এলপিজি ব্যবহার
নির্ভরযোগ্য জ্বালানির সমাধান হিসেবে কারখানায় এলপিজি ব্যবহার করা যেতে পারে: বক্তারা
শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো গ্যাস সংকটে তাদের চাহিদা মেটাতে নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সমাধান হিসেবে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহার করতে পারে বলে বক্তারা মত দিয়েছেন।
সোমবার রাজধানীতে একটি সেমিনারে তার এই মত প্রকাশ করেন।
এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (লোয়াব) সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেছেন, ‘এলপিজির দাম নমনীয় ও যুক্তিসঙ্গত। যদি কিছু নীতিগত সহায়তা পাওয়া যায় তবে অপারেটররা এই বিষয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: এলপিজির দাম কমেছে
হাইড্রোকার্বন ইউনিট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনস্থ সংস্থা ‘এলপিজি: বাংলাদেশে শিল্প বিভাগের জন্য একটি বিকল্প শক্তি সমাধান’- শীর্ষক এই ভার্চুয়াল সেমিনারের আয়োজন করে।
লোয়াব প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশ যদি সাত শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে চায়, তাহলে শিল্প ও অন্যান্য খাতেও এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে হবে। কারণ শুধুমাত্র প্রাকৃতিক গ্যাসই ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্যাস সংকটের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন শিল্পকে এলপিজি সরবরাহ করে আসছি। এখন, এলপিজির চাহিদা ৩০-৪০ শতাংশ হারে বাড়ছে।’
তিনি বলেন, এলপিজি সেক্টরের চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে কিছু নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যেখানে নৌচলাচল অত্যাবশ্যক নদীপথে সেখানে বিপুল পরিমাণ এলপিজি পরিবহন করা হয়। সেখানে ট্যাক্স কিছুটা কাটছাঁট করতে হবে এবং শিল্পকে ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস সংগ্রহের অনুমতি দেয়া বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিবহন খরচ অনেক বেশি হওয়ায় কম খরচে এই পেট্রোলিয়াম জ্বালানির ধারাবাহিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে এলপিজি আমদানির জন্য একটি ডেডিকেটেড গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন এজেন্ডার শীর্ষে হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘একটি ডেডিকেটেড গভীর সমুদ্র বন্দর না থাকার কারণে অপারেটররা পাঁচ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ধারণক্ষমতার বড় জাহাজের মাধ্যমে এলপিজি আমদানি করতে পারে না।’
আবুল খায়ের হাইড্রোকার্বন ইউনিটের মহাপরিচালক মো. আমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবির এবং বসুন্ধরা এলপিজির হেড অব মার্কেটিং ও ওমেরা পেট্রোলিয়ামের সিইও তামজিম চৌধুরী।
এসময় জাকারিয়া জালাল বলেন, ডিজাইন এবং এর শক্তি খরচের ওপর নির্ভর করে কিছু নির্দিষ্ট শিল্পের জন্য এলপিজি ব্যবহার উপযুক্ত হতে পারে।
তিনি বলেন, এলপিজি, এলএনজি ও অন্যান্য তরল পেট্রোলিয়ামসহ সম্ভাব্য সব ধরনের প্রাথমিক বিকল্পগুলোর জন্য একটি সমন্বিত মূল্য নির্ধারণের সুযোগ থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, যদি সমস্ত জ্বালানি বিকল্পের দাম পরিবর্তনশীল হয়, তবে (সে তুলনায়) এলপিজি অনেক বেশি টেকসই হবে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজি’র দাম বাড়ল ৪৬ টাকা
১২ কেজি এলপিজির নতুন দাম ১২৫১ টাকা
১ বছর আগে