পুনরাবৃত্তি
আর যেন ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি না হয়: আইইবি নেতারা
দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর নেতারা বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় দিন।
তারা বলেন, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতেই এই ১৫ আগস্ট ঘটানো হয়েছে৷ এই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা যারা চায় নাই তারাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারসহ হত্যা করেছে। বাঙালি জাতিকে করেছে বিভক্ত৷ এদেশে আর যেন ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি না হয়।
আরও পড়ুন: তিতাস গ্যাসের ৪ প্রকৌশলী গ্রেপ্তারে আইইবির নিন্দা
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রকৌশলী নেতারা এসব কথা বলেন৷
আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, ১৫ আগস্ট একটি কালো অধ্যায়। শোকাবহ ও বেদনাদায়ক দিন৷ শত্রুরা বঙ্গবন্ধুর নাম নিশ্চিহ্ন করতে ১৫ আগস্ট ঘটিয়েই, ২১ আগস্টের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, জনগণের দোয়ায় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্যই শেখ হাসিনা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন।
আইইবির সাধারণ সম্পাদক এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশের চলমান উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে৷ স্বাধীনতা পরবর্তী রাষ্ট্রকে সোনার বাংলায় পরিনত করতে বঙ্গবন্ধু নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে চলমান অগ্রযাত্রাকে বন্ধ করে দিয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলোকে সমাপ্ত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আইইবি চত্ত্বরে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শোকদিবস পালন শুরু হয়। পরে আইইবির নেতারা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সবশেষে ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া সকলের আত্মার শান্তি ও দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করা হয় এবং দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু, ইঞ্জিনিয়ার কাজী খায়রুল বাসার, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম হাজারী, ইঞ্জিনিয়ার অমিত কুমার চক্রবর্তী, আইইবির ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন, সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. নজরুল ইসলামসহ আইইবির বিভিন্ন বিভাগের নেতৃত্ববৃন্দ।
আরও পড়ুন: প্রকল্পের নকশা ও বাস্তবায়নে ডিসিদের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আইইবি'র প্রতিবাদ
‘সুরক্ষা’ অ্যাপের পাঁচ প্রকৌশলীকে সম্মানিত করল আইইবি
জাতি ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির পুনরাবৃত্তি চায় না: বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার সরকার গঠনের মাত্র ৫২ দিন পরে একটি অকল্পনীয় ট্রাজেডি ঘটে। গোটা জাতি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর কখনও চায় না।
মঙ্গলবার রাজধানীর পিলখানায় অবস্থিত বিজিবির সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস ২০২২ এর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করে অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড হল যেকোনো সুশৃঙ্খল বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। কখনও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না। অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন এবং চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করুন।’
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবি-বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত
তিনি ট্রাজেডির দিন যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ তাকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী একটি খোলা জিপে চড়ে বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিজিবির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সাহসী ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নির্বাচিত কয়েকজন সদস্যকে বিজিবি পদক, রাষ্ট্রপতি বিজিবি পদক, বিজিবি পদক সেবা ও রাষ্ট্রপতি বিজিবি পদক সেবা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানার শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
৩ দিনের সীমান্ত সম্মেলনে যোগ দিতে বিজিবি’র প্রতিনিধি দল ভারতে