দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। সকাল ৬টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া পথে ফেরি বন্ধ হয়ে সকাল সোয়া ৯টার পর চালু হয়। অন্যদিকে ভোর সোয়া ৪টার পর থেকে আরিচা-কাজিরহাট পথে ফেরি বন্ধ হয়ে চার ঘন্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফেরি চালু হয়।
কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া পথে মাঝ পদ্মা নদীতে পাঁচটি ফেরি এবং আরিচা-কাজিরহাট পথে মাঝ যমুনা নদীতে আরেকটি ফেরি আটকা পড়ে। ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়ে কয়েকশ’ গাড়ি। বাড়তি দুর্ভোগে পড়েন যানবাহন চালক ও কয়েকশ’ যাত্রী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্র জানায়, বেশ কয়েকদিন বিরতির পর গত দুই দিন ধরে পদ্মা ও যমুনা নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়ছে। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে রাতভর ভারী কুয়াশায় নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) ভোররাত থেকে ভারী কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়লে সকাল ৬টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া পাঁচটি ফেরি ভোর সাড়ে পাঁচটার পর মাঝ পদ্মা নদীতে আটকা পড়ে। মাঝ পদ্মায় ফেরি আটকার খবরে দুর্ঘটনা এড়াতে ৬টা থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
মাঝ নদীতে আটকা পড়া ফেরিগুলো হলো- ভাষা শহীদ বরকত, মাধবীলতা, বনলতা, চন্দ্র মল্লিকা ও ফরিদপুর।
ভারী কুয়াশা ও শীতে মাঝ পদ্মায় আটকে থাকা ফেরিতে অন্তত শতাধিক যানবাহন ও দুই শতাধিক যাত্রীসহ যানবাহন চালক বাড়তি দুর্ভোগে পড়েছেন। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরি শাহ মখদুম, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও কুমিল্লা এবং পাটুরিয়া প্রান্তে কেরামত আলী, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর, শাহ পরান ও ঢাকা নামক ফেরি নোঙর করে রয়েছে। সোয়া তিন ঘন্টা পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে কুয়াশা কমতে থাকলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দুই ঘন্টার মতো দৌলতিদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে দুটি ফেরি আটকা পড়ে। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে পাঁচটি এবং পাটুরিয়া প্রান্তে বাকি পাঁচটি ফেরি যানবাহন বোঝাই অবস্থায় নোঙরে ছিল।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
এদিকে কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া ৪টা থেকে আরিচা-কাজিরহটা রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে আরিচা ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি ফেরি মাঝ যমুনা নদীতে আটকা পড়ে। প্রায় সোয়া ৪ ঘন্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার পর কুয়াশা কেটে গেলে এই রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, বেশ কয়েকদিন বিরতির পর বুধবার থেকে পুনরায় ভারী কুয়াশায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে প্রায় সোয়া তিন ঘন্টা বন্ধ থাকে। একইভাবে আরিচা-কাজিরহাট রুটেও প্রায় সোয়া চার ঘন্টা ফেরি বন্ধ থাকে। ফেরি বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে কয়েকশ’ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
১ বছর আগে
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত ৩টা থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এতে পদ্মার উভয়পাড়ে আটকা পড়ে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকসহ যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ দুই শতাধিক যানবাহন। পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা পড়েন দুর্ভোগে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা সেক্টরের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল জানান, মধ্যরাত থেকে কুয়াশার প্রকোপ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে রাত ৩টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে পুরো নৌপথ ঢেকে যায়। এতে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট রুটে ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
১ বছর আগে
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাটে ফেরি চলাচল ব্যাহত
ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ভোর ৬টার পর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সোমবার সকাল ৬টা থেকে ভারী কুয়াশা পড়তে থাকলে দুর্ঘটনা এড়াতে কর্তৃপক্ষ ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে ছয়টি, তিনটি পাটুরিয়া প্রান্তে এবং দুইটি ফেরি মাঝ নদীতে নোঙর করে রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়, রবিবার মধ্যরাত থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথের নদী অববাহিকায় ভারি কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকলে কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে এই দুই রুটের সকল ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। এ সময় দৌলতদিয়া প্রান্তে চারটি বড় ও দুইটি ছোট ফেরি নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়।
একইসঙ্গে পাটুরিয়া প্রান্তে দুইটি বড় ও একটি ছোট ফেরি এবং মাঝ নদীতে একটি বড় ও কেটি ছোট ফেরি নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়।
দৌলতদিয়া প্রান্তে নোঙর করে থাকা ফেরিগুলো রো রো (বড়) শাহ পরান, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ও বীরশ্রেষ্ঠ রহুল আমীন এবং ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি বনলতা ও কুমিল্লা।
পাটুরিয়া প্রান্তে নোঙর করে রাখা হয়েছে রো রো ফেরি এনায়েতপুরী, জালাল ও ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধ্যা। এছাড়া মাঝ নদীতে আটকে থাকা ফেরি দুটি হলো রো রো ফেরি শাহ মখদুম ও ইউটিলিটি ফেরি মাধবীলতা।
মাঝ নদীতে থাকা ফেরি দুটিতে প্রায় ৩০টির মতো যানবাহন ও অন্তত দুই শতাধিক যাত্রী রয়েছে। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের মধ্যে মাঝ নদীতে আটকে থাকা এসব যাত্রী ও যানবাহন চালক এবং সহকারীদের বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আরিচা-কাজিরহাট রুটে চলাচলরত ফেরিগুলো উভয় ঘাটে নোঙর করে রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, রবিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে নদী অববাহিকায় ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে।
ভারি কুয়াশা পড়ার আগ মুহুর্তে দুই ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরিগুলো দ্রুত ঘাটে পৌছানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সকাল ৬টার পর সামান্য দূরের কিছুই যখন দেখা যাচ্ছিলনা তখন বাধ্য হয়ে ফেরি বন্ধ রাখা হয়।
আরও পড়ুন: পদ্মার ভাঙনে গোয়ালন্দে ফেরি চলাচল ব্যাহত
১ বছর আগে
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত
ঘন কুয়াশার কারণে রবিবার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ভোর ৬টার পর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় জানায়, শনিবার দিবাগত রাত থেকে নদী ও সড়ক পথে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে রবিবার ভোর ৬টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় দৌলতদিয়া প্রান্তে চারটি, পাটুরিয়া প্রান্তে ছয়টি এবং মাঝ নদীতে আরও তিনটি ফেরি নোঙর ফেলতে বাধ্য হয়।
সকাল ৮টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, কুয়াশার কারণে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। দূরপাল্লার পরিবহনসহ সকল যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে চলতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় ৩ কিমি. দীর্ঘ যানজট
লঞ্চ ঘাটে পন্টুনের সঙ্গে রশি দিয়ে বেধে থাকতে দেখা যায় লঞ্চগুলো। কিছু যাত্রী আসলেও নদী পাড়ি দিতে না পারায় তারা লঞ্চে উঠে বসে ছিল।
একইভাবে ফেরি ঘাটের তিন, চার ও সাত নম্বর ঘাটে ফেরিগুলো যানবাহন বোঝাই করে নোঙর করে রয়েছে।
এছাড়াও, অনেক যাত্রী নদী পাড়ি দিতে এসে ফেরি না ছাড়ায় আশপাশের চায়ের স্টলসহ বিভিন্ন দোকানে অপেক্ষা করছেন।
ফরিদপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ফেরি ঘাটে অপেক্ষা করছেন সোহেল মোল্লা নামক যুবক।
আলাপাকালে তিনি বলেন, ‘আমার আপন ফুপাতো ভাই গতকাল শনিবার রাতে স্ট্রোক করলে তাকে ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকৎসা শেষে ডাক্তার ঢাকায় রেফার্ড করেছে। ভোর ৬টায় রওয়ানা করে সাড়ে ৬টার দিকে ফেরি ঘাটে পৌছে কুয়াশায় ফেরি বন্ধ থাকায় আটকে আছি।’
বিআইডব্লিউটটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, কুয়াশার কারণে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে ফেরি বন্ধ রয়েছে। এই নৌপথে বর্তমানে ১৩টি ফেরি চললেও দৌলতদিয়ায় চারটি ফেরি নোঙর করে আছে। বাকি সব ফেরি পাটুরিয়া ঘাটে ও মাঝ নদীতে রয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চালু হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় জেলের জালে ৩৮ কেজির বাগাড় মাছ!
নদী ভাঙনে দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ
২ বছর আগে