গণতন্ত্র ধ্বংস
স্বার্থান্বেষী মহল গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে নিহিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এসব কথা বলেন তাঁদের জরুরি অবস্থার সরকার, সামরিক শাসক আসে তাহলে ভালো লাগে। তাঁদের একটু দাম বাড়ে। খোশামোদী-তোষামোদী করে। ওইটুকু পাওয়ার লোভে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তাঁরা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চায়।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত শনিবার আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার কেউ নেই। 'আমি তাদের জিজ্ঞেস করি যে গণতন্ত্রের ঘাটতি কোথায়?’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এই স্বার্থান্বেষী মহল মনে করে ভোট কারচুপি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, যা বিএনপি-জামায়াতের আমলে খুবই স্বাভাবিক ছিল, গণতন্ত্রের সমার্থক শব্দ।
‘আমি বিশ্বাস করি জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি; জনগণের আস্থাই সবচেয়ে বড় শক্তি,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না যারা গণতন্ত্র খুঁজছেন তারা অবশ্যই চোখে দূরবীন ব্যবহার করছেন, আমি তাদের একটি প্রশ্ন করি, জাতির পিতার সাড়ে তিন বছর এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে অন্য বছর ছাড়া দেশে গণতন্ত্র কোথায় ছিল?’
জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে সেনানিবাসের হাতে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলে বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেশ শাসিত হয়েছিল, তাহলে গণতন্ত্র বা জনগণের শক্তি কোথায় ছিল?’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সরকার পরিচালিত হওয়ায় দেশ ব্যাপকভাবে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ‘যে বাংলাদেশ সন্ত্রাস, দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল, সে দেশ এখন গণতন্ত্র ও উন্নয়নের দেশে পরিণত হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় এসব ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তন পায়।
আওয়ামী লীগ সবসময় ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া দেশে অনাচারের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলেন, আমরা তা থেকে মুক্তি পেয়ে ন্যায়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছি।’
আরও পড়ুন: আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
২ বছর আগে