মধু
মধু দিয়ে মজাদার পাঁচ পদ
মধু এক প্রকারের মিষ্টি-ঘন তরল, যা একাধারে খাদ্য ও ওষুধ। মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস থেকে মধু তৈরি করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে। বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে এর ব্যবহার চিনির চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যকর।
মধুর গুণাগুণ ও উপকারিতা
মৌমাছি ফুল থেকে ফুলের রেণু ও মিষ্টি নির্যাস সংগ্রহ করে নিজেদের পাকস্থলীতে রাখে। তারপর তাতে মৌমাছির মুখ নিঃসৃত লালা মিশ্রিত হয়ে রাসায়নিক জটিল বিক্রিয়ায় মধু তৈরি হয়। এরপর মুখ থেকে মৌচাকে মধু জমা করে। ঠাণ্ডা কমাতে মধুর বিকল্প নেই।
মধুর পুষ্টিগুণ
মধুতে রয়েছে ৪৫টিরও বেশি খাদ্যগুণ। এরমধ্যে কয়েকটি হলো-গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ, মন্টোজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ লবণ, এনকাইম, ক্যালরি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬, আয়োডিন, জিংক, কপার, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান।
আসুন জেনে নেয়া যাক খাদ্য ও ঔষধি গুণসম্পন্ন মধু দিয়ে তৈরি কয়েকটি খাবারের পদ সম্পর্কে-
মধু কি সত্যি অমৃত?
মৌমাছিরা তাদের এনজাইম ঘটিত ক্রিয়াকলাপ ও তরলের বাষ্পীভবনের মাধ্যমে উদ্ভিদের চিনিজাত নিঃসরণ থেকে মধু তৈরি করে। বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা মোম ও রজন দিয়ে মৌচাক তৈরি করে তাতে মুধ সঞ্চয় করে। মৌয়ালরা সেই মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে বাজারজাত করে থাকে। এই আঠালো ও মিষ্টি স্বাদের খাবারটি রান্নাবান্নায় ও বাণিজ্যিক পানীয় তৈরিতে মিষ্টিবর্ধক হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। তাছাড়া অসামান্য পুষ্টিগুণের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও এটি ব্যবহার করা হয়। মধুর গুণাগুণ ও উপকারিতা সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
বিভিন্ন ধরনের মধু
বাংলাদেশে হরেক রকমের মধু পাওয়া যায়। এর মধ্যে সুন্দরবন মধুর জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা। এখানকার মধুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা হানিপ্ল্যান্ট গাছের খলিসা ফুলের মধু বা পদ্ম মধু। খলিসা ফুল হয় সাদা আর এর মধুর রং বেশ গাঢ় এবং খুব কড়া ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত। ফাল্গুমাস অর্থাৎ মার্চ থেকে এপ্রিলে এই মধু পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নিপা ভাইরাস এড়িয়ে খেজুর রস খাওয়ার উপায়
এরপরেই চৈত্র মাসে আসে হালকা লালচে রঙের ও মিষ্টি পশুর ফুলের মধু। আষাঢ় মাসের বাইন মধু আবার খলিসা কিংবা পশুর মধুর মতো এতটা কড়া স্বাদের নয়।
সাদা রঙের কেওড়া মধুর মিষ্টি স্বাদের সঙ্গে একটু টক থাকে। এই মধু জ্যৈষ্ঠ মাসে পাওয়া যায়। শীতের সময় বেশি মেলে সরিষা ফুলের মধু। এই সাদাটে ও খুব ঘন মধুটি খুব তাড়াতাড়ি জমে যায়।
চিনির বিকল্প কি মধু? দৈনিক কতটা চিনি খাওয়া যেতে পারে?
মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়া যে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক, সেই সচেতনতা আজকাল অনেকের মধ্যেই এসে গিয়েছে। কিন্তু সমস্যা হয় অন্য জায়গায়। চিনির বিকল্প বেছে নিতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান অনেকেই।