর্মসূচিতে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়ার কথা। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনো পদক্ষেপ দেখিনি... সরকার নিজেই তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রকাশ করছে যে তারা এর পেছনে রয়েছে।’
তিনি বলেন, মন্ত্রীদের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, সরকারের মদদেই এমন ঘটনা ঘটেছে। ‘তারা পরোক্ষভাবে ঘটনাটিকে সমর্থন করছে কারণ এটি তাদের সাহায্য ছাড়া ঘটতে পারে না।’
খসরু বলেন, মার্কিন কূটনীতিকের কর্মসূচিতে যারা ঝামেলা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
১ বছর আগে