খন্দকার গোলাম ফারুক
অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক
চাকরিতে পূর্ণ মেয়াদের দায়িত্ব পালন শেষে বাংলাদেশ পুলিশ থেকে অবসরে যাচ্ছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মাহবুবুর রহমান শেখর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৫৭ নং আইনের ৪৩ (১) (ক) ধারা অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসরে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএমপির নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান
নিয়মানুযায়ী তিনি অবসর ও অবসর পরবর্তী ছুটির সুবিধা পাবেন।
এর আগে বুধবার, বাংলাদেশ সরকার অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজিপি) হাবিবুর রহমানকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের কতজন পুলিশ আমেরিকা যেতে চায়?’ ডিএমপি উপকমিশনারের প্রশ্ন
১ বছর আগে
ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের আসামি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা রাজধানীতে হতে দেওয়া হবে না।
সোমবার রাতে জামায়াত-শিবিরের হামলা-ভাঙচুরের কথা বিবেচনা করে অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
আজ সকালে রাজধানীর মিন্টু রোডে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়া নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে সমর্থকদের বিক্ষোভ: শাহবাগে মোটরসাইকেলে আগুন
ডিএমপি প্রধান বলেন, ফজরের নামাজের পর জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল এলাকা দখল করে এবং সাঈদীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে বিক্ষোভ করে।
ঢাকার শাহবাগে বিএসএমএমইউর সামনে তারা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।
এর আগে সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন দেলোয়ার হোসেন সাঈদী।
আরও পড়ুন: যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছেন
বুকে ব্যথা নিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে সাঈদী
১ বছর আগে
মাথা ঠাণ্ডা রাখুন এবং আপনার কমান্ডারের নির্দেশ মেনে চলুন: অধস্তনদের প্রতি ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক রবিবার অধস্তন কর্মীদের যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কমান্ডারের নির্দেশ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার মিরপুর পিওএম পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে আপনাদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় কমান্ডারের নির্দেশ মেনে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কমান্ডারদের অবশ্যই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে হবে।’
কমিশনার বলেন, নিউমার্কেট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পিওএম-এর বাহিনী অত্যন্ত মানবিক ভূমিকা পালন করেছে। ফলে ডিএমপি ও বাংলাদেশ পুলিশের মর্যাদা বেড়েছে। তারা ইতিমধ্যে পুরস্কৃত হয়েছে।
তিনি গত কয়েক মাসে পিওএম বাহিনীর কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার ডিএমপির সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনারদের (ডিসি) শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্যারেড পরিচালনার নির্দেশ দেন।
খালি হাতে কীভাবে আত্মরক্ষা করা যায় এবং জনব্যবস্থাপনা করা যায় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের নির্দেশনাও দেন তিনি।
এর আগে, ডিএমপি কমিশনার ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে সুসজ্জিত কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদের নজরকাড়া কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন পিওএম পশ্চিম বিভাগের জেলা প্রশাসক মমতাজুল এহসান আহমেদ হুমায়ুন।
কুচকাওয়াজে সহকারী প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কে এন রায় নিয়তি।
আরও পড়ুন: সায়েন্স ল্যাব ভবনে নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজধানীর সর্বশেষ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো নাশকতা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিনা পরোয়ানায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করতে ডিএমপিকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি
তিনি বলেন, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হবে। একই সঙ্গে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা কর্মীদের বাজারের সামনে মোতায়েন করা হবে।
এর আগে এদিন ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার নিউ মার্কেটের পাশে নিউ সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করার সময় ঘন ধোঁয়ায় কমপক্ষে ১৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর মোট ২৮টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিট এবং দল এখনও আগুন নেভাতে কাজ করছে।
এছাড়া ঘটনাস্থলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১২টি ইউনিট কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ডাক্তার-নার্স পরিচয়ে বাড়িতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬: ডিএমপি
ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে ৭৪ জন গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
সায়েন্স ল্যাব ভবনে নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক রবিবার বলেছেন, সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণের পর একটি ভবনের আংশিক ধসে তিনজনের প্রাণহানি কোনও নাশকতার ঘটনা নয়, একটি দুর্ঘটনা।
রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে কোনও নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি এবং বিভিন্ন কারণে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এটি তদন্ত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিস্ফোরণের তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করব এবং তদন্ত সংস্থা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে এবং একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্প্লিন্টার বা ধ্বংসাত্মক উপাদানের কোনো চিহ্ন খুঁজে পেয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘তারা এখনও স্প্লিন্টার বা ধ্বংসাত্মক উপাদানের কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি।’
রবিবার সকালে ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ ও পরবর্তীতে অগ্নিকাণ্ডে একটি ভবন আংশিক ধসে তিনজন নিহত ও ১২ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় ভবন আংশিক ধসে নিহত ৩, আহত ১০
নিহতরা হলেন- তুষার, শফিকুজ্জামান ও আব্দুল মান্নান।
তুষার ও শফিকুজ্জামান কম্পিউটার অপারেটর ছিলেন এবং আবদুল মান্নান একটি কোম্পানির অফিস সহকারী ছিলেন, যার অফিস ছিল ভবনের দ্বিতীয় তলায়।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে পাঁচজনের নাম- আয়েশা আক্তার আশা, হাফিজুর রহমান (৩৪), জহুর আলী (৬০), আকবর আলী (৫২) ও সৈয়দ আশরাফুজ্জামান (৩৫)।
এর মধ্যে আয়েশা ৩৮ শতাংশ, হাফিজুর ৮ শতাংশ, জহুর ৪৪ শতাংশ, আকবর ৩৭ শতাংশ এবং আশরাফুজ্জামান ছয় শতাংশ আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আরও নয়জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তারা হলেন- নুরুন্নবী (২৭), তাজউদ্দীন (৩৫), মেহেদী হাসান (২৫), জাকির হোসেন জুয়েল (২৬), কামাল (৪০), কবির হোসেন (২৫), রাবেয়া খাতুন (২৩), তামান্না (২২) এবং অজ্ঞাত এক যুবক যার বয়স ২৫ বছর।
সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে বিস্ফোরণের পর তিনতলা ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে এবং আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার্স মিডিয়া সেল থেকে আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করেছে।
বেলা ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
একুশে বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি
১ বছর আগে
২১ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ভাষা শহীদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সন্ত্রাসী হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা পলাশী থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে নিয়ে এসেছি। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
রবিবার অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গোলাম ফারুক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: একুশে বইমেলায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য ও কূটনৈতিক কর্মকর্তারা প্রথমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর এটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।’
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ পলাশী দিয়ে প্রবেশ করবে এবং দোয়েল চত্বর দিয়ে বের হবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিসপত্র বহন করা যাবে না।
আরও পড়ুন: পুলিশের ওপর হামলাকারী জামায়াত কর্মীদের বিচারের আওতায় আনা হবে: ডিএমপি কমিশনার
৩১ ডিসেম্বর রাতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না: ডিএমপি
১ বছর আগে
৩১ ডিসেম্বর রাতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না: ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক শনিবার বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বর রাতে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না।
তিনি বলেন, ‘কাউকে বাইরে অনুষ্ঠান করতে দেয়া হবে না। এছাড়া ৩১ ডিসেম্বর রাতে পটকা, আতশবাজি বা ফানুশ ওড়ানোতেও নিষিদ্ধ থাকবে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগের কাউন্সিলের আগে নিরাপত্তা জোরদার, ঝুঁকি নেই: ডিএমপি
রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি প্রধান এসব তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, ৩১ তারিখ রাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হবে। এই রাতকে কেন্দ্র করে কোনো জঙ্গি যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেজন্য পুলিশ তল্লাশি করবে।
ডিএমপির স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) টিম, ডগ স্কোয়াড এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে বলেও জানান ফারুক।
তিনি বলেন, কোনও ডিজে পার্টির অনুমতি দেয়া হবে না এবং বারগুলো শনিবার থেকে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আবাসিক হোটেলে কাউকে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে দেয়া হবে না।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, এছাড়া আজ রাত ৮টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওইসব এলাকার বাসিন্দাদের প্রবেশের জন্য আমতলী ক্রসিং ও কাকলী ক্রসিং খুলে দেয়া হবে।
এদিকে সন্ধ্যা ৬টার পর কোনো বহিরাগতকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না এবং এ সময় কোনো যানবাহন সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তবে পরিচয়পত্র দেখিয়ে নীলক্ষেত ও শাহবাগ এলাকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করা যাবে।
রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফায়ার ফাইটিং ইউনিট ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে এবং সন্ধ্যার পর হাতিরঝিল এলাকায় কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হবে না।
সম্ভাব্য জঙ্গি হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ৩১শে ডিসেম্বর রাতকে কেন্দ্র করে কোনো নির্দিষ্ট হুমকি নেই।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের জন্য বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
মেট্রোরেল: বিশেষায়িত ইউনিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি
১ বছর আগে
মেট্রোরেলের জন্য বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে মেট্রোরেলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আলাদা বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা তল্লাশি নিশ্চিত করতে ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট পুলিশ’ বা ‘এমআরটি পুলিশ’ নামে একটি বিশেষায়িত নতুন পুলিশ ইউনিট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও ডিএমপি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে কাজটি করবে।
আরও পড়ুন: ঈদগাহে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কিছু আনবেন না: ডিএমপি কমিশনার
গোলাম ফারুক বলেন, মেট্রোরেল ঢাকার গণপরিবহন খাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
উত্তরার দিয়াবাড়ির মেইন ডিপোতে মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জনস্বার্থে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা (দিয়াবাড়ি) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম অংশের উদ্বোধন করবেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী এখানে একটি জনসভায়ও অংশ নেবেন এবং অনেক ভিভিআইপি বৈঠকে যোগ দেবেন।
এ কারণে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
আরও পড়ুন: ফৌজদারি অপরাধ না হলে রাজনৈতিক সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
১ বছর আগে
নতুন জঙ্গি সংগঠনকে মদদ দিচ্ছেন জামায়াতের আমীর: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রধান খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির (প্রধান) শফিকুর রহমানের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়াকে সমর্থন ও অর্থায়নের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জামায়াতের আমিরের ছেলে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং পরে সে স্বেচ্ছায় তাদের সমর্থন ও অর্থায়ন করে।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনার শফিকুল অবসরে যাচ্ছেন ৩০ অক্টোবর
শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জঙ্গি গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগে জামায়াত প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। নতুন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জামায়াতের অন্য কোনো নেতার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কি না- জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘গোপনীয়তার স্বার্থে আমি এখন সে তথ্য প্রকাশ করছি না। অপারেশন সফল হওয়ার পর বিস্তারিত জানাব।’
ঢাকার আদালত থেকে দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ফারুক বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেতে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য দায়িত্বে অবহেলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনে বলা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নজরদারি শুধু ওই দুই জঙ্গিকে নয়, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও অনেককে শনাক্ত করেছে। আশা করি শিগগিরই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।’
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপি সমাবেশ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
ফৌজদারি অপরাধ না হলে রাজনৈতিক সমাবেশে সহযোগিতা করবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে